অষ্টম শ্রেনী হিন্দুধর্ম শিক্ষা
সপ্তম অধ্যায়: আদর্শ জীবনচরিত
১. আদর্শ জীবনচরিত পাঠের মাধ্যমে আমরা কী লাভ করি?
ক) শুধু আনন্দ
খ) শুধু জ্ঞান
গ) অনুপ্রেরণা ও নৈতিক শিক্ষা
ঘ) ঐতিহাসিক তথ্য
সঠিক উত্তর: গ) অনুপ্রেরণা ও নৈতিক শিক্ষা
ব্যাখ্যা: মহাপুরুষ ও মহীয়সী নারীদের জীবনচরিত পাঠ করলে আমরা তাঁদের জীবন থেকে অনুপ্রেরণা ও নৈতিক শিক্ষা লাভ করে নিজেদের জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারি।
২. শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
ক) কলকাতার সিমুলিয়ায়
খ) হুগলি জেলার কামারপুকুর গ্রামে
গ) বর্ধমান জেলার দেনুড় গ্রামে
ঘ) নদিয়া জেলার নবদ্বীপে
সঠিক উত্তর: খ) হুগলি জেলার কামারপুকুর গ্রামে
ব্যাখ্যা: শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব ১৮৩৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ ফেব্রুয়ারি হুগলি জেলার কামারপুকুর গ্রামে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
৩. শ্রীরামকৃষ্ণের পিতার নাম কী ছিল?
ক) রামকুমার চট্টোপাধ্যায়
খ) ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায়
গ) রামেশ্বর চট্টোপাধ্যায়
ঘ) রামচাঁদ চট্টোপাধ্যায়
সঠিক উত্তর: খ) ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায়
ব্যাখ্যা: তাঁর পিতার নাম ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায় এবং মাতার নাম চন্দ্রমণি দেবী।
৪. শ্রীরামকৃষ্ণের বাল্যনাম কী ছিল?
ক) রামকুমার
খ) গদাধর
গ) রামেশ্বর
ঘ) তোতাপুরী
সঠিক উত্তর: খ) গদাধর
ব্যাখ্যা: শ্রীরামকৃষ্ণের বাল্যনাম ছিল গদাধর।
৫. শ্রীরামকৃষ্ণ কোথায় কালীসাধনায় সিদ্ধিলাভ করেন?
ক) তারাপীঠ মন্দিরে
খ) কামারপুকুরের শিবমন্দিরে
গ) দক্ষিণেশ্বরের কালীমন্দিরে
ঘ) কালীঘাট মন্দিরে
সঠিক উত্তর: গ) দক্ষিণেশ্বরের কালীমন্দিরে
ব্যাখ্যা: তিনি দক্ষিণেশ্বরের কালীমন্দিরে মা কালীর পূজারি হিসেবে নিযুক্ত হন এবং সেখানেই কঠোর সাধনার মাধ্যমে সিদ্ধিলাভ করেন।
৬. “যত মত তত পথ” – এই বিখ্যাত উক্তিটি কার?
ক) স্বামী বিবেকানন্দ
খ) শ্রীচৈতন্যদেব
গ) শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব
ঘ) লোকনাথ ব্রহ্মচারী
সঠিক উত্তর: গ) শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব
ব্যাখ্যা: সকল ধর্মমতকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি প্রচার করেন – “যত মত তত পথ”।
৭. শ্রীরামকৃষ্ণের প্রধান শিষ্য কে ছিলেন?
ক) সারদা দেবী
খ) তোতাপুরী
গ) স্বামী ব্রহ্মানন্দ
ঘ) স্বামী বিবেকানন্দ (নরেন্দ্রনাথ দত্ত)
সঠিক উত্তর: ঘ) স্বামী বিবেকানন্দ (নরেন্দ্রনাথ দত্ত)
ব্যাখ্যা: তাঁর প্রধান শিষ্য ছিলেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত, যিনি পরে স্বামী বিবেকানন্দ নামে পরিচিত হন।
৮. স্বামী বিবেকানন্দ কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
ক) হুগলি জেলার কামারপুকুর গ্রামে
খ) কলকাতার সিমুলিয়া অঞ্চলে
গ) নদিয়া জেলার নবদ্বীপে
ঘ) কাশীপুরে
সঠিক উত্তর: খ) কলকাতার সিমুলিয়া অঞ্চলে
ব্যাখ্যা: স্বামী বিবেকানন্দ ১৮৬৩ খ্রিষ্টাব্দের ১২ জানুয়ারি কলকাতার সিমুলিয়া অঞ্চলে এক সম্ভ্রান্ত কায়স্থ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
৯. স্বামী বিবেকানন্দের পিতার নাম কী ছিল?
