অষ্টম শ্রেনী বিজ্ঞান
একাদশ অধ্যায়: আলো
১. আলো কী?
ক) এক প্রকার শব্দ
খ) এক প্রকার শক্তি যা আমাদের দর্শনের অনুভূতি জাগায়
গ) এক প্রকার পদার্থ
ঘ) এক প্রকার বল
সঠিক উত্তর: খ) এক প্রকার শক্তি যা আমাদের দর্শনের অনুভূতি জাগায়
ব্যাখ্যা: আলো হলো বিদ্যুৎচৌম্বকীয় তরঙ্গের একটি অংশ যা আমাদের চোখে পড়লে দেখার অনুভূতি সৃষ্টি হয়।
২. আলোর প্রধান উৎস কোনটি?
ক) চাঁদ
খ) সূর্য
গ) তারা
ঘ) পৃথিবী
সঠিক উত্তর: খ) সূর্য
ব্যাখ্যা: সূর্য পৃথিবীর সকল শক্তির এবং আলোর প্রধান প্রাকৃতিক উৎস।
৩. যে বস্তু নিজে আলো উৎপন্ন করে তাকে কী বলে?
ক) দীপ্তিহীন বস্তু
খ) দীপ্তিমান বস্তু
গ) স্বচ্ছ বস্তু
ঘ) অস্বচ্ছ বস্তু
সঠিক উত্তর: খ) দীপ্তিমান বস্তু
ব্যাখ্যা: যে সকল বস্তু নিজস্ব আলো বিকিরণ করে তাদের দীপ্তিমান বস্তু বা আলোর উৎস বলে, যেমন সূর্য, তারা, বৈদ্যুতিক বাল্ব।
৪. যে বস্তু নিজে আলো উৎপন্ন করে না কিন্তু অন্য বস্তুর আলো প্রতিফলিত করে তাকে কী বলে?
ক) দীপ্তিমান বস্তু
খ) দীপ্তিহীন বস্তু
গ) স্বচ্ছ বস্তু
ঘ) অস্বচ্ছ বস্তু
সঠিক উত্তর: খ) দীপ্তিহীন বস্তু
ব্যাখ্যা: যে সকল বস্তু নিজস্ব আলো উৎপন্ন করতে পারে না কিন্তু অন্য আলোর উৎস থেকে আলো গ্রহণ করে প্রতিফলিত করে তাদেরকে দীপ্তিহীন বস্তু বলে, যেমন চাঁদ, গ্রহ, ইট, পাথর।
৫. আলো সরল পথে চলে এটি প্রমাণ করার জন্য নিচের কোনটি উপযুক্ত?
ক) পেরিস্কোপ
খ) আয়না
গ) ছিদ্র দিয়ে আলো যাওয়া
ঘ) লেন্স
সঠিক উত্তর: গ) ছিদ্র দিয়ে আলো যাওয়া
ব্যাখ্যা: সরু ছিদ্রের মধ্য দিয়ে আলো সরলরেখায় গমন করে এবং পর্দায় বস্তুর একটি উল্টো প্রতিবিম্ব তৈরি করে, যা প্রমাণ করে আলো সরল পথে চলে।
৬. আলোর প্রতিফলন কাকে বলে?
ক) আলোকরশ্মি একটি মাধ্যম দিয়ে যাওয়ার সময় বেঁকে যাওয়া
খ) আলোকরশ্মি মসৃণ তলে আপতিত হয়ে দিক পরিবর্তন করা
গ) আলোকরশ্মি একটি মাধ্যম থেকে অন্য মাধ্যমে প্রবেশ করা
ঘ) আলোকরশ্মি শোষণ হওয়া
সঠিক উত্তর: খ) আলোকরশ্মি মসৃণ তলে আপতিত হয়ে দিক পরিবর্তন করা
ব্যাখ্যা: আলোকরশ্মি যখন কোনো মসৃণ পৃষ্ঠে (যেমন আয়না) আপতিত হয়ে দিক পরিবর্তন করে পূর্বের মাধ্যমে ফিরে আসে, তখন তাকে আলোর প্রতিফলন বলে।
৭. নিয়মিত প্রতিফলন কোথায় ঘটে?
