অষ্টম শ্রেনী ইসলাম শিক্ষা
তৃতীয় অধ্যায়: কুরআন ও হাদিস শিক্ষা
পাঠ ১: কুরআন মজিদ
১. প্রশ্ন: ‘কুরআন’ শব্দের অর্থ কী?
* ক) পড়া, আবৃত্তি করা, পাঠ করা
* খ) লেখা, লিপিবদ্ধ করা
* গ) শোনা, শ্রবণ করা
* ঘ) মুখস্থ করা
সঠিক উত্তর: ক) পড়া, আবৃত্তি করা, পাঠ করা
ব্যাখ্যা: ‘কুরআন’ শব্দটি আরবি। এটি কারউন মূলধাতু থেকে নির্গত। এর অর্থ পড়া, আবৃত্তি করা, যা পাঠ করা হয় ইত্যাদি। যেহেতু এ কিতাবটি সর্বাধিক পঠিত হয়, তাই একে আল-কুরআন নামকরণ করা হয়েছে।
২. প্রশ্ন: কুরআন মজিদ কার উপর নাজিল হয়?
* ক) হযরত মুসা (আ.)
* খ) হযরত ঈসা (আ.)
* গ) হযরত মুহাম্মদ (স.)
* ঘ) হযরত দাউদ (আ.)
সঠিক উত্তর: গ) হযরত মুহাম্মদ (স.)
ব্যাখ্যা: কুরআন মজিদ আল্লাহ তায়ালার প্রেরিত সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানি কিতাব। এটি মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর উপর নাজিল হয়েছিল।
৩. প্রশ্ন: কুরআন মজিদের প্রথম নাজিলকৃত আয়াত কোন সূরার অংশ?
* ক) সূরা আল-ফাতিহা
* খ) সূরা আল-বাকারা
* গ) সূরা আল-আলাক
* ঘ) সূরা আল-মুদ্দাসসির
সঠিক উত্তর: গ) সূরা আল-আলাক
ব্যাখ্যা: কুরআন মজিদের প্রথম নাজিলকৃত পাঁচটি আয়াত ছিল সূরা আল-আলাক এর প্রথম পাঁচ আয়াত। এগুলো হেরা গুহায় হযরত জিবরাইল (আ.) এর মাধ্যমে মহানবি (স.)-এর উপর অবতীর্ণ হয়।
পাঠ ২: তাজবিদ
৪. প্রশ্ন: ‘তাজবিদ’ শব্দের অর্থ কী?
* ক) সুন্দর করা, উত্তম করা
* খ) দ্রুত পড়া
* গ) অর্থ বোঝা
* ঘ) মুখস্থ করা
সঠিক উত্তর: ক) সুন্দর করা, উত্তম করা
ব্যাখ্যা: তাজবিদ শব্দের অর্থ সুন্দর করা, উত্তম করা, ভালোভাবে সম্পন্ন করা ইত্যাদি। ইসলামি পরিভাষায়, কুরআন মজিদের প্রত্যেক হরফকে তার মাখরাজ (উচ্চারণস্থল) ও সিফাত (গুণাবলি) অনুযায়ী সঠিকভাবে উচ্চারণ করে তিলাওয়াত করাকে তাজবিদ বলে।
৫. প্রশ্ন: তাজবিদ অনুযায়ী কুরআন তিলাওয়াত করা কী?
* ক) মুস্তাহাব
* খ) সুন্নত
* গ) ওয়াজিব
* ঘ) নফল
সঠিক উত্তর: গ) ওয়াজিব
ব্যাখ্যা: তাজবিদ অনুযায়ী কুরআন তিলাওয়াত করা ওয়াজিব। তাজবিদ ছাড়া কুরআন তিলাওয়াত করলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যা গুনাহের কারণ হতে পারে।
পাঠ ৩: নুন সাকিন ও তানবিনের বর্ণনা
৬. প্রশ্ন: নুন সাকিন ও তানবিন পড়ার নিয়ম কয়টি?
* ক) দুটি
* খ) তিনটি
* গ) চারটি
* ঘ) পাঁচটি
সঠিক উত্তর: গ) চারটি
ব্যাখ্যা: নুন সাকিন ( ْن ) ও তানবিন (দুই জবর, দুই যের, দুই পেশ) পড়ার নিয়ম চারটি: ইযহার, ইকলাব, ইদগাম ও ইখফা।
৭. প্রশ্ন: ‘ইযহার’ অর্থ কী?
