SSC রসায়ন দ্বাদশ অধ্যায় MCQ | আমাদের জীবনে রসায়ন বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

SSC রসায়ন

দ্বাদশ অধ্যায়: আমাদের জীবনে রসায়ন


প্রশ্ন ১: আমাদের প্রতিদিনের জীবনে রসায়নের গুরুত্ব কেমন?

ক) সীমিত, শুধুমাত্র পরীক্ষাগারে প্রয়োজন হয়

খ) ব্যাপক, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এর ব্যবহার বিদ্যমান

গ) শুধুমাত্র শিল্প কারখানায় গুরুত্বপূর্ণ

ঘ) শুধুমাত্র গবেষণা কাজে প্রয়োজন হয়

সঠিক উত্তর: খ) ব্যাপক, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এর ব্যবহার বিদ্যমান

ব্যাখ্যা: খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, কৃষি, শিল্প সহ আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রসায়নের ব্যাপক ব্যবহার ও গুরুত্ব রয়েছে।

প্রশ্ন ২: খাবারকে জীবাণুমুক্ত রাখতে এবং সতেজ রাখতে কী ব্যবহার করা হয়?

ক) এসিড

খ) ক্ষারক

গ) প্রিজারভেটিভস

ঘ) লবণ

সঠিক উত্তর: গ) প্রিজারভেটিভস

ব্যাখ্যা: খাবারকে পচন থেকে রক্ষা করতে এবং অনেকদিন সতেজ রাখতে প্রিজারভেটিভস বা খাদ্য সংরক্ষক ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন ৩: কোনটি প্রাকৃতিক খাদ্য সংরক্ষক?

ক) ভিনেগার

খ) সোডিয়াম বেনজোয়েট

গ) লবণ

ঘ) ফরমালিন

সঠিক উত্তর: গ) লবণ

ব্যাখ্যা: লবণ একটি প্রাকৃতিক খাদ্য সংরক্ষক যা প্রাচীনকাল থেকে খাদ্য সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এছাড়া চিনি এবং ভিনেগারও প্রাকৃতিক সংরক্ষক।

প্রশ্ন ৪: কোনটি কৃত্রিম খাদ্য সংরক্ষক?

ক) লবণ

খ) চিনি

গ) ভিনেগার

ঘ) সোডিয়াম বেনজোয়েট

সঠিক উত্তর: ঘ) সোডিয়াম বেনজোয়েট

ব্যাখ্যা: সোডিয়াম বেনজোয়েট একটি কৃত্রিম খাদ্য সংরক্ষক যা জ্যাম, জেলি, সস ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন ৫: কাপড় কাচার সাবান তৈরিতে সাধারণত কোন ধরনের ক্ষারক ব্যবহার করা হয়?

ক) ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড

খ) অ্যামোনিয়াম হাইড্রোক্সাইড

গ) সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড বা পটাসিয়াম হাইড্রোক্সাইড

ঘ) ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড

সঠিক উত্তর: গ) সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড বা পটাসিয়াম হাইড্রোক্সাইড

ব্যাখ্যা: কাপড় কাচার সাবান তৈরিতে সাধারণত চর্বি বা তেলের সাথে শক্তিশালী ক্ষারক যেমন সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড বা পটাসিয়াম হাইড্রোক্সাইড ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন ৬: টয়লেট্রিজ ও কসমেটিকস তৈরিতে রসায়নের জ্ঞান কিভাবে কাজে লাগে?

ক) শুধুমাত্র সুগন্ধি তৈরিতে

খ) ত্বক ও চুলের জন্য নিরাপদ ও কার্যকরী পণ্য তৈরিতে

গ) শুধুমাত্র রঙ তৈরিতে

ঘ) শুধুমাত্র প্যাকেজিং তৈরিতে

সঠিক উত্তর: খ) ত্বক ও চুলের জন্য নিরাপদ ও কার্যকরী পণ্য তৈরিতে

ব্যাখ্যা: টয়লেট্রিজ ও কসমেটিকস তৈরিতে রসায়নের জ্ঞান ব্যবহার করে বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান মিশ্রিত করে ত্বক ও চুলের জন্য নিরাপদ ও কার্যকরী পণ্য তৈরি করা হয়।

প্রশ্ন ৭: টুথপেস্ট তৈরিতে কোন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়?

