অষ্টম শ্রেনী ইসলাম শিক্ষা | | প্রথম অধ্যায়: আকাইদ MCQ

অষ্টম শ্রেনী ইসলাম শিক্ষা

প্রথম অধ্যায়: আকাইদ


পাঠ ১: ইমান

১. প্রশ্ন: ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোর প্রতি বিশ্বাস স্থাপনকে কী বলা হয়?

* ক) ইসলাম

* খ) ইবাদত

* গ) আকাইদ

* ঘ) আখলাক

সঠিক উত্তর: গ) আকাইদ

ব্যাখ্যা: আকাইদ শব্দটি বহুবচন, যার একবচন ‘আকিদাহ’, অর্থ বিশ্বাস। ইসলামের মৌলিক বিষয় যেমন আল্লাহ, নবি-রাসুল, ফেরেশতা, আখিরাত ইত্যাদির ওপর বিশ্বাস স্থাপনকেই আকাইদ বলে।

২. প্রশ্ন: ইমানের কয়টি দিক রয়েছে?

* ক) দুটি

* খ) তিনটি

* গ) চারটি

* ঘ) পাঁচটি

সঠিক উত্তর: খ) তিনটি

ব্যাখ্যা: ইমানের তিনটি দিক হলো: ক. অন্তরে বিশ্বাস করা, খ. মুখে স্বীকার করা এবং গ. তদনুসারে আমল করা।

৩. প্রশ্ন: ইমানের সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান বিষয় কোনটি?

* ক) ফেরেশতাগণের প্রতি বিশ্বাস

* খ) আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস

* গ) আল্লাহর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস

* ঘ) কিতাবসমূহের প্রতি বিশ্বাস

সঠিক উত্তর: গ) আল্লাহর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস

ব্যাখ্যা: ইমানের সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান বিষয় হলো আল্লাহ তায়ালার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। তিনি এক ও অদ্বিতীয়, আমাদের রব, সৃষ্টিকর্তা এবং সকল গুণের আধার।

৪. প্রশ্ন: ফেরেশতাগণ কিসের তৈরি?

* ক) মাটি

* খ) আগুন

* গ) পানি

* ঘ) নুর

সঠিক উত্তর: ঘ) নুর

ব্যাখ্যা: ফেরেশতাগণ নুরের তৈরি। আল্লাহ তায়ালা তাঁদের বিশেষ উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছেন এবং তাঁরা সর্বদা আল্লাহর জিকির ও তাসবিহ পাঠে রত থাকেন।

৫. প্রশ্ন: সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ আসমানি কিতাব কোনটি?

* ক) তাওরাত

* খ) যাবুর

* গ) ইনজিল

* ঘ) আল কুরআন

সঠিক উত্তর: ঘ) আল কুরআন

ব্যাখ্যা: আল কুরআন হলো সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ আসমানি কিতাব। এতে জ্ঞান-বিজ্ঞানের সকল বিষয় সন্নিবেশিত রয়েছে এবং এটি মুসলমানদের পরিপূর্ণ জীবনবিধান।

৬. প্রশ্ন: সর্বপ্রথম নবি কে ছিলেন?

* ক) হযরত মুহাম্মদ (স.)

* খ) হযরত মুসা (আ.)

* গ) হযরত ঈসা (আ.)

* ঘ) হযরত আদম (আ.)

সঠিক উত্তর: ঘ) হযরত আদম (আ.)

ব্যাখ্যা: মানবজাতির হিদায়াতের জন্য আল্লাহ প্রেরিত নবিগণের মধ্যে সর্বপ্রথম নবি ছিলেন হযরত আদম (আ.)।

৭. প্রশ্ন: “আর সম্মান তো কেবল আল্লাহ, তাঁর রাসুল এবং মুমিনদের জন্যই।” – এটি কোন সূরার আয়াত?

* ক) সূরা আল-বাকারা

* খ) সূরা আল-মুনাফিকুন

* গ) সূরা আল-ইখলাস

* ঘ) সূরা আল-কাহফ

সঠিক উত্তর: খ) সূরা আল-মুনাফিকুন

ব্যাখ্যা: এই আয়াতটি সূরা আল-মুনাফিকুনের ৮ নম্বর আয়াত, যেখানে বলা হয়েছে যে সম্মান আল্লাহ, তাঁর রাসুল এবং মুমিনদের জন্য নির্ধারিত।

পাঠ ২: নিফাক

৮. প্রশ্ন: মুখে ইমানের স্বীকার ও অন্তরে অবিশ্বাস করাকে ইসলামি পরিভাষায় কী বলে?

* ক) শিরক

* খ) কুফর

* গ) নিফাক

* ঘ) ফিসক

সঠিক উত্তর: গ) নিফাক

ব্যাখ্যা: নিফাক শব্দের অর্থ ভণ্ডামি, কপটতা। ইসলামি পরিভাষায়, মুখে ইমানের কথা বলা কিন্তু অন্তরে তা অবিশ্বাস করাকে নিফাক বলে। এমন ব্যক্তিকে মুনাফিক বলা হয়।

৯. প্রশ্ন: মুনাফিকের নিদর্শন কয়টি?

* ক) দুটি

* খ) তিনটি

* গ) চারটি

* ঘ) পাঁচটি

সঠিক উত্তর: খ) তিনটি

ব্যাখ্যা: হাদিস অনুযায়ী মুনাফিকের নিদর্শন তিনটি: যখন কথা বলে মিথ্যা বলে, ওয়াদা করলে তা ভঙ্গ করে এবং যখন তার নিকট কোনো কিছু গচ্ছিত রাখা হয় তখন তার খিয়ানত করে।

১০. প্রশ্ন: মুনাফিকদের স্থান জাহান্নামের কোন স্তরে হবে বলে আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা দিয়েছেন?

* ক) প্রথম স্তরে

* খ) মাঝারি স্তরে

* গ) সর্বোচ্চ স্তরে

* ঘ) সর্বনিম্ন স্তরে

সঠিক উত্তর: ঘ) সর্বনিম্ন স্তরে

ব্যাখ্যা: আল্লাহ তায়ালা সূরা আন-নিসার ১৪৫ নম্বর আয়াতে বলেছেন, “নিশ্চয়ই মুনাফিকদের স্থান জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে।”

পাঠ ৩: আল-আসমাউল হুসনা

১১. প্রশ্ন: ‘আল-আসমাউল হুসনা’ বলতে কী বোঝায়?

* ক) আল্লাহর সুন্দর সৃষ্টিসমূহ

* খ) আল্লাহর সুন্দর বাণীসমূহ

* গ) আল্লাহর গুণবাচক নামসমূহ

* ঘ) নবিগণের সুন্দর নামসমূহ

সঠিক উত্তর: গ) আল্লাহর গুণবাচক নামসমূহ

ব্যাখ্যা: ‘আল-আসমাউল হুসনা’ অর্থ সুন্দরতম নামসমূহ। ইসলামি পরিভাষায় আল্লাহ তায়ালার গুণবাচক নামসমূহকে একত্রে আসমাউল হুসনা বলা হয়।

১২. প্রশ্ন: ‘আল্লাহু গাফ্ফারুন’ অর্থ কী?

* ক) আল্লাহ সর্বশক্তিমান

* খ) আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল

* গ) আল্লাহ অমুখাপেক্ষী

* ঘ) আল্লাহ অতি দয়াবান

সঠিক উত্তর: খ) আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল

ব্যাখ্যা: ‘গাফ্ফার’ শব্দের অর্থ অতি ক্ষমাশীল। সুতরাং ‘আল্লাহু গাফ্ফারুন’ অর্থ আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল। তিনি বান্দার পাপের জন্য অনুতপ্ত হলে ক্ষমা করে দেন।

১৩. প্রশ্ন: ‘আল্লাহু সামাদুন’ অর্থ কী?

* ক) আল্লাহ রিজিকদাতা

* খ) আল্লাহ পরম দয়ালু

* গ) আল্লাহ অমুখাপেক্ষী

* ঘ) আল্লাহ হিসাব গ্রহণকারী

সঠিক উত্তর: গ) আল্লাহ অমুখাপেক্ষী

ব্যাখ্যা: ‘সামাদুন’ শব্দের অর্থ অমুখাপেক্ষী। ‘আল্লাহু সামাদুন’ অর্থ আল্লাহ অমুখাপেক্ষী। তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন, বরং সকল সৃষ্টিই তাঁর মুখাপেক্ষী।

পাঠ ৪: রিসালাত

১৪. প্রশ্ন: ‘রিসালাত’ শব্দের অর্থ কী?