* ক) পরিবর্তন করা
* খ) স্পষ্ট করে পড়া
* গ) মিলিয়ে পড়া
* ঘ) গোপন করে পড়া
সঠিক উত্তর: খ) স্পষ্ট করে পড়া
ব্যাখ্যা: ইযহার অর্থ স্পষ্ট করে পড়া। নুন সাকিন বা তানবিনের পর ইযহারের হরফ ( ء ه ع ح غ خ ) আসলে গুন্নাহ ছাড়া স্পষ্ট করে পড়তে হয়।
৮. প্রশ্ন: ইকলাবের হরফ কোনটি?
* ক) م (মিম)
* খ) ب (বা)
* গ) ل (লাম)
* ঘ) ن (নুন)
সঠিক উত্তর: খ) ب (বা)
ব্যাখ্যা: ইকলাবের হরফ একটি, তা হলো ب (বা)। নুন সাকিন বা তানবিনের পর ب আসলে নুন সাকিন বা তানবিনকে মিম ( مْ ) দ্বারা পরিবর্তন করে গুন্নাহর সাথে পড়তে হয়।
পাঠ ৪: মীম সাকিনের বর্ণনা
৯. প্রশ্ন: মীম সাকিন ( مْ ) পড়ার নিয়ম কয়টি?
* ক) দুটি
* খ) তিনটি
* গ) চারটি
* ঘ) পাঁচটি
স正しい উত্তর: খ) তিনটি
ব্যাখ্যা: মীম সাকিন ( مْ ) পড়ার নিয়ম তিনটি: ইদগামে শাফাবি, ইখফায়ে শাফাবি এবং ইযহারে শাফাবি।
১০. প্রশ্ন: মীম সাকিনের পর م (মিম) আসলে কোন নিয়মে পড়তে হয়?
* ক) ইযহারে শাফাবি
* খ) ইখফায়ে শাফাবি
* গ) ইদগামে শাফাবি
* ঘ) ইকলাব
সঠিক উত্তর: গ) ইদগামে শাফাবি
ব্যাখ্যা: মীম সাকিনের পর م (মিম) আসলে গুন্নাহর সাথে মিলিয়ে পড়তে হয়, একে ইদগামে শাফাবি বা ইদগামে মিছলাইন সগির বলে।
পাঠ ৫: নাফিরা তিলাওয়াত
১১. প্রশ্ন: নাফিরা তিলাওয়াত কাকে বলে?
* ক) কুরআন মুখস্থ পড়া
* খ) কুরআন দেখে দেখে শুদ্ধভাবে পড়া
* গ) কুরআনের অর্থ বুঝে পড়া
* ঘ) দ্রুততার সাথে কুরআন পড়া
সঠিক উত্তর: খ) কুরআন দেখে দেখে শুদ্ধভাবে পড়া
ব্যাখ্যা: কুরআন মজিদ না দেখে মুখস্থ তিলাওয়াত করা অপেক্ষা দেখে দেখে শুদ্ধভাবে তিলাওয়াত করা উত্তম। একে নাফিরা তিলাওয়াত বলা হয়।
পাঠ ৬: সূরা আল-কাদর
১২. প্রশ্ন: সূরা আল-কাদর কুরআন মজিদের কততম সূরা?
* ক) ৯৫তম
* খ) ৯৬তম
* গ) ৯৭তম
* ঘ) ৯৮তম
সঠিক উত্তর: গ) ৯৭তম
ব্যাখ্যা: সূরা আল-কাদর কুরআন মজিদের ৯৭তম সূরা। এটি মদিনায় অবতীর্ণ এবং এর আয়াত সংখ্যা ৫টি।
১৩. প্রশ্ন: লাইলাতুল কদর কোন রাতের চেয়ে উত্তম?
* ক) একশ রাতের চেয়ে
* খ) এক হাজার মাসের চেয়ে
* গ) এক হাজার রাতের চেয়ে
* ঘ) এক হাজার দিনের চেয়ে
সঠিক উত্তর: খ) এক হাজার মাসের চেয়ে
ব্যাখ্যা: সূরা আল-কাদরে বলা হয়েছে, “লাইলাতুল কদর হলো এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।” (সূরা আল-কাদর, আয়াত: ৩)
পাঠ ৭: সূরা আল-যিলযাল
১৪. প্রশ্ন: সূরা আল-যিলযাল এর ‘যিলযাল’ শব্দের অর্থ কী?
