অষ্টম শ্রেনী বিজ্ঞান
ত্রয়োদশ অধ্যায়: খাদ্য ও পুষ্টি
১. জীবদেহে শক্তি উৎপাদন, বৃদ্ধি সাধন, রোগ প্রতিরোধ ও ক্ষয়পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলোকে কী বলে?
ক) ভিটামিন
খ) খনিজ লবণ
গ) খাদ্য
ঘ) পানি
সঠিক উত্তর: গ) খাদ্য
ব্যাখ্যা: জীব যে সকল জৈব উপাদান গ্রহণ করে শক্তি উৎপাদন, বৃদ্ধি সাধন, রোগ প্রতিরোধ এবং ক্ষয়পূরণ করে জীবন ধারণ করে, সেগুলোকে খাদ্য বলে।
২. খাদ্যের প্রধান উপাদান কয়টি?
ক) ৪টি
খ) ৫টি
গ) ৬টি
ঘ) ৭টি
সঠিক উত্তর: গ) ৬টি
ব্যাখ্যা: খাদ্যের প্রধান উপাদান ছয়টি। এগুলো হলো: শর্করা, আমিষ, স্নেহ পদার্থ, ভিটামিন, খনিজ লবণ এবং পানি।
৩. কোন খাদ্য উপাদানটি দেহের গঠন ও বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা পালন করে?
ক) শর্করা
খ) আমিষ
গ) স্নেহ পদার্থ
ঘ) ভিটামিন
সঠিক উত্তর: খ) আমিষ
ব্যাখ্যা: আমিষ বা প্রোটিন দেহের কোষ গঠনে এবং বৃদ্ধি ও মেরামতে প্রধান ভূমিকা পালন করে।
৪. শক্তির প্রধান উৎস কোনটি?
ক) আমিষ
খ) স্নেহ পদার্থ
গ) শর্করা
ঘ) ভিটামিন
সঠিক উত্তর: গ) শর্করা
ব্যাখ্যা: শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট জীবদেহে দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে। এটি শক্তির প্রধান উৎস।
৫. কোন খাদ্য উপাদানটি তাপ ও শক্তি সরবরাহ করে এবং ফ্যাট সলিউবল ভিটামিন শোষণে সাহায্য করে?
ক) শর্করা
খ) আমিষ
গ) স্নেহ পদার্থ
ঘ) খনিজ লবণ
সঠিক উত্তর: গ) স্নেহ পদার্থ
ব্যাখ্যা: স্নেহ পদার্থ বা ফ্যাট শরীরে শক্তি সঞ্চয় করে এবং তাপ উৎপাদন করে। এটি ভিটামিন এ, ডি, ই, কে (ফ্যাট সলিউবল ভিটামিন) শোষণেও সাহায্য করে।
৬. কোন খাদ্য উপাদান রোগ প্রতিরোধে এবং দেহের কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে?
ক) শর্করা ও আমিষ
খ) ভিটামিন ও খনিজ লবণ
গ) স্নেহ পদার্থ ও পানি
ঘ) শর্করা ও স্নেহ পদার্থ
সঠিক উত্তর: খ) ভিটামিন ও খনিজ লবণ
ব্যাখ্যা: ভিটামিন এবং খনিজ লবণ খুব অল্প পরিমাণে প্রয়োজন হলেও দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ এবং বিভিন্ন জৈবিক কার্য সম্পাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৭. দেহের ওজনের প্রায় কত ভাগ পানি?
ক) ৫০-৬০%
খ) ৬০-৭০%
গ) ৭০-৮০%
ঘ) ৮০-৯০%
সঠিক উত্তর: খ) ৬০-৭০%
ব্যাখ্যা: মানবদেহের মোট ওজনের প্রায় ৬০-৭০ ভাগই পানি। পানি দেহের বিভিন্ন জৈবিক প্রক্রিয়ার জন্য অপরিহার্য।
৮. কোন ভিটামিনের অভাবে রাতকানা রোগ হয়?
ক) ভিটামিন বি
খ) ভিটামিন সি
গ) ভিটামিন ডি
ঘ) ভিটামিন এ
সঠিক উত্তর: ঘ) ভিটামিন এ
ব্যাখ্যা: ভিটামিন এ এর অভাবে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা হয়, বিশেষ করে কম আলোতে দেখতে অসুবিধা হয়, যা রাতকানা রোগ নামে পরিচিত।
৯. কোন ভিটামিনের অভাবে স্কার্ভি রোগ হয়?
ক) ভিটামিন এ
খ) ভিটামিন বি
গ) ভিটামিন সি
ঘ) ভিটামিন ডি
সঠিক উত্তর: গ) ভিটামিন সি
ব্যাখ্যা: ভিটামিন সি বা অ্যাসকরবিক এসিডের অভাবে স্কার্ভি রোগ হয়, যার ফলে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায় ও রক্তপাত হয়।
১০. কোন ভিটামিনের অভাবে রিকেটস রোগ হয়?
ক) ভিটামিন বি
খ) ভিটামিন সি
গ) ভিটামিন ডি
ঘ) ভিটামিন ই
সঠিক উত্তর: গ) ভিটামিন ডি
ব্যাখ্যা: ভিটামিন ডি এর অভাবে শিশুদের হাড় নরম হয়ে যায় এবং বেঁকে যায়, এই রোগকে রিকেটস বলে। প্রাপ্তবয়স্কদের অস্টিওম্যালাসিয়া হয়।
১১. সূর্যের আলোতে কোন ভিটামিন তৈরি হতে সাহায্য করে?
ক) ভিটামিন এ
খ) ভিটামিন সি
গ) ভিটামিন ডি
ঘ) ভিটামিন কে
সঠিক উত্তর: গ) ভিটামিন ডি
ব্যাখ্যা: সূর্যের আলোর অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে ত্বকে ভিটামিন ডি সংশ্লেষিত হয়।
১২. কোন খনিজ লবণ রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরিতে প্রয়োজন হয়?
ক) ক্যালসিয়াম
খ) ফসফরাস
গ) লৌহ
ঘ) আয়োডিন
সঠিক উত্তর: গ) লৌহ
ব্যাখ্যা: লৌহ বা আয়রন রক্তের লোহিত কণিকায় অক্সিজেন বহনকারী প্রোটিন হিমোগ্লোবিন তৈরিতে অত্যাবশ্যকীয়।
১৩. কোন খনিজ লবণের অভাবে গলগণ্ড রোগ হয়?
ক) ক্যালসিয়াম
খ) লৌহ
গ) আয়োডিন
ঘ) সোডিয়াম
সঠিক উত্তর: গ) আয়োডিন
ব্যাখ্যা: আয়োডিনের অভাবে থাইরয়েড গ্রন্থি ফুলে যায়, যা গলগণ্ড রোগ নামে পরিচিত।
১৪. হাড় ও দাঁত গঠনে প্রধান ভূমিকা পালন করে কোন খনিজ লবণ?
ক) লৌহ
খ) আয়োডিন
গ) ক্যালসিয়াম
ঘ) পটাসিয়াম
সঠিক উত্তর: গ) ক্যালসিয়াম
ব্যাখ্যা: ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁতের প্রধান উপাদান এবং এদের গঠনে ও মজবুত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১৫. মস্তিষ্কের সঠিক বৃদ্ধি এবং কার্যকারিতার জন্য কোন উপাদানটি প্রয়োজন?
ক) ক্যালসিয়াম
খ) ফসফরাস
গ) আয়োডিন
ঘ) সোডিয়াম
সঠিক উত্তর: গ) আয়োডিন
ব্যাখ্যা: আয়োডিন থাইরয়েড হরমোন তৈরিতে প্রয়োজন হয়, যা মস্তিষ্কের সঠিক বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য অপরিহার্য।
১৬. কোন খাদ্য উপাদানটি আঁশযুক্ত খাবার বা রাফেজ নামে পরিচিত এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে?
ক) শর্করা
খ) আমিষ
গ) ভিটামিন
ঘ) শস্য ও সবজির অপাচ্য অংশ
সঠিক উত্তর: ঘ) শস্য ও সবজির অপাচ্য অংশ
ব্যাখ্যা: শস্য, সবজি এবং ফলের আঁশযুক্ত অংশ বা রাফেজ সরাসরি পরিপাক না হলেও এটি মল তৈরিতে এবং সহজে মলের নিষ্কাশনে সাহায্য করে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
১৭. সুষম খাদ্য কাকে বলে?
ক) যে খাদ্যে প্রচুর শর্করা থাকে
খ) যে খাদ্যে সব ধরনের ভিটামিন থাকে
গ) যে খাদ্যে দেহের প্রয়োজনীয় সকল খাদ্য উপাদান সঠিক পরিমাণে থাকে
ঘ) যে খাদ্যে শুধু আমিষ ও শর্করা থাকে
সঠিক উত্তর: গ) যে খাদ্যে দেহের প্রয়োজনীয় সকল খাদ্য উপাদান সঠিক পরিমাণে থাকে
ব্যাখ্যা: সুষম খাদ্য হলো সেই খাদ্য তালিকা যেখানে শরীরের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সকল খাদ্য উপাদান সঠিক অনুপাতে এবং পরিমাণে উপস্থিত থাকে।
১৮. ক্যালরি কী?
ক) শক্তির একক
খ) ভরের একক
গ) তাপমাত্রার একক
ঘ) ঘনত্বের একক
সঠিক উত্তর: ক) শক্তির একক
ব্যাখ্যা: খাদ্য শক্তির পরিমাপের একক হলো ক্যালরি। ১ ক্যালরি হলো ১ কিলোগ্রাম পানির তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনীয় তাপশক্তি। খাদ্য শক্তির বড় একক হলো কিলোক্যালরি (kcal)।
১৯. দেহের প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ না করলে কী হয়?
ক) পুষ্টিহীনতা
খ) অতিরিক্ত পুষ্টি
গ) দেহের ওজন বৃদ্ধি পায়
ঘ) দেহের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
সঠিক উত্তর: ক) পুষ্টিহীনতা
ব্যাখ্যা: দেহের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সঠিক পরিমাণে গ্রহণ না করলে পুষ্টিহীনতা দেখা দেয়, যার ফলে বিভিন্ন রোগ এবং শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।
২০. ফাস্ট ফুড বা জাঙ্ক ফুড কেন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?
ক) এগুলোতে প্রচুর ভিটামিন থাকে
খ) এগুলোতে প্রচুর খনিজ লবণ থাকে
গ) এগুলোতে অতিরিক্ত শর্করা, স্নেহ পদার্থ এবং লবণ থাকে এবং পুষ্টি উপাদান কম থাকে
ঘ) এগুলোতে প্রচুর পানি থাকে
সঠিক উত্তর: গ) এগুলোতে অতিরিক্ত শর্করা, স্নেহ পদার্থ এবং লবণ থাকে এবং পুষ্টি উপাদান কম থাকে
ব্যাখ্যা: ফাস্ট ফুড বা জাঙ্ক ফুডে ক্যালরির পরিমাণ বেশি থাকে কিন্তু প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ লবণ এবং আঁশের পরিমাণ কম থাকে। অতিরিক্ত গ্রহণে স্থূলতা, হৃদরোগ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
২১. কোন পদ্ধতিতে খাদ্য সংরক্ষণ করলে খাদ্যের পুষ্টিগুণ সবচেয়ে বেশি বজায় থাকে?
ক) শুষ্ককরণ
খ) ফ্রিজিং
গ) লবণ দিয়ে সংরক্ষণ
ঘ) চিনি দিয়ে সংরক্ষণ
সঠিক উত্তর: খ) ফ্রিজিং
ব্যাখ্যা: ফ্রিজিং বা হিমাগারে খাদ্য সংরক্ষণ করলে তাপমাত্রা অনেক কমিয়ে দেওয়া হয়, যা অণুজীবের বংশবৃদ্ধি প্রায় সম্পূর্ণ থামিয়ে দেয় এবং খাদ্যের পুষ্টিগুণ ও স্বাদ অনেকাংশে বজায় থাকে।
২২. খাদ্য পরিপাকের সময় জটিল খাদ্য উপাদানগুলো কীসে পরিণত হয়?
ক) আরও জটিল উপাদানে
খ) সরল ও শোষণযোগ্য উপাদানে
গ) শক্তিতে
ঘ) বর্জ্য পদার্থে
সঠিক উত্তর: খ) সরল ও শোষণযোগ্য উপাদানে
ব্যাখ্যা: পরিপাক প্রক্রিয়ায় জটিল খাদ্য উপাদানগুলো এনজাইমের সহায়তায় ভেঙে সরল ও শোষণযোগ্য উপাদানে পরিণত হয় যা রক্তে মিশে দেহের বিভিন্ন অংশে সরবরাহ হয়।
২৩. খাদ্য শৃঙ্খল কাকে বলে?
ক) খাদ্য উপাদানগুলোর তালিকা
খ) একটি জীব অন্য জীবকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে যে ধারা তৈরি করে
গ) খাদ্য সংরক্ষণের পদ্ধতি
ঘ) খাদ্য তৈরির প্রক্রিয়া
সঠিক উত্তর: খ) একটি জীব অন্য জীবকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে যে ধারা তৈরি করে
ব্যাখ্যা: খাদ্য শৃঙ্খল হলো পরিবেশে জীব থেকে জীবন্তরের খাদ্য শক্তি প্রবাহের একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া, যেখানে একটি জীব অন্য জীবকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে।
২৪. খাদ্য পিরামিড কাকে বলে?
ক) বিভিন্ন স্তরের জীবের সংখ্যার চিত্র
খ) বিভিন্ন খাদ্য উপাদানের চিত্র
গ) বিভিন্ন খাদ্য গোষ্ঠীকে তাদের পুষ্টিমূল্য অনুযায়ী স্তরে স্তরে সাজানো চিত্র
ঘ) খাদ্যের শক্তি প্রবাহের চিত্র
সঠিক উত্তর: গ) বিভিন্ন খাদ্য গোষ্ঠীকে তাদের পুষ্টিমূল্য অনুযায়ী স্তরে স্তরে সাজানো চিত্র
ব্যাখ্যা: খাদ্য পিরামিড হলো একটি চিত্র যেখানে বিভিন্ন খাদ্য গোষ্ঠীকে তাদের পুষ্টিমূল্য এবং দৈনিক প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে বিভিন্ন স্তরে সাজানো হয়, যা সুষম খাদ্য নির্বাচনের নির্দেশনা দেয়।
২৫. কোন খাদ্যটি প্রোটিনের ভালো উৎস?
ক) ভাত
খ) রুটি
গ) ডাল
ঘ) আলু
সঠিক উত্তর: গ) ডাল
ব্যাখ্যা: ডাল হলো উদ্ভিদভিত্তিক প্রোটিনের একটি উৎকৃষ্ট উৎস। ভাত এবং রুটি প্রধানত শর্করার উৎস। আলু শর্করা এবং কিছু ভিটামিন ও খনিজ লবণ সরবরাহ করে।
২৬. কোন খাদ্যটি শর্করার ভালো উৎস?
ক) মাছ
খ) মাংস
গ) ভাত
ঘ) ডিম
সঠিক উত্তর: গ) ভাত
ব্যাখ্যা: ভাত প্রধানত শর্করার উৎস যা দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে। মাছ, মাংস এবং ডিম প্রধানত আমিষের উৎস।
২৭. খাদ্য অপচয় রোধ করা কেন জরুরি?
ক) খাদ্যের দাম কমানোর জন্য
খ) পরিবেশ দূষণ কমানোর জন্য
গ) খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এবং অর্থনৈতিক সাশ্রয়ের জন্য
ঘ) শুধু মাত্র একটি অভ্যাস
সঠিক উত্তর: গ) খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এবং অর্থনৈতিক সাশ্রয়ের জন্য
ব্যাখ্যা: খাদ্য অপচয় রোধ করা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি খাদ্যের অভাব দূর করতে সাহায্য করে, অর্থনৈতিক অপচয় কমায় এবং পরিবেশের উপর চাপ হ্রাস করে।
২৮. খাদ্যে ভেজাল মেশানো কেন শাস্তিযোগ্য অপরাধ?
ক) খাদ্যের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য
খ) খাদ্যের স্বাদ বাড়ানোর জন্য
গ) এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর
ঘ) খাদ্যের রং সুন্দর করার জন্য
সঠিক উত্তর: গ) এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর
ব্যাখ্যা: খাদ্যে ভেজাল মেশানো হলে তাতে বিষাক্ত বা ক্ষতিকর পদার্থ থাকতে পারে যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে এবং বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে।
২৯. কোনটি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট?
ক) শর্করা
খ) আমিষ
গ) ভিটামিন
ঘ) স্নেহ পদার্থ
সঠিক উত্তর: গ) ভিটামিন
ব্যাখ্যা: ভিটামিন এবং খনিজ লবণ খুব অল্প পরিমাণে প্রয়োজন হয় বলে এদের মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট বলা হয়। শর্করা, আমিষ এবং স্নেহ পদার্থ বেশি পরিমাণে প্রয়োজন হয় বলে এদের ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট বলা হয়।
৩০. কোনটি ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট?
ক) ভিটামিন সি
খ) আয়রন
গ) পানি
ঘ) ক্যালসিয়াম
সঠিক উত্তর: গ) পানি
ব্যাখ্যা: পানি, শর্করা, আমিষ এবং স্নেহ পদার্থ ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট এর অন্তর্ভুক্ত কারণ এগুলো দেহের জন্য অপেক্ষাকৃত বেশি পরিমাণে প্রয়োজন। ভিটামিন সি, আয়রন এবং ক্যালসিয়াম মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট।