পরীক্ষায় অধিক নম্বর পেতে সহজ ও সাবলীল ভাষায় প্রশ্নের উত্তর প্রদান খুবই জরুরী একটি বিষয়। সেই সাথে বস্তুনিষ্ঠ লেখা, সঠিক তথ্য উপ্যাত্ত, সঠিক বানান প্রভৃতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই সাথে অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে আলোচনা না করাই শ্রেয়। আজ আমরা আলোচনা করবো বৈশাখী মেলা – অনুচ্ছেদ সম্পর্কে। চলো শুরু করা যাক…
একাডেমিক প্রশ্ন
অনুচ্ছেদ লিখন
বৈশাখী মেলা অনুচ্ছেদ
বৈশাখী মেলা নববর্ষের সর্বজনীন অনুষ্ঠানগুলাের অন্যতম। অসাম্প্রদায়িক বাঙ্গালী জীবনে বৈশাখী মেলা আর বাংলা নববর্ষ এক সার্বজনীন উৎসব। নববর্ষের প্রথম দিন অর্থাৎ, পহেলা বৈশাখ থেকে বাংলাদেশের শহর-গ্রাম-গঞ্জে এই মেলা শুরু হয়। সাধারণত স্থানীয় লােকেরাই এসব মেলার আয়ােজন করে থাকে। মেলার স্থায়িত্বকাল এক থেকে সাত দিন হয়ে থাকে। তবে কোথাও কোথাও এ মেলা সারা বৈশাখ মাস ধরে চলে। বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের দিনাজপুর জেলার নেকমর্দানে পহেলা বৈশাখে যে মেলা বসে, তা হচ্ছে উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় এবং জাঁকজমকপূর্ণ মেলা।
জাতী-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এই মেলা বাঙ্গালীর এক মহা মিলন মেলায় রূপ নেয়। নাচ, গান, নাগরদোলা, মৃত শিল্প, মনোহারি প্রভৃতি এ মেলার হাজার বছরের ঐতিহ্য। এমেলায় বসে বাঙ্গালীর ঐতিহ্যবাহি নানা খাবারের পশরা। হরেক রকমের মিষ্টি, বাতাসা, খই, মুড়ি, আচার সহ নানান রকম বাহারী বাঙ্গালী খাবার এ মেলার প্রধান আকর্ষন। এছাড়া রং-বেরঙের বেলুন আর বাঁশের বাঁশির সুর আর কচিকাচাদের কোলাহলে মুখরিত থাকে মেলা প্রাঙ্গন। কোথাও কোথাও বৈশাখি মেলায় যাত্রাপালা আর সার্কাসের আয়োজন করা হয়। মেলার দিনগুলােতে ছেলে-বুড়াে সবার মাঝেই বিরাজ করে সাজ সাজ রব। বাংলাদেশের মেলা গুলােতে খুঁজে পাওয়া যায় এদেশের হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন দ্রব্যসামগ্রী, যা বাঙালির ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক বলে বিবেচিত। বৈশাখী মেলা বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্যের মিলনমেলা।