ক) শুধুমাত্র এসিড

খ) শুধুমাত্র ক্ষারক

গ) অ্যাব্রেসিভ, ফ্লোরাইড, ফোমিং এজেন্ট ইত্যাদি

ঘ) শুধুমাত্র প্রিজারভেটিভস

সঠিক উত্তর: গ) অ্যাব্রেসিভ, ফ্লোরাইড, ফোমিং এজেন্ট ইত্যাদি

ব্যাখ্যা: টুথপেস্ট তৈরিতে ক্যালসিয়াম কার্বোনেট বা অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইডের মতো অ্যাব্রেসিভ, সোডিয়াম ফ্লোরাইডের মতো ফ্লোরাইড, সোডিয়াম লরাইল সালফেটের মতো ফোমিং এজেন্ট সহ বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন ৮: দাঁতের ক্ষয় রোধে টুথপেস্টে ব্যবহৃত ফ্লোরাইড কিভাবে কাজ করে?

ক) দাঁতকে সাদা করে

খ) দাঁতের ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে

গ) দাঁতের এনামেলকে শক্তিশালী করে

ঘ) মুখে দুর্গন্ধ দূর করে

সঠিক উত্তর: গ) দাঁতের এনামেলকে শক্তিশালী করে

ব্যাখ্যা: টুথপেস্টে ব্যবহৃত ফ্লোরাইড দাঁতের এনামেলের সাথে যুক্ত হয়ে এটিকে আরও শক্ত করে এবং এসিডের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে দাঁতের ক্ষয় রোধে সাহায্য করে।

প্রশ্ন ৯: ডিটারজেন্ট কিভাবে কাপড় পরিষ্কার করে?

ক) কাপড়ের সাথে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে

খ) পানিতে দ্রবীভূত হয়ে ময়লাকে সরিয়ে দেয়

গ) ময়লার কণাগুলোকে ঘিরে ফেলে পানির সাথে দূর করে দেয়

ঘ) শুধুমাত্র কাপড়ের রঙ পরিবর্তন করে

সঠিক উত্তর: গ) ময়লার কণাগুলোকে ঘিরে ফেলে পানির সাথে দূর করে দেয়

ব্যাখ্যা: ডিটারজেন্টের অণুর একটি অংশ পানিপ্রিয় এবং অন্য অংশ তেলপ্রিয়। তেলপ্রিয় অংশ ময়লার কণাগুলোকে ঘিরে ফেলে এবং পানিপ্রিয় অংশ পানির সাথে মিশে ময়লা দূর করে দেয়।

প্রশ্ন ১০: কৃষিক্ষেত্রে সারের ব্যবহার কেন গুরুত্বপূর্ণ?

ক) শুধু মাটির pH পরিবর্তন করার জন্য

খ) গাছের বৃদ্ধি ও পুষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান সরবরাহ করার জন্য

গ) শুধুমাত্র পোকামাকড় তাড়ানোর জন্য

ঘ) শুধুমাত্র আগাছা দমন করার জন্য

সঠিক উত্তর: খ) গাছের বৃদ্ধি ও পুষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান সরবরাহ করার জন্য

ব্যাখ্যা: মাটিতে গাছের বৃদ্ধি ও পুষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান যেমন – নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাসিয়াম ইত্যাদির অভাব পূরণের জন্য সার ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন ১১: কোনটি প্রাকৃতিক সার?

ক) ইউরিয়া

খ) টিএসপি

গ) কম্পোস্ট সার

ঘ) পটাস সার

সঠিক উত্তর: গ) কম্পোস্ট সার

ব্যাখ্যা: কম্পোস্ট সার হলো জৈব পদার্থ পচনের ফলে সৃষ্ট প্রাকৃতিক সার।

প্রশ্ন ১২: কোনটি কৃত্রিম সার বা রাসায়নিক সার?

ক) গোবর সার

খ) কম্পোস্ট সার

গ) ইউরিয়া

ঘ) সবুজ সার

সঠিক উত্তর: গ) ইউরিয়া

ব্যাখ্যা: ইউরিয়া হলো একটি কৃত্রিম বা রাসায়নিক সার যা শিল্প কারখানায় তৈরি হয়।

প্রশ্ন ১৩: কীটনাশক কেন ব্যবহার করা হয়?

ক) গাছের বৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য

খ) গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য

গ) ফসলকে পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য

ঘ) মাটির উর্বরতা বাড়ানোর জন্য

সঠিক উত্তর: গ) ফসলকে পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য

ব্যাখ্যা: ফসলকে ক্ষতিকর পোকামাকড় এবং অন্যান্য কীট থেকে রক্ষা করার জন্য কীটনাশক ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন ১৪: আগাছানাশক কেন ব্যবহার করা হয়?

ক) ফসলকে পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য

খ) গাছের বৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য

গ) অনাকাঙ্ক্ষিত আগাছা দমন করার জন্য

ঘ) মাটির গুণাগুণ উন্নত করার জন্য

সঠিক উত্তর: গ) অনাকাঙ্ক্ষিত আগাছা দমন করার জন্য

ব্যাখ্যা: ফসলের জমিতে জন্মানো অনাকাঙ্ক্ষিত আগাছা দমন করার জন্য আগাছানাশক ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন ১৫: ঔষধ শিল্পে রসায়নের জ্ঞান কিভাবে ব্যবহার করা হয়?

ক) শুধুমাত্র ওষুধের প্যাকেজিং তৈরিতে

খ) রোগের নিরাময় ও প্রতিরোধের জন্য নতুন ঔষধ আবিষ্কার ও সংশ্লেষণ করতে

গ) শুধুমাত্র ওষুধের রঙ তৈরিতে

ঘ) শুধুমাত্র ওষুধের গন্ধ তৈরিতে

সঠিক উত্তর: খ) রোগের নিরাময় ও প্রতিরোধের জন্য নতুন ঔষধ আবিষ্কার ও সংশ্লেষণ করতে

ব্যাখ্যা: ঔষধ শিল্পে রসায়নের জ্ঞান ব্যবহার করে বিভিন্ন রোগের নিরাময় ও প্রতিরোধের জন্য নতুন ঔষধ আবিষ্কার ও সংশ্লেষণ করা হয়।

প্রশ্ন ১৬: পরিবেশ দূষণে রসায়নের ভূমিকা কী?

ক) পরিবেশ দূষণ রোধে সাহায্য করে

খ) পরিবেশ দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ

গ) পরিবেশের উপর কোনো প্রভাব ফেলে না

ঘ) শুধুমাত্র পানি দূষণ ঘটায়

সঠিক উত্তর: খ) পরিবেশ দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ

ব্যাখ্যা: জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো, শিল্প কারখানার বর্জ্য, কীটনাশক ও আগাছানাশকের ব্যবহার ইত্যাদি বিভিন্নভাবে রসায়নের সাথে সম্পর্কিত প্রক্রিয়া পরিবেশ দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ।

প্রশ্ন ১৭: পরিবেশ দূষণ রোধে রসায়নের ভূমিকা কী?

ক) শুধুমাত্র সমস্যার সৃষ্টি করে

খ) দূষণ শনাক্তকরণ ও নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি আবিষ্কার করে

গ) পরিবেশের ক্ষতি বাড়িয়ে দেয়

ঘ) পরিবেশের উপর কোনো প্রভাব ফেলে না

সঠিক উত্তর: খ) দূষণ শনাক্তকরণ ও নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি আবিষ্কার করে

ব্যাখ্যা: পরিবেশ দূষণ রোধে রসায়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। রসায়নের জ্ঞান ব্যবহার করে দূষণ শনাক্তকরণ, দূষণের কারণ নির্ণয় এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণের নতুন নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করা হয়।

প্রশ্ন ১৮: শিল্প কারখানার বর্জ্য পরিশোধন না করে পরিবেশে ফেললে কী হতে পারে?

ক) মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পাবে

খ) পরিবেশ দূষণ ঘটবে এবং জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে

গ) পানির গুণাগুণ উন্নত হবে

ঘ) পরিবেশের উপর কোনো প্রভাব পড়বে না

সঠিক উত্তর: খ) পরিবেশ দূষণ ঘটবে এবং জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে

ব্যাখ্যা: শিল্প কারখানার অপরিশোধিত বর্জ্যে বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ থাকে যা মাটি, পানি ও বায়ু দূষণ করে এবং জীববৈচিত্র্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

প্রশ্ন ১৯: সবুজ রসায়ন কী?

ক) শুধুমাত্র গাছের পাতার রসায়ন

খ) পরিবেশবান্ধব রাসায়নিক প্রক্রিয়া ও পণ্য তৈরি

গ) শুধুমাত্র সবুজ রঙের রাসায়নিক পদার্থ নিয়ে গবেষণা

ঘ) পরিবেশ দূষণ বৃদ্ধি করে এমন রসায়ন

সঠিক উত্তর: খ) পরিবেশবান্ধব রাসায়নিক প্রক্রিয়া ও পণ্য তৈরি

ব্যাখ্যা: সবুজ রসায়ন হলো পরিবেশের উপর রাসায়নিক পদার্থের ক্ষতিকর প্রভাব কমানোর লক্ষ্যে পরিবেশবান্ধব রাসায়নিক প্রক্রিয়া ও পণ্য তৈরি নিয়ে কাজ করা।

প্রশ্ন ২০: নবায়নযোগ্য শক্তি উৎসের উদাহরণ কোনটি?