ক) অম মসৃণ তলে
খ) মসৃণ ও চকচকে তলে
গ) যেকোনো তলে
ঘ) বক্র তলে
সঠিক উত্তর: খ) মসৃণ ও চকচকে তলে
ব্যাখ্যা: আলোকরশ্মি যখন কোনো মসৃণ ও চকচকে পৃষ্ঠে আপতিত হয়ে নিয়ম মেনে প্রতিফলিত হয়, তখন তাকে নিয়মিত প্রতিফলন বলে। যেমন সমতল আয়না।
৮. ব্যাপ্ত প্রতিফলন কোথায় ঘটে?
ক) মসৃণ ও চকচকে তলে
খ) অম মসৃণ বা খসখসে তলে
গ) সমতল তলে
ঘ) উত্তল তলে
সঠিক উত্তর: খ) অম মসৃণ বা খসখসে তলে
ব্যাখ্যা: আলোকরশ্মি যখন কোনো অম মসৃণ বা খসখসে পৃষ্ঠে আপতিত হয়ে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে প্রতিফলিত হয়, তখন তাকে ব্যাপ্ত প্রতিফলন বলে। যেমন দেয়াল, কাপড়।
৯. প্রতিফলনের সূত্র কয়টি?
ক) ১টি
খ) ২টি
গ) ৩টি
ঘ) ৪টি
সঠিক উত্তর: খ) ২টি
ব্যাখ্যা: আলোর প্রতিফলনের প্রধানত দুটি সূত্র রয়েছে।
১০. আপতিত রশ্মি, প্রতিফলিত রশ্মি এবং আপতন বিন্দুতে প্রতিফলকের উপর অঙ্কিত অভিলম্ব একই সমতলে থাকে – এটি আলোর প্রতিফলনের কোন সূত্র?
ক) প্রথম সূত্র
খ) দ্বিতীয় সূত্র
গ) উভয় সূত্র
ঘ) কোনো সূত্র নয়
সঠিক উত্তর: ক) প্রথম সূত্র
ব্যাখ্যা: এটি আলোর প্রতিফলনের প্রথম সূত্র।
১১. আপতন কোণ ও প্রতিফলন কোণ সর্বদা সমান হয় – এটি আলোর প্রতিফলনের কোন সূত্র?
ক) প্রথম সূত্র
খ) দ্বিতীয় সূত্র
গ) উভয় সূত্র
ঘ) কোনো সূত্র নয়
সঠিক উত্তর: খ) দ্বিতীয় সূত্র
ব্যাখ্যা: এটি আলোর প্রতিফলনের দ্বিতীয় সূত্র। আপতন কোণ (i) এবং প্রতিফলন কোণ (r) সর্বদা সমান হয়, অর্থাৎ i=r।
১২. প্রতিবিম্ব কাকে বলে?
ক) আলোকরশ্মি শোষণ হয়ে যাওয়া
খ) আলোকরশ্মি বেঁকে যাওয়া
গ) কোনো বিন্দু থেকে নিঃসৃত আলোকরশ্মিগুচ্ছ প্রতিফলন বা প্রতিসরণের পর অন্য কোনো বিন্দুতে মিলিত হয় বা অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়, তখন সেই দ্বিতীয় বিন্দুটিকে প্রথম বিন্দুটির প্রতিবিম্ব বলে
ঘ) আলোকরশ্মি একটি মাধ্যম থেকে অন্য মাধ্যমে প্রবেশ করা
সঠিক উত্তর: গ) কোনো বিন্দু থেকে নিঃসৃত আলোকরশ্মিগুচ্ছ প্রতিফলন বা প্রতিসরণের পর অন্য কোনো বিন্দুতে মিলিত হয় বা অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়, তখন সেই দ্বিতীয় বিন্দুটিকে প্রথম বিন্দুটির প্রতিবিম্ব বলে
ব্যাখ্যা: প্রতিবিম্ব হলো আলোকরশ্মির প্রতিফলন বা প্রতিসরণের ফলে সৃষ্ট বস্তুর অনুরূপ গঠন। প্রতিবিম্ব দুই প্রকার: সদবিম্ব ও অসদবিম্ব।
১৩. সদবিম্ব কাকে বলে?