* ক) আলো
* খ) অন্ধকার
* গ) ভূমিকম্প, প্রচন্ড কম্পন
* ঘ) স্থিরতা
সঠিক উত্তর: গ) ভূমিকম্প, প্রচন্ড কম্পন
ব্যাখ্যা: ‘যিলযাল’ শব্দের অর্থ হলো ভূমিকম্প, ভূকম্পন, প্রচন্ড কম্পন। এ সূরাতে কিয়ামতের ভয়াবহতা ও ভূমিকম্পের বর্ণনা রয়েছে।
১৫. প্রশ্ন: সূরা আল-যিলযাল এর আয়াত সংখ্যা কত?
* ক) ৬টি
* খ) ৭টি
* গ) ৮টি
* ঘ) ৯টি
সঠিক উত্তর: গ) ৮টি
ব্যাখ্যা: সূরা আল-যিলযাল কুরআন মজিদের ৯৯তম সূরা এবং এর আয়াত সংখ্যা ৮টি। এটি মদিনায় অবতীর্ণ।
পাঠ ৮: সূরা আল-ফিল
১৬. প্রশ্ন: ‘আল-ফিল’ শব্দের অর্থ কী?
* ক) পাখি
* খ) হাতি
* গ) পাথর
* ঘ) কাবাঘর
সঠিক উত্তর: খ) হাতি
ব্যাখ্যা: ‘আল-ফিল’ একটি আরবি শব্দ, যার অর্থ হাতি। এই সূরাতে আবরাহার হস্তিবাহিনীর কাবাঘর ধ্বংসের ব্যর্থ চেষ্টার ঘটনা বর্ণিত হয়েছে।
১৭. প্রশ্ন: আবরাহার হস্তিবাহিনীর বিরুদ্ধে আল্লাহ তায়ালা কোন পাখি প্রেরণ করেছিলেন?
* ক) কাক
* খ) কবুতর
* গ) আবাবিল
* ঘ) ঈগল
সঠিক উত্তর: গ) আবাবিল
ব্যাখ্যা: আল্লাহ তায়ালা আবরাহার হস্তিবাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাঁকে ঝাঁকে আবাবিল পাখি প্রেরণ করেন। এই পাখিরা তাদের ঠোঁটে ও পায়ে কঙ্কর বহন করে এনে হস্তিবাহিনীর উপর নিক্ষেপ করে তাদের ধ্বংস করে দেয়।
পাঠ ৯: সূরা কুরাইশ
১৮. প্রশ্ন: কুরাইশ কারা ছিলেন?
* ক) মদিনার একটি প্রসিদ্ধ গোত্র
* খ) মক্কার একটি সম্মানিত ও প্রসিদ্ধ গোত্র
* গ) তায়েফের অধিবাসী
* ঘ) ইয়েমেনের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়
সঠিক উত্তর: খ) মক্কার একটি সম্মানিত ও প্রসিদ্ধ গোত্র
ব্যাখ্যা: কুরাইশ ছিল আরবের মক্কা নগরীর একটি প্রসিদ্ধ, সম্মানিত ও ক্ষমতাসীন গোত্র। মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স.) এই বংশেই জন্মগ্রহণ করেন।
১৯. প্রশ্ন: সূরা কুরাইশে আল্লাহ তায়ালা কুরাইশদের কোন দুটি নিয়ামতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন?
* ক) ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি
* খ) বাণিজ্য viaje ও নিরাপত্তা
* গ) খাদ্য ও পানীয়ের প্রাচুর্য এবং ভয় থেকে নিরাপত্তা
* ঘ) নেতৃত্ব ও সম্মান
সঠিক উত্তর: গ) খাদ্য ও পানীয়ের প্রাচুর্য এবং ভয় থেকে নিরাপত্তা
ব্যাখ্যা: সূরা কুরাইশে আল্লাহ তায়ালা কুরাইশদেরকে শীত ও গ্রীষ্মকালীন বাণিজ্য সফরের সুযোগ এবং কাবাঘরের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে ক্ষুধা থেকে মুক্তি (খাদ্যের ব্যবস্থা) ও ভয় থেকে নিরাপত্তা দানের নিয়ামতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
পাঠ ১০: সূরা আন-নাসর
২০. প্রশ্ন: ‘নাসর’ শব্দের অর্থ কী?
