অষ্টম শ্রেনী কৃষি শিক্ষা | | কৃষি উপকরণ MCQ

অষ্টম শ্রেনী কৃষি শিক্ষা

তৃতীয় অধ্যায়: কৃষি উপকরণ


প্রশ্ন ১: বীজতলার মাটি প্রস্তুত করার জন্য নিচের কোন উপকরণটি প্রয়োজন?

(ক) ট্রাক্টর

(খ) পাওয়ার টিলার

(গ) কোদাল

(ঘ) রাসায়নিক স্প্রেয়ার

সঠিক উত্তর: (গ) কোদাল

ব্যাখ্যা: বীজতলার মাটি প্রস্তুত করার জন্য যে যে উপকরণ লাগবে তা হলো-জমি, খুঁটি, জায়গা মাপার ফিতা, কোদাল, মই, জৈব ও অজৈব সার ইত্যাদি।

প্রশ্ন ২: ভেজা বীজতলায় কোন ধরনের বীজ বপন করা হয়?

(ক) শুকনো বীজ

(খ) অঙ্কুরিত বীজ

(গ) শোধিত বীজ

(ঘ) উপরের সবকটি

সঠিক উত্তর: (খ) অঙ্কুরিত বীজ

ব্যাখ্যা: ভেজা বীজতলার ক্ষেত্রে মাটি পানি দ্বারা ভিজিয়ে কাদা করে সমান করতে হয় এবং সাধারণত অঙ্কুরিত বীজ (বিশেষ করে ধান বীজ) বপন করা হয়।

প্রশ্ন ৩: বীজতলার চারপাশে নালার প্রশস্ততা ও গভীরতা কত হওয়া উচিত?

(ক) ২০ সে.মি. চওড়া ও ১০ সে.মি. গভীর

(খ) ৩০ সে.মি. চওড়া ও ১৫ সে.মি. গভীর

(গ) ৪০ সে.মি. চওড়া ও ২০ সে.মি. গভীর

(ঘ) ৫০ সে.মি. চওড়া ও ২৫ সে.মি. গভীর

সঠিক উত্তর: (খ) ৩০ সে.মি. চওড়া ও ১৫ সে.মি. গভীর

ব্যাখ্যা: বীজতলার চারপাশে ৩০ সে.মি. চওড়া ও ১৫ সে.মি. গভীর নালা তৈরি করতে হয়।

প্রশ্ন ৪: বীজ বপনের কত দিন আগে বীজতলায় টিএসপি, এমওপি ও পচা গোবর সার মেশাতে হয়?

(ক) ৫-৭ দিন

(খ) ৭-৯ দিন

(গ) ১০-১২ দিন

(ঘ) ১৪-১৫ দিন

সঠিক উত্তর: (গ) ১০-১২ দিন

ব্যাখ্যা: বীজ বপনের ১০-১২ দিন আগে বীজতলায় টিএসপি, এমওপি ও পচা শুকানো গোবর বা আবর্জনা সার মিশিয়ে দিতে হয়।

প্রশ্ন ৫: মাটি শোধনের জন্য কোন রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগ করা যেতে পারে?

(ক) ইউরিয়া

(খ) থিওভিট

(গ) গ্যামাক্সিন বা ফরমালডিহাইড

(ঘ) পটাশ

সঠিক উত্তর: (গ) গ্যামাক্সিন বা ফরমালডিহাইড

ব্যাখ্যা: বীজতলার মাটিতে পোকা বা রোগজীবাণু থাকতে পারে, তাই মাটি শোধনের জন্য গ্যামাক্সিন বা ফরমালডিহাইড জাতীয় রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগ করা যেতে পারে।

প্রশ্ন ৬: ধান ফসলের আদর্শ বীজতলার আকার সাধারণত কত হয়?

(ক) ৮.৫ মিটার × ১.০ মিটার

(খ) ৯.৫ মিটার × ১.৫ মিটার

(গ) ১০.৫ মিটার × ২.০ মিটার

(ঘ) ১১.৫ মিটার × ২.৫ মিটার

সঠিক উত্তর: (খ) ৯.৫ মিটার × ১.৫ মিটার

ব্যাখ্যা: ধান ফসলের জন্য প্রতিটি আদর্শ বীজতলার আকার হবে ৯.৫ মিটার × ১.৫ মিটার।

প্রশ্ন ৭: দুটি আদর্শ ধান বীজতলার মাঝে কতটুকু জায়গা নালা তৈরির জন্য রাখতে হয়?