ক) আলোকরশ্মি প্রতিফলিত বা প্রতিসৃত হওয়ার পর যে বিন্দুতে সত্যি সত্যি মিলিত হয়
খ) আলোকরশ্মি প্রতিফলিত বা প্রতিসৃত হওয়ার পর যে বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়
গ) যে বিম্বকে পর্দায় ফেলা যায় না
ঘ) যে বিম্ব সবসময় সোজা হয়
সঠিক উত্তর: ক) আলোকরশ্মি প্রতিফলিত বা প্রতিসৃত হওয়ার পর যে বিন্দুতে সত্যি সত্যি মিলিত হয়
ব্যাখ্যা: সদবিম্ব হলো আলোকরশ্মির প্রকৃত মিলনের ফলে গঠিত প্রতিবিম্ব, যা পর্দায় ফেলা যায় এবং সাধারণত উল্টো হয়।
১৪. অসদবিম্ব কাকে বলে?
ক) আলোকরশ্মি প্রতিফলিত বা প্রতিসৃত হওয়ার পর যে বিন্দুতে সত্যি সত্যি মিলিত হয়
খ) আলোকরশ্মি প্রতিফলিত বা প্রতিসৃত হওয়ার পর যে বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়
গ) যে বিম্বকে পর্দায় ফেলা যায়
ঘ) যে বিম্ব সবসময় উল্টো হয়
সঠিক উত্তর: খ) আলোকরশ্মি প্রতিফলিত বা প্রতিসৃত হওয়ার পর যে বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়
ব্যাখ্যা: অসদবিম্ব হলো আলোকরশ্মির আপাত মিলনের ফলে গঠিত প্রতিবিম্ব, যা পর্দায় ফেলা যায় না এবং সবসময় সোজা হয়।
১৫. সমতল আয়নায় কী ধরনের প্রতিবিম্ব গঠিত হয়?
ক) সদ ও উল্টো
খ) অসদ ও সোজা
গ) সদ ও সোজা
ঘ) অসদ ও উল্টো
সঠিক উত্তর: খ) অসদ ও সোজা
ব্যাখ্যা: সমতল আয়নায় সবসময় বস্তুর আকারের সমান, অসদ এবং সোজা প্রতিবিম্ব গঠিত হয়। প্রতিবিম্বের পার্শ্ব পরিবর্তন ঘটে।
১৬. আলোর প্রতিসরণ কাকে বলে?
ক) আলোকরশ্মি মসৃণ তলে আপতিত হয়ে দিক পরিবর্তন করা
খ) আলোকরশ্মি একটি স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে অন্য স্বচ্ছ মাধ্যমে তির্যকভাবে প্রবেশ করার সময় দিক পরিবর্তন করা
গ) আলোকরশ্মি শোষণ হওয়া
ঘ) আলোকরশ্মি সরল পথে চলা
সঠিক উত্তর: খ) আলোকরশ্মি একটি স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে অন্য স্বচ্ছ মাধ্যমে তির্যকভাবে প্রবেশ করার সময় দিক পরিবর্তন করা
ব্যাখ্যা: আলোকরশ্মি যখন একটি স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে অন্য স্বচ্ছ মাধ্যমে তির্যকভাবে যায়, তখন দুই মাধ্যমের বিভেদ তলে এর গতিপথের দিক পরিবর্তিত হয়, এই ঘটনাকে আলোর প্রতিসরণ বলে।
১৭. আলো ঘন মাধ্যম থেকে হালকা মাধ্যমে প্রবেশ করলে অভিলম্ব থেকে কী হয়?
ক) অভিলম্বের দিকে বেঁকে যায়
খ) অভিলম্ব থেকে দূরে সরে যায়
গ) সোজাসুজি চলে যায়
ঘ) প্রতিফলিত হয়
সঠিক উত্তর: খ) অভিলম্ব থেকে দূরে সরে যায়
ব্যাখ্যা: আলো যখন ঘন মাধ্যম (যেমন কাঁচ) থেকে হালকা মাধ্যমে (যেমন বাতাস) প্রবেশ করে, তখন প্রতিসৃত রশ্মি অভিলম্ব থেকে দূরে সরে যায়।
১৮. আলো হালকা মাধ্যম থেকে ঘন মাধ্যমে প্রবেশ করলে অভিলম্ব থেকে কী হয়?