* ক) বিশ্বাস স্থাপন করা

* খ) সংবাদ বহন করা বা চিঠি পৌঁছানো

* গ) আনুগত্য করা

* ঘ) ইবাদত করা

সঠিক উত্তর: খ) সংবাদ বহন করা বা চিঠি পৌঁছানো

ব্যাখ্যা: ‘রিসালাত’ অর্থ সংবাদ বহন, খবর বা চিঠি পৌঁছানো। ইসলামি পরিভাষায়, আল্লাহ তায়ালার বাণী, আদেশ-নিষেধ মানুষের নিকট পৌঁছানোকে রিসালাত বলে।

১৫. প্রশ্ন: যাঁদের প্রতি আসমানি কিতাব নাজিল হয়েছে বা নতুন শরিয়ত প্রদান করা হয়েছে, তাঁদের কী বলা হয়?

* ক) সাহাবি

* খ) তাবিয়ি

* গ) নবি

* ঘ) রাসুল

সঠিক উত্তর: ঘ) রাসুল

ব্যাখ্যা: আল্লাহ তায়ালা যাঁদের প্রতি আসমানি কিতাব নাজিল করেছেন কিংবা নতুন শরিয়ত প্রদান করেছেন, তাঁরা হলেন রাসুল। আর যাঁর প্রতি কোনো কিতাব অবতীর্ণ হয়নি বা নতুন শরিয়ত দেওয়া হয়নি তিনি হলেন নবি।

পাঠ ৫: খতমে নবুয়ত

১৬. প্রশ্ন: ‘খতমে নবুয়ত’ অর্থ কী?

* ক) নবুয়তের শুরু

* খ) নবুয়তের ধারাবাহিকতা

* গ) নবুয়তের সমাপ্তি

* ঘ) নবুয়তের গুরুত্ব

সঠিক উত্তর: গ) নবুয়তের সমাপ্তি

ব্যাখ্যা: ‘খতম’ শব্দের অর্থ শেষ, সমাপ্ত। ‘নবুয়ত’ অর্থ পয়গম্বরি। সুতরাং খতমে নবুয়ত অর্থ নবিগণের দায়িত্বের পরিসমাপ্তি বা নবুয়তের সমাপ্তি। হযরত মুহাম্মদ (স.) এর মাধ্যমে নবুয়তের ধারা শেষ হয়েছে।

১৭. প্রশ্ন: “মুহাম্মদ তোমাদের মধ্যে কোনো পুরুষের পিতা নন। বরং তিনি তো আল্লাহর রাসুল ও সর্বশেষ নবি।” – এটি কোন সূরার আয়াত?

* ক) সূরা আল-বাকারা

* খ) সূরা আলে-ইমরান

* গ) সূরা আল-আহযাব

* ঘ) সূরা আল-মায়িদা

সঠিক উত্তর: গ) সূরা আল-আহযাব

ব্যাখ্যা: এই আয়াতটি সূরা আল-আহযাবের ৪০ নম্বর আয়াত, যেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে হযরত মুহাম্মদ (স.) সর্বশেষ নবি।

পাঠ ৬: আখিরাত

১৮. প্রশ্ন: মৃত্যুর পরবর্তী জীবনকে কী বলা হয়?

* ক) বারযাখ

* খ) দুনিয়া

* গ) আখিরাত

* ঘ) কিয়ামত

সঠিক উত্তর: গ) আখিরাত

ব্যাখ্যা: আখিরাত হলো মৃত্যুর পরবর্তী জীবন, যাকে পরকালও বলা হয়। ইসলামি পরিভাষায়, মৃত্যুর সাথে সাথে মানুষের যে নতুন জীবন শুরু হয়, সেটাই পরকাল বা আখিরাত। এই জীবনের শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই।

১৯. প্রশ্ন: আখিরাতের দুটি পর্যায় কী কী?

