SSC রসায়ন একাদশ অধ্যায় MCQ | খনিজ সম্পদ: জীবাশ্ম বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

SSC রসায়ন

একাদশ অধ্যায়: খনিজ সম্পদ: জীবাশ্ম


প্রশ্ন ১: জীবাশ্ম জ্বালানি কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে?

ক) আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত থেকে

খ) সমুদ্রের জোয়ার ভাটা থেকে

গ) মৃত গাছপালা ও প্রাণীর দেহাবশেষ ভূগর্ভে উচ্চচাপ ও তাপে পরিবর্তিত হয়ে

ঘ) সৌর শক্তি থেকে সরাসরি

সঠিক উত্তর: গ) মৃত গাছপালা ও প্রাণীর দেহাবশেষ ভূগর্ভে উচ্চচাপ ও তাপে পরিবর্তিত হয়ে

ব্যাখ্যা: বহু কোটি বছর আগে গাছপালা ও প্রাণী ভূমিকম্প বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে মাটির নিচে চাপা পড়ে। ভূগর্ভের উচ্চচাপ ও তাপে ধীরে ধীরে এদের দেহাবশেষ জীবাশ্ম জ্বালানিতে রূপান্তরিত হয়।

প্রশ্ন ২: কোনটি জীবাশ্ম জ্বালানির অন্তর্ভুক্ত?

ক) সৌর শক্তি

খ) বায়ু শক্তি

গ) কয়লা

ঘ) জলবিদ্যুৎ

সঠিক উত্তর: গ) কয়লা

ব্যাখ্যা: কয়লা, পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাস জীবাশ্ম জ্বালানির অন্তর্ভুক্ত।

প্রশ্ন ৩: কোন জীবাশ্ম জ্বালানি কঠিন অবস্থায় পাওয়া যায়?

ক) পেট্রোলিয়াম

খ) প্রাকৃতিক গ্যাস

গ) কয়লা

ঘ) মিথেন

সঠিক উত্তর: গ) কয়লা

ব্যাখ্যা: কয়লা কঠিন অবস্থায় প্রাপ্ত একটি জীবাশ্ম জ্বালানি।

প্রশ্ন ৪: পেট্রোলিয়াম কোন অবস্থায় পাওয়া যায়?

ক) কঠিন

খ) তরল

গ) গ্যাসীয়

ঘ) প্লাজমা

সঠিক উত্তর: খ) তরল

ব্যাখ্যা: পেট্রোলিয়াম প্রধানত তরল অবস্থায় ভূগর্ভে পাওয়া যায়।

প্রশ্ন ৫: প্রাকৃতিক গ্যাস প্রধানত কোন গ্যাস দ্বারা গঠিত?

ক) ইথেন

খ) প্রোপেন

গ) মিথেন

ঘ) বিউটেন

সঠিক উত্তর: গ) মিথেন

ব্যাখ্যা: প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান হলো মিথেন গ্যাস (CH4​)।

প্রশ্ন ৬: কয়লার প্রধান উপাদান কী?

ক) হাইড্রোজেন

খ) অক্সিজেন

গ) কার্বন

ঘ) নাইট্রোজেন

সঠিক উত্তর: গ) কার্বন

ব্যাখ্যা: কয়লার প্রধান উপাদান হলো কার্বন।

প্রশ্ন ৭: বাংলাদেশে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাসে মিথেনের পরিমাণ শতকরা কত ভাগ?

ক) ৭০-৮০%

খ) ৮০-৯০%

গ) ৯০-৯৯%

ঘ) ৬০-৭০%

সঠিক উত্তর: গ) ৯০-৯৯%

ব্যাখ্যা: বাংলাদেশে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাসে মিথেনের পরিমাণ শতকরা প্রায় ৯০-৯৯ ভাগ।

প্রশ্ন ৮: পেট্রোলিয়ামের বিভিন্ন উপাদানকে পৃথক করার প্রক্রিয়াকে কী বলে?

ক) পরিস্রাবণ

খ) পাতন

গ) আংশিক পাতন

ঘ) ঊর্ধ্বপাতন

সঠিক উত্তর: গ) আংশিক পাতন

ব্যাখ্যা: পেট্রোলিয়ামের বিভিন্ন উপাদানকে তাদের স্ফুটনাঙ্কের ভিন্নতার ভিত্তিতে পৃথক করার প্রক্রিয়াকে আংশিক পাতন বলে।

প্রশ্ন ৯: পেট্রোলিয়াম আংশিক পাতনের মাধ্যমে প্রাপ্ত বিভিন্ন অংশকে কী বলা হয়?

