অষ্টম শ্রেনী কৃষি শিক্ষা
প্রথম অধ্যায়: বাংলাদেশের কৃষি ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট
প্রশ্ন ১: আন্তর্জাতিক কৃষির তুলনায় বাংলাদেশ কোন ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে?
(ক) মৎস্য চাষে
(খ) ধান উৎপাদনে
(গ) পাট উৎপাদনে
(ঘ) ফল চাষে
সঠিক উত্তর: (খ) ধান উৎপাদনে
ব্যাখ্যা: বাংলাদেশ ধান উৎপাদনে ভিয়েতনাম, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান প্রভৃতি দেশ হতে অনেক পিছিয়ে আছে।
প্রশ্ন ২: একসময় বাংলাদেশে বিশ্বের কত ভাগ পাট উৎপাদন হতো?
(ক) ৫০ ভাগ
(খ) ৬০ ভাগ
(গ) ৭০ ভাগ
(ঘ) ৭৫ ভাগ
সঠিক উত্তর: (ঘ) ৭৫ ভাগ
ব্যাখ্যা: একসময় বাংলাদেশে বিশ্বের ৭৫ ভাগ পাট উৎপাদন হতো।
প্রশ্ন ৩: পাটের উৎপাদন কমে যাওয়ার প্রধান কারণ কী?
(ক) পাটের মূল্য হ্রাস
(খ) ধানের চাহিদা ও কৃত্রিম আঁশের ব্যবহার বৃদ্ধি
(গ) পাট চাষে রোগবালাই বৃদ্ধি
(ঘ) সরকারের অসহযোগিতা
সঠিক উত্তর: (খ) ধানের চাহিদা ও কৃত্রিম আঁশের ব্যবহার বৃদ্ধি
ব্যাখ্যা: ধানের চাহিদা ও কৃত্রিম আঁশের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার কারণে পাটের উৎপাদন কৃষকরা কমিয়ে দিয়েছেন।
প্রশ্ন ৪: বিজ্ঞানীরা সারাদেশে মাটির পুষ্টি সমস্যা সমাধানের জন্য দেশকে কয়টি কৃষি পরিবেশ অঞ্চলে ভাগ করেছেন?
(ক) ২০টি
(খ) ২৫টি
(গ) ৩০টি
(ঘ) ৩৫টি
সঠিক উত্তর: (গ) ৩০টি
ব্যাখ্যা: সারাদেশে মাটিতে উদ্ভিদের পুষ্টি সমস্যা সমাধানের জন্য বিজ্ঞানীরা দেশকে ত্রিশটি কৃষি পরিবেশ অঞ্চলে ভাগ করেছেন।
প্রশ্ন ৫: বন্যার শেষে ধান চাষের জন্য বিলম্ব জাত হিসেবে নিচের কোনটি ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট উদ্ভাবন করেছে?
(ক) ব্রিধান ২৮
(খ) ব্রিধান ২৯
(গ) ব্রিধান ২২
(ঘ) বিনা ধান ৭
সঠিক উত্তর: (গ) ব্রিধান ২২
ব্যাখ্যা: বন্যার শেষে ধান চাষের জন্য বিলম্ব জাত হিসেবে ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট ব্রিধান ২২, ব্রি ধান ২৩, ব্রি ধান-৩৭ এবং ব্রি ধান-৩৮ নামে চারটি ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে।
প্রশ্ন ৬: কোন জাতের ধান পানির নিচে ১০-১৫ দিন টিকে থাকতে পারে?
(ক) ব্রি ধান ২৮
(খ) ব্রি ধান ২৯
(গ) ব্রি ধান ৫১
(ঘ) ব্রি ধান ৪৭
সঠিক উত্তর: (গ) ব্রি ধান ৫১
ব্যাখ্যা: বন্যাকবলিত এলাকার জন্য ব্রি ধান-১১, ব্রি ধান-১২, ব্রি ধান-৫১, ব্রি ধান-৫২ ও ব্রি ধান-৭৯ নামের পাঁচটি জাতের ধান উদ্ভাবন করেছে যা পানির নিচে ১০-১৫ দিন টিকে থাকতে পারে।
প্রশ্ন ৭: খরা সহনশীল ধানের জাত কোনটি?
(ক) ব্রিধান ৪১
(খ) ব্রিধান ৫৬
(গ) ব্রিধান ৫৫
(ঘ) ব্রিধান ৫০
সঠিক উত্তর: (খ) ব্রিধান ৫৬
ব্যাখ্যা: খরা ও লবণাক্ততা সমস্যার জন্য বিজ্ঞানীরা ব্রিধান ৫৬ ও ব্রিধান ৫৭ নামের খরা সহনশীল ধান উদ্ভাবন করেছেন।
প্রশ্ন ৮: উপকূল অঞ্চলের লবণাক্ত জমিতে চাষের জন্য কোন ধান উদ্ভাবন হয়েছে?
