অষ্টম শ্রেনী বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | | ঔপনিবেশিক যুগের প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্য MCQ

অষ্টম শ্রেনী – বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

দ্বিতীয় অধ্যায়- ঔপনিবেশিক যুগের প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্য


১. প্রাচীনকালে বাংলার সমৃদ্ধ জনপদ কোনটি ছিল?

ক) ঢাকা

খ) সোনারগাঁও

গ) পুণ্ড্রবর্ধন

ঘ) সপ্তগ্রাম

উত্তর: গ) পুণ্ড্রবর্ধন

ব্যাখ্যা: প্রাচীনকালে পুণ্ড্রবর্ধন ছিল বাংলার সমৃদ্ধ জনপদগুলির মধ্যে অন্যতম।

২. ঐতিহাসিক উপাদান মূলত কত প্রকার?

ক) দুই প্রকার

খ) তিন প্রকার

গ) চার প্রকার

ঘ) পাঁচ প্রকার

উত্তর: ক) দুই প্রকার

ব্যাখ্যা: ঐতিহাসিক উপাদান মূলত দুই প্রকার – প্রত্নতাত্ত্বিক ও লিখিত উপাদান।

৩. নিচের কোনটি প্রত্নতাত্ত্বিক উৎসের উদাহরণ?

ক) সাহিত্য

খ) মুদ্রা

গ) দলিল

ঘ) চিঠিপত্র

উত্তর: খ) মুদ্রা

ব্যাখ্যা: মুদ্রা, শিলালিপি, স্থাপত্য ইত্যাদি প্রত্নতাত্ত্বিক উৎসের উদাহরণ।

৪. কোন শাসকের সময়কালে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার নির্মিত হয়েছিল?

ক) পাল বংশ

খ) সেন বংশ

গ) মৌর্য বংশ

ঘ) গুপ্ত বংশ

উত্তর: ক) পাল বংশ

ব্যাখ্যা: পাল বংশের শাসকরা পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ করেছিলেন।

৫. মহাস্থানগড় কোন নদীর তীরে অবস্থিত?

ক) পদ্মা

খ) মেঘনা

গ) করতোয়া

ঘ) যমুনা

উত্তর: গ) করতোয়া

ব্যাখ্যা: মহাস্থানগড় করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত, যা প্রাচীন বাংলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নস্থল।

৬. ষাট গম্বুজ মসজিদ কোথায় অবস্থিত?

ক) ঢাকা

খ) মুন্সিগঞ্জ

গ) বাগেরহাট

ঘ) নারায়ণগঞ্জ

উত্তর: গ) বাগেরহাট

ব্যাখ্যা: ষাট গম্বুজ মসজিদ বাগেরহাটে অবস্থিত, যা সুলতানি আমলের একটি উল্লেখযোগ্য স্থাপত্য।

৭. লালবাগ কেল্লা কে নির্মাণ করেন?

ক) মুঘল সম্রাট আকবর

খ) সুবেদার শায়েস্তা খান

গ) নবাব সিরাজউদ্দৌলা

ঘ) ঈশা খান

উত্তর: খ) সুবেদার শায়েস্তা খান

ব্যাখ্যা: লালবাগ কেল্লার নির্মাণ কাজ শুরু করেন সুবেদার শায়েস্তা খান।

৮. আহসান মঞ্জিল বর্তমানে কী হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে?

ক) জাদুঘর

খ) সরকারি কার্যালয়

গ) আবাসিক ভবন

ঘ) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

উত্তর: ক) জাদুঘর

ব্যাখ্যা: আহসান মঞ্জিল বর্তমানে জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, যা ঢাকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক নিদর্শন।

৯. সোনারগাঁও মূলত কোন ধরনের শহর ছিল?

ক) প্রশাসনিক শহর

খ) বাণিজ্য শহর

গ) দুর্গ শহর

ঘ) শিল্প শহর

উত্তর: খ) বাণিজ্য শহর

ব্যাখ্যা: সোনারগাঁও মূলত একটি বাণিজ্য শহর ছিল, যা মধ্যযুগে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল।

১০. ঐতিহাসিক নিদর্শন পরিদর্শনের মূল উদ্দেশ্য কী হওয়া উচিত?

ক) ছবি তোলা ও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করা

খ) নিছক আনন্দ ও বিনোদন

গ) ইতিহাসের জ্ঞান ও ঐতিহ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি

ঘ) বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাওয়া

উত্তর: গ) ইতিহাসের জ্ঞান ও ঐতিহ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি

ব্যাখ্যা: ঐতিহাসিক নিদর্শন পরিদর্শনের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত ইতিহাসের জ্ঞান অর্জন এবং ঐতিহ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

১১. প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো সাধারণত কোথায় খুঁজে পাওয়া যায়?