ক) অভিলম্বের দিকে বেঁকে যায়
খ) অভিলম্ব থেকে দূরে সরে যায়
গ) সোজাসুজি চলে যায়
ঘ) প্রতিফলিত হয়
সঠিক উত্তর: ক) অভিলম্বের দিকে বেঁকে যায়
ব্যাখ্যা: আলো যখন হালকা মাধ্যম (যেমন বাতাস) থেকে ঘন মাধ্যমে (যেমন কাঁচ) প্রবেশ করে, তখন প্রতিসৃত রশ্মি অভিলম্বের দিকে বেঁকে যায়।
১৯. লেন্স কাকে বলে?
ক) দুটি সমতল পৃষ্ঠ দ্বারা আবদ্ধ স্বচ্ছ মাধ্যম
খ) একটি সমতল এবং একটি বক্র পৃষ্ঠ দ্বারা আবদ্ধ স্বচ্ছ মাধ্যম
গ) দুটি বক্র পৃষ্ঠ দ্বারা অথবা একটি সমতল ও একটি বক্র পৃষ্ঠ দ্বারা আবদ্ধ স্বচ্ছ প্রতিসারক মাধ্যম
ঘ) শুধুমাত্র কাঁচ দিয়ে তৈরি বস্তু
সঠিক উত্তর: গ) দুটি বক্র পৃষ্ঠ দ্বারা অথবা একটি সমতল ও একটি বক্র পৃষ্ঠ দ্বারা আবদ্ধ স্বচ্ছ প্রতিসারক মাধ্যম
ব্যাখ্যা: লেন্স হলো দুটি বক্রতল বা একটি সমতল ও একটি বক্রতল দ্বারা পরিবেষ্টিত স্বচ্ছ প্রতিসারক মাধ্যম। লেন্স প্রধানত দুই প্রকার: উত্তল লেন্স ও অবতল লেন্স।
২০. উত্তল লেন্স কী ধরনের লেন্স?
ক) মধ্যভাগ সরু এবং প্রান্তভাগ মোটা
খ) মধ্যভাগ মোটা এবং প্রান্তভাগ সরু
গ) সর্বত্র সমান পুরুত্বের
ঘ) অস্বচ্ছ প্রকৃতির
সঠিক উত্তর: খ) মধ্যভাগ মোটা এবং প্রান্তভাগ সরু
ব্যাখ্যা: উত্তল লেন্সের মধ্যভাগ মোটা এবং প্রান্তভাগ সরু হয়। এটি সমান্তরাল আলোকরশ্মিকে অভিসারী করে বা এক বিন্দুতে মিলিত করে।
২১. অবতল লেন্স কী ধরনের লেন্স?
ক) মধ্যভাগ মোটা এবং প্রান্তভাগ সরু
খ) মধ্যভাগ সরু এবং প্রান্তভাগ মোটা
গ) সর্বত্র সমান পুরুত্বের
ঘ) অস্বচ্ছ প্রকৃতির
সঠিক উত্তর: খ) মধ্যভাগ সরু এবং প্রান্তভাগ মোটা
ব্যাখ্যা: অবতল লেন্সের মধ্যভাগ সরু এবং প্রান্তভাগ মোটা হয়। এটি সমান্তরাল আলোকরশ্মিকে অপসারী করে বা ছড়িয়ে দেয়।
২২. কোন লেন্স আলোকরশ্মিকে অভিসারী করে?
ক) অবতল লেন্স
খ) উত্তল লেন্স
গ) সমতল লেন্স
ঘ) মিশ্র লেন্স
সঠিক উত্তর: খ) উত্তল লেন্স
ব্যাখ্যা: উত্তল লেন্স তার উপর আপতিত সমান্তরাল আলোকরশ্মিগুলোকে প্রতিসরণের পর একটি বিন্দুতে মিলিত করে, তাই এটি অভিসারী লেন্স।
২৩. কোন লেন্স আলোকরশ্মিকে অপসারী করে?
ক) উত্তল লেন্স
খ) অবতল লেন্স
গ) সমতল লেন্স
ঘ) মিশ্র লেন্স
সঠিক উত্তর: খ) অবতল লেন্স
ব্যাখ্যা: অবতল লেন্স তার উপর আপতিত সমান্তরাল আলোকরশ্মিগুলোকে প্রতিসরণের পর বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে দেয়, তাই এটি অপসারী লেন্স।
২৪. মানুষের চোখে কোন লেন্স বিদ্যমান?