(ক) ব্রি ধান-২৯
(খ) ব্রি ধান-২৮
(গ) ব্রি ধান-৪৭
(ঘ) ব্রি হাইব্রিড ধান-৩
সঠিক উত্তর: (গ) ব্রি ধান-৪৭
ব্যাখ্যা: উপকূল অঞ্চলের লবণাক্ত জমিতে চাষের জন্য ব্রি ধান-৪০, ব্রি ধান-৪১, ব্রি ধান-৪৬, ব্রি ধান-৪৭, ব্রি ধান-৫৩, ব্রি ধান-৫৪ ও ব্রি ধান-৫৫ উদ্ভাবন হয়েছে।
প্রশ্ন ৯: ঝিনাইদহের হরিপদ কাপালি কোন ধান নির্বাচন করেছেন?
(ক) কাপালি ধান
(খ) হরিধান
(গ) ঝিনাই ধান
(ঘ) কালিজিরা ধান
সঠিক উত্তর: (খ) হরিধান
ব্যাখ্যা: ঝিনাইদহের হরিপদ কাপালি হরিধান নামে একটি ধান নির্বাচন করেছেন।
প্রশ্ন ১০: কোন ধরনের প্রজননে মাতৃগাছের সকল গুণাগুণ হুবহু পাওয়া যায়?
(ক) যৌন প্রজননে
(খ) অঙ্গজ প্রজননে
(গ) কৃত্রিম প্রজননে
(ঘ) স্বপরাগায়নে
সঠিক উত্তর: (খ) অঙ্গজ প্রজননে
ব্যাখ্যা: কিছু উদ্ভিদের বিশেষ অঙ্গ বীজ হিসেবে ব্যবহার করা হয় এবং এই ধরনের বীজ থেকে উৎপন্ন গাছে মাতৃগাছের সকল গুণাগুণ হুবহু পাওয়া যায়, কারণ অঙ্গজ প্রজননে পিতৃগাছের গুণাগুণ যুক্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
প্রশ্ন ১১: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে সংঘটিত দুর্ভিক্ষের প্রধান কারণ কী ছিল?
(ক) অতিবৃষ্টি ও বন্যা
(খ) অনাবৃষ্টি ও খরা
(গ) ব্রিটিশ সরকারের খাদ্যশস্য স্থানান্তর বা ধ্বংস
(ঘ) ফসলের ব্যাপক রোগবালাই
সঠিক উত্তর: (গ) ব্রিটিশ সরকারের খাদ্যশস্য স্থানান্তর বা ধ্বংস
ব্যাখ্যা: জাপানি সেনাদের হাতে ধরা পড়ার ভয়ে ব্রিটিশ সরকার বাংলা ও আসামের খাদ্যগুদামের খাদ্যশস্য হয় পশ্চিমে স্থানান্তর করেছিল, নয় ধ্বংস করেছিল, যার ফলে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়।
প্রশ্ন ১২: ঢাকার শেরে বাংলা নগরে কৃষি ইন্সটিটিউট কখন স্থাপিত হয়?
(ক) ব্রিটিশ শাসনামলে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর
(খ) পাকিস্তান শাসনামলে
(গ) বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর
(ঘ) উনিশ শতকের শুরুতে
সঠিক উত্তর: (ক) ব্রিটিশ শাসনামলে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর
ব্যাখ্যা: মহাযুদ্ধে দুর্বল হয়ে পড়লেও ঐ সময় ব্রিটিশ সরকার একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেয় এবং আসাম ও বাংলার জন্য ঢাকার শেরে বাংলা নগরে একটি কৃষি ইন্সটিটিউট স্থাপন করে।
প্রশ্ন ১৩: ময়মনসিংহে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কত সালে স্থাপিত হয়?
(ক) ১৯৫১ সালে
(খ) ১৯৬১ সালে
(গ) ১৯৭১ সালে
(ঘ) ১৯৭৫ সালে
সঠিক উত্তর: (খ) ১৯৬১ সালে
ব্যাখ্যা: স্বাধীনতার পূর্বে ১৯৬১ সালে ময়মনসিংহে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়, যা পরবর্তীতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিতি লাভ করে।
প্রশ্ন ১৪: পাট গবেষণা ইন্সটিটিউট কোথায় অবস্থিত?
(ক) গাজীপুর
(খ) ঢাকা
(গ) ঈশ্বরদী
(ঘ) শ্রীমঙ্গল
সঠিক উত্তর: (খ) ঢাকা
ব্যাখ্যা: পাট, আখ, চা ইত্যাদি অর্থকরী ফসলের বিষয়ে গবেষণার জন্য একক গবেষণা ইন্সটিটিউট যথাক্রমে ঢাকা, ঈশ্বরদী ও শ্রীমঙ্গলে স্থাপিত হয়।
প্রশ্ন ১৫: উচ্চ ফলনশীল ইরি ও ব্রি ধানের চাষ কখন শুরু করা হয়?
(ক) বিশ শতকের পঞ্চাশের দশকে
(খ) উনিশ শতকের ষাটের দশকে
(গ) বিশ শতকের সত্তরের দশকে
(ঘ) একবিংশ শতকের শুরুতে
সঠিক উত্তর: (খ) উনিশ শতকের ষাটের দশকে
ব্যাখ্যা: পূর্ববাংলায় কৃষির আধুনিকায়ন শুরু হয় উনিশ শতকের ষাটের দশকে এবং প্রধান কৃষি ফসল ধানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্বাদগন্ধের কম ফলনশীল স্থানীয় ধানের পরিবর্তে উচ্চ ফলনশীল ইরি, ব্রি ধানের চাষ শুরু করা হয়।
প্রশ্ন ১৬: বাংলাদেশে বর্তমানে কয়টি পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চালু রয়েছে?
(ক) ৬টি
(খ) ৭টি
(গ) ৮টি
(ঘ) ৯টি
সঠিক উত্তর: (গ) ৮টি
ব্যাখ্যা: বর্তমানে বাংলাদেশে আটটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি পূর্ণাঙ্গ ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সাইন্স বিশ্ববিদ্যালয় চালু রয়েছে।
প্রশ্ন ১৭: ‘হাইব্রিড’ ফসল উদ্ভাবনে বিজ্ঞানীরা কোন পদ্ধতি ব্যবহার করেন?
(ক) নির্বাচন
(খ) অঙ্গজ প্রজনন
(গ) গবেষণা ও সংকরায়ণ
(ঘ) টিস্যু কালচার
সঠিক উত্তর: (গ) গবেষণা ও সংকরায়ণ
ব্যাখ্যা: বিজ্ঞানীগণ গবেষণার মাধ্যমে বর্তমানে বিভিন্ন ফসলের হাইব্রিড উদ্ভাবন করেছেন। সংকরায়ণ করে দেশীয় পরিবেশ সহনীয় নতুন জাত উদ্ভাবন করছেন।
প্রশ্ন ১৮: বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (BINA) কত সালে স্থাপিত হয়?
(ক) ১৯৭০ সালে
(খ) ১৯৭২ সালে
(গ) ১৯৭৩ সালে
(ঘ) ১৯৭৪ সালে
সঠিক উত্তর: (খ) ১৯৭২ সালে
ব্যাখ্যা: স্বাধীন বাংলাদেশে কৃষির উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (BINA) স্থাপিত হয়।
প্রশ্ন ১৯: সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা কী নামে পরিচিত?
(ক) NARS
(খ) BARC
(গ) IPM
(ঘ) AIS
সঠিক উত্তর: (গ) IPM
ব্যাখ্যা: কৃষিকে অধিকতর পরিবেশবান্ধব করার জন্য সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা (IPM) সহ উত্তম কৃষি কার্যক্রমে কৃষকগণকে উৎসাহিত ও দক্ষ করে তোলার জন্য বিবিধ কার্যক্রম চালু রয়েছে।
প্রশ্ন ২০: বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক এ পর্যন্ত (বই রচনার সময়) ধানের কয়টি জাত উদ্ভাবিত হয়েছে?
(ক) ১০০টি
(খ) ১১০টি
(গ) ১১৫টি
(ঘ) ১২০টি
সঠিক উত্তর: (গ) ১১৫টি
ব্যাখ্যা: বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক ধানের ১১৫টি জাত উদ্ভাবিত হয়েছে।
প্রশ্ন ২১: পাটের জেনেটিক ম্যাপ আবিষ্কার করেন কোন বিজ্ঞানী?
(ক) ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা
(খ) ড. মাকসুদুল আলম
(গ) ড. মোঃ শহীদুল্লাহ
(ঘ) ড. ইব্রাহিম খলিল
সঠিক উত্তর: (খ) ড. মাকসুদুল আলম
ব্যাখ্যা: বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. মাকসুদুল আলম কর্তৃক পাটের জেনেটিক ম্যাপ আবিষ্কার একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
প্রশ্ন ২২: হাইব্রিড ধান বীজের জনক কোন দেশ?
(ক) ভারত
(খ) বাংলাদেশ
(গ) চীন
(ঘ) ভিয়েতনাম
সঠিক উত্তর: (গ) চীন
ব্যাখ্যা: হাইব্রিড ধান বীজের জনক চীন।
প্রশ্ন ২৩: বিশ্বের অন্যতম প্রধান চাল রপ্তানিকারক দেশ কোনটি?
(ক) বাংলাদেশ
(খ) ভারত
(গ) থাইল্যান্ড
(ঘ) ভিয়েতনাম
সঠিক উত্তর: (ঘ) ভিয়েতনাম
ব্যাখ্যা: বিশ্বের অন্যতম প্রধান চাল রপ্তানিকারক দেশ আজ ভিয়েতনাম।
প্রশ্ন ২৪: জাতিসংঘের কোন অঙ্গ সংগঠন বিশ্বজুড়ে খাদ্য ও কৃষি নিয়ে কাজ করে?
(ক) UNICEF
(খ) WHO
(গ) FAO
(ঘ) UNDP
সঠিক উত্তর: (গ) FAO
ব্যাখ্যা: জাতিসংঘের অঙ্গ সংগঠন হিসেবে যে প্রতিষ্ঠান বিশ্বজুড়ে কাজ করে তার নাম “খাদ্য ও কৃষি সংগঠন” (Food and Agriculture Organization, FAO)।
প্রশ্ন ২৫: আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (IRRI) কোথায় অবস্থিত?
(ক) ভারত
(খ) ফিলিপাইন
(গ) থাইল্যান্ড
(ঘ) বাংলাদেশ
সঠিক উত্তর: (খ) ফিলিপাইন
ব্যাখ্যা: আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের (International Rice Research Institute, IRRI) অবস্থান ফিলিপাইনে।
প্রশ্ন ২৬: ‘সুপার হাইব্রিড’ ধানের প্রধান অসুবিধা কী?
(ক) ফলন কম হয়
(খ) রোগবালাই বেশি হয়
(গ) বীজ সংরক্ষণ করা যায় না
(ঘ) চাষাবাদ পদ্ধতি জটিল
সঠিক উত্তর: (গ) বীজ সংরক্ষণ করা যায় না
ব্যাখ্যা: ‘সুপার হাইব্রিড’ ধানের একটি বড়ো ধরনের অসুবিধা হলো এই সকল অত্যাধুনিক ধানের বীজ সংরক্ষণ করা যায় না; এক প্রজন্মেই বীজের গুণাগুণ শেষ হয়ে যায়।
প্রশ্ন ২৭: বাংলাদেশের চাষিরা মোট ব্যবহৃত ধান বীজের শতকরা কতভাগ নিজেরাই সংরক্ষণ ও ব্যবহার করে?
(ক) ৬৫%
(খ) ৭৫%
(গ) ৮৫%
(ঘ) ৯৫%
সঠিক উত্তর: (গ) ৮৫%
ব্যাখ্যা: দেশের মোট ব্যবহৃত ধান বীজের অন্তত ৮৫% চাষিরা নিজেরাই সংরক্ষণ ও ব্যবহার করে।
প্রশ্ন ২৮: কোন দেশে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ডেইরি সমবায় প্রতিষ্ঠান রয়েছে?
(ক) চীন
(খ) বাংলাদেশ
(গ) ভারত
(ঘ) ভিয়েতনাম
সঠিক উত্তর: (গ) ভারত
ব্যাখ্যা: ভারতে রয়েছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ডেইরি সমবায় প্রতিষ্ঠান, যা বিশ্বের জন্য অনুকরণীয় উদাহরণ।
প্রশ্ন ২৯: ফসলের মৌসুম নির্ভরশীলতা কাটিয়ে ওঠার প্রধান কারণ কী দূর করা?
(ক) তাপমাত্রা সংবেদনশীলতা
(খ) আর্দ্রতা সংবেদনশীলতা
(গ) দিনের দৈর্ঘ্য সংবেদনশীলতা
(ঘ) মাটি সংবেদনশীলতা
সঠিক উত্তর: (গ) দিনের দৈর্ঘ্য সংবেদনশীলতা
ব্যাখ্যা: ফসলের ক্ষেত্রে মৌসুম নির্ভরশীলতা কাটিয়ে উঠার প্রধান কারণ হলো দিনের দৈর্ঘ্য সংবেদনশীলতা। এই দিবাদৈর্ঘ্য সংবেদনশীলতা দূর করতে বা কমিয়ে দিতে পারলে ফসলটি যে কোনো মৌসুমে উৎপাদন করা যায়।
প্রশ্ন ৩০: গ্রিনহাউসে ফসল উৎপাদনের প্রধান অসুবিধা কী?
(ক) রোগমুক্ত ফসল পাওয়া যায় না
(খ) উৎপাদন ব্যয় অনেক বেশি
(গ) সব ধরনের ফসল চাষ করা যায় না
(ঘ) বছরে একবার মাত্র চাষ করা যায়
সঠিক উত্তর: (খ) উৎপাদন ব্যয় অনেক বেশি
ব্যাখ্যা: গ্রিনহাউস পদ্ধতিতে যে কোনো ফসল উৎপাদন সম্ভব হলেও উৎপাদন ব্যয় অনেক বেশি।