ক) আধুনিক শহরগুলোতে

খ) ঐতিহাসিক স্থান ও পুরনো বসতিতে

গ) গ্রামীণ জনপদে

ঘ) নদীতীরে

উত্তর: খ) ঐতিহাসিক স্থান ও পুরনো বসতিতে

ব্যাখ্যা: প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো সাধারণত ঐতিহাসিক স্থান ও পুরনো বসতিতে খুঁজে পাওয়া যায়।

১২. নিচের কোনটি ঐতিহাসিক সাহিত্যের উদাহরণ?

ক) শিলালিপি

খ) মুদ্রা

গ) ভ্রমণকাহিনী

ঘ) প্রাচীন অট্টালিকা

উত্তর: গ) ভ্রমণকাহিনী

ব্যাখ্যা: ভ্রমণকাহিনী, জীবনী, ইত্যাদি ঐতিহাসিক সাহিত্যের উদাহরণ।

১৩. মহাস্থানগড় কোন সময়কালের দুর্গনগরী ছিল?

ক) পাল ও সেন যুগ

খ) মৌর্য ও গুপ্ত যুগ

গ) মুঘল ও সুলতানি যুগ

ঘ) ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক যুগ

উত্তর: খ) মৌর্য ও গুপ্ত যুগ

ব্যাখ্যা: মহাস্থানগড় মৌর্য ও গুপ্ত যুগের দুর্গনগরী ছিল।

১৪. কোন সভ্যতায় কুমিল্লার ময়নামতিতে বসতি গড়ে উঠেছিল?

ক) সিন্ধু সভ্যতা

খ) মেসোপটেমীয় সভ্যতা

গ) বাঙালি সভ্যতা

ঘ) চৈনিক সভ্যতা

উত্তর: গ) বাঙালি সভ্যতা

ব্যাখ্যা: কুমিল্লার ময়নামতিতে বাঙালি সভ্যতায় বসতি গড়ে উঠেছিল।

১৫. ওয়ারী-বটেশ্বর কোথায় অবস্থিত?

ক) ঢাকা

খ) নারায়ণগঞ্জ

গ) নরসিংদী

ঘ) গাজীপুর

উত্তর: গ) নরসিংদী

ব্যাখ্যা: ওয়ারী-বটেশ্বর নরসিংদীতে অবস্থিত, যা প্রাচীন বাংলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান।

১৬. পানাম নগর কোথায় অবস্থিত?

ক) ঢাকা

খ) চট্টগ্রাম

গ) সোনারগাঁও

ঘ) সিলেট

উত্তর: গ) সোনারগাঁও

ব্যাখ্যা: পানাম নগর সোনারগাঁওয়ে অবস্থিত, যা মুঘল আমলের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ছিল।

১৭. জাতীয় জাদুঘর কোথায় অবস্থিত?

ক) লালবাগ কেল্লা

খ) আহসান মঞ্জিল

গ) শাহবাগ, ঢাকা

ঘ) সোনারগাঁও

উত্তর: গ) শাহবাগ, ঢাকা

ব্যাখ্যা: জাতীয় জাদুঘর ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত।

১৮. প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কেন করা হয়?

ক) নতুন বসতি স্থাপনের জন্য

খ) প্রাচীনকালের নিদর্শন আবিষ্কারের জন্য

গ) পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণের জন্য

ঘ) রাস্তাঘাট তৈরির জন্য

উত্তর: খ) প্রাচীনকালের নিদর্শন আবিষ্কারের জন্য

ব্যাখ্যা: প্রত্নতাত্ত্বিক খনন করা হয় প্রাচীনকালের নিদর্শন আবিষ্কারের জন্য, যা থেকে আমরা অতীতের ইতিহাস জানতে পারি।

১৯. ঐতিহাসিক উপাদান সংরক্ষণের গুরুত্ব কী?

ক) অর্থনৈতিক উন্নয়ন

খ) সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা

গ) আধুনিকীকরণ

ঘ) বাণিজ্যিক প্রসার

উত্তর: খ) সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা

ব্যাখ্যা: ঐতিহাসিক উপাদান সংরক্ষণের মাধ্যমে আমরা আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা করতে পারি এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য তা টিকিয়ে রাখতে পারি।

২০. নিচের কোনটি বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান হিসেবে স্বীকৃত?

ক) লালবাগ কেল্লা

খ) আহসান মঞ্জিল

গ) ষাট গম্বুজ মসজিদ

ঘ) পানাম নগর

উত্তর: গ) ষাট গম্বুজ মসজিদ

ব্যাখ্যা: ষাট গম্বুজ মসজিদ ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান হিসেবে স্বীকৃত।

২১. প্রত্নতত্ত্ব পাঠের মূল উদ্দেশ্য কী?

