নবম-দশম শ্রেণি বিজ্ঞান MCQ | | উন্নততর জীবনধারা MCQ || অধ্যায়ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর – ২০২৫

SSC বিজ্ঞান MCQ

প্রথম অধ্যায়: উন্নততর জীবনধারা


১। পুষ্টিবিজ্ঞান অনুসারে কোনগুলো খাদ্য বলা যাবে?

ক) যা আমরা খাই

খ) যা জীবদেহে বৃদ্ধি সাধন, শক্তি উৎপাদন, রোগ প্রতিরোধ এবং ক্ষয়পূরণ করে

গ) যা শুধু জীবদেহে শক্তি উৎপাদন করে

ঘ) যা শুধু রোগ প্রতিরোধ করে

সঠিক উত্তর: খ) যা জীবদেহে বৃদ্ধি সাধন, শক্তি উৎপাদন, রোগ প্রতিরোধ এবং ক্ষয়পূরণ করে

ব্যাখ্যা: পুষ্টিবিজ্ঞান অনুযায়ী, খাদ্য শুধু সেই বস্তুগুলোকেই বলা যায় যা দেহের পুষ্টি সাধন করে, অর্থাৎ বৃদ্ধি, শক্তি উৎপাদন, রোগ প্রতিরোধ এবং ক্ষয়পূরণ করে।

২। পুষ্টি (Nutrition) কী?

ক) পরিবেশ থেকে খাদ্য গ্রহণ

খ) খাদ্য পরিপাক ও শোষণ

গ) দেহের শক্তির চাহিদা পূরণ ও রোগ প্রতিরোধ

ঘ) পরিবেশ থেকে প্রয়োজনীয় খাদ্যবস্তু আহরণ করে তা পরিপাক ও শোষণ করা এবং আত্তীকরণ দ্বারা দেহের শক্তির চাহিদা পূরণ, রোগ প্রতিরোধ, বৃদ্ধি ও ক্ষয়পূরণ করা

সঠিক উত্তর: ঘ) পরিবেশ থেকে প্রয়োজনীয় খাদ্যবস্তু আহরণ করে তা পরিপাক ও শোষণ করা এবং আত্তীকরণ দ্বারা দেহের শক্তির চাহিদা পূরণ, রোগ প্রতিরোধ, বৃদ্ধি ও ক্ষয়পূরণ করা

ব্যাখ্যা: পুষ্টি হলো একটি প্রক্রিয়া যেখানে জীব পরিবেশ থেকে খাদ্য গ্রহণ করে, তা পরিপাক ও শোষণ করে এবং আত্তীকরণের মাধ্যমে দেহের বৃদ্ধি, ক্ষয়পূরণ, শক্তি উৎপাদন ও রোগ প্রতিরোধ করে।

৩। খাদ্যের প্রধান কাজ কয়টি?

ক) ২টি

খ) ৩টি

গ) ৪টি

ঘ) ৫টি

সঠিক উত্তর: খ) ৩টি

ব্যাখ্যা: খাদ্যের প্রধান কাজগুলো হলো দেহের গঠন, বৃদ্ধিসাধন, ক্ষয়পূরণ ও রক্ষণাবেক্ষণ; দেহে তাপ উৎপাদন ও কর্মশক্তি প্রদান; এবং রোগ প্রতিরোধ করে দেহকে সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষম রাখা।

৪। খাদ্যের উপাদান কয়টি?

ক) ৫টি

খ) ৬টি

গ) ৭টি

ঘ) ৮টি

সঠিক উত্তর: খ) ৬টি

ব্যাখ্যা: খাদ্যের উপাদান ছয়টি: শর্করা, আমিষ, স্নেহ, ভিটামিন, খনিজ লবণ এবং পানি।

৫। শক্তি উৎপাদক খাদ্য কোনগুলো?

ক) শর্করা ও আমিষ

খ) আমিষ ও স্নেহ

গ) শর্করা ও স্নেহ

ঘ) ভিটামিন ও খনিজ লবণ

সঠিক উত্তর: গ) শর্করা ও স্নেহ

ব্যাখ্যা: শর্করা এবং স্নেহ পদার্থকে শক্তি উৎপাদক খাদ্য বলা হয়।

৬। দেহ গঠনের খাদ্য কোনটি?