ক) কয়লা

খ) প্রাকৃতিক গ্যাস

গ) সৌর শক্তি

ঘ) পেট্রোলিয়াম

সঠিক উত্তর: গ) সৌর শক্তি

ব্যাখ্যা: সৌর শক্তি একটি নবায়নযোগ্য শক্তি উৎস, যা অফুরন্ত এবং পরিবেশবান্ধব।

প্রশ্ন ২১: অনবায়নযোগ্য শক্তি উৎসের উদাহরণ কোনটি?

ক) বায়ু শক্তি

খ) ভূ-তাপীয় শক্তি

গ) জীবাশ্ম জ্বালানি

ঘ) জোয়ার ভাটা শক্তি

সঠিক উত্তর: গ) জীবাশ্ম জ্বালানি

ব্যাখ্যা: কয়লা, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাসের মতো জীবাশ্ম জ্বালানি হলো অনবায়নযোগ্য শক্তি উৎস, যা সীমিত এবং একবার ব্যবহার করলে ফুরিয়ে যায়।

প্রশ্ন ২২: পলিমার কী?

ক) একটি ক্ষুদ্র অণু

খ) অনেকগুলো ক্ষুদ্র অণু যুক্ত হয়ে গঠিত একটি বৃহৎ অণু

গ) একটি মৌলিক পদার্থ

ঘ) একটি মিশ্র পদার্থ

সঠিক উত্তর: খ) অনেকগুলো ক্ষুদ্র অণু যুক্ত হয়ে গঠিত একটি বৃহৎ অণু

ব্যাখ্যা: পলিমার হলো অনেকগুলো ক্ষুদ্র সরল অণু (মনোমার) পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে গঠিত একটি বৃহৎ অণু।

প্রশ্ন ২৩: প্লাস্টিক কী ধরনের পদার্থ?

ক) ধাতু

খ) অধাতু

গ) পলিমার

ঘ) সিরামিকস

সঠিক উত্তর: গ) পলিমার

ব্যাখ্যা: প্লাস্টিক হলো পলিমারের একটি উদাহরণ।

প্রশ্ন ২৪: পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কী করা উচিত?

ক) পরিবেশে ফেলে দেওয়া

খ) পুড়িয়ে ফেলা

গ) পুনঃব্যবহার ও পুনর্ব্যবহারের ব্যবস্থা করা

ঘ) পানিতে ফেলে দেওয়া

সঠিক উত্তর: গ) পুনঃব্যবহার ও পুনর্ব্যবহারের ব্যবস্থা করা

ব্যাখ্যা: প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। পরিবেশ সুরক্ষার জন্য প্লাস্টিক বর্জ্যের পুনঃব্যবহার (reuse) ও পুনর্ব্যবহার (recycle) করা অত্যন্ত জরুরি।

প্রশ্ন ২৫: সাবান তৈরিতে ব্যবহৃত প্রধান কাঁচামাল কোনটি?

ক) চিনি

খ) লবণ

গ) চর্বি বা তেল

ঘ) পানি

সঠিক উত্তর: গ) চর্বি বা তেল

ব্যাখ্যা: সাবান তৈরিতে সাধারণত চর্বি বা তেলের সাথে ক্ষারকের বিক্রিয়া ঘটানো হয়। তাই চর্বি বা তেল প্রধান কাঁচামাল।

প্রশ্ন ২৬: কাগজ তৈরিতে ব্যবহৃত প্রধান কাঁচামাল কোনটি?

ক) বালি

খ) মাটি

গ) কাঠ বা বাঁশের মণ্ড

ঘ) ধাতু

সঠিক উত্তর: গ) কাঠ বা বাঁশের মণ্ড

ব্যাখ্যা: কাগজ তৈরির প্রধান কাঁচামাল হলো কাঠ বা বাঁশের মণ্ড (cellulose fibre)।

প্রশ্ন ২৭: সিমেন্ট তৈরিতে প্রধান কাঁচামাল কোনটি?