ক) প্রাচীনকালের গল্প শোনা

খ) অতীতের সমাজ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানা

গ) পুরনো জিনিস সংগ্রহ করা

ঘ) ভ্রমণ করা

উত্তর: খ) অতীতের সমাজ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানা

ব্যাখ্যা: প্রত্নতত্ত্ব পাঠের মাধ্যমে আমরা অতীতের সমাজ, সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও জীবনযাত্রা সম্পর্কে জানতে পারি।

২২. ঐতিহাসিক দলিল কোথায় সংরক্ষণ করা হয়?

ক) জাদুঘরে

খ) ব্যক্তিগত সংগ্রহে

গ) মহাফেজখানায়

ঘ) উপরের সবগুলো

উত্তর: ঘ) উপরের সবগুলো

ব্যাখ্যা: ঐতিহাসিক দলিল জাদুঘর, ব্যক্তিগত সংগ্রহ এবং মহাফেজখানায় সংরক্ষণ করা হয়।

২৩. নিচের কোনটি প্রাচীন বাংলার স্থাপত্যের উদাহরণ?

ক) তাজমহল

খ) লালবাগ কেল্লা

গ) পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার

ঘ) ফতেহপুর সিকরি

উত্তর: গ) পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার

ব্যাখ্যা: পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার প্রাচীন বাংলার স্থাপত্যের অন্যতম উদাহরণ।

২৪. ইমারত বা স্থাপত্য কীসের উদাহরণ?

ক) লিখিত উপাদান

খ) প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান

গ) সাহিত্য

ঘ) শিল্পকর্ম

উত্তর: খ) প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান

ব্যাখ্যা: ইমারত বা স্থাপত্য প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানের মধ্যে গণ্য করা হয়।

২৫. প্রত্নতাত্ত্বিক উৎসের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?

ক) লিখিত আকারে থাকা

খ) মানুষের তৈরি পুরনো জিনিস

গ) গল্প ও কবিতা

ঘ) দলিল ও চুক্তিপত্র

উত্তর: খ) মানুষের তৈরি পুরনো জিনিস

ব্যাখ্যা: প্রত্নতাত্ত্বিক উৎসের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এটি মানুষের তৈরি পুরনো জিনিস, যা থেকে আমরা অতীতের বিষয়ে জানতে পারি।

২৬. ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কী তৈরি হয়?

ক) ভীতি

খ) কৌতূহল ও আগ্রহ

গ) একঘেয়েমি

ঘ) ক্লান্তি

উত্তর: খ) কৌতূহল ও আগ্রহ

ব্যাখ্যা: ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কৌতূহল ও আগ্রহ তৈরি হয়, যা তাদের শেখার প্রক্রিয়াকে আরও মজবুত করে।

২৭. নিচের কোনটি ঐতিহাসিক গবেষণার জন্য গুরুত্বপূর্ণ?

ক) নতুন সিনেমা দেখা

খ) উপন্যাস পড়া

গ) প্রাচীন মুদ্রা ও লিপি পাঠ

ঘ) খেলাধুলা করা

উত্তর: গ) প্রাচীন মুদ্রা ও লিপি পাঠ

ব্যাখ্যা: প্রাচীন মুদ্রা ও লিপি পাঠ ঐতিহাসিক গবেষণার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলি থেকে আমরা অতীতের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারি।

২৮. প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো আমাদের কী শেখায়?

ক) আধুনিক প্রযুক্তি

খ) প্রাচীন মানুষের জীবনযাত্রা

গ) ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

ঘ) বিদেশি সংস্কৃতি

উত্তর: খ) প্রাচীন মানুষের জীবনযাত্রা

ব্যাখ্যা: প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো আমাদের প্রাচীন মানুষের জীবনযাত্রা, সংস্কৃতি ও প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা দেয়।

২৯. ঐতিহাসিক স্থানগুলোতে পাওয়া জিনিসপত্র কোথায় রাখা হয়?

ক) বিদ্যালয়ে

খ) বাজারে

গ) জাদুঘরে

ঘ) বাড়িতে

উত্তর: গ) জাদুঘরে

ব্যাখ্যা: ঐতিহাসিক স্থানগুলোতে পাওয়া জিনিসপত্র জাদুঘরে রাখা হয়, যেখানে সেগুলো সংরক্ষণ করা হয় এবং সাধারণ মানুষের প্রদর্শনের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।

৩০. প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার আমাদের কিসের প্রতি আগ্রহী করে তোলে?

ক) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

খ) ইতিহাস ও ঐতিহ্য

গ) অর্থনীতি ও বাণিজ্য

ঘ) সমাজ ও রাজনীতি

উত্তর: খ) ইতিহাস ও ঐতিহ্য

ব্যাখ্যা: প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতি আগ্রহী করে তোলে, যা আমাদের শিকড়ের সন্ধান দিতে সাহায্য করে।

Leave a Reply

Scroll to Top