(ক) ২৫ সে.মি.

(খ) ৫০ সে.মি.

(গ) ৭৫ সে.মি.

(ঘ) ১০০ সে.মি.

সঠিক উত্তর: (খ) ৫০ সে.মি.

ব্যাখ্যা: দুটি আদর্শ ধান বীজতলার মাঝে ৫০ সে.মি পরিমাণ জায়গা নালা তৈরি করার জন্য রাখতে হয়।

প্রশ্ন ৮: উদ্যান ফসলের আদর্শ বীজতলার বেডের আকার সাধারণত কত হয়?

(ক) ২ মিটার × ০.৫ মিটার

(খ) ৩ মিটার × ১ মিটার

(গ) ৪ মিটার × ১.৫ মিটার

(ঘ) ৫ মিটার × ২ মিটার

সঠিক উত্তর: (খ) ৩ মিটার × ১ মিটার

ব্যাখ্যা: উদ্যান ফসলের জন্য প্রতিটি আদর্শ বীজতলার বেডের আকার হবে ৩ মিটার × ১ মিটার।

প্রশ্ন ৯: উদ্যান ফসলের প্রতি ৩ বর্গমিটার বেডের জন্য কত গ্রাম টিএসপি সার প্রয়োজন?

(ক) ৫০ গ্রাম

(খ) ১০০ গ্রাম

(গ) ১৫০ গ্রাম

(ঘ) ২০০ গ্রাম

সঠিক উত্তর: (খ) ১০০ গ্রাম

ব্যাখ্যা: প্রতি ৩ বর্গমিটার বেডের জন্য ১৫০ গ্রাম ইউরিয়া, ১০০ গ্রাম টিএসপি, ১০০ গ্রাম এমওপি সার ছিটিয়ে মাটির সাথে মেশাতে হয়।

প্রশ্ন ১০: ৩ বর্গমিটার বীজতলায় ফুলকপি বা বাঁধাকপির বীজ বপনের হার কত?

(ক) ৮-১০ গ্রাম

(খ) ১০-১২ গ্রাম

(গ) ১২-১৪ গ্রাম

(ঘ) ১৫-২০ গ্রাম

সঠিক উত্তর: (খ) ১০-১২ গ্রাম

ব্যাখ্যা: ৩ বর্গমিটার বীজতলায় ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রোকলির বীজ বপনের হার ১০-১২ গ্রাম।

প্রশ্ন ১১: বীজতলায় চারা হলদে দেখালে প্রতি শতক বীজতলার জন্য কত গ্রাম ইউরিয়া ছিটাতে হয়?

(ক) ১৮০ গ্রাম

(খ) ২৮০ গ্রাম

(গ) ৩৮০ গ্রাম

(ঘ) ৪৮০ গ্রাম

সঠিক উত্তর: (খ) ২৮০ গ্রাম

ব্যাখ্যা: চারা হলদে দেখালে প্রতি শতক বীজতলার জন্য ২৮০ গ্রাম ইউরিয়া বীজতলায় ছিটাতে হয়।

প্রশ্ন ১২: মাটি পরীক্ষা না করে সার ব্যবহার করলে কী অসুবিধা হয়?

(ক) উৎপাদন খরচ কমে

(খ) মাটির উর্বরতা বাড়ে

(গ) পরিবেশ ভালো থাকে

(ঘ) উৎপাদন কম হয় এবং খরচ বাড়ে

সঠিক উত্তর: (ঘ) উৎপাদন কম হয় এবং খরচ বাড়ে

ব্যাখ্যা: মাটি পরীক্ষা না করে সার ব্যবহার করলে একদিকে যেমন উৎপাদন কম হয় অন্যদিকে খরচ বাড়ে এবং এছাড়া মাটির উর্বরতা ও পরিবেশ নষ্ট হয়।

প্রশ্ন ১৩: কোন সার মাটিতে অত্যন্ত ক্ষণস্থায়ী এবং মৌসুম শেষে মাটিতে তা একেবারেই অবশিষ্ট থাকে না?

(ক) টিএসপি

(খ) এমওপি

(গ) ইউরিয়া

(ঘ) জিপসাম

সঠিক উত্তর: (গ) ইউরিয়া

ব্যাখ্যা: ইউরিয়া সার মাটিতে অত্যন্ত ক্ষণস্থায়ী এবং মৌসুম শেষে মাটিতে তা একেবারেই অবশিষ্ট থাকে না।

প্রশ্ন ১৪: এলসিসি (LCC) ব্যবহারের মাধ্যমে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করলে রোপা আমন ধানে শতকরা কত ভাগ ইউরিয়া সার কম লাগে?

(ক) ১৫ ভাগ

(খ) ২০ ভাগ

(গ) ২৩ ভাগ

(ঘ) ২৫ ভাগ

সঠিক উত্তর: (ঘ) ২৫ ভাগ

ব্যাখ্যা: এলসিসি (Leaf Colour Chart) ব্যবহারের মাধ্যমে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করলে ধানের ফলন ঠিক থাকে এবং হিসেব করে দেখা গেছে রোপা আমন ধানে শতকরা ২৫ ভাগ ইউরিয়া সার কম লাগে।

প্রশ্ন ১৫: ইউরিয়া সার গুটি আকারে ফসলের জমিতে প্রয়োগ করলে শতকরা কত ভাগ ইউরিয়া সাশ্রয় হয়?

(ক) ১৫%

(খ) ২০%

(গ) ২৫%

(ঘ) ৩০%

সঠিক উত্তর: (গ) ২৫%

ব্যাখ্যা: ইউরিয়া সার গুটি আকারে ফসলের জমিতে প্রয়োগ করলে ২৫% ইউরিয়া সাশ্রয় হয়।

প্রশ্ন ১৬: জৈব সার, টিএসপি ও এমওপি সার বীজ বপন বা চারা রোপণের কত দিন আগে প্রয়োগ করতে হয়?

(ক) ৩ দিন

(খ) ৫ দিন

(গ) ৭ দিন

(ঘ) ১০ দিন

সঠিক উত্তর: (গ) ৭ দিন

ব্যাখ্যা: জৈব সার, টিএসপি ও এমওপি সার বীজ বপন বা চারা রোপণের ৭ দিন আগে প্রয়োগ করতে হয়।

প্রশ্ন ১৭: ফসল উৎপাদনে পানির চাহিদা পূরণে কৃত্রিম উপায়ে পানি প্রয়োগকে কী বলে?

(ক) নিষ্কাশন

(খ) পানি সেচ

(গ) বাষ্পীভবন

(ঘ) প্রস্বেদন

সঠিক উত্তর: (খ) পানি সেচ

ব্যাখ্যা: ফসল উৎপাদনে পানির চাহিদা পূরণে কৃত্রিম উপায়ে পানি প্রয়োগকে পানি সেচ বলে।

প্রশ্ন ১৮: আমাদের দেশে সেচ দক্ষতা সাধারণত কত শতাংশ?

(ক) ২০-২৫ শতাংশ

(খ) ৩০-৩৫ শতাংশ

(গ) ৪০-৪৫ শতাংশ

(ঘ) ৫০-৫৫ শতাংশ

সঠিক উত্তর: (খ) ৩০-৩৫ শতাংশ

ব্যাখ্যা: আন্তর্জাতিক পানি ব্যবস্থাপনা ইন্সটিটিউট (IWMI)-এর এক জরিপে দেখা যায় আমাদের দেশে সেচ দক্ষতা ৩০-৩৫ শতাংশ।

প্রশ্ন ১৯: বোরো ধানের মোট উৎপাদন খরচের কত শতাংশ সেচের জন্য খরচ হয়?