ক) বালি ও মাটি

খ) চুনাপাথর ও কাদামাটি

গ) লোহা ও অ্যালুমিনিয়াম

ঘ) কাঠ ও বাঁশ

সঠিক উত্তর: খ) চুনাপাথর ও কাদামাটি

ব্যাখ্যা: সিমেন্ট তৈরির প্রধান কাঁচামাল হলো চুনাপাথর এবং কাদামাটি বা শেল।

প্রশ্ন ২৮: চামড়া শিল্পে চামড়া প্রক্রিয়াকরণে কোন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়?

ক) এসিড ও ক্ষারক

খ) ট্যানিন

গ) লবণ

ঘ) সবগুলো

সঠিক উত্তর: ঘ) সবগুলো

ব্যাখ্যা: চামড়া শিল্পে চামড়া প্রক্রিয়াকরণে এসিড, ক্ষারক, লবণ, ট্যানিন সহ বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন ২৯: ট্যানারি শিল্পের বর্জ্য পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর কেন?

ক) এতে লবণ থাকে

খ) এতে উচ্চমাত্রায় ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ও ভারী ধাতু থাকে

গ) এতে শুধু জৈব পদার্থ থাকে

ঘ) এতে শুধুমাত্র পানি থাকে

সঠিক উত্তর: খ) এতে উচ্চমাত্রায় ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ও ভারী ধাতু থাকে

ব্যাখ্যা: ট্যানারি শিল্পের বর্জ্যে ক্রোমিয়াম সহ বিভিন্ন ভারী ধাতু এবং অন্যান্য ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ উচ্চমাত্রায় থাকে যা মাটি ও পানিকে মারাত্মকভাবে দূষিত করে।

প্রশ্ন ৩০: আমাদের দেহের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি আমরা কোথা থেকে পাই?

ক) মাটি থেকে

খ) বাতাস থেকে

গ) খাবার থেকে

ঘ) পানি থেকে

সঠিক উত্তর: গ) খাবার থেকে

ব্যাখ্যা: আমরা যে খাবার খাই, সেই খাবারের মধ্যে রাসায়নিক শক্তি সঞ্চিত থাকে। হজম প্রক্রিয়ায় এই রাসায়নিক শক্তি আমাদের দেহের প্রয়োজনীয় শক্তি ও তাপ হিসেবে মুক্ত হয়।

প্রশ্ন ৩১: সিমেন্ট শক্ত হওয়ার কারণ কী?

ক) শুকিয়ে যাওয়া

খ) পানির সাথে বিক্রিয়া করে নতুন যৌগ তৈরি করা

গ) ঠান্ডা হওয়া

ঘ) বাতাসের সাথে বিক্রিয়া করা

সঠিক উত্তর: খ) পানির সাথে বিক্রিয়া করে নতুন যৌগ তৈরি করা

ব্যাখ্যা: সিমেন্টে পানি মেশালে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে এবং নতুন কেলাসিত যৌগ তৈরি হয়। এই নতুন যৌগগুলো পরস্পরের সাথে দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ হয়ে সিমেন্টকে শক্ত করে।

প্রশ্ন ৩২: ট্যানিং প্রক্রিয়ার মূল উদ্দেশ্য কী?

ক) চামড়া নরম করা

খ) চামড়া পরিষ্কার করা

গ) চামড়াকে পচন থেকে রক্ষা করা এবং টেকসই করা

ঘ) চামড়ার রঙ পরিবর্তন করা

সঠিক উত্তর: গ) চামড়াকে পচন থেকে রক্ষা করা এবং টেকসই করা

ব্যাখ্যা: ট্যানিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাঁচা চামড়ার প্রোটিনকে এমনভাবে পরিবর্তিত করা হয় যাতে এটি ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষা পায় এবং টেকসই হয়।

প্রশ্ন ৩৩: সিরামিকস তৈরিতে প্রধান কাঁচামাল কোনটি?

ক) ধাতু

খ) পলিমার

গ) কাদামাটি

ঘ) বালি

সঠিক উত্তর: গ) কাদামাটি

ব্যাখ্যা: সিরামিকস তৈরির প্রধান কাঁচামাল হলো কাদামাটি (যেমন: চীনামাটি)।

প্রশ্ন ৩৪: প্রসাধনী সামগ্রী তৈরিতে কোন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়?

ক) সুগন্ধি

খ) রঞ্জক পদার্থ

গ) ময়েশ্চারাইজার

ঘ) সবগুলো

সঠিক উত্তর: ঘ) সবগুলো

ব্যাখ্যা: প্রসাধনী সামগ্রী তৈরিতে সুগন্ধি, রঞ্জক পদার্থ, ময়েশ্চারাইজার, ইম Emulsifier, Preservatives সহ বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন ৩৫: ডিটারজেন্টের পরিবেশগত প্রভাব কী?