* ক) বিজয়
* খ) সাহায্য
* গ) ক্ষমা
* ঘ) প্রশংসা
স правильный উত্তর: খ) সাহায্য
ব্যাখ্যা: ‘নাসর’ শব্দের অর্থ সাহায্য। সূরাটিতে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়ের কথা বলা হয়েছে।
২১. প্রশ্ন: সূরা আন-নাসর অবতীর্ণ হওয়ার পর মহানবি (স.) কী বুঝতে পেরেছিলেন?
* ক) তাঁর মিশন সফল হয়েছে
* খ) আরও যুদ্ধ করতে হবে
* গ) তাঁর ওফাতের সময় নিকটবর্তী
* ঘ) নতুন কোনো হিজরতের নির্দেশ আসছে
সঠিক উত্তর: গ) তাঁর ওফাতের সময় নিকটবর্তী
ব্যাখ্যা: এই সূরা নাজিলের মাধ্যমে রাসুলুল্লাহ (স.) বুঝতে পারেন যে, তাঁর উপর অর্পিত দায়িত্ব সম্পন্ন হয়েছে এবং তাঁর দুনিয়া থেকে বিদায় নেওয়ার সময় আসন্ন।
পাঠ ১১: আয়াতুল কুরসি
২২. প্রশ্ন: আয়াতুল কুরসি কোন সূরার অংশ?
* ক) সূরা আল-ফাতিহা
* খ) সূরা আল-বাকারা
* গ) সূরা আলে-ইমরান
* ঘ) সূরা আল-ইখলাস
সঠিক উত্তর: খ) সূরা আল-বাকারা
ব্যাখ্যা: আয়াতুল কুরসি পবিত্র কুরআন মজিদের সূরা আল-বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াত।
২৩. প্রশ্ন: আয়াতুল কুরসিতে প্রধানত কার ক্ষমতা ও গুণাবলির বর্ণনা দেওয়া হয়েছে?
* ক) হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর
* খ) হযরত জিবরাইল (আ.)-এর
* গ) আল্লাহ তায়ালার
* ঘ) সকল নবি-রাসুলের
সঠিক উত্তর: গ) আল্লাহ তায়ালার
ব্যাখ্যা: আয়াতুল কুরসিতে আল্লাহ তায়ালার একত্ব, ক্ষমতা, মর্যাদা ও গুণাবলির বর্ণনা করা হয়েছে। এটি কুরআনের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ আয়াত।
পাঠ ১২: সূরা আল-হাশরের শেষ তিন আয়াত
২৪. প্রশ্ন: সূরা আল-হাশরের শেষ তিন আয়াতে আল্লাহ তায়ালার কোন ধরনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে?
* ক) ক্ষমা ও দয়া সম্পর্কিত নাম
* খ) সৃষ্টি ও প্রতিপালন সম্পর্কিত নাম
* গ) বিভিন্ন গুণবাচক ও সুন্দর নাম (আল-আসমাউল হুসনা)
* ঘ) বিচার ও প্রতিদান সম্পর্কিত নাম
সঠিক উত্তর: গ) বিভিন্ন গুণবাচক ও সুন্দর নাম (আল-আসমাউল হুসনা)
ব্যাখ্যা: সূরা আল-হাশরের শেষ তিন আয়াতে (২২-২৪) আল্লাহ তায়ালার অনেকগুলো সুন্দর ও গুণবাচক নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যা তাঁর মহত্ত্ব ও এককত্বের পরিচয় বহন করে।
২৫. প্রশ্ন: সূরা আল-হাশরের শেষ তিন আয়াত পাঠের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে কী বলা হয়েছে?
* ক) সত্তর হাজার ফেরেশতা তার জন্য দোয়া করে
* খ) তার সকল গুনাহ মাফ হয়ে যায়
* গ) সে জান্নাতে উচ্চ মর্যাদা লাভ করে
* ঘ) তার রিজিকে বরকত হয়
সঠিক উত্তর: ক) সত্তর হাজার ফেরেশতা তার জন্য দোয়া করে
ব্যাখ্যা: হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি সকালে সূরা আল-হাশরের শেষ তিন আয়াত পাঠ করবে, সত্তর হাজার ফেরেশতা সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য রহমতের দোয়া করতে থাকবে। আর যদি সে ঐ দিন মারা যায়, তবে শহিদের মর্যাদা লাভ করবে। সন্ধ্যায় পাঠ করলেও একই ফজিলত।
পাঠ ১৩: আল-কুরআন ও নৈতিক শিক্ষা
২৬. প্রশ্ন: নৈতিক জীবন গঠনে আল-কুরআনের ভূমিকা কী?
