SSC অর্থনীতি | | ষষ্ঠ অধ্যায়: জাতীয় আয় ও এর পরিমাপ MCQ

SSC অর্থনীতি

ষষ্ঠ অধ্যায়: জাতীয় আয় ও এর পরিমাপ


১. একটি নির্দিষ্ট সময়ে (সাধারণত এক বছরে) একটি দেশের সকল নাগরিক মোট যে পরিমাণ চূড়ান্ত দ্রব্য ও সেবা উৎপাদন করে তার আর্থিক মূল্যকে কী বলে?
ক) মোট দেশজ উৎপাদন (GDP)
খ) মোট জাতীয় উৎপাদন (GNP) বা জাতীয় আয়
গ) নীট জাতীয় উৎপাদন (NNP)
ঘ) মাথাপিছু আয় (PCI)

সঠিক উত্তর: খ) মোট জাতীয় উৎপাদন (GNP) বা জাতীয় আয়

ব্যাখ্যা: একটি নির্দিষ্ট সময়ে, সাধারণত এক বছরে, কোনো দেশের জনগণ মোট যে পরিমাণ চূড়ান্ত দ্রব্যসামগ্রী ও সেবাকর্ম উৎপাদন করে তার আর্থিক মূল্যের সমষ্টিকে মোট জাতীয় উৎপাদন বা সংক্ষেপে জাতীয় আয় (National Income) বলে।

২. একটি দেশের অভ্যন্তরে দেশি ও বিদেশি নাগরিক দ্বারা একটি নির্দিষ্ট সময়ে (সাধারণত এক বছরে) উৎপাদিত চূড়ান্ত দ্রব্য ও সেবার মোট আর্থিক মূল্যকে কী বলে?
ক) মোট জাতীয় উৎপাদন (GNP)
খ) মোট দেশজ উৎপাদন (GDP)
গ) নীট দেশজ উৎপাদন (NDP)
ঘ) ব্যক্তিগত আয় (PI)

সঠিক উত্তর: খ) মোট দেশজ উৎপাদন (GDP)

ব্যাখ্যা: একটি নির্দিষ্ট সময়ে, সাধারণত এক বছরে, একটি দেশের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে দেশি ও বিদেশি নাগরিক দ্বারা উৎপাদিত সকল চূড়ান্ত দ্রব্য ও সেবার মোট আর্থিক মূল্যকে মোট দেশজ উৎপাদন (GDP) বলে।

৩. GNP ও GDP-এর মধ্যে মূল পার্থক্যকারী বিষয় কোনটি?
ক) অবচয় খরচ
খ) নিট বৈদেশিক আয় (NFI)
গ) পরোক্ষ কর
ঘ) ভর্তুকি

সঠিক উত্তর: খ) নিট বৈদেশিক আয় (NFI)

ব্যাখ্যা: GNP = GDP + নিট বৈদেশিক আয় (NFI)। নিট বৈদেশিক আয় হলো দেশের বাইরে অবস্থানরত দেশীয় নাগরিকদের আয় এবং দেশের অভ্যন্তরে অবস্থানরত বিদেশিদের আয়ের পার্থক্য।

৪. মোট জাতীয় উৎপাদন (GNP) থেকে মূলধনের ব্যবহারজনিত ক্ষয় ক্ষতি বা অবচয় (Depreciation) বাদ দিলে কী পাওয়া যায়?
ক) মোট দেশজ উৎপাদন (GDP)
খ) নীট জাতীয় উৎপাদন (NNP)
গ) ব্যক্তিগত আয় (PI)
ঘ) ব্যয়যোগ্য আয় (DPI)

সঠিক উত্তর: খ) নীট জাতীয় উৎপাদন (NNP)

ব্যাখ্যা: মোট জাতীয় উৎপাদন (GNP) থেকে মূলধনী দ্রব্যের ব্যবহারজনিত ক্ষয়ক্ষতি বা অবচয় (Depreciation/CCA) বাদ দিলে যা অবশিষ্ট থাকে তাকে নীট জাতীয় উৎপাদন (NNP) বলে। অর্থাৎ, NNP = GNP – CCA।

৫. নীট জাতীয় উৎপাদন (NNP) থেকে পরোক্ষ কর বাদ দিয়ে এবং ভর্তুকি যোগ করলে কী পাওয়া যায়?
ক) জাতীয় আয় (NI) বা উপকরণ ব্যয়ে নীট জাতীয় আয়
খ) ব্যক্তিগত আয় (PI)
গ) মোট দেশজ উৎপাদন (GDP)
ঘ) মাথাপিছু আয় (PCI)