ক) রামমোহন দত্ত
খ) দুর্গাচরণ দত্ত
গ) বিশ্বনাথ দত্ত
ঘ) কৈলাসচন্দ্র বসু
সঠিক উত্তর: গ) বিশ্বনাথ দত্ত
ব্যাখ্যা: তাঁর পিতার নাম বিশ্বনাথ দত্ত এবং মাতার নাম ভুবনেশ্বরী দেবী।
১০. স্বামী বিবেকানন্দের বাল্যনাম কী ছিল?
ক) গদাধর
খ) নরেন্দ্রনাথ (নরেন বা বীরেশ্বর)
গ) রামকুমার
ঘ) সুরেন্দ্রনাথ
সঠিক উত্তর: খ) নরেন্দ্রনাথ (নরেন বা বীরেশ্বর)
ব্যাখ্যা: বিবেকানন্দের বাল্যনাম ছিল বীরেশ্বর, তবে তিনি নরেন্দ্রনাথ বা সংক্ষেপে নরেন নামে বেশি পরিচিত ছিলেন।
১১. স্বামী বিবেকানন্দ কত সালে বিশ্বধর্ম সম্মেলনে যোগদান করেন?
ক) ১৮৯১ সালে
খ) ১৮৯৩ সালে
গ) ১৮৯৫ সালে
ঘ) ১৮৯৭ সালে
স nồi: খ) ১৮৯৩ সালে
ব্যাখ্যা: ১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দে আমেরিকার শিকাগো শহরে অনুষ্ঠিত বিশ্বধর্ম মহাসম্মেলনে তিনি হিন্দুধর্মের প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন।
১২. “জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর” – এই বাণী কার?
ক) শ্রীরামকৃষ্ণ
খ) শ্রীচৈতন্য
গ) স্বামী বিবেকানন্দ
ঘ) লোকনাথ ব্রহ্মচারী
স nồi: গ) স্বামী বিবেকানন্দ
ব্যাখ্যা: তিনি দেশবাসীকে উদ্বুদ্ধ করে বলেছিলেন, “জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।”
১৩. রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন কে প্রতিষ্ঠা করেন?
ক) শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব
খ) সারদা দেবী
গ) স্বামী ব্রহ্মানন্দ
ঘ) স্বামী বিবেকানন্দ
স nồi: ঘ) স্বামী বিবেকানন্দ
ব্যাখ্যা: ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দে স্বামী বিবেকানন্দ “রামকৃষ্ণ মিশন” নামে একটি সেবা প্রতিষ্ঠান এবং ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দে বেলুড়ে “রামকৃষ্ণ মঠ” প্রতিষ্ঠা করেন।
১৪. শ্রীচৈতন্যদেব কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
ক) হুগলি জেলার কামারপুকুর গ্রামে
খ) নদিয়া জেলার নবদ্বীপের শ্রীধাম মায়াপুরে
গ) পুরীধামে
ঘ) বৃন্দাবনে
স nồi: খ) নদিয়া জেলার নবদ্বীপের শ্রীধাম মায়াপুরে
ব্যাখ্যা: শ্রীচৈতন্যদেব ১৪৮৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ ফেব্রুয়ারি (ফাল্গুনী পূর্ণিমা তিথিতে) নদিয়া জেলার নবদ্বীপের শ্রীধাম মায়াপুরে জন্মগ্রহণ করেন।
১৫. শ্রীচৈতন্যদেবের পিতার নাম কী ছিল?
ক) উপেন্দ্র মিশ্র
খ) জগন্নাথ মিশ্র
গ) মাধব মিশ্র
ঘ) রঘুনাথ শিরোমণি
স nồi: খ) জগন্নাথ মিশ্র
ব্যাখ্যা: তাঁর পিতার নাম জগন্নাথ মিশ্র এবং মাতার নাম শচীদেবী।
১৬. শ্রীচৈতন্যদেবের বাল্যনাম কী ছিল?