ক) শর্করা

খ) আমিষ

গ) স্নেহ

ঘ) ভিটামিন

সঠিক উত্তর: খ) আমিষ

ব্যাখ্যা: আমিষযুক্ত খাদ্যকে দেহ গঠনের খাদ্য বলা হয়।

৭। কোন উপাদানগুলো দেহ সংরক্ষক খাদ্য উপাদান?

ক) শর্করা, আমিষ ও স্নেহ

খ) ভিটামিন, খনিজ লবণ ও পানি

গ) শর্করা, ভিটামিন ও পানি

ঘ) আমিষ, স্নেহ ও খনিজ লবণ

সঠিক উত্তর: খ) ভিটামিন, খনিজ লবণ ও পানি

ব্যাখ্যা: ভিটামিন, খনিজ লবণ, পানি ও আঁশ হচ্ছে দেহ সংরক্ষক খাদ্য উপাদান।

৮। শর্করা কী কী মৌলিক উপাদান দিয়ে তৈরি?

ক) কার্বন ও হাইড্রোজেন

খ) কার্বন ও অক্সিজেন

গ) হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন

ঘ) কার্বন, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন

সঠিক উত্তর: ঘ) কার্বন, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন

ব্যাখ্যা: শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট কার্বন, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন নিয়ে গঠিত হয়।

৯। শর্করা আমাদের শরীরে কী কাজ করে?

ক) রোগ প্রতিরোধ করে

খ) দেহ গঠন করে

গ) কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং তাপশক্তি উৎপাদন করে

ঘ) ভিটামিন সরবরাহ করে

সঠিক উত্তর: গ) কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং তাপশক্তি উৎপাদন করে

ব্যাখ্যা: শর্করা আমাদের শরীরে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং তাপশক্তি উৎপাদন করে।

১০। ধান, গম, ভুট্টা কোন ধরনের শর্করার প্রধান উৎস?

ক) গ্লুকোজ

খ) ফ্রুকটোজ

গ) সুক্রোজ

ঘ) শ্বেতসার বা স্টার্চ

সঠিক উত্তর: ঘ) শ্বেতসার বা স্টার্চ

ব্যাখ্যা: ধান, গম, ভুট্টা এবং অন্যান্য শস্য দানা শ্বেতসার বা স্টার্চের প্রধান উৎস। আলু, রাঙা আলু বা কচুতেও এটি পাওয়া যায়।

১১। আঙুর, আপেল, গাজর, খেজুর ইত্যাদিতে কোন শর্করা পাওয়া যায়?

ক) শ্বেতসার

খ) গ্লুকোজ

গ) ফ্রুকটোজ

ঘ) সুক্রোজ

সঠিক উত্তর: খ) গ্লুকোজ

ব্যাখ্যা: আঙুর, আপেল, গাজর, খেজুর ইত্যাদিতে গ্লুকোজ শর্করা পাওয়া যায়।

১২। কোন শর্করাকে ফল শর্করা বলা হয়?

ক) গ্লুকোজ

খ) সুক্রোজ

গ) ফ্রুকটোজ

ঘ) ল্যাকটোজ

সঠিক উত্তর: গ) ফ্রুকটোজ

ব্যাখ্যা: আম, পেঁপে, কলা, কমলালেবু প্রভৃতি মিষ্টি ফলে এবং ফুলের মধুতে ফ্রুকটোজ থাকে, একে ফল শর্করা বলা হয়।

১৩। আখের রস, চিনি, গুড়, মিছরি এর উৎস কোনটি?

ক) গ্লুকোজ

খ) ফ্রুকটোজ

গ) সুক্রোজ

ঘ) সেলুলোজ

সঠিক উত্তর: গ) সুক্রোজ

ব্যাখ্যা: আখের রস, চিনি, গুড়, মিছরি হচ্ছে সুক্রোজের উৎস।

১৪। বেল, আম, কলা, তরমুজ, বাদাম, শুকনো ফল এবং সব ধরনের শাকসবজিতে কোন শর্করা থাকে?

ক) শ্বেতসার

খ) গ্লুকোজ

গ) সুক্রোজ

ঘ) সেলুলোজ

সঠিক উত্তর: ঘ) সেলুলোজ

ব্যাখ্যা: বেল, আম, কলা, তরমুজ, বাদাম, শুকনো ফল এবং সব ধরনের শাকসবজিতে সেলুলোজ থাকে।

১৫। দুধ শর্করা কোনটি?

ক) সুক্রোজ

খ) মল্টোজ

গ) ল্যাকটোজ

ঘ) গ্লাইকোজেন

সঠিক উত্তর: গ) ল্যাকটোজ

ব্যাখ্যা: গরু, ছাগল এবং অন্যান্য প্রাণীর দুধে ল্যাকটোজ শর্করা থাকে, যা দুধ শর্করা নামে পরিচিত।

১৬। পশু ও পাখিজাতীয় প্রাণীর যকৃৎ এবং মাংসে কোন শর্করাটি থাকে?

ক) ল্যাকটোজ

খ) মল্টোজ

গ) সুক্রোজ

ঘ) গ্লাইকোজেন

সঠিক উত্তর: ঘ) গ্লাইকোজেন

ব্যাখ্যা: পশু ও পাখিজাতীয় (যেমন- মুরগি, কবুতর প্রভৃতি) প্রাণীর যকৃৎ এবং মাংসে (পেশি) গ্লাইকোজেন শর্করাটি থাকে।

১৭। জীবদেহে বিপাকীয় কাজের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি কোথা থেকে আসে?

ক) আমিষ জাতীয় খাদ্য জারণের ফলে

খ) স্নেহ জাতীয় খাদ্য জারণের ফলে

গ) কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্য জারণের ফলে

ঘ) ভিটামিন জাতীয় খাদ্য জারণের ফলে

সঠিক উত্তর: গ) কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্য জারণের ফলে

ব্যাখ্যা: জীবদেহে বিপাকীয় কাজের জন্য যে শক্তির প্রয়োজন হয়, সেটি কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্য জারণের ফলে উৎপন্ন হয়।

১৮। কোন শর্করাটি অপাচ্য প্রকৃতির এবং আঁশযুক্ত খাদ্য?

ক) শ্বেতসার

খ) গ্লুকোজ

গ) সুক্রোজ

ঘ) সেলুলোজ

সঠিক উত্তর: ঘ) সেলুলোজ

ব্যাখ্যা: সেলুলোজ একটি অপাচ্য প্রকৃতির শর্করা এবং এটি আঁশযুক্ত খাদ্য।

১৯। সেলুলোজ আমাদের শরীরে কী কাজ করে?

ক) শক্তি উৎপাদন করে

খ) দেহ গঠন করে

গ) দৈনন্দিন মল ত্যাগে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে

ঘ) রোগ প্রতিরোধ করে

সঠিক উত্তর: গ) দৈনন্দিন মল ত্যাগে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে

ব্যাখ্যা: সেলুলোজ আমাদের দৈনন্দিন মল ত্যাগে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে।

২০। খাদ্যে শর্করার পরিমাণ চাহিদার তুলনায় বেশি হলে কী হতে পারে?

ক) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়

খ) শরীর স্থূলকায় হতে পারে এবং বহুমূত্র রোগ দেখা দিতে পারে

গ) কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়

ঘ) দেহ গঠন ব্যাহত হয়

সঠিক উত্তর: খ) শরীর স্থূলকায় হতে পারে এবং বহুমূত্র রোগ দেখা দিতে পারে

ব্যাখ্যা: খাদ্যে শর্করার পরিমাণ চাহিদার তুলনায় বেশি হলে অতিরিক্ত শর্করা শরীরে মেদ হিসেবে জমা হয়, ফলে শরীর স্থূলকায় হতে পারে এবং বহুমূত্র রোগও দেখা দিতে পারে।

২১। খাদ্যের মধ্যে নিহিত শক্তিকে কী হিসেবে মাপা হয়?

ক) জুল

খ) ওয়াট

গ) ক্যালরি বা কিলোক্যালরি

ঘ) ভোল্ট

সঠিক উত্তর: গ) ক্যালরি বা কিলোক্যালরি

ব্যাখ্যা: খাদ্যের মধ্যে নিহিত শক্তিকে খাদ্য ক্যালরি বা কিলোক্যালরি হিসেবে মাপা হয়।

২২। শক্তির একক কী?

ক) জুল

খ) ওয়াট

গ) ক্যালরি

ঘ) ভোল্ট

সঠিক উত্তর: গ) ক্যালরি

ব্যাখ্যা: ক্যালরি হচ্ছে শক্তির একক।

২৩। এক গ্রাম খাদ্য জারণের ফলে যে পরিমাণ তাপশক্তি উৎপন্ন হয়, তাকে কী বলে?

ক) ওয়াট

খ) জুল

গ) খাদ্যের ক্যালরি

ঘ) কিলোজুল

সঠিক উত্তর: গ) খাদ্যের ক্যালরি

ব্যাখ্যা: এক গ্রাম খাদ্য জারণের ফলে যে পরিমাণ তাপশক্তি উৎপন্ন হয়, তাকে খাদ্যের ক্যালরি বলে।

২৪। এক হাজার ক্যালরি সমান কত কিলোক্যালরি?

ক) ১০০ কিলোক্যালরি

খ) ৫০০ কিলোক্যালরি

গ) ১ কিলোক্যালরি

ঘ) ১০ কিলোক্যালরি

সঠিক উত্তর: গ) ১ কিলোক্যালরি

ব্যাখ্যা: এক হাজার ক্যালরি সমান এক কিলোক্যালরি বা এক খাদ্য ক্যালরি।

২৫। শর্করা এবং প্রোটিনের ক্যালরি প্রায় সমান, কত?

ক) ২ kcal/g

খ) ৪ kcal/g

গ) ৬ kcal/g

ঘ) ৯ kcal/g

সঠিক উত্তর: খ) ৪ kcal/g

ব্যাখ্যা: শর্করা এবং প্রোটিনের ক্যালরি প্রায় সমান, যা ৪ kcal/g।

২৬। স্নেহজাতীয় খাদ্যে (ফ্যাট) ক্যালরির পরিমাণ কত?

ক) ৪ kcal/g

খ) ৬ kcal/g

গ) ৯ kcal/g

ঘ) ১২ kcal/g

সঠিক উত্তর: গ) ৯ kcal/g

ব্যাখ্যা: স্নেহজাতীয় খাদ্যে অর্থাৎ ফ্যাটের ক্যালরি সবচেয়ে বেশি, এর পরিমাণ ৯ kcal/g।

২৭। একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষ মানুষের দৈনিক প্রায় কত ক্যালরি খাবার খাওয়া প্রয়োজন?

ক) ১৫০০ kcal

খ) ২০০০ kcal

গ) ২৫০০ kcal

ঘ) ৩০০০ kcal

সঠিক উত্তর: গ) ২৫০০ kcal

ব্যাখ্যা: একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষ মানুষের দৈনিক প্রায় ২৫০০ kcal-এর সমপরিমাণ খাবার খাওয়া প্রয়োজন।

২৮। একজন পূর্ণবয়স্ক নারীর দৈনিক প্রায় কত ক্যালরি খাবার খাওয়া প্রয়োজন?

ক) ১৫০০ kcal

খ) ২০০০ kcal

গ) ২৫০০ kcal

ঘ) ৩০০০ kcal

সঠিক উত্তর: খ) ২০০০ kcal

ব্যাখ্যা: একজন পূর্ণবয়স্ক নারীর দৈনিক প্রায় ২০০০ kcal-এর সমপরিমাণ খাবার খাওয়া প্রয়োজন।

২৯। আমিষ কী কী মৌলের সমন্বয়ে তৈরি হয়?

ক) কার্বন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন

খ) কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন

গ) কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন ও সালফার

ঘ) নাইট্রোজেন ও সালফার

সঠিক উত্তর: গ) কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন ও সালফার

ব্যাখ্যা: কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন এবং কিছু ক্ষেত্রে সালফার- এই পাঁচটি মৌলের সমন্বয়ে আমিষ তৈরি হয়।

৩০। শরীরে আমিষ পরিপাক হওয়ার পর কীসে পরিণত হয়?

ক) গ্লুকোজ

খ) ফ্যাটি এসিড ও গ্লিসারল

গ) অ্যামাইনো এসিড

ঘ) ভিটামিন

সঠিক উত্তর: গ) অ্যামাইনো এসিড

ব্যাখ্যা: শরীরে আমিষ পরিপাক হওয়ার পর সেগুলো অ্যামাইনো এসিডে পরিণত হয়।

৩১। আমিষ গঠনের একক কী?

ক) গ্লুকোজ

খ) ফ্যাটি এসিড

গ) অ্যামাইনো এসিড

ঘ) ভিটামিন

সঠিক উত্তর: গ) অ্যামাইনো এসিড

ব্যাখ্যা: অ্যামাইনো এসিড হচ্ছে আমিষ গঠনের একক।

৩২। উৎস দিয়ে বিবেচনা করলে আমিষ কত প্রকার?

ক) ১ প্রকার

খ) ২ প্রকার

গ) ৩ প্রকার

ঘ) ৪ প্রকার

সঠিক উত্তর: খ) ২ প্রকার

ব্যাখ্যা: উৎস দিয়ে বিবেচনা করলে আমিষ দুই প্রকার: প্রাণিজ ও উদ্ভিজ্জ।

৩৩। মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, ছানা, পনির কোন ধরনের আমিষ?

ক) উদ্ভিজ্জ আমিষ

খ) প্রাণিজ আমিষ

গ) কৃত্রিম আমিষ

ঘ) মিশ্র আমিষ

সঠিক উত্তর: খ) প্রাণিজ আমিষ

ব্যাখ্যা: মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, ছানা, পনির – এগুলো প্রাণিজ আমিষের উৎস।

৩৪। ডাল, শিমের বিচি, মটরশুঁটি, বাদাম কোন ধরনের আমিষ?

ক) প্রাণিজ আমিষ

খ) উদ্ভিজ্জ আমিষ

গ) কৃত্রিম আমিষ

ঘ) মিশ্র আমিষ

সঠিক উত্তর: খ) উদ্ভিজ্জ আমিষ

ব্যাখ্যা: ডাল, শিমের বিচি, মটরশুঁটি, বাদাম হচ্ছে উদ্ভিজ্জ আমিষের উদাহরণ।

৩৫। মানুষের শরীরে কত ধরনের অ্যামাইনো এসিডের সন্ধান পাওয়া গেছে?

ক) ১০

খ) ১৫

গ) ২০

ঘ) ২৫

সঠিক উত্তর: গ) ২০

ব্যাখ্যা: মানুষের শরীরে এ পর্যন্ত ২০ ধরনের অ্যামাইনো এসিডের সন্ধান পাওয়া গেছে।

৩৬। কয়টি অ্যামাইনো এসিডকে অপরিহার্য অ্যামাইনো এসিড বলা হয়?

ক) ৬টি

খ) ৭টি

গ) ৮টি

ঘ) ৯টি

সঠিক উত্তর: গ) ৮টি

ব্যাখ্যা: ২০টি অ্যামাইনো এসিডের মধ্যে ৮টি অ্যামাইনো এসিডকে অপরিহার্য অ্যামাইনো এসিড বলা হয়।

৩৭। প্রাণিজ প্রোটিনের পুষ্টিমূল্য বেশি হওয়ার কারণ কী?

ক) এতে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে

খ) এতে ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে

গ) এতে অপরিহার্য অ্যামাইনো এসিড বেশি থাকে

ঘ) এতে ভিটামিন বেশি থাকে

সঠিক উত্তর: গ) এতে অপরিহার্য অ্যামাইনো এসিড বেশি থাকে

ব্যাখ্যা: প্রাণিজ প্রোটিনে অপরিহার্য আটটি অ্যামাইনো এসিড বেশি থাকে বলে এর পুষ্টিমূল্য বেশি।

৩৮। দেহের বৃদ্ধি ও কোষ গঠন ও ক্ষয়পূরণে কোন উপাদানটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ?

ক) শর্করা

খ) স্নেহ

গ) আমিষ

ঘ) ভিটামিন

সঠিক উত্তর: গ) আমিষ

ব্যাখ্যা: আমিষ দেহের বৃদ্ধি ও কোষ গঠন ও ক্ষয়পূরণের জন্য অপরিহার্য।

৩৯। এক গ্রাম প্রোটিন জারণে কী পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয়?

ক) 4 kcal

খ) 9 kcal

গ) 12 kcal

ঘ) 15 kcal

সঠিক উত্তর: ক) 4 kcal

ব্যাখ্যা: শর্করা এবং প্রোটিন জারণে প্রায় 4 kcal/g শক্তি উৎপন্ন হয়।

৪০। আমিষের অভাবে শিশুদের কোন রোগ হতে পারে?

ক) রাতকানা

খ) রিকেটস

গ) ম্যারাসমাস বা কোয়াশিয়রকর

ঘ) স্কার্ভি

সঠিক উত্তর: গ) ম্যারাসমাস বা কোয়াশিয়রকর

ব্যাখ্যা: আমিষের অভাবে শিশুদের ম্যারাসমাস বা কোয়াশিয়রকর রোগ হতে পারে, যদিও এই নির্দিষ্ট তথ্য সংযুক্ত PDF এ সরাসরি উল্লেখ নেই, এটি নবম-দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের সাধারণ জ্ঞান।

Leave a Reply

Scroll to Top