সঠিক উত্তর: ক) জাতীয় আয় (NI) বা উপকরণ ব্যয়ে নীট জাতীয় আয়

ব্যাখ্যা: বাজার দামে নীট জাতীয় উৎপাদন (NNP) থেকে পরোক্ষ কর (Indirect Tax) বাদ দিয়ে এবং সরকারি ভর্তুকি (Subsidy) যোগ করলে যা পাওয়া যায় তাকে জাতীয় আয় (NI) বা উপকরণ ব্যয়ে নীট জাতীয় আয় বলে। NI = NNP at market price – Indirect Tax + Subsidy।

৬. ব্যক্তিগত আয় (PI) বলতে কী বোঝায়?
ক) দেশের সকল নাগরিকের মোট আয়।
খ) একটি দেশের জনগণ বিভিন্ন উৎস থেকে যে আয় লাভ করে তার সমষ্টি।
গ) শুধুমাত্র উৎপাদনের উপকরণ থেকে প্রাপ্ত আয়।
ঘ) কর পরিশোধের পর অবশিষ্ট আয়।

সঠিক উত্তর: খ) একটি দেশের জনগণ বিভিন্ন উৎস থেকে যে আয় লাভ করে তার সমষ্টি।

ব্যাখ্যা: ব্যক্তিগত আয় (Personal Income) হলো একটি দেশের জনগণ বিভিন্ন উৎস যেমন – উৎপাদনের উপকরণ থেকে প্রাপ্ত আয় (মজুরি, খাজনা, সুদ, মুনাফা) এবং হস্তান্তর পাওনা (যেমন – বেকার ভাতা, বয়স্ক ভাতা ইত্যাদি) বাবদ যে মোট অর্থ লাভ করে তার সমষ্টি।

৭. ব্যক্তিগত আয় (PI) থেকে ব্যক্তিগত প্রত্যক্ষ কর (যেমন – আয়কর) বাদ দিলে কী পাওয়া যায়?
ক) জাতীয় আয় (NI)
খ) ব্যয়যোগ্য আয় (DPI)
গ) মোট জাতীয় উৎপাদন (GNP)
ঘ) নীট জাতীয় উৎপাদন (NNP)

সঠিক উত্তর: খ) ব্যয়যোগ্য আয় (DPI)

ব্যাখ্যা: ব্যক্তিগত আয় (PI) থেকে যখন ব্যক্তিগত প্রত্যক্ষ কর (যেমন – আয়কর) বাদ দেওয়া হয়, তখন যা অবশিষ্ট থাকে তাকে ব্যয়যোগ্য ব্যক্তিগত আয় বা সংক্ষেপে ব্যয়যোগ্য আয় (Disposable Personal Income – DPI) বলে।

৮. কোনো দেশের মোট জাতীয় আয়কে সেই দেশের মোট জনসংখ্যা দ্বারা ভাগ করলে কী পাওয়া যায়?
ক) মোট দেশজ উৎপাদন (GDP)
খ) নীট জাতীয় উৎপাদন (NNP)
গ) মাথাপিছু আয় (PCI)
ঘ) ব্যক্তিগত আয় (PI)

স ट्रिक উত্তর: গ) মাথাপিছু আয় (PCI)

ব্যাখ্যা: কোনো দেশের মোট জাতীয় আয়কে সেই দেশের মোট জনসংখ্যা দ্বারা ভাগ করলে মাথাপিছু আয় (Per Capita Income – PCI) পাওয়া যায়।

৯. জাতীয় আয় পরিমাপের প্রধান পদ্ধতি কয়টি?
ক) দুটি
খ) তিনটি
গ) চারটি
ঘ) পাঁচটি

সঠিক উত্তর: খ) তিনটি

ব্যাখ্যা: জাতীয় আয় পরিমাপের জন্য প্রধানত তিনটি পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। যথা: (১) উৎপাদন পদ্ধতি, (২) আয় পদ্ধতি এবং (৩) ব্যয় পদ্ধতি।

১০. উৎপাদন পদ্ধতিতে জাতীয় আয় পরিমাপের সময় কোন বিষয়টি পরিহার করতে হয়?
ক) চূড়ান্ত দ্রব্যের মূল্য গণনা
খ) দ্বৈত গণনা সমস্যা
গ) অবচয় খরচ গণনা
ঘ) পরোক্ষ কর গণনা

সঠিক উত্তর: খ) দ্বৈত গণনা সমস্যা

ব্যাখ্যা: উৎপাদন পদ্ধতিতে জাতীয় আয় পরিমাপের ক্ষেত্রে একটি প্রধান সমস্যা হলো দ্বৈত গণনা (Double Counting)। এই সমস্যা এড়ানোর জন্য শুধুমাত্র চূড়ান্ত দ্রব্য ও সেবার মূল্য অথবা প্রতিটি স্তরে সৃষ্ট মূল্য সংযোজন (Value Added) গণনা করা হয়।

১১. আয় পদ্ধতিতে জাতীয় আয় পরিমাপের সময় কোন উপাদানটি অন্তর্ভুক্ত হয় না?
ক) মজুরি ও বেতন
খ) মুনাফা
গ) হস্তান্তর পাওনা (Transfer Payments)
ঘ) খাজনা ও ভাড়া

সঠিক উত্তর: গ) হস্তান্তর পাওনা (Transfer Payments)

ব্যাখ্যা: আয় পদ্ধতিতে উৎপাদনের উপকরণসমূহের (ভূমি, শ্রম, মূলধন, সংগঠন) আয় (খাজনা, মজুরি, সুদ, মুনাফা) যোগ করে জাতীয় আয় পরিমাপ করা হয়। হস্তান্তর পাওনা (যেমন – বেকার ভাতা, পেনশন ইত্যাদি) কোনো উৎপাদনমূলক কাজের বিনিময়ে অর্জিত হয় না বলে এটি জাতীয় আয়ের অন্তর্ভুক্ত হয় না।

১২. ব্যয় পদ্ধতিতে জাতীয় আয় পরিমাপের সময় কোন ধরনের ব্যয় অন্তর্ভুক্ত হয়?
ক) শুধুমাত্র সরকারি ব্যয়
খ) শুধুমাত্র ব্যক্তিগত ভোগ ব্যয়
গ) সমাজের মোট ভোগ ব্যয়, বিনিয়োগ ব্যয়, সরকারি ব্যয় এবং নিট রপ্তানি
ঘ) শুধুমাত্র মূলধন দ্রব্য ক্রয়ের ব্যয়

সঠিক উত্তর: গ) সমাজের মোট ভোগ ব্যয়, বিনিয়োগ ব্যয়, সরকারি ব্যয় এবং নিট রপ্তানি

ব্যাখ্যা: ব্যয় পদ্ধতিতে একটি নির্দিষ্ট সময়ে সমাজের সকল প্রকার চূড়ান্ত ব্যয়ের সমষ্টি দ্বারা জাতীয় আয় পরিমাপ করা হয়। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকে ব্যক্তিগত ভোগ ব্যয় (C), মোট বিনিয়োগ ব্যয় (I), সরকারি ব্যয় (G) এবং নিট রপ্তানি (X-M)।

১৩. “মূল্য সংযোজন” (Value Added) পদ্ধতি কোন পদ্ধতিতে জাতীয় আয় পরিমাপের সময় ব্যবহৃত হয়?
ক) আয় পদ্ধতি
খ) ব্যয় পদ্ধতি
গ) উৎপাদন পদ্ধতি
ঘ) ভোগ পদ্ধতি

সঠিক উত্তর: গ) উৎপাদন পদ্ধতি

ব্যাখ্যা: দ্বৈত গণনা সমস্যা এড়ানোর জন্য উৎপাদন পদ্ধতিতে প্রতিটি উৎপাদন স্তরে সৃষ্ট নতুন উপযোগ বা মূল্য সংযোজন (Value Added) যোগ করে জাতীয় আয় নির্ণয় করা হয়।

১৪. জাতীয় আয় গণনার অসুবিধা কোনটি?
ক) তথ্যের সহজলভ্যতা
খ) অর্থের মূল্যের স্থিতিশীলতা
গ) অবাণিজ্যিক লেনদেন ও স্ব-ভোগকৃত দ্রব্যের হিসাবের সমস্যা
ঘ) সকল পেশার আয়ের সঠিক হিসাব

সঠিক উত্তর: গ) অবাণিজ্যিক লেনদেন ও স্ব-ভোগকৃত দ্রব্যের হিসাবের সমস্যা

ব্যাখ্যা: জাতীয় আয় গণনার ক্ষেত্রে অনেক অসুবিধা রয়েছে, যেমন – নির্ভরযোগ্য তথ্যের অভাব, দ্বৈত গণনার সম্ভাবনা, অবাণিজ্যিক লেনদেন (যেমন – গৃহিণীর কাজ) ও স্ব-ভোগকৃত দ্রব্যের মূল্যায়নের সমস্যা, মূলধনের অবচয় সঠিকভাবে নির্ণয়ের সমস্যা ইত্যাদি।

১৫. জাতীয় আয় হিসাব কেন গুরুত্বপূর্ণ?
ক) শুধুমাত্র কর নির্ধারণের জন্য।
খ) শুধুমাত্র বৈদেশিক সাহায্য পাওয়ার জন্য।
গ) দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ও উন্নয়নের গতিধারা বোঝার জন্য, অর্থনৈতিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও নীতি নির্ধারণের জন্য।
ঘ) শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পরিমাণ জানার জন্য।

সঠিক উত্তর: গ) দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ও উন্নয়নের গতিধারা বোঝার জন্য, অর্থনৈতিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও নীতি নির্ধারণের জন্য।

ব্যাখ্যা: জাতীয় আয়ের হিসাব একটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার চিত্র তুলে ধরে, অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিপ্রকৃতি নির্দেশ করে, বিভিন্ন খাতের অবদান তুলনা করতে সাহায্য করে, অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও নীতি নির্ধারণে সহায়তা করে এবং জীবনযাত্রার মান সম্পর্কে ধারণা দেয়।

১৬. একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান সূচক কী?
ক) মোট জনসংখ্যা বৃদ্ধি
খ) মাথাপিছু প্রকৃত জাতীয় আয় বৃদ্ধি
গ) মোট সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি
ঘ) মোট আমদানি বৃদ্ধি

সঠিক উত্তর: খ) মাথাপিছু প্রকৃত জাতীয় আয় বৃদ্ধি

ব্যাখ্যা: একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম প্রধান সূচক হলো মাথাপিছু প্রকৃত জাতীয় আয়ের ধারাবাহিক বৃদ্ধি।

১৭. GDP ও GNP এর মধ্যে কোনটি একটি দেশের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে উৎপাদনের উপর জোর দেয়?
ক) GNP
খ) GDP
গ) NNP
ঘ) NI

সঠিক উত্তর: খ) GDP

ব্যাখ্যা: মোট দেশজ উৎপাদন (GDP) একটি দেশের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে উৎপাদিত দ্রব্য ও সেবার মোট আর্থিক মূল্যকে বোঝায়, যেখানে উৎপাদনকারী দেশি বা বিদেশি হতে পারে।

১৮. বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিদের আয় বাংলাদেশের কোন হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হবে?
ক) GDP
খ) GNP
গ) NDP
ঘ) শুধুমাত্র ব্যক্তিগত আয়ে

সঠিক উত্তর: খ) GNP

ব্যাখ্যা: মোট জাতীয় উৎপাদন (GNP) গণনার সময় দেশের নাগরিকদের দ্বারা দেশে ও বিদেশে উৎপাদিত আয়ের সমষ্টি বিবেচনা করা হয়। তাই বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিদের আয় GNP-তে অন্তর্ভুক্ত হয়।

১৯. বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশিদের আয় বাংলাদেশের GDP-তে অন্তর্ভুক্ত হলেও GNP থেকে কী করা হয়?
ক) যোগ করা হয়
খ) বাদ দেওয়া হয়
গ) অপরিবর্তিত রাখা হয়
ঘ) দ্বিগুণ গণনা করা হয়

সঠিক উত্তর: খ) বাদ দেওয়া হয়

ব্যাখ্যা: GNP = GDP + (দেশের নাগরিকদের দেশের বাইরে থেকে আয় – বিদেশিদের দেশের অভ্যন্তর থেকে আয়)। সুতরাং, বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশিদের আয় GDP-তে অন্তর্ভুক্ত হলেও GNP থেকে বাদ যায় (নিট বৈদেশিক আয়ের অংশ হিসেবে)।

২০. পরোক্ষ কর (Indirect Tax) জাতীয় আয়ের কোন ধারণার সাথে সম্পর্কিত?
ক) উপকরণ ব্যয়ে জাতীয় আয়
খ) বাজার দামে জাতীয় আয়
গ) মোট দেশজ উৎপাদন
ঘ) ব্যক্তিগত আয়

স ट्रिक উত্তর: খ) বাজার দামে জাতীয় আয়

ব্যাখ্যা: বাজার দামে জাতীয় আয় (NNP at market price) থেকে পরোক্ষ কর বাদ দিলে এবং ভর্তুকি যোগ করলে উপকরণ ব্যয়ে জাতীয় আয় (NI) পাওয়া যায়।

২১. সরকারি ভর্তুকি (Subsidy) জাতীয় আয়ের কোন ধারণায় যোগ করা হয়?
ক) বাজার দামে NNP থেকে NI নির্ণয়ে
খ) GDP থেকে GNP নির্ণয়ে
গ) ব্যক্তিগত আয় থেকে ব্যয়যোগ্য আয় নির্ণয়ে
ঘ) মোট উৎপাদন থেকে নীট উৎপাদন নির্ণয়ে

সঠিক উত্তর: ক) বাজার দামে NNP থেকে NI নির্ণয়ে

ব্যাখ্যা: জাতীয় আয় (NI) = বাজার দামে নীট জাতীয় উৎপাদন (NNP at market price) – পরোক্ষ কর + সরকারি ভর্তুকি।

২২. মূলধনী দ্রব্যের ব্যবহারজনিত ক্ষয়-ক্ষতিকে কী বলে?
ক) নীট বিনিয়োগ
খ) অবচয় (Depreciation) বা মূলধন ব্যবহারজনিত ভাতা (CCA)
গ) মোট বিনিয়োগ
ঘ) প্রকৃত বিনিয়োগ

সঠিক উত্তর: খ) অবচয় (Depreciation) বা মূলধন ব্যবহারজনিত ভাতা (CCA)

ব্যাখ্যা: উৎপাদন কার্যে ব্যবহৃত মূলধনী যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদির ব্যবহারজনিত ক্ষয়-ক্ষতি বা মূল্য হ্রাসকে অবচয় বা মূলধন ব্যবহারজনিত ভাতা (Capital Consumption Allowance – CCA) বলে।

২৩. কোন পদ্ধতিতে সমাজের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের দ্বারা বিভিন্ন খাতে ব্যয়ের সমষ্টি গণনা করে জাতীয় আয় পরিমাপ করা হয়?
ক) উৎপাদন পদ্ধতি
খ) আয় পদ্ধতি
গ) ব্যয় পদ্ধতি
ঘ) মূল্য সংযোজন পদ্ধতি

সঠিক উত্তর: গ) ব্যয় পদ্ধতি

ব্যাখ্যা: ব্যয় পদ্ধতিতে একটি নির্দিষ্ট সময়ে সমাজের সকল ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং সরকার কর্তৃক চূড়ান্ত দ্রব্য ও সেবা ক্রয়ের জন্য যে মোট অর্থ ব্যয় করা হয় তার সমষ্টিকে জাতীয় আয় হিসেবে গণ্য করা হয়।

২৪. জাতীয় আয় পরিমাপে “অবৈধ উপায়ে অর্জিত আয়” অন্তর্ভুক্ত করা হয় কি?
ক) হ্যাঁ, করা হয়
খ) না, করা হয় না
গ) আংশিকভাবে করা হয়
ঘ) শুধুমাত্র করযোগ্য হলে করা হয়

সঠিক উত্তর: খ) না, করা হয় না

ব্যাখ্যা: জাতীয় আয় পরিমাপের সময় সাধারণত অবৈধ উপায়ে অর্জিত আয় (যেমন – চোরাচালান, কালোবাজারি থেকে আয়) অন্তর্ভুক্ত করা হয় না।

২৫. কোন ধরনের লেনদেন জাতীয় আয় পরিমাপে দ্বৈত গণনার সৃষ্টি করতে পারে?
ক) চূড়ান্ত দ্রব্যের লেনদেন
খ) মধ্যবর্তী দ্রব্যের লেনদেন
গ) সেবাকর্মের লেনদেন
ঘ) মূলধনী দ্রব্যের লেনদেন

সঠিক উত্তর: খ) মধ্যবর্তী দ্রব্যের লেনদেন

ব্যাখ্যা: জাতীয় আয় পরিমাপে যদি চূড়ান্ত দ্রব্যের মূল্যের সাথে মধ্যবর্তী দ্রব্যের মূল্যও গণনা করা হয়, তাহলে দ্বৈত গণনার সমস্যা দেখা দেয়।

২৬. জীবনযাত্রার মান নির্ধারণে জাতীয় আয়ের কোন ধারণাটি বেশি উপযোগী?
ক) মোট জাতীয় উৎপাদন (GNP)
খ) মোট দেশজ উৎপাদন (GDP)
গ) মাথাপিছু আয় (PCI)
ঘ) নীট জাতীয় উৎপাদন (NNP)

স ट्रिक উত্তর: গ) মাথাপিছু আয় (PCI)