* ক) কবর ও হাশর

* খ) বারযাখ ও কিয়ামত

* গ) জান্নাত ও জাহান্নাম

* ঘ) মিযান ও সিরাত

সঠিক উত্তর: খ) বারযাখ ও কিয়ামত

ব্যাখ্যা: আখিরাত বা পরকালের দুটি প্রধান পর্যায় রয়েছে: বারযাখ (মৃত্যু থেকে পুনরুত্থান পর্যন্ত সময়) এবং কিয়ামত (পুনরুত্থান ও বিচার দিবস)।

পাঠ ৭: শাফাআত

২০. প্রশ্ন: ‘শাফাআত’ শব্দের অর্থ কী?

* ক) ক্ষমা চাওয়া

* খ) সুপারিশ করা

* গ) বিচার করা

* ঘ) সাহায্য করা

সঠিক উত্তর: খ) সুপারিশ করা

ব্যাখ্যা: ‘শাফাআত’ শব্দের অর্থ সুপারিশ করা, অনুরোধ করা ইত্যাদি। ইসলামি পরিভাষায়, কল্যাণ ও ক্ষমার জন্য আল্লাহ তায়ালার নিকট সুপারিশ করাকে শাফাআত বলে।

২১. প্রশ্ন: ‘শাফাআতে কুবরা’ করার অধিকার কাকে দেওয়া হয়েছে?

* ক) সকল নবি-রাসুলকে

* খ) ফেরেশতাদের

* গ) হযরত মুহাম্মদ (স.)-কে

* ঘ) সকল মুমিনকে

সঠিক উত্তর: গ) হযরত মুহাম্মদ (স.)-কে

ব্যাখ্যা: কিয়ামতের দিন যখন সকল মানুষ অসহনীয় কষ্টে থাকবে, তখন একমাত্র মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স.) আল্লাহর নিকট হিসাব-নিকাশ শুরু করার জন্য সুপারিশ করবেন। এই শাফাআতকে ‘শাফাআতে কুবরা’ বলা হয়, এবং এর অধিকার শুধু তাঁরই থাকবে।

পাঠ ৮: জান্নাত

২২. প্রশ্ন: ইসলামি পরিভাষায় জান্নাত কী?

* ক) পৃথিবীর সুন্দর বাগান

* খ) আখিরাতে কাফিরদের জন্য শাস্তির স্থান

* গ) আখিরাতে ইমানদার ও নেককার বান্দাদের জন্য চিরশান্তির আবাসস্থল

* ঘ) ফেরেশতাদের বাসস্থান

সঠিক উত্তর: গ) আখিরাতে ইমানদার ও নেককার বান্দাদের জন্য চিরশান্তির আবাসস্থল

ব্যাখ্যা: জান্নাত শব্দের অর্থ বাগান, উদ্যান। ইসলামি পরিভাষায়, আখিরাতে ইমানদার ও নেককার বান্দাদের জন্য যে চিরশান্তির আবাসস্থল তৈরি করে রাখা হয়েছে, তাকে জান্নাত বলা হয়।

২৩. প্রশ্ন: জান্নাত মোট কয়টি?

* ক) পাঁচটি

* খ) সাতটি

* গ) আটটি

* ঘ) দশটি

সঠিক উত্তর: গ) আটটি

ব্যাখ্যা: জান্নাত মোট আটটি। এগুলো হলো: জান্নাতুল ফিরদাউস, জান্নাতুল মাওয়া, দারুল মাকাম, দারুল কারার, দারুন নাইম, দারুল খুলদ, দারুস সালাম এবং জান্নাতু আদন।

২৪. প্রশ্ন: কোন জান্নাতকে সর্বশ্রেষ্ঠ বলা হয়েছে?

* ক) দারুস সালাম

* খ) জান্নাতুল মাওয়া

* গ) জান্নাতুল ফিরদাউস

* ঘ) জান্নাতু আদন

সঠিক উত্তর: গ) জান্নাতুল ফিরদাউস

ব্যাখ্যা: আটটি জান্নাতের মধ্যে জান্নাতুল ফিরদাউস হলো সর্বশ্রেষ্ঠ।

পাঠ ৯: জাহান্নাম

২৫. প্রশ্ন: ইসলামি পরিভাষায় জাহান্নাম কী?