(ক) ১৮-২০ শতাংশ

(খ) ২২-২৫ শতাংশ

(গ) ২৮-৩০ শতাংশ

(ঘ) ৩২-৩৫ শতাংশ

সঠিক উত্তর: (গ) ২৮-৩০ শতাংশ

ব্যাখ্যা: বোরো ধানের মোট উৎপাদন খরচের ২৮-৩০ শতাংশ সেচের জন্য খরচ হয়।

প্রশ্ন ২০: ফল বাগানে কোন সেচ পদ্ধতি বেশি উপযোগী ও পানি সাশ্রয়ী?

(ক) প্লাবন সেচ পদ্ধতি

(খ) চেক বেসিন পদ্ধতি

(গ) রিং বেসিন পদ্ধতি

(ঘ) নালা পদ্ধতি

সঠিক উত্তর: (গ) রিং বেসিন পদ্ধতি

ব্যাখ্যা: ফল বাগানে রিং বেসিন বা বৃত্তাকার পদ্ধতিতে সেচ দিলে পানির অপচয় কম হয়।

প্রশ্ন ২১: চা বাগানে কোন সেচ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়?

(ক) ড্রিপ সেচ পদ্ধতি

(খ) বর্ষণ সেচ পদ্ধতি

(গ) রিং বেসিন পদ্ধতি

(ঘ) প্লাবন সেচ পদ্ধতি

সঠিক উত্তর: (খ) বর্ষণ সেচ পদ্ধতি

ব্যাখ্যা: বর্ষণ সেচ পদ্ধতিতে নজলের মাধ্যমে পানি গাছের উপর বৃষ্টির মতো ছিটিয়ে দেওয়া হয়। চা বাগানে এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন ২২: সবচেয়ে বেশি পানি সাশ্রয়ী সেচ পদ্ধতি কোনটি?

(ক) নালা পদ্ধতি

(খ) চেক বেসিন পদ্ধতি

(গ) বর্ষণ সেচ পদ্ধতি

(ঘ) ড্রিপ সেচ পদ্ধতি

সঠিক উত্তর: (ঘ) ড্রিপ সেচ পদ্ধতি

ব্যাখ্যা: ড্রিপ সেচ পদ্ধতিতে পানি পাইপের মাধ্যমে গাছের মূলাঞ্চলে পৌঁছে দেওয়া হয়। এটা সবচেয়ে পানি সাশ্রয়ী পদ্ধতি।

প্রশ্ন ২৩: ধানের সেচের প্রতি সংকটময় পর্যায় কোনটি?

(ক) শুধু শীষ গজানো

(খ) প্রাথমিক কুশি গজানো ও পুষ্পায়ন

(গ) শুধু দুধ পর্যায়

(ঘ) চারা রোপণের পর

সঠিক উত্তর: (খ) প্রাথমিক কুশি গজানো ও পুষ্পায়ন

ব্যাখ্যা: ধানের সেচের প্রতি সংকটময় পর্যায়সমূহ হলো প্রাথমিক কুশি গজানো এবং পুষ্পায়ন।

প্রশ্ন ২৪: গমের সেচের প্রতি সংবেদনশীল পর্যায় কোনটি?

(ক) শুধু পুষ্পায়ন

(খ) মুকুট মূল গজানো, কুশি গজানোর শেষ দিকে, পুষ্পায়ন

(গ) শুধু দানা গঠন

(ঘ) পরিপক্ব পর্যায়

সঠিক উত্তর: (খ) মুকুট মূল গজানো, কুশি গজানোর শেষ দিকে, পুষ্পায়ন

ব্যাখ্যা: গমের সেচের প্রতি সংবেদনশীল পর্যায় হলো মুকুট মূল গজানো, কুশি গজানোর শেষ দিকে এবং পুষ্পায়ন।

প্রশ্ন ২৫: ধান চাষে পানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি হিসেবে কোন পদ্ধতি জনপ্রিয় করা হচ্ছে?

(ক) সার্বক্ষণিক প্লাবন পদ্ধতি

(খ) পর্যায়ক্রমিক ভেজানো ও শুকানো (AWD)

(গ) শুধুমাত্র বর্ষার পানির উপর নির্ভরতা

(ঘ) গভীর নলকূপের অধিক ব্যবহার

সঠিক উত্তর: (খ) পর্যায়ক্রমিক ভেজানো ও শুকানো (AWD)

ব্যাখ্যা: বর্তমানে ধান চাষে পানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি হিসেবে পর্যায়ক্রমিক ভেজানো ও শুকানো (Alternate Wetting and Drying) পদ্ধতি জনপ্রিয় করা হচ্ছে।

প্রশ্ন ২৬: পর্যায়ক্রমিক ভেজানো ও শুকানো (AWD) পদ্ধতিতে কত ভাগ সেচের পানি কম লাগে?

(ক) ১০-১৫ ভাগ

(খ) ২০-২৫ ভাগ

(গ) ৩০-৩৭ ভাগ

(ঘ) ৪০-৪৫ ভাগ

সঠিক উত্তর: (গ) ৩০-৩৭ ভাগ

ব্যাখ্যা: পর্যায়ক্রমিক ভেজানো ও শুকানো (AWD) পদ্ধতিতে ৩০-৩৭ ভাগ সেচের পানি কম লাগে।

প্রশ্ন ২৭: উদ্ভিদ বিজ্ঞান অনুযায়ী নিষিক্ত ও পরিপক্ক ডিম্বককে কী বলে?

(ক) ফল

(খ) বীজ

(গ) চারা

(ঘ) রেণু

সঠিক উত্তর: (খ) বীজ

ব্যাখ্যা: উদ্ভিদ বিজ্ঞান অনুযায়ী নিষিক্ত ও পরিপক্ক ডিম্বককে বীজ বলে।

প্রশ্ন ২৮: কৃষিতাত্ত্বিক বীজ বলতে কী বোঝায়?

(ক) শুধু নিষিক্ত ও পরিপক্ক ডিম্বক

(খ) উদ্ভিদের বংশ বিস্তারে ব্যবহৃত যেকোনো অঙ্গ

(গ) শুধুমাত্র সংকরায়িত বীজ

(ঘ) পরীক্ষাগারে তৈরি বীজ

সঠিক উত্তর: (খ) উদ্ভিদের বংশ বিস্তারে ব্যবহৃত যেকোনো অঙ্গ

ব্যাখ্যা: কৃষিতত্ত্বে উদ্ভিদের অন্যান্য অঙ্গ যা ব্যবহার করে বংশ বিস্তার সম্ভব, সেগুলোকে কৃষিতাত্ত্বিক বীজ বলা হয়।

প্রশ্ন ২৯: দুইটি আলাদা জাতের (একই ফসলের) মধ্যে সংকরায়ণ ঘটিয়ে নতুন জাত তৈরি করাকে কী বলে?

(ক) চয়ন-প্রজনন

(খ) অঙ্গজ প্রজনন

(গ) সংকরায়ণ (Hybridization)

(ঘ) টিস্যু কালচার

সঠিক উত্তর: (গ) সংকরায়ণ (Hybridization)

ব্যাখ্যা: দুইটি আলাদা জাতের (একই ফসলের) মধ্যে সংকরায়ণ (hybridization) ঘটিয়ে তৃতীয় জাত তৈরি করা যায় যাতে মাতার কিছু এবং পিতার কিছু ভালো গুণের সমাহার ঘটতে পারে।

প্রশ্ন ৩০: চলতি কোনো ফসলের জাতের প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে কিছু কাঙ্ক্ষিত গুণের ভিত্তিতে ক্রমাগত বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জাতের উন্নয়নকে কী বলে?

(ক) সংকরায়ণ

(খ) চয়ন-প্রজনন (Selection breeding)

(গ) মিউটেশন ব্রিডিং

(ঘ) জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং

সঠিক উত্তর: (খ) চয়ন-প্রজনন (Selection breeding)

ব্যাখ্যা: চলতি কোনো ফসলের জাতের প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে কিছু কাঙ্ক্ষিত গুণের ভিত্তিতে ক্রমাগত বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেও বীজের উন্নতি বা জাতের উন্নতি ঘটানো যেতে পারে। এই পদ্ধতিতে উন্নয়নকে বলা হয় চয়ন-প্রজনন (selection breeding)।

Leave a Reply

Scroll to Top