ক) জীবাশ্ম জ্বালানি

খ) হাইড্রোকার্বন

গ) পেট্রোলিয়াম জাত দ্রব্য বা ভগ্নাংশ

ঘ) খনিজ তেল

সঠিক উত্তর: গ) পেট্রোলিয়াম জাত দ্রব্য বা ভগ্নাংশ

ব্যাখ্যা: পেট্রোলিয়াম আংশিক পাতনের মাধ্যমে প্রাপ্ত বিভিন্ন অংশকে পেট্রোলিয়াম জাত দ্রব্য বা ভগ্নাংশ বলা হয়।

প্রশ্ন ১০: বিটুমিন বা পিচ পেট্রোলিয়ামের কোন ভগ্নাংশ?

ক) সবচেয়ে হালকা ভগ্নাংশ

খ) মাঝারী ভগ্নাংশ

গ) সবচেয়ে ভারী বা তলানির অংশ

ঘ) গ্যাসীয় ভগ্নাংশ

সঠিক উত্তর: গ) সবচেয়ে ভারী বা তলানির অংশ

ব্যাখ্যা: পেট্রোলিয়াম আংশিক পাতনের সবচেয়ে ভারী বা তলানির অংশ হলো বিটুমিন বা পিচ, যা রাস্তা তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন ১১: অকটেন সংখ্যা দ্বারা কী বোঝানো হয়?

ক) জ্বালানির ক্যালরি মান

খ) জ্বালানির বিস্ফোরণ প্রতিরোধ ক্ষমতা

গ) জ্বালানির প্রধান উপাদান

ঘ) জ্বালানির স্ফুটনাঙ্ক

সঠিক উত্তর: খ) জ্বালানির বিস্ফোরণ প্রতিরোধ ক্ষমতা

ব্যাখ্যা: অকটেন সংখ্যা দ্বারা জ্বালানির বাষ্পীভূত হয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে জ্বলে ওঠার প্রবণতা বা বিস্ফোরণ প্রতিরোধ ক্ষমতা বোঝানো হয়। অকটেন সংখ্যা যত বেশি হয়, জ্বালানির মান তত ভালো হয়।

প্রশ্ন ১২: পেট্রোল ইঞ্জিনে উচ্চ অকটেন সংখ্যার জ্বালানি ব্যবহার করা হয় কেন?

ক) ইঞ্জিনের শক্তি কমানোর জন্য

খ) ইঞ্জিনের শব্দ বৃদ্ধি করার জন্য

গ) ইঞ্জিনে বিস্ফোরণ বা নক করা প্রতিরোধ করার জন্য

ঘ) জ্বালানির পরিমাণ কমানোর জন্য

সঠিক উত্তর: গ) ইঞ্জিনে বিস্ফোরণ বা নক করা প্রতিরোধ করার জন্য

ব্যাখ্যা: পেট্রোল ইঞ্জিনের সিলিন্ডারের ভেতরে জ্বালানি ও বাতাসের মিশ্রণকে সংকোচন করার সময় উচ্চ অকটেন সংখ্যার জ্বালানি বিস্ফোরণ বা নক করা প্রতিরোধ করে, ফলে ইঞ্জিনের কার্যকারিতা বাড়ে।

প্রশ্ন ১৩: প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার কোনটি?

ক) রান্নার কাজে

খ) বিদ্যুৎ উৎপাদনে

গ) সার কারখানায় কাঁচামাল হিসেবে

ঘ) সবগুলো

সঠিক উত্তর: ঘ) সবগুলো

ব্যাখ্যা: প্রাকৃতিক গ্যাস রান্নার কাজে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে এবং সার কারখানায় ইউরিয়া সার উৎপাদনের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন ১৪: কার্বনের একটি রূপভেদ যা অত্যন্ত শক্ত এবং হীরার পর সবচেয়ে শক্ত পদার্থ?

ক) গ্রাফাইট

খ) ফুলারিন

গ) কার্বন ব্ল্যাক

ঘ) হীরক

সঠিক উত্তর: ঘ) হীরক

ব্যাখ্যা: হীরক কার্বনের একটি রূপভেদ যা প্রকৃতিতে পাওয়া সবচেয়ে শক্ত পদার্থগুলোর মধ্যে অন্যতম।

প্রশ্ন ১৫: কার্বনের একটি রূপভেদ যা বিদ্যুৎ সুপরিবাহী এবং পেন্সিলের শিষে ব্যবহৃত হয়?

ক) হীরক

খ) ফুলারিন

গ) গ্রাফাইট

ঘ) কার্বন ব্ল্যাক

সঠিক উত্তর: গ) গ্রাফাইট

ব্যাখ্যা: গ্রাফাইট কার্বনের একটি রূপভেদ যা বিদ্যুৎ সুপরিবাহী এবং এটি পেন্সিলের শিষ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন ১৬: কার্বন ব্ল্যাক কোথায় ব্যবহৃত হয়?

ক) অলংকার তৈরিতে

খ) পেন্সিলের শিষ তৈরিতে

গ) টায়ার ও প্রিন্টারের কালি তৈরিতে

ঘ) কাঁচামাল হিসেবে

সঠিক উত্তর: গ) টায়ার ও প্রিন্টারের কালি তৈরিতে

ব্যাখ্যা: কার্বন ব্ল্যাক টায়ার, প্রিন্টারের কালি, জুতোর পালিশ ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন ১৭: কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সময় কোন ক্ষতিকর গ্যাস উৎপন্ন হতে পারে?

ক) অক্সিজেন

খ) নাইট্রোজেন

গ) সালফার ডাইঅক্সাইড

ঘ) হাইড্রোজেন

সঠিক উত্তর: গ) সালফার ডাইঅক্সাইড

ব্যাখ্যা: কয়লাতে সালফার থাকতে পারে যা পোড়ানোর সময় সালফার ডাইঅক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন করে। এই গ্যাস অ্যাসিড বৃষ্টির অন্যতম প্রধান কারণ।

প্রশ্ন ১৮: জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে সৃষ্ট কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি কোন পরিবেশগত সমস্যার সৃষ্টি করে?

ক) ওজন স্তর ক্ষয়

খ) এসিড বৃষ্টি

গ) গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়া ও বিশ্ব উষ্ণায়ন

ঘ) পানি দূষণ

সঠিক উত্তর: গ) গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়া ও বিশ্ব উষ্ণায়ন

ব্যাখ্যা: জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে নির্গত কার্বন ডাইঅক্সাইড একটি প্রধান গ্রিনহাউস গ্যাস যা বায়ুমণ্ডলে এর পরিমাণ বৃদ্ধি করলে গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়া বাড়ে এবং বিশ্ব উষ্ণায়ন ঘটে।

প্রশ্ন ১৯: CNG এর পূর্ণরূপ কী?

ক) Compressed Nitrogen Gas

খ) Compressed Natural Gas

গ) Converted Natural Gas

ঘ) Carbon Neutral Gas

সঠিক উত্তর: খ) Compressed Natural Gas

ব্যাখ্যা: CNG এর পূর্ণরূপ হলো Compressed Natural Gas বা সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস।

প্রশ্ন ২০: LPG এর পূর্ণরূপ কী?

ক) Liquefied Petroleum Gas

খ) Liquid Petroleum Gas

গ) Light Petroleum Gas

ঘ) Low Pressure Gas

সঠিক উত্তর: ক) Liquefied Petroleum Gas

ব্যাখ্যা: LPG এর পূর্ণরূপ হলো Liquefied Petroleum Gas বা তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস।

প্রশ্ন ২১: CNG এর প্রধান উপাদান কী?

ক) প্রোপেন ও বিউটেন

খ) মিথেন

গ) ইথেন

ঘ) হাইড্রোজেন

সঠিক উত্তর: খ) মিথেন

ব্যাখ্যা: CNG প্রধানত মিথেন গ্যাসকে উচ্চচাপে সংকুচিত করে তৈরি করা হয়।

প্রশ্ন ২২: LPG এর প্রধান উপাদান কী?

ক) মিথেন

খ) ইথেন

গ) প্রোপেন ও বিউটেন

ঘ) হাইড্রোজেন

সঠিক উত্তর: গ) প্রোপেন ও বিউটেন

ব্যাখ্যা: LPG প্রধানত প্রোপেন ও বিউটেন গ্যাসকে তরলীকৃত করে তৈরি করা হয়।

প্রশ্ন ২৩: কোন জ্বালানিটি পরিবেশের জন্য কম ক্ষতিকর হিসেবে বিবেচিত হয়?

ক) কয়লা

খ) পেট্রোল

গ) প্রাকৃতিক গ্যাস

ঘ) অকটেন

সঠিক উত্তর: গ) প্রাকৃতিক গ্যাস

ব্যাখ্যা: প্রাকৃতিক গ্যাস পোড়ালে অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানির চেয়ে কম কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং অন্যান্য ক্ষতিকর গ্যাস উৎপন্ন হয়, তাই এটি তুলনামূলকভাবে কম পরিবেশ দূষণকারী।

প্রশ্ন ২৪: জৈব যৌগ কাকে বলে?

ক) শুধুমাত্র উদ্ভিদ থেকে প্রাপ্ত যৌগ

খ) শুধুমাত্র প্রাণী থেকে প্রাপ্ত যৌগ

গ) হাইড্রোকার্বন এবং এদের থেকে উদ্ভূত যৌগসমূহ

ঘ) শুধুমাত্র কার্বন গঠিত যৌগ

সঠিক উত্তর: গ) হাইড্রোকার্বন এবং এদের থেকে উদ্ভূত যৌগসমূহ

ব্যাখ্যা: হাইড্রোকার্বন এবং এদের থেকে উদ্ভূত যৌগসমূহকে জৈব যৌগ বলে। জৈব যৌগসমূহে কার্বন একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান।

প্রশ্ন ২৫: অ্যালকেন কাকে বলে?

ক) যে সকল হাইড্রোকার্বনে কার্বন কার্বন একক বন্ধন বিদ্যমান

খ) যে সকল হাইড্রোকার্বনে কার্বন কার্বন দ্বিবন্ধন বিদ্যমান

গ) যে সকল হাইড্রোকার্বনে কার্বন কার্বন ত্রিবন্ধন বিদ্যমান

ঘ) কার্বন নেই এমন হাইড্রোকার্বন

সঠিক উত্তর: ক) যে সকল হাইড্রোকার্বনে কার্বন কার্বন একক বন্ধন বিদ্যমান

ব্যাখ্যা: যে সকল অ্যালিফেটিক হাইড্রোকার্বনে কার্বন পরমাণুগুলো একক বন্ধনের মাধ্যমে পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকে তাদেরকে অ্যালকেন বলে। এদের সাধারণ সংকেত Cn​H2n+2​।

প্রশ্ন ২৬: অ্যালকিন কাকে বলে?

ক) যে সকল হাইড্রোকার্বনে কার্বন কার্বন একক বন্ধন বিদ্যমান

খ) যে সকল হাইড্রোকার্বনে কার্বন কার্বন দ্বিবন্ধন বিদ্যমান

গ) যে সকল হাইড্রোকার্বনে কার্বন কার্বন ত্রিবন্ধন বিদ্যমান

ঘ) শুধুমাত্র কার্বন গঠিত যৌগ

সঠিক উত্তর: খ) যে সকল হাইড্রোকার্বনে কার্বন কার্বন দ্বিবন্ধন বিদ্যমান

ব্যাখ্যা: যে সকল অ্যালিফেটিক হাইড্রোকার্বনে কমপক্ষে একটি কার্বন কার্বন দ্বিবন্ধন বিদ্যমান থাকে তাদেরকে অ্যালকিন বলে। এদের সাধারণ সংকেত Cn​H2n​।

প্রশ্ন ২৭: অ্যালকাইন কাকে বলে?

ক) যে সকল হাইড্রোকার্বনে কার্বন কার্বন একক বন্ধন বিদ্যমান

খ) যে সকল হাইড্রোকার্বনে কার্বন কার্বন দ্বিবন্ধন বিদ্যমান

গ) যে সকল হাইড্রোকার্বনে কার্বন কার্বন ত্রিবন্ধন বিদ্যমান

ঘ) যে সকল হাইড্রোকার্বনে চক্রাকার গঠন বিদ্যমান

সঠিক উত্তর: গ) যে সকল হাইড্রোকার্বনে কার্বন কার্বন ত্রিবন্ধন বিদ্যমান

ব্যাখ্যা: যে সকল অ্যালিফেটিক হাইড্রোকার্বনে কমপক্ষে একটি কার্বন কার্বন ত্রিবন্ধন বিদ্যমান থাকে তাদেরকে অ্যালকাইন বলে। এদের সাধারণ সংকেত Cn​H2n−2​।

প্রশ্ন ২৮: ইথেনের আণবিক সংকেত কোনটি?

ক) CH4​

খ) C2​H6​

গ) C2​H4​

ঘ) C2​H2​

সঠিক উত্তর: খ) C2​H6​

ব্যাখ্যা: ইথেন একটি অ্যালকেন যেখানে ২টি কার্বন পরমাণু থাকে। অ্যালকেনের সাধারণ সংকেত Cn​H2n+2​ অনুযায়ী, n=2 হলে সংকেত হয় C2​H(2×2)+2​=C2​H6​।

প্রশ্ন ২৯: ইথিনের আণবিক সংকেত কোনটি?

ক) CH4​

খ) C2​H6​

গ) C2​H4​

ঘ) C2​H2​

সঠিক উত্তর: গ) C2​H4​

ব্যাখ্যা: ইথিন একটি অ্যালকিন যেখানে ২টি কার্বন পরমাণু থাকে। অ্যালকিনের সাধারণ সংকেত Cn​H2n​ অনুযায়ী, n=2 হলে সংkeত হয় C2​H(2×2)​=C2​H4​।

প্রশ্ন ৩০: ইথাইনের আণবিক সংকেত কোনটি?

ক) CH4​

খ) C2​H6​

গ) C2​H4​

ঘ) C2​H2​

সঠিক উত্তর: ঘ) C2​H2​

ব্যাখ্যা: ইথাইন একটি অ্যালকাইন যেখানে ২টি কার্বন পরমাণু থাকে। অ্যালকাইনের সাধারণ সংকেত Cn​H2n−2​ অনুযায়ী, n=2 হলে সংকেত হয় C2​H(2×2)−2​=C2​H2​।

প্রশ্ন ৩১: পেট্রোলিয়ামের আংশিক পাতনে প্রাপ্ত গ্যাসীয় ভগ্নাংশ কোনটি?

ক) পেট্রোল

খ) ন্যাফথা

গ) পেট্রোলিয়াম গ্যাস

ঘ) কেরোসিন

সঠিক উত্তর: গ) পেট্রোলিয়াম গ্যাস

ব্যাখ্যা: পেট্রোলিয়ামের আংশিক পাতনে সর্বনিম্ন স্ফুটনাঙ্কের (< 40°C) গ্যাসীয় ভগ্নাংশ হলো পেট্রোলিয়াম গ্যাস, যা মূলত প্রোপেন ও বিউটেনের মিশ্রণ এবং LPG হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন ৩২: পেট্রোলিয়ামের আংশিক পাতনে প্রাপ্ত কেরোসিনের স্ফুটনাঙ্ক কত?

ক) < 40°C

খ) 40°C – 120°C

গ) 121°C – 170°C

ঘ) 171°C – 270°C

সঠিক উত্তর: ঘ) 171°C – 270°C

ব্যাখ্যা: পেট্রোলিয়ামের আংশিক পাতনে প্রাপ্ত কেরোসিনের স্ফুটনাঙ্ক পরিসীমা হলো 171°C থেকে 270°C।

প্রশ্ন ৩৩: অকটেন এর রাসায়নিক সংকেত কোনটি?

ক) C6​H14​

খ) C7​H16​

গ) C8​H18​

ঘ) C9​H20​

সঠিক উত্তর: গ) C8​H18​

ব্যাখ্যা: অকটেন একটি অ্যালকেন যেখানে ৮টি কার্বন পরমাণু থাকে। অ্যালকেনের সাধারণ সংকেত Cn​H2n+2​ অনুযায়ী, n=8 হলে সংকেত হয় C8​H(2×8)+2​=C8​H18​।

প্রশ্ন ৩৪: আইসো-অকটেন এর অকটেন সংখ্যা কত ধরা হয়?

ক) ০

খ) ৫০

গ) ১০০

ঘ) ১০০০

সঠিক উত্তর: গ) ১০০

ব্যাখ্যা: আইসো-অকটেন (2,2,4-trimethylpentane) কে আদর্শ ধরে এর অকটেন সংখ্যা ১০০ ধরা হয় এবং নরমাল হেপ্টেনকে আদর্শ ধরে এর অকটেন সংখ্যা ০ ধরা হয়।

প্রশ্ন ৩৫: গ্যাসোলিন বা পেট্রোলের প্রধান উপাদান কোনটি?

