14 min read
Table of Contents
SSC বিজ্ঞান MCQ
দ্বিতীয় অধ্যায়: জীবনের জন্য পানি
১। পৃথিবীতে পানির মোট আয়তনের কত শতাংশ লবণাক্ত পানি?
ক) প্রায় ৯৫%
খ) প্রায় ৯৭%
গ) প্রায় ৯৯%
ঘ) প্রায় ১০০%
সঠিক উত্তর: খ) প্রায় ৯৭%
ব্যাখ্যা: পৃথিবীতে পানির মোট আয়তনের প্রায় ৯৭% লবণাক্ত পানি যা সমুদ্র ও মহাসাগরে থাকে।
২। মিঠা পানির প্রধান উৎস কোনটি?
ক) সমুদ্র ও মহাসাগর
খ) নদী, হ্রদ ও ভূগর্ভস্থ পানি
গ) শুধুমাত্র বৃষ্টি
ঘ) কলকারখানার বর্জ্য
সঠিক উত্তর: খ) নদী, হ্রদ ও ভূগর্ভস্থ পানি
ব্যাখ্যা: পৃথিবীতে বিদ্যমান প্রায় ৩% মিঠা পানির বেশিরভাগই থাকে হিমবাহ ও মেরু অঞ্চলের বরফ