SSC রসায়ন দশম অধ্যায় MCQ | খনিজ সম্পদ: ধাতু-অধাতু বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

SSC রসায়ন

দশম অধ্যায়: খনিজ সম্পদ: ধাতু-অধাতু

প্রশ্ন ১: খনিজ পদার্থ কী?

ক) মাটির নিচে পাওয়া সকল পদার্থ

খ) ভূপৃষ্ঠে বা ভূগর্ভে প্রকৃতিতে প্রাপ্ত অজৈব কঠিন পদার্থ

গ) শুধু ধাতব পদার্থ

ঘ) শুধু অধাতব পদার্থ

সঠিক উত্তর: খ) ভূপৃষ্ঠে বা ভূগর্ভে প্রকৃতিতে প্রাপ্ত অজৈব কঠিন পদার্থ

ব্যাখ্যা: ভূপৃষ্ঠে বা ভূগর্ভে প্রকৃতিতে প্রাপ্ত অজৈব কঠিন পদার্থসমূহকে খনিজ পদার্থ বলে।

প্রশ্ন ২: আকরিক কাকে বলে?

ক) যে সকল খনিজ থেকে সহজে ও লাভজনকভাবে ধাতু নিষ্কাশন করা যায়

খ) সকল খনিজ পদার্থ

গ) শুধুমাত্র মাটির নিচে পাওয়া পাথর

ঘ) যে সকল খনিজ থেকে ধাতু নিষ্কাশন করা কঠিন

সঠিক উত্তর: ক) যে সকল খনিজ থেকে সহজে ও লাভজনকভাবে ধাতু নিষ্কাশন করা যায়

ব্যাখ্যা: যে সকল খনিজ থেকে সহজে ও লাভজনকভাবে ধাতু নিষ্কাশন করা যায়, তাকে ঐ ধাতুর আকরিক বলে। সকল আকরিকই খনিজ, কিন্তু সকল খনিজ আকরিক নয়।

প্রশ্ন ৩: ধাতু নিষ্কাশনের সময় আকরিকের সাথে লেগে থাকা মাটির অশুদ্ধি দূর করার প্রক্রিয়াকে কী বলে?

ক) গলন

খ) ঘনীকরণ

গ) খনিজ মল বা গ্যাং অপসারণ

ঘ) জারণ

সঠিক উত্তর: গ) খনিজ মল বা গ্যাং অপসারণ

ব্যাখ্যা: ধাতু নিষ্কাশনের সময় আকরিকের সাথে লেগে থাকা মাটির অশুদ্ধি দূর করার প্রক্রিয়াকে খনিজ মল বা গ্যাং অপসারণ বলা হয়।

প্রশ্ন ৪: ধাতুর সক্রিয়তা সিরিজ বা তড়িৎ রাসায়নিক সিরিজ অনুযায়ী সবচেয়ে উপরে কোন ধাতু থাকে?

ক) সোডিয়াম

খ) পটাশিয়াম

গ) ক্যালসিয়াম

ঘ) ম্যাগনেসিয়াম

সঠিক উত্তর: খ) পটাশিয়াম

ব্যাখ্যা: ধাতুর সক্রিয়তা সিরিজ অনুযায়ী যে ধাতু যত উপরে থাকে সেটি তত বেশি সক্রিয়। পটাশিয়াম সক্রিয়তা সিরিজের সবচেয়ে উপরে থাকে।

প্রশ্ন ৫: ধাতুর সক্রিয়তা সিরিজ অনুযায়ী সবচেয়ে নিচে কোন ধাতু থাকে?

ক) সোনা

খ) রুপা

গ) প্ল্যাটিনাম

ঘ) কপার

সঠিক উত্তর: গ) প্ল্যাটিনাম

ব্যাখ্যা: ধাতুর সক্রিয়তা সিরিজ অনুযায়ী যে ধাতু যত নিচে থাকে সেটি তত কম সক্রিয়। প্ল্যাটিনাম সক্রিয়তা সিরিজের প্রায় সবচেয়ে নিচে থাকে।

প্রশ্ন ৬: অধিক সক্রিয় ধাতুসমূহকে তাদের আকরিক থেকে কোন পদ্ধতিতে নিষ্কাশন করা হয়?