* ক) আখিরাতে মুমিনদের পুরস্কারের স্থান

* খ) পৃথিবীর আগুনের গর্ত

* গ) আখিরাতে কাফির, মুশরিক, মুনাফিক ও পাপীদের শাস্তির জন্য নির্ধারিত স্থান

* ঘ) শয়তানের আবাসস্থল

সঠিক উত্তর: গ) আখিরাতে কাফির, মুশরিক, মুনাফিক ও পাপীদের শাস্তির জন্য নির্ধারিত স্থান

ব্যাখ্যা: জাহান্নাম হলো আগুনের গর্ত, শাস্তির স্থান। ইসলামি পরিভাষায়, আখিরাতে কাফির, মুশরিক, মুনাফিক ও পাপীদের শাস্তির জন্য যে স্থান নির্ধারণ করে রাখা হয়েছে, তাকে জাহান্নাম বলা হয়।

২৬. প্রশ্ন: জাহান্নাম মোট কয়টি?

* ক) পাঁচটি

* খ) ছয়টি

* গ) সাতটি

* ঘ) আটটি

সঠিক উত্তর: গ) সাতটি

ব্যাখ্যা: জাহান্নাম মোট সাতটি। এগুলো হলো: জাহান্নাম, হাবিয়া, জাহিম, সাকার, সাইর, হুতামাহ এবং লাযা।

২৭. প্রশ্ন: জাহান্নামিদের খাদ্য কী হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে?

* ক) সুস্বাদু ফলমূল

* খ) দুধ ও মধু

* গ) যাক্কুম নামক কাঁটাযুক্ত বৃক্ষ

* ঘ) মিষ্টি পানি

সঠিক উত্তর: গ) যাক্কুম নামক কাঁটাযুক্ত বৃক্ষ

ব্যাখ্যা: জাহান্নামিদের খাদ্য হবে যাক্কুম নামক বড় বড় কাঁটাযুক্ত বৃক্ষ, যা তারা খেতে পারবে না, বরং গলায় আটকে যাবে।

পাঠ ১০: ইমান ও নৈতিকতা

২৮. প্রশ্ন: ইমান ও নৈতিকতার সম্পর্ক কেমন?

* ক) বিপরীতমুখী

* খ) সম্পর্কহীন

* গ) অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ

* ঘ) সামান্য সম্পর্কিত

সঠিক উত্তর: গ) অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ

ব্যাখ্যা: ইমান ও নৈতিকতার সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। নৈতিকতার অনুসরণ করা মুমিন ব্যক্তির অপরিহার্য দায়িত্ব এবং নীতি-নৈতিকতা না মানলে কোনো ব্যক্তি পূর্ণাঙ্গ মুমিন হতে পারে না।

২৯. প্রশ্ন: কালিমা “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ” এর অর্থ কী?

* ক) আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়

* খ) মুহাম্মদ (স.) আল্লাহর বন্ধু

* গ) আল্লাহ ব্যতীত কোনো মাবুদ নেই, মুহাম্মদ (স.) আল্লাহর রাসুল

* ঘ) আল্লাহ সর্বশক্তিমান এবং মুহাম্মদ (স.) তাঁর প্রেরিত নবি

সঠিক উত্তর: গ) আল্লাহ ব্যতীত কোনো মাবুদ নেই, মুহাম্মদ (স.) আল্লাহর রাসুল

ব্যাখ্যা: ইমানের মূলকথা হলো “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ”, যার অর্থ “আল্লাহ ব্যতীত কোনো মাবুদ নেই। মুহাম্মদ (স.) আল্লাহর রাসুল।”

৩০. প্রশ্ন: কোন ধরনের কাজ থেকে মুমিন ব্যক্তি দূরে থাকেন?

* ক) সততা ও ন্যায়পরায়ণতা

* খ) দয়া ও ক্ষমা

* গ) পরস্পর সহযোগিতা ও সাম্য

* ঘ) অন্যায়-অত্যাচার ও মিথ্যাচার

সঠিক উত্তর: ঘ) অন্যায়-অত্যাচার ও মিথ্যাচার

ব্যাখ্যা: মুমিন ব্যক্তি অন্যায়-অত্যাচার, জুলুম-নির্যাতন, মিথ্যাচার, প্রতারণা, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা ইত্যাদি অনৈতিক কাজ থেকে দূরে থাকেন। ইমানের শিক্ষা মুমিনকে এসব কাজ থেকে হেফাজত করে।

Leave a Reply

Scroll to Top