অভাব আছে বলিয়া জগৎ বৈচিত্র্যময় হইয়াছে

অভাব আছে বলিয়া জগৎ বৈচিত্র্যময় হইয়াছে

অভাব আছে বলিয়া জগৎ বৈচিত্র্যময় হইয়াছে। অভাব না থাকিলে জীব-সৃষ্টি বৃথা হইত। অভাব আছে বলিয়া অভাব-পূরণে এত উদ্যোগ। সংসার অভাবক্ষেত্র বলিয়া কর্মক্ষেত্র। অভাব না থাকিলে সকলেই স্থানু-স্থবির হইত, মনুষ্যজীবন বিড়ম্বনাময় হইত। মহাজ্ঞানীগণ অপরের অভাব দূর করিতে সর্বদা ব্যস্ত। জগতে অভাব আছে বলিয়াই মানুষ সেবা করিবার সুযোগ পাইয়াছে। সেবা মানবজীবনের পরম ধর্ম। সুতরাং অভাব হইতেই সেবাধর্মের সৃষ্টি হইয়াছে। আর এই সেবাধর্মের দ্বারাই মানুষের মনুষ্যত্বসুলভ গুণ সার্থকতা লাভ করিয়াছে।

সারাংশ:

অভাব মানুষকে কর্মের পথে চালিত করে জগতকে বৈচিত্র্যময় করে তুলেছে। অভাব আছে বলেই মানবজীবন চলমান। এ অভাব থেকেই সেবাধর্ম উৎপত্তি লাভ করেছে। অপরের অভাব পূরণের ইচ্ছা এবং তা বাস্তবে রূপ দেওয়ার মধ্য দিয়েই মানুষ মহান হয়ে ওঠে।

সারাংশ-২

অভাব বা প্রয়োজনের তাগিদেই মানুষ সৃষ্টি করে। সৃষ্টির প্রেরনাই মানুষের কাজের উৎস। অভাব না থাকলে মানুষ অলস হয়ে যেত। দুঃখ আছে বলেই মহামানব গণ সেবার হাত প্রসারিত করেন। দুঃখে যিনি এগিয়ে আসেন তিনিই মানুষের পরম বন্ধু। দুঃখের আগুনে পুড়েই মানুষ খাটি সোনা হয়। তাই দুঃখকে শত্রু ভাবা ঠিক নয়। 

Views: 139 Views
❤️ 0
👎 0
😢 0
😡 0

Leave a Reply

Scroll to Top