ব্যাখ্যা: মাথাপিছু আয় একটি দেশের জনগণের গড় আয় নির্দেশ করে, যা জীবনযাত্রার মান সম্পর্কে ধারণা দেয়। তবে এর সাথে আয়ের বণ্টনও গুরুত্বপূর্ণ।

২৭. “X – M” দ্বারা জাতীয় আয়ের কোন উপাদানটি বোঝানো হয়?
ক) মোট ভোগ ব্যয়
খ) মোট বিনিয়োগ ব্যয়
গ) সরকারি ব্যয়
ঘ) নিট রপ্তানি (রপ্তানি – আমদানি)

স ट्रिक উত্তর: ঘ) নিট রপ্তানি (রপ্তানি – আমদানি)

ব্যাখ্যা: ব্যয় পদ্ধতিতে জাতীয় আয় গণনায় Y = C + I + G + (X-M) সমীকরণে (X-M) দ্বারা নিট রপ্তানি বোঝায়, যেখানে X হলো রপ্তানি এবং M হলো আমদানি।

২৮. গৃহস্থালির কাজ (যেমন – মায়ের রান্না বা সন্তানের যত্ন) জাতীয় আয়ের হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয় না কেন?
ক) কারণ এগুলো উৎপাদনমূলক কাজ নয়।
খ) কারণ এগুলোর আর্থিক মূল্য নির্ধারণ করা কঠিন এবং এগুলো বাজারে লেনদেন হয় না।
গ) কারণ এগুলো শুধুমাত্র নারীরা করে থাকে।
ঘ) কারণ এগুলো সরকারের নির্দেশনার বাইরে।

স ट्रिक উত্তর: খ) কারণ এগুলোর আর্থিক মূল্য নির্ধারণ করা কঠিন এবং এগুলো বাজারে লেনদেন হয় না।

ব্যাখ্যা: জাতীয় আয়ে সাধারণত সেই সমস্ত দ্রব্য ও সেবাকর্ম অন্তর্ভুক্ত করা হয় যা বাজারে ক্রয়-বিক্রয় হয় এবং যার আর্থিক মূল্য সঠিকভাবে নিরূপণ করা যায়। গৃহস্থালির অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাজারে লেনদেন হয় না বলে এবং তাদের মূল্য সঠিকভাবে নিরূপণ করা কঠিন বলে জাতীয় আয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না।

২৯. জাতীয় আয় গণনার মাধ্যমে একটি দেশের অর্থনীতির কোন দিকটি বোঝা যায় না?
ক) অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার
খ) বিভিন্ন খাতের আপেক্ষিক গুরুত্ব
গ) আয়ের সুষম বণ্টন
ঘ) মাথাপিছু আয়

সঠিক উত্তর: গ) আয়ের সুষম বণ্টন

ব্যাখ্যা: জাতীয় আয় মোট আয় বা গড় আয় নির্দেশ করে, কিন্তু সমাজে আয়ের বণ্টন কতটা সুষম বা অসম তা সরাসরি জাতীয় আয়ের হিসাব থেকে বোঝা যায় না। এর জন্য আলাদাভাবে আয়ের বণ্টন বিশ্লেষণ করতে হয়।

৩০. একটি দেশের জাতীয় আয় বৃদ্ধি পেলেই কি সে দেশের জনগণের কল্যাণ বৃদ্ধি পায়?
ক) হ্যাঁ, সর্বদা বৃদ্ধি পায়।
খ) না, জাতীয় আয় বৃদ্ধির সাথে কল্যাণের সম্পর্ক নেই।
গ) হ্যাঁ, যদি আয়ের সুষম বণ্টন ঘটে এবং পরিবেশ দূষণ না হয়।
ঘ) শুধুমাত্র যদি জনসংখ্যা হ্রাস পায়।

সঠিক উত্তর: গ) হ্যাঁ, যদি আয়ের সুষম বণ্টন ঘটে এবং পরিবেশ দূষণ না হয়।

ব্যাখ্যা: জাতীয় আয় বৃদ্ধি জনগণের কল্যাণের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলেও একমাত্র উপাদান নয়। এর সাথে আয়ের সুষম বণ্টন, পরিবেশের অবস্থা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ইত্যাদি বিষয়ও জড়িত। জাতীয় আয় বৃদ্ধি যদি অসমতা বাড়ায় বা পরিবেশ দূষণ করে, তাহলে প্রকৃত কল্যাণ নাও বাড়তে পারে।

Leave a Reply

Scroll to Top