ক) কার্বন বিজারণ পদ্ধতি

খ) তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতি

গ) তাপীয় বিয়োজন পদ্ধতি

ঘ) প্রতিস্থাপন পদ্ধতি

সঠিক উত্তর: খ) তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতি

ব্যাখ্যা: অধিক সক্রিয় ধাতুসমূহকে (যেমন: সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম) তাদের গলিত আকরিকের তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে নিষ্কাশন করা হয়।

প্রশ্ন ৭: মধ্যম সক্রিয় ধাতুসমূহকে তাদের আকরিক থেকে কোন পদ্ধতিতে নিষ্কাশন করা হয়?

ক) তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতি

খ) কার্বন বিজারণ পদ্ধতি

গ) তাপীয় বিয়োজন পদ্ধতি

ঘ) প্রতিস্থাপন পদ্ধতি

সঠিক উত্তর: খ) কার্বন বিজারণ পদ্ধতি

ব্যাখ্যা: মধ্যম সক্রিয় ধাতুসমূহকে (যেমন: জিংক, লোহা, সিসা, কপার) তাদের আকরিক থেকে কার্বন বিজারণ পদ্ধতিতে নিষ্কাশন করা হয়।

প্রশ্ন ৮: কম সক্রিয় ধাতুসমূহকে তাদের আকরিক থেকে সাধারণত কোন পদ্ধতিতে নিষ্কাশন করা হয়?

ক) কার্বন বিজারণ পদ্ধতি

খ) তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতি

গ) শুধুমাত্র তাপ প্রয়োগ করে

ঘ) প্রতিস্থাপন পদ্ধতি

সঠিক উত্তর: গ) শুধুমাত্র তাপ প্রয়োগ করে

ব্যাখ্যা: কম সক্রিয় ধাতুসমূহ (যেমন: পারদ, রুপা, সোনা) প্রকৃতিতে মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় অথবা তাদের আকরিককে শুধুমাত্র তাপ প্রয়োগ করে নিষ্কাশন করা যায়।

প্রশ্ন ৯: থার্মিট বিক্রিয়া কী?

ক) অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইডের বিজারণ বিক্রিয়া

খ) আয়রন অক্সাইড ও অ্যালুমিনিয়ামের তীব্র তাপোৎপাদী বিক্রিয়া

গ) কার্বন ডাইঅক্সাইডের সাথে ধাতুর বিক্রিয়া

ঘ) পানির সাথে ধাতুর বিক্রিয়া

সঠিক উত্তর: খ) আয়রন অক্সাইড ও অ্যালুমিনিয়ামের তীব্র তাপোৎপাদী বিক্রিয়া

ব্যাখ্যা: থার্মিট বিক্রিয়ায় আয়রন অক্সাইড ও অ্যালুমিনিয়ামের গুঁড়োর মিশ্রণকে উত্তপ্ত করলে তীব্র তাপ উৎপন্ন হয় এবং লোহা ও অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড তৈরি হয়।

প্রশ্ন ১০: থার্মিট বিক্রিয়া কোথায় ব্যবহৃত হয়?

ক) খাদ্যশিল্পে

খ) রেল লাইন জোড়া লাগানোর কাজে

গ) বিদ্যুৎ উৎপাদনে

ঘ) সার উৎপাদনে

সঠিক উত্তর: খ) রেল লাইন জোড়া লাগানোর কাজে

ব্যাখ্যা: থার্মিট বিক্রিয়ায় উৎপন্ন গলিত লোহা ব্যবহার করে রেল লাইন জোড়া লাগানো হয়।

প্রশ্ন ১১: কপারের প্রধান আকরিকের নাম কী?

ক) বক্সাইট

খ) হেমাটাইট

গ) কপার পাইরাইটিস

ঘ) ম্যাগনেটাইট

সঠিক উত্তর: গ) কপার পাইরাইটিস

ব্যাখ্যা: কপারের প্রধান আকরিকের নাম হলো কপার পাইরাইটিস (CuFeS2​)।

প্রশ্ন ১২: লোহার প্রধান আকরিকের নাম কী?