ক) মিথেন

খ) প্রোপেন ও বিউটেন

গ) হেক্সেন থেকে অকটেন পর্যন্ত হাইড্রোকার্বন

ঘ) দীর্ঘ শিকলযুক্ত হাইড্রোকার্বন

সঠিক উত্তর: গ) হেক্সেন থেকে অকটেন পর্যন্ত হাইড্রোকার্বন

ব্যাখ্যা: গ্যাসোলিন বা পেট্রোল মূলত ৫ থেকে ১২ কার্বন পরমাণুযুক্ত হাইড্রোকার্বনের মিশ্রণ, প্রধানত হেক্সেন থেকে অকটেন পর্যন্ত হাইড্রোকার্বন।

প্রশ্ন ৩৬: ডিজেল তেলের প্রধান উপাদান কোনটি?

ক) হেক্সেন থেকে অকটেন পর্যন্ত হাইড্রোকার্বন

খ) কার্বন সংখ্যা ১২ থেকে ১৫ পর্যন্ত হাইড্রোকার্বন

গ) কার্বন সংখ্যা ১৫ থেকে ১৮ পর্যন্ত হাইড্রোকার্বন

ঘ) কার্বন সংখ্যা ১৮ এর উপরের হাইড্রোকার্বন

সঠিক উত্তর: গ) কার্বন সংখ্যা ১৫ থেকে ১৮ পর্যন্ত হাইড্রোকার্বন

ব্যাখ্যা: ডিজেল তেল প্রধানত ১৫ থেকে ১৮ কার্বন পরমাণুযুক্ত হাইড্রোকার্বনের মিশ্রণ।

প্রশ্ন ৩৭: কয়লাকে সম্পূর্ণরূপে পোড়ালে বা দহন করলে প্রধানত কোন গ্যাস উৎপন্ন হয়?

ক) কার্বন মনোক্সাইড

খ) কার্বন ডাইঅক্সাইড

গ) সালফার ডাইঅক্সাইড

ঘ) নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড

সঠিক উত্তর: খ) কার্বন ডাইঅক্সাইড

ব্যাখ্যা: কয়লার প্রধান উপাদান কার্বন হওয়ায় সম্পূর্ণরূপে দহন করলে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন হয়।

প্রশ্ন ৩৮: অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন কোনটি?

ক) অ্যালকেন

খ) অ্যালকিন

গ) অ্যালকাইন

ঘ) অ্যালকিন ও অ্যালকাইন উভয়ই

সঠিক উত্তর: ঘ) অ্যালকিন ও অ্যালকাইন উভয়ই

ব্যাখ্যা: যে সকল হাইড্রোকার্বনে কমপক্ষে একটি কার্বন কার্বন দ্বিবন্ধন (অ্যালকিন) বা ত্রিবন্ধন (অ্যালকাইন) বিদ্যমান থাকে তাদেরকে অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন বলে। অ্যালকেন হলো সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন।

প্রশ্ন ৩৯: সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন কোনটি?

ক) ইথিন

খ) ইথাইন

গ) প্রোপেন

ঘ) বিউটিন

সঠিক উত্তর: গ) প্রোপেন

ব্যাখ্যা: প্রোপেন একটি অ্যালকেন যেখানে কার্বন কার্বন একক বন্ধন বিদ্যমান, তাই এটি সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন। ইথিন ও বিউটিন অ্যালকিন এবং ইথাইন অ্যালকাইন, যারা অসম্পৃক্ত।

প্রশ্ন ৪০: পলিমারকরণ বিক্রিয়া কাকে বলে?

ক) ছোট ছোট অণু যুক্ত হয়ে বড় অণু তৈরি করার প্রক্রিয়া

খ) বড় অণু ভেঙে ছোট অণু তৈরি করার প্রক্রিয়া

গ) হাইড্রোকার্বনের দহন বিক্রিয়া

ঘ) এসিড ও ক্ষারকের বিক্রিয়া

সঠিক উত্তর: ক) ছোট ছোট অণু যুক্ত হয়ে বড় অণু তৈরি করার প্রক্রিয়া

ব্যাখ্যা: যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অনেক সংখ্যক ক্ষুদ্র সরল অণু (মনোমার) পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে একটি বিশাল বা বৃহৎ অণু (পলিমার) গঠন করে, তাকে পলিমারকরণ বিক্রিয়া বলে। প্লাস্টিক তৈরিতে এই বিক্রিয়া ব্যবহৃত হয়।

Leave a Reply

Scroll to Top