* ক) এটি শুধু আইন-কানুন শিক্ষা দেয়
* খ) এটি মানুষকে উত্তম চরিত্র ও নৈতিক গুণাবলি অর্জনে পথ দেখায়
* গ) এটি শুধু পরকালের কথা বলে
* ঘ) এটি শুধু ঐতিহাসিক ঘটনার বর্ণনা দেয়
সঠিক উত্তর: খ) এটি মানুষকে উত্তম চরিত্র ও নৈতিক গুণাবলি অর্জনে পথ দেখায়
ব্যাখ্যা: আল-কুরআন নৈতিক জীবন গঠনের মূল উৎস। এটি মানুষকে সত্যবাদিতা, ন্যায়পরায়ণতা, ধৈর্য, ক্ষমা, দয়া, আমানতদারি ইত্যাদি সৎগুণ অর্জনে উৎসাহিত করে এবং মিথ্যা, প্রতারণা, জুলুম, অহংকার ইত্যাদি মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেয়।
২৭. প্রশ্ন: পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করার নির্দেশ কোথায় পাওয়া যায়?
* ক) শুধুমাত্র হাদিসে
* খ) আল-কুরআনে
* গ) পুরানো ধর্মগ্রন্থে
* ঘ) সামাজিক প্রথায়
সঠিক উত্তর: খ) আল-কুরআনে
ব্যাখ্যা: আল-কুরআনে বহুবার পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করার, তাঁদের সম্মান করার এবং তাঁদের প্রতি বিনয়ী হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নৈতিক শিক্ষা।
পাঠ ১৪: মোনাজাতমূলক তিনটি হাদিস
২৮. প্রশ্ন: মোনাজাতের উদ্দেশ্য কী?
* ক) শুধু নিজের জন্য দোয়া করা
* খ) আল্লাহর কাছে সাহায্য, ক্ষমা ও কল্যাণ প্রার্থনা করা
* গ) অন্যদের কাছে নিজের প্রয়োজন তুলে ধরা
* ঘ) আল্লাহর ক্ষমতা পরীক্ষা করা
সঠিক উত্তর: খ) আল্লাহর কাছে সাহায্য, ক্ষমা ও কল্যাণ প্রার্থনা করা
ব্যাখ্যা: মোনাজাত বা দোয়া হলো বান্দার পক্ষ থেকে আল্লাহর কাছে সাহায্য, ক্ষমা, রহমত ও সার্বিক কল্যাণ প্রার্থনা করার একটি মাধ্যম।
পাঠ ১৫: হাদিসের আলোকে নৈতিক শিক্ষা
২৯. প্রশ্ন: “তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম যে চরিত্রের দিক থেকে উত্তম” – এটি কার বাণী?
* ক) একজন সাহাবির
* খ) একজন তাবেয়ির
* গ) মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর
* ঘ) একজন ইসলামি চিন্তাবিদের
সঠিক উত্তর: গ) মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর
ব্যাখ্যা: মহানবি (স.) বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই সর্বোত্তম যে চরিত্রের দিক দিয়ে তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম।” (বুখারি ও মুসলিম)। এটি উত্তম চরিত্রের গুরুত্ব বোঝায়।
৩০. প্রশ্ন: প্রতিবেশীর সাথে কীরূপ আচরণ করার জন্য হাদিসে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে?
* ক) indiferencia (উদাসীনতা)
* খ) শত্রুতা
* গ) সদ্ব্যবহার ও তাদের অধিকার রক্ষা করা
* ঘ) শুধু নিজের সুবিধা দেখা
সঠিক উত্তর: গ) সদ্ব্যবহার ও তাদের অধিকার রক্ষা করা
ব্যাখ্যা: ইসলামে প্রতিবেশীর হকের উপর অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। হাদিসে প্রতিবেশীর সাথে ভালো আচরণ করা, তাদের কষ্ট না দেওয়া এবং তাদের বিপদে সাহায্য করার কথা বলা হয়েছে।