ক) পরিবেশের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ

খ) জলজ জীবন ও মাটিকে দূষিত করতে পারে

গ) মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে

ঘ) বাতাসের গুণমান উন্নত করে

সঠিক উত্তর: খ) জলজ জীবন ও মাটিকে দূষিত করতে পারে

ব্যাখ্যা: ডিটারজেন্টের কিছু উপাদান পানিতে সহজে বিয়োজিত হয় না এবং ফসফেট জাতীয় উপাদান জলজ উদ্ভিদ ও শ্যাওলার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটিয়ে জলজ জীবন ও মাটিকে দূষিত করতে পারে।

প্রশ্ন ৩৬: জীববৈচিত্র্য রক্ষায় রসায়নের ভূমিকা কী?

ক) জীববৈচিত্র্য হ্রাস করে

খ) দূষণকারী রাসায়নিক পদার্থ শনাক্তকরণ ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সাহায্য করে

গ) জীববৈচিত্র্যের উপর কোনো প্রভাব ফেলে না

ঘ) শুধুমাত্র নতুন প্রজাতি তৈরি করে

সঠিক উত্তর: খ) দূষণকারী রাসায়নিক পদার্থ শনাক্তকরণ ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সাহায্য করে

ব্যাখ্যা: রসায়নের জ্ঞান ব্যবহার করে পরিবেশ দূষণকারী রাসায়নিক পদার্থ শনাক্ত করা যায় এবং এদের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ বা পরিশোধন করার পদ্ধতি আবিষ্কার করা যায়, যা জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সাহায্য করে।

প্রশ্ন ৩৭: ফাইবারগ্লাস তৈরিতে ব্যবহৃত প্রধান উপাদান কোনটি?

ক) ধাতু

খ) কাঁচের তন্তু

গ) প্রাকৃতিক তন্তু

ঘ) প্লাস্টিক

সঠিক উত্তর: খ) কাঁচের তন্তু

ব্যাখ্যা: ফাইবারগ্লাস হলো পলিমারের সাথে কাঁচের তন্তু বা ফাইবার যোগ করে তৈরি করা একটি সংমিশ্রিত পদার্থ।

প্রশ্ন ৩৮: খাদ্য প্যাকেজিং এর জন্য ব্যবহৃত প্লাস্টিক কেমন হওয়া উচিত?

ক) যেকোনো ধরনের প্লাস্টিক

খ) খাদ্য গ্রেডের প্লাস্টিক যা খাবারে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মুক্ত করে না

গ) পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর প্লাস্টিক

ঘ) রঙিন প্লাস্টিক

সঠিক উত্তর: খ) খাদ্য গ্রেডের প্লাস্টিক যা খাবারে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মুক্ত করে না

ব্যাখ্যা: খাদ্য প্যাকেজিং এর জন্য এমন প্লাস্টিক ব্যবহার করা উচিত যা খাদ্য গ্রেডের এবং যা থেকে খাবারে কোনো ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ স্থানান্তরিত না হয়।

প্রশ্ন ৩৯: জীবন রক্ষাকারী ঔষধ তৈরিতে কোনটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন?

ক) ধাতুবিদ্যা

খ) শুধুমাত্র জীববিদ্যা

গ) রসায়নের জ্ঞান

ঘ) পদার্থবিদ্যা

সঠিক উত্তর: গ) রসায়নের জ্ঞান

ব্যাখ্যা: জীবন রক্ষাকারী ঔষধ আবিষ্কার, সংশ্লেষণ এবং মান নিয়ন্ত্রণে রসায়নের জ্ঞান অপরিহার্য।

প্রশ্ন ৪০: পরিবেশবান্ধব সার তৈরিতে কোনটি ব্যবহার করা যায়?

ক) শিল্প কারখানার বর্জ্য

খ) পৌর বর্জ্য ও কৃষিজ বর্জ্য

গ) প্লাস্টিক বর্জ্য

ঘ) ব্যাটারির বর্জ্য

সঠিক উত্তর: খ) পৌর বর্জ্য ও কৃষিজ বর্জ্য

ব্যাখ্যা: পৌর বর্জ্য, কৃষিজ বর্জ্য এবং অন্যান্য জৈব বর্জ্যকে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে কম্পোস্ট সার তৈরি করা যায় যা পরিবেশবান্ধব।

Leave a Reply

Scroll to Top