জীবনের কল্যাণের জন্য, মানুষের সুখের জন্য এ জগতে
জীবনের কল্যাণের জন্য, মানুষের সুখের জন্য এ জগতে যিনি কথা বলিয়া থাকেন তাহাই সাহিত্য।বাতাসের উপর কথা ও চিন্তা স্থায়ী হইতে পারে না মানব জাতি তাই অক্ষর আবিষ্কার করিয়াছে। মানুষের মূল্যবান কথা, উৎকৃষ্ট চিন্তাগুলি কোন যুগে পাথরে, কোন যুগে গাছের পাতায় এবং বর্তমানে কাগজে লিখিয়া রাখা হইয়া থাকে।
যে নিতান্তই হতভাগা সেই সাহিত্যকে অনাদর করিয়া থাকে। সাহিত্যে মানুষের সকল আখাঙ্ক্ষার মীমাংসা হয়। তোমার আত্মা হইতে যেমন তুমি বিচ্ছিন্ন হইতে পার না, সাহিত্যকেও তেমনি তুমি অস্বীকার করিতে পার না উহাতে তোমার মৃত্যু, তোমার দুঃখ ও অসম্মান হয়।
সারাংশ:
মানব কল্যাণে ও সুখের নিমিত্তে সুবিন্যস্ত কথামালার স্থায়িত্ব দেওয়ার জন্য লেখকগণ অক্ষর আবিষ্কার করেন। কালের পরিক্রমায় মানুষের মূল্যবান বাণী, উৎকৃষ্ট চিন্তা ও গবেষণা বিবর্তনের ধারাবাহিকতায় প্রস্তরখ খন্ডে, গাছের পাতায়, পশুর চামড়ায়, কাগজে, লিপিবদ্ধ হচ্ছে। সাহিত্য হিসেবে বিবেচিত সকল কথামালা জাতিসত্ত্বার আখাঙ্ক্ষারই প্রতিচ্ছবি। যার অপ্রয়োজনীয়তা অনুভব মূর্খতার শামিল।