ক) গদাধর
খ) নিমাই বা বিশ্বম্ভর
গ) নিত্যানন্দ
ঘ) অদ্বৈত
স nồi: খ) নিমাই বা বিশ্বম্ভর
ব্যাখ্যা: শ্রীচৈতন্যদেবের প্রকৃত নাম ছিল বিশ্বম্ভর, তবে শৈশবে নিমগাছের নিচে জন্ম হওয়ায় তাঁকে সকলে নিমাই বলে ডাকতেন।
১৭. শ্রীচৈতন্যদেব কার কাছে সন্ন্যাস ধর্মে দীক্ষিত হন?
ক) ঈশ্বরপুরী
খ) কেশব ভারতী
গ) নিত্যানন্দ প্রভু
ঘ) অদ্বৈত আচার্য
স nồi: খ) কেশব ভারতী
ব্যাখ্যা: কাটোয়ায় কেশব ভারতীর নিকট তিনি সন্ন্যাস ধর্মে দীক্ষিত হন। সন্ন্যাস গ্রহণের পর তাঁর নাম হয় শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য।
১৮. শ্রীচৈতন্যদেব প্রচারিত প্রেমধর্মের মূল কথা কী?
ক) কঠোর তপস্যা
খ) জ্ঞানমার্গ অনুসরণ
গ) জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কৃষ্ণপ্রেম ও জীবে দয়া
ঘ) যাগযজ্ঞ ও অনুষ্ঠান
স nồi: গ) জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কৃষ্ণপ্রেম ও জীবে দয়া
ব্যাখ্যা: তিনি জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষকে কৃষ্ণপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করেন এবং জীবে দয়ার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন।
১৯. “চণ্ডালোঽপি দ্বিজশ্রেষ্ঠঃ হরিভক্তিপরায়ণঃ” – এই উক্তি কার?
ক) শ্রীরামকৃষ্ণ
খ) স্বামী বিবেকানন্দ
গ) শ্রীচৈতন্যদেব
ঘ) লোকনাথ ব্রহ্মচারী
স nồi: গ) শ্রীচৈতন্যদেব
ব্যাখ্যা: শ্রীচৈতন্যদেব বলেছেন, “চণ্ডালোঽপি দ্বিজশ্রেষ্ঠঃ হরিভক্তিপরায়ণঃ” অর্থাৎ হরিভক্ত চণ্ডালও শ্রেষ্ঠ ব্রাহ্মণের চেয়ে উত্তম।
২০. লোকনাথ ব্রহ্মচারী আনুমানিক কত বছর বেঁচে ছিলেন?
ক) ১০০ বছর
খ) ১২০ বছর
গ) ১৪০ বছর
ঘ) ১৬০ বছর
স nồi: ঘ) ১৬০ বছর
ব্যাখ্যা: বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী আনুমানিক ১৬০ বছর বেঁচে ছিলেন।
২১. লোকনাথ ব্রহ্মচারীর পিতার নাম কী ছিল?
ক) ভগবানচন্দ্র ঘোষাল
খ) রামনারায়ণ ঘোষাল
গ) কালাচাঁদ ঘোষাল
ঘ) রামকানাই ঘোষাল
স nồi: খ) রামনারায়ণ ঘোষাল
ব্যাখ্যা: তাঁর পিতার নাম রামনারায়ণ ঘোষাল এবং মাতার নাম কমলাদেবী।
২২. লোকনাথ ব্রহ্মচারী কার কাছে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন?
ক) তোতাপুরীর কাছে
খ) ভগবান গাঙ্গুলীর কাছে
গ) হিতলাল মিশ্রের কাছে
ঘ) বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর কাছে
স nồi: খ) ভগবান গাঙ্গুলীর কাছে
ব্যাখ্যা: লোকনাথ এগারো বছর বয়সে গৃহত্যাগ করে আচার্য ভগবান গাঙ্গুলীর নিকট যোগশিক্ষা ও ব্রহ্মজ্ঞান লাভের জন্য সন্ন্যাস গ্রহণ করেন।
২৩. “রণে বনে জলে জঙ্গলে যখনই বিপদে পড়িবে, আমাকে স্মরণ করিও, আমিই রক্ষা করিব” – এই অভয়বাণী কার?
ক) শ্রীরামকৃষ্ণ
খ) স্বামী বিবেকানন্দ
গ) শ্রীচৈতন্যদেব
ঘ) লোকনাথ ব্রহ্মচারী
স nồi: ঘ) লোকনাথ ব্রহ্মচারী
ব্যাখ্যা: লোকনাথ ব্রহ্মচারী তাঁর ভক্তদের উদ্দেশে এই অভয়বাণী দিয়েছিলেন।
২৪. সারদা দেবী কে ছিলেন?
ক) শ্রীরামকৃষ্ণের গুরু
খ) শ্রীরামকৃষ্ণের শিষ্যা
গ) শ্রীরামকৃষ্ণের সহধর্মিণী ও সংঘজননী
ঘ) একজন সমাজ সংস্কারক
স nồi: গ) শ্রীরামকৃষ্ণের সহধর্মিণী ও সংঘজননী
ব্যাখ্যা: শ্রীসারদা দেবী ছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণের সহধর্মিণী এবং রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সংঘজননী।
২৫. সারদা দেবী কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
ক) কামারপুকুর
খ) জয়রামবাটী
গ) সিমুলিয়া
ঘ) নবদ্বীপ
স nồi: খ) জয়রামবাটী
ব্যাখ্যা: সারদা দেবী ১৮৫৩ খ্রিষ্টাব্দের ২২ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার জয়রামবাটী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
২৬. সারদা দেবীর পিতার নাম কী ছিল?
ক) ক্ষুদিরাম মুখোপাধ্যায়
খ) রামচন্দ্র মুখোপাধ্যায়
গ) শ্যামাসুন্দরী দেবী (মাতা)
ঘ) জয়রাম মুখোপাধ্যায়
স nồi: খ) রামচন্দ্র মুখোপাধ্যায়
ব্যাখ্যা: তাঁর পিতার নাম রামচন্দ্র মুখোপাধ্যায় এবং মাতার নাম শ্যামাসুন্দরী দেবী।
২৭. সারদা দেবীর মূলমন্ত্র কী ছিল?
ক) জ্ঞানার্জন
খ) কঠোর তপস্যা
গ) সেবা ও মাতৃস্নেহ
ঘ) কর্মযোগ
স nồi: গ) সেবা ও মাতৃস্নেহ
ব্যাখ্যা: জগতের সকল মানুষকে তিনি সন্তানের মতো ভালোবাসতেন। সেবা ও মাতৃস্নেহই ছিল তাঁর জীবনের মূলমন্ত্র।
২৮. মা আনন্দময়ী কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
ক) জয়রামবাটী
খ) খেওড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
গ) কামারপুকুর
ঘ) ঢাকা
স nồi: খ) খেওড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
ব্যাখ্যা: মা আনন্দময়ী ১৮৯৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ এপ্রিল বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার খেওড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
২৯. মা আনন্দময়ীর পিতৃদত্ত নাম কী ছিল?
ক) নির্মলা সুন্দরী
খ) মোক্ষদা সুন্দরী
গ) দিদিমা (ডাকনাম)
ঘ) সারদা দেবী
স nồi: ক) নির্মলা সুন্দরী
ব্যাখ্যা: মা আনন্দময়ীর পিতৃদত্ত নাম নির্মলা সুন্দরী। তাঁর পিতার নাম বিপিনবিহারী ভট্টাচার্য এবং মাতার নাম মোক্ষদা সুন্দরী দেবী।
৩০. মা আনন্দময়ীর স্বামীর নাম কী ছিল?
ক) রমণীমোহন চক্রবর্তী
খ) ভোলানাথ চক্রবর্তী
গ) বিপিনবিহারী ভট্টাচার্য
ঘ) কৃষ্ণকিশোর ভট্টাচার্য
স nồi: খ) ভোলানাথ চক্রবর্তী
ব্যাখ্যা: তাঁর বিবাহ হয় বিক্রমপুরের রমণীমোহন চক্রবর্তীর সঙ্গে, যিনি পরে ভোলানাথ নামে পরিচিত হন।