ক) বক্সাইট

খ) হেমাটাইট

গ) কপার পাইরাইটিস

ঘ) ডলোমাইট

সঠিক উত্তর: খ) হেমাটাইট

ব্যাখ্যা: লোহার প্রধান আকরিক হলো হেমাটাইট (Fe2​O3​)।

প্রশ্ন ১৩: অ্যালুমিনিয়ামের প্রধান আকরিকের নাম কী?

ক) হেমাটাইট

খ) বক্সাইট

গ) কপার পাইরাইটিস

ঘ) ম্যাগনেটাইট

সঠিক উত্তর: খ) বক্সাইট

ব্যাখ্যা: অ্যালুমিনিয়ামের প্রধান আকরিক হলো বক্সাইট (Al2​O3​⋅2H2​O)।

প্রশ্ন ১৪: জিংকের প্রধান আকরিকের নাম কী?

ক) বক্সাইট

খ) হেমাটাইট

গ) জিংক ব্লেন্ড বা ক্যালামাইন

ঘ) কপার পাইরাইটিস

সঠিক উত্তর: গ) জিংক ব্লেন্ড বা ক্যালামাইন

ব্যাখ্যা: জিংকের প্রধান আকরিক হলো জিংক ব্লেন্ড (ZnS) বা ক্যালামাইন (ZnCO3​)।

প্রশ্ন ১৫: আকরিককে উচ্চ তাপমাত্রায় বাতাস ঢুকিয়ে উত্তপ্ত করার প্রক্রিয়াকে কী বলে?

ক) ক্যালসিনে শন

খ) রোস্টিং

গ) বিজারণ

ঘ) জারণ

সঠিক উত্তর: খ) রোস্টিং

ব্যাখ্যা: সালফাইড আকরিককে উচ্চ তাপমাত্রায় বাতাস ঢুকিয়ে উত্তপ্ত করার প্রক্রিয়াকে রোস্টিং বলে।

প্রশ্ন ১৬: আকরিককে উচ্চ তাপমাত্রায় বায়ুর অনুপস্থিতিতে উত্তপ্ত করার প্রক্রিয়াকে কী বলে?

ক) রোস্টিং

খ) ক্যালসিনে শন

গ) বিজারণ

ঘ) জারণ

সঠিক উত্তর: খ) ক্যালসিনে শন

ব্যাখ্যা: কার্বনেট আকরিককে উচ্চ তাপমাত্রায় বায়ুর অনুপস্থিতিতে উত্তপ্ত করার প্রক্রিয়াকে ক্যালসিনে শন বলে।

প্রশ্ন ১৭: অধাতুসমূহের মধ্যে কোনটি সাধারণ তাপমাত্রায় তরল অবস্থায় থাকে?

ক) অক্সিজেন

খ) নাইট্রোজেন

গ) ব্রোমিন

ঘ) ক্লোরিন

সঠিক উত্তর: গ) ব্রোমিন

ব্যাখ্যা: ব্রোমিন একমাত্র অধাতু যা সাধারণ তাপমাত্রায় তরল অবস্থায় থাকে।

প্রশ্ন ১৮: কোনটি সবচেয়ে বেশি সক্রিয় অধাতু?

ক) ক্লোরিন

খ) ফ্লোরিন

গ) ব্রোমিন

ঘ) আয়োডিন

সঠিক উত্তর: খ) ফ্লোরিন

ব্যাখ্যা: হ্যালোজেন গ্রুপের মৌলসমূহের মধ্যে ফ্লোরিন সবচেয়ে বেশি সক্রিয় অধাতু।

প্রশ্ন ১৯: অধাতুসমূহ সাধারণত কেমন হয়?

ক) তাপ ও বিদ্যুৎ সুপরিবাহী

খ) তাপ ও বিদ্যুৎ কুপরিবাহী

গ) তাপ সুপরিবাহী কিন্তু বিদ্যুৎ কুপরিবাহী

ঘ) তাপ কুপরিবাহী কিন্তু বিদ্যুৎ সুপরিবাহী

সঠিক উত্তর: খ) তাপ ও বিদ্যুৎ কুপরিবাহী

ব্যাখ্যা: অধাতুসমূহ সাধারণত তাপ ও বিদ্যুৎ কুপরিবাহী হয় (ব্যতিক্রম: গ্রাফাইট বিদ্যুৎ সুপরিবাহী)।

প্রশ্ন ২০: কোনটি অধাতু হওয়া সত্ত্বেও বিদ্যুৎ পরিবহন করে?

ক) সালফার

খ) ফসফরাস

গ) গ্রাফাইট

ঘ) আয়োডিন

সঠিক উত্তর: গ) গ্রাফাইট

ব্যাখ্যা: গ্রাফাইট কার্বনের একটি রূপভেদ যা অধাতু হওয়া সত্ত্বেও বিদ্যুৎ পরিবহন করে।

প্রশ্ন ২১: ধাতুর অক্সাইডসমূহ সাধারণত কেমন প্রকৃতির হয়?

ক) এসিডীয়

খ) ক্ষারীয়

গ) নিরপেক্ষ

ঘ) উভধর্মী

সঠিক উত্তর: খ) ক্ষারীয়

ব্যাখ্যা: ধাতুর অক্সাইডসমূহ সাধারণত ক্ষারীয় প্রকৃতির হয়।

প্রশ্ন ২২: অধাতুর অক্সাইডসমূহ সাধারণত কেমন প্রকৃতির হয়?

ক) ক্ষারীয়

খ) এসিডীয়

গ) নিরপেক্ষ

ঘ) উভধর্মী

সঠিক উত্তর: খ) এসিডীয়

ব্যাখ্যা: অধাতুর অক্সাইডসমূহ সাধারণত এসিডীয় প্রকৃতির হয়।

প্রশ্ন ২৩: কোনটি উভধর্মী অক্সাইড?

ক) সোডিয়াম অক্সাইড (Na2​O)

খ) কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2​)

গ) অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড (Al2​O3​)

ঘ) সালফার ডাইঅক্সাইড (SO2​)

সঠিক উত্তর: গ) অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড (Al2​O3​)

ব্যাখ্যা: অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড একটি উভধর্মী অক্সাইড, যা এসিড ও ক্ষারক উভয়ের সাথেই বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে।

প্রশ্ন ২৪: ধাতু এবং অধাতু উভয়ের বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে এমন মৌলকে কী বলা হয়?

ক) অবস্থান্তর মৌল

খ) নিষ্ক্রিয় গ্যাস

গ) ধাতুকল্প

ঘ) তেজস্ক্রিয় মৌল

সঠিক উত্তর: গ) ধাতুকল্প

ব্যাখ্যা: যে সকল মৌল ধাতু এবং অধাতু উভয়ের বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে তাদেরকে ধাতুকল্প বলা হয়। উদাহরণ: বোরন, সিলিকন, জার্মেনিয়াম, আর্সেনিক, অ্যান্টিমনি, টেলুরিয়াম, পোলোনিয়াম।

প্রশ্ন ২৫: কোনটি ধাতুকল্প?

ক) কার্বন

খ) সিলিকন

গ) সোডিয়াম

ঘ) ক্লোরিন

সঠিক উত্তর: খ) সিলিকন

ব্যাখ্যা: সিলিকন একটি ধাতুকল্প।

প্রশ্ন ২৬: প্রকৃতিতে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় কোন ধাতু?

ক) লোহা

খ) অ্যালুমিনিয়াম

গ) কপার

ঘ) সোডিয়াম

সঠিক উত্তর: খ) অ্যালুমিনিয়াম

ব্যাখ্যা: ভূপৃষ্ঠে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায় অ্যালুমিনিয়াম ধাতু।

প্রশ্ন ২৭: প্রকৃতিতে মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় এমন দুটি ধাতু কোনটি?

ক) লোহা ও কপার

খ) সোডিয়াম ও পটাসিয়াম

গ) সোনা ও রুপা

ঘ) জিংক ও সিসা

সঠিক উত্তর: গ) সোনা ও রুপা

ব্যাখ্যা: সোনা ও রুপার সক্রিয়তা খুব কম হওয়ায় এরা প্রকৃতিতে মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।

প্রশ্ন ২৮: মরিচা প্রতিরোধের জন্য লোহার উপর কোন ধাতুর প্রলেপ দেওয়া হয়?

ক) কপার

খ) জিংক

গ) টিন

ঘ) অ্যালুমিনিয়াম

সঠিক উত্তর: খ) জিংক

ব্যাখ্যা: লোহার উপর জিংকের প্রলেপ দিয়ে মরিচা প্রতিরোধ করা হয়, এই প্রক্রিয়াকে গ্যালভানাইজিং বলে।

প্রশ্ন ২৯: টিন প্লেটিং কাকে বলে?

ক) লোহার উপর জিংকের প্রলেপ দেওয়া

খ) লোহার উপর টিনের প্রলেপ দেওয়া

গ) তামার উপর টিনের প্রলেপ দেওয়া

ঘ) অ্যালুমিনিয়ামের উপর টিনের প্রলেপ দেওয়া

সঠিক উত্তর: খ) লোহার উপর টিনের প্রলেপ দেওয়া

ব্যাখ্যা: লোহার উপর টিনের প্রলেপ দেওয়ার প্রক্রিয়াকে টিন প্লেটিং বলে।

প্রশ্ন ৩০: স্টেইনলেস স্টিল তৈরিতে লোহার সাথে সাধারণত কী মেশানো হয়?

ক) কার্বন

খ) ক্রোমিয়াম ও নিকেল

গ) জিংক

ঘ) টিন

সঠিক উত্তর: খ) ক্রোমিয়াম ও নিকেল

ব্যাখ্যা: স্টেইনলেস স্টিল হলো লোহা, ক্রোমিয়াম ও নিকেলের একটি সংকর ধাতু।

প্রশ্ন ৩১: কোন ধাতু প্রকৃতিতে মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় না কারণ এটি খুব সক্রিয়?

ক) সোনা

খ) রুপা

গ) সোডিয়াম

ঘ) প্ল্যাটিনাম

সঠিক উত্তর: গ) সোডিয়াম

ব্যাখ্যা: সোডিয়াম অত্যন্ত সক্রিয় ধাতু হওয়ায় এটি প্রকৃতিতে মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় না, যৌগ হিসেবে থাকে।

প্রশ্ন ৩২: কপারের আকরিক থেকে কপার নিষ্কাশনের জন্য কোন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়?

ক) তড়িৎ বিশ্লেষণ

খ) কার্বন বিজারণ

গ) শুধুমাত্র তাপ প্রয়োগ

ঘ) অ্যালুমিনিয়াম বিজারণ

সঠিক উত্তর: খ) কার্বন বিজারণ

ব্যাখ্যা: কপার একটি মধ্যম সক্রিয় ধাতু হওয়ায় এর আকরিক থেকে কার্বন বিজারণ পদ্ধতিতে কপার নিষ্কাশন করা হয়।

প্রশ্ন ৩৩: অ্যালুমিনিয়াম নিষ্কাশনের জন্য কোন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়?

ক) কার্বন বিজারণ

খ) তড়িৎ বিশ্লেষণ

গ) শুধুমাত্র তাপ প্রয়োগ

ঘ) প্রতিস্থাপন

সঠিক উত্তর: খ) তড়িৎ বিশ্লেষণ

ব্যাখ্যা: অ্যালুমিনিয়াম একটি অধিক সক্রিয় ধাতু হওয়ায় এর আকরিক বক্সাইট থেকে তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে অ্যালুমিনিয়াম নিষ্কাশন করা হয়।

প্রশ্ন ৩৪: লোহার আকরিক থেকে লোহা নিষ্কাশনের জন্য ব্যবহৃত চুল্লীর নাম কী?

ক) বৈদ্যুতিক চুল্লী

খ) মার্টন চুল্লী

গ) ব্লাস্ট ফার্নেস (বাত্যাচুল্লী)

ঘ) চুল্লী

সঠিক উত্তর: গ) ব্লাস্ট ফার্নেস (বাত্যাচুল্লী)

ব্যাখ্যা: লোহার আকরিক হেমাটাইট থেকে লোহা নিষ্কাশনের জন্য ব্লাস্ট ফার্নেস বা বাত্যাচুল্লী ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন ৩৫: ব্লাস্ট ফার্নেসে চুনাপাথর যোগ করার উদ্দেশ্য কী?

