সারাংশ: একটি নবযুগ আমাদের দুয়ারে এসে উপস্থিত

বাংলা দ্বিতীয় পত্র

একটি নবযুগ আমাদের দুয়ারে এসে উপস্থিত

একটি নবযুগ আমাদের দুয়ারে এসে উপস্থিত; মান্য অতিথির মতো সংবর্ধনা করে না আনলে সে ঘরে আসতে নারাজ। অনাহূত গৃহে প্রবেশ করতে সকলেরই লজ্জা হয়। নবযুগও লজ্জা অনুভব করছে। তার লজ্জা ভাঙানোর ভার আমাদের ওপর। কিন্তু অতিথি এল, সে শত্রু, না মিত্র প্রকৃত হিতাকাক্সক্ষী, না প্রতারক, তা না জেনে তো তাকে গ্রহণ করা যায় না। তাই তার যথাসম্ভব পরিচয় দেওয়া দরকার।

আগন্তুক আমাদের পর নয়, মানবসভ্যতার শিশু, অতীত ও বর্তমানের সন্তান, সে নিজ থেকেই এসেছে; তার সম্বন্ধে আমাদের অবহিত হতে হবে মাত্র, আর এক্ষেত্রে অবহিত হওয়ারই সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা। তাঁর কণ্ঠে যে অস্পষ্ট বাণী তার অর্থ, হে মানুষ ভয় করো না; তোমার মধ্যে যা শ্রেষ্ঠ মূল্যবান অবিনশ্বর ও অশেষ সম্ভাবনাপূর্ণ তার রক্ষার ভার আমার হাতে। আর সে জন্যেই আমার আগমন। বর্তমান যুগের কি সেসব রক্ষার ক্ষমতা নেই? শ্রেষ্ঠ ও মূল্যবানকে ভুলে বর্তমানে আমরা কি শুধু অপকৃষ্টের সাধনা করে চলেছি? ব্যতিক্রম হয়তো আছে, তবে মোটের ওপর কথাটায় সায় না দিয়ে উপায় কী? মানুষের জীবনের শ্রেষ্ঠ অভিব্যক্তি সৃজনশীলতা আজ শোচনীয়রূপে পরাভূত, ধূর্ততা ও ফন্দিবাজি তার স্থানে সমাসীন। এ দুরবস্থাকে মুক্তি দেয়ার জন্যেই নবযুগের আগমন।

সারাংশ:

সমাজকে পরিবর্তনের জন্যই নবযুগের সৃষ্টি। তবে নবযুগ আনয়নে পরিশ্রম, সাধনা ও সংগ্রাম দ্বারা এর যথার্থতা বিচার করতে হবে। আর এভাবেই নবযুগ অতীত ও বর্তমানের মধ্য থেকে সৃষ্ট হয়ে সমাজকে দুর্নীতিমুক্ত ও সৃজনশীল করে গড়ে তোলে।

Views: 70 Views
❤️ 0
👎 0
😢 0
😡 0

Leave a Reply

Scroll to Top