ক) অবতল লেন্স
খ) উত্তল লেন্স
গ) সমতল লেন্স
ঘ) মিশ্র লেন্স
সঠিক উত্তর: খ) উত্তল লেন্স
ব্যাখ্যা: মানুষের চোখের অভ্যন্তরে একটি প্রাকৃতিক উত্তল লেন্স রয়েছে যা আলোকরশ্মিকে রেটিনার উপর ফোকাস করতে সাহায্য করে।
২৫. ক্যামেরায় সাধারণত কোন লেন্স ব্যবহার করা হয়?
ক) অবতল লেন্স
খ) উত্তল লেন্স
গ) সমতল লেন্স
ঘ) মিশ্র লেন্স
সঠিক উত্তর: খ) উত্তল লেন্স
ব্যাখ্যা: ক্যামেরায় সাধারণত উত্তল লেন্স ব্যবহার করা হয় যা বস্তুর সদ ও উল্টো প্রতিবিম্ব ফিল্ম বা সেন্সরের উপর তৈরি করে।
২৬. বিবর্ধক কাঁচ হিসেবে কোন লেন্স ব্যবহার করা হয়?
ক) অবতল লেন্স
খ) উত্তল লেন্স
গ) সমতল লেন্স
ঘ) মিশ্র লেন্স
সঠিক উত্তর: খ) উত্তল লেন্স
ব্যাখ্যা: ছোট বস্তুকে বড় করে দেখার জন্য বিবর্ধক কাঁচ হিসেবে উত্তল লেন্স ব্যবহার করা হয়।
২৭. আলোর প্রতিসরণের সূত্র কয়টি?
ক) ১টি
খ) ২টি
গ) ৩টি
ঘ) ৪টি
সঠিক উত্তর: খ) ২টি
ব্যাখ্যা: আলোর প্রতিসরণের প্রধানত দুটি সূত্র রয়েছে।
২৮. আপতিত রশ্মি, প্রতিসৃত রশ্মি এবং আপতন বিন্দুতে দুই মাধ্যমের বিভেদ তলের উপর অঙ্কিত অভিলম্ব একই সমতলে থাকে – এটি আলোর প্রতিসরণের কোন সূত্র?
ক) প্রথম সূত্র
খ) দ্বিতীয় সূত্র
গ) উভয় সূত্র
ঘ) কোনো সূত্র নয়
সঠিক উত্তর: ক) প্রথম সূত্র
ব্যাখ্যা: এটি আলোর প্রতিসরণের প্রথম সূত্র।
২৯. একজোড়া নির্দিষ্ট মাধ্যম এবং নির্দিষ্ট রঙের আলোর জন্য আপতন কোণের সাইন ও প্রতিসরণ কোণের সাইনের অনুপাত সর্বদা ধ্রুব থাকে – এটি আলোর প্রতিসরণের কোন সূত্র?
ক) প্রথম সূত্র
খ) দ্বিতীয় সূত্র (স্নেলের সূত্র)
গ) উভয় সূত্র
ঘ) কোনো সূত্র নয়
সঠিক উত্তর: খ) দ্বিতীয় সূত্র (স্নেলের সূত্র)
ব্যাখ্যা: এটি আলোর প্রতিসরণের দ্বিতীয় সূত্র, যা স্নেলের সূত্র নামেও পরিচিত। এটি প্রতিসরাঙ্ক সংজ্ঞায়িত করে।
৩০. দৃষ্টি ত্রুটি সংশোধনে লেন্স ব্যবহার করা হয়। ক্ষীণ দৃষ্টি বা মায়োপিয়া সংশোধনে কোন লেন্স ব্যবহার করা হয়?
ক) উত্তল লেন্স
খ) অবতল লেন্স
গ) সমতল লেন্স
ঘ) মিশ্র লেন্স
সঠিক উত্তর: খ) অবতল লেন্স
ব্যাখ্যা: ক্ষীণ দৃষ্টিতে দূরের বস্তু স্পষ্ট দেখা যায় না। এই ত্রুটি সংশোধনের জন্য অবতল লেন্স ব্যবহার করা হয়, যা আলোকরশ্মিকে কিছুটা অপসারী করে রেটিনার উপর প্রতিবিম্ব তৈরি করতে সাহায্য করে।