ক) তাপ উৎপাদন করা

খ) লোহা বিজারিত করা

গ) খনিজ মল বা গ্যাং দূর করার জন্য ধাতুমল তৈরি করা

ঘ) অক্সিজেন সরবরাহ করা

সঠিক উত্তর: গ) খনিজ মল বা গ্যাং দূর করার জন্য ধাতুমল তৈরি করা

ব্যাখ্যা: ব্লাস্ট ফার্নেসে লোহার আকরিকের সাথে থাকা সিলিকা (গ্যাং) দূর করার জন্য ফ্লাক্স হিসেবে চুনাপাথর যোগ করা হয়। চুনাপাথর ভেঙে ক্যালসিয়াম অক্সাইড তৈরি হয়, যা সিলিকার সাথে বিক্রিয়া করে গলিত ক্যালসিয়াম সিলিকেট বা ধাতুমল তৈরি করে।

প্রশ্ন ৩৬: ব্লাস্ট ফার্নেসে কোক (কার্বন) যোগ করার উদ্দেশ্য কী?

ক) ফ্লাক্স হিসেবে কাজ করা

খ) জারক হিসেবে কাজ করা

গ) বিজারক হিসেবে কাজ করা এবং তাপ উৎপাদন করা

ঘ) অনুঘটক হিসেবে কাজ করা

সঠিক উত্তর: গ) বিজারক হিসেবে কাজ করা এবং তাপ উৎপাদন করা

ব্যাখ্যা: ব্লাস্ট ফার্নেসে কোক জ্বালানি হিসেবে তাপ উৎপাদন করে এবং লোহার অক্সাইডকে বিজারিত করে লোহায় পরিণত করে।

প্রশ্ন ৩৭: লোহা নিষ্কাশন প্রক্রিয়ায় ব্লাস্ট ফার্নেসে উৎপন্ন ধাতুমল কী?

ক) লোহার অক্সাইড

খ) ক্যালসিয়াম অক্সাইড

গ) সিলিকন ডাইঅক্সাইড

ঘ) ক্যালসিয়াম সিলিকেট

সঠিক উত্তর: ঘ) ক্যালসিয়াম সিলিকেট

ব্যাখ্যা: ব্লাস্ট ফার্নেসে চুনাপাথর থেকে উৎপন্ন ক্যালসিয়াম অক্সাইড আকরিকের সিলিকা (গ্যাং) এর সাথে বিক্রিয়া করে গলিত ক্যালসিয়াম সিলিকেট বা ধাতুমল তৈরি করে।

প্রশ্ন ৩৮: কোন ধাতুটির সক্রিয়তা জিংকের চেয়ে বেশি কিন্তু ম্যাগনেসিয়ামের চেয়ে কম?

ক) লোহা

খ) অ্যালুমিনিয়াম

গ) ক্যালসিয়াম

ঘ) সোডিয়াম

সঠিক উত্তর: খ) অ্যালুমিনিয়াম

ব্যাখ্যা: সক্রিয়তা সিরিজে ম্যাগনেসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, জিংক, লোহা এই ক্রমে ধাতুগুলো অবস্থান করে। তাই অ্যালুমিনিয়ামের সক্রিয়তা জিংকের চেয়ে বেশি কিন্তু ম্যাগনেসিয়ামের চেয়ে কম।

প্রশ্ন ৩৯: কোন ধাতুটির সক্রিয়তা কপারের চেয়ে বেশি কিন্তু জিংকের চেয়ে কম?

ক) লোহা

খ) সোনা

গ) সোডিয়াম

ঘ) অ্যালুমিনিয়াম

সঠিক উত্তর: ক) লোহা

ব্যাখ্যা: সক্রিয়তা সিরিজে জিংক, লোহা, কপার এই ক্রমে ধাতুগুলো অবস্থান করে। তাই লোহার সক্রিয়তা কপারের চেয়ে বেশি কিন্তু জিংকের চেয়ে কম।

প্রশ্ন ৪০: কোন ধাতুটির সক্রিয়তা রুপার চেয়ে বেশি কিন্তু কপারের চেয়ে কম?

ক) সোনা

খ) প্ল্যাটিনাম

গ) পারদ

ঘ) জিংক

সঠিক উত্তর: গ) পারদ

ব্যাখ্যা: সক্রিয়তা সিরিজে কপার, পারদ, রুপা, সোনা, প্ল্যাটিনাম এই ক্রমে ধাতুগুলো অবস্থান করে। তাই পারদের সক্রিয়তা রুপার চেয়ে বেশি কিন্তু কপারের চেয়ে কম।

Leave a Reply

Scroll to Top