2 min read

আমাদের জন্য এদেশে শিক্ষার বন্দোবস্ত সচরাচর এইরূপ প্রথমে আরবীয় বর্ণমালা

আমাদের জন্য এদেশে শিক্ষার বন্দোবস্ত সচরাচর এইরূপ প্রথমে আরবীয় বর্ণমালা, অতঃপর কুরআন শরীফ পাঠ। কিন্তু শব্দগুলোর অর্থ বুঝাইয়া দেওয়া হয় না, কেবল স্মরণশক্তির সাহায্যে টিয়াপাখির মতো আবৃত্তি কর। কোন পিতার হিতৈষণার মাত্রা বৃদ্ধি হইলে, তিনি দুহিতাকে ‘হাফেজা’ করিতে চেষ্টা করেন। সমুদয় কুরআনখানি যাঁহার কণ্ঠস্থ থাকে, তিনিই ‘হাফেজ’। আমাদের আরবি শিক্ষা ঐ পর্যন্ত। পারস্য এবং উর্দু শিখিতে হইলে, প্রথমেই ‘করিমা ববখশা-এ বরহালে মা’ এবং একেবারে (উর্দু) ‘বানাতন্ নাস’ পড়। একে আকার ইকার নাই, তাতে আবার আর কোন সহক পাঠ্যপুস্তক পূর্বে পড়া হয় নাই, সুতরাং পাঠের গতি দ্রুতগামী হয় না। অনেকের ঐ কয়খানি পুস্তক পাঠ শেষ হওয়ার পূর্বেই কন্যা-জীবন শেষ হয়। বিবাহ হইলে বালিকা ভাবে, ‘যাহা হোক, পড়া হইতে রক্ষা পাওয়া গেল।’ কোন কোন বালিকা রন্ধন ও সূচিকর্মে সুনিপুণা হয়। বঙ্গদেশেও বালিকাদিগকে রীতিমতো বঙ্গভাষা শিক্ষা দেওয়া হয় না। কেহ কেহ উর্দু পড়িতে শিখে, কিন্তু কলম ধরিতে শিখে না। ইহাদের উন্নতির চরমসীমা সল্মা চুমকির কারুকার্য, উলের জুতা-মোজা ইত্যাদি প্রস্তুত করিতে শিক্ষা পর্যন্ত।

সারাংশ:

নারীদের পশ্চাদপদতার প্রধান কারণ ভুল শিক্ষা গ্রহণ করা। কোন কিছু বুঝার চেয়ে মুখস্ত করাতেই মেয়েদের আগ্রহী করে তোলা হয়। ফলে নারীদের বিদ্যার দৌড় হয় দু’ একটি বই মুখস্ত করা পর্যন্ত। বিয়ের পর তাদের প্রধান শিক্ষার বিষয় হয় রান্না এবং সেলাই কাজ।

0
0
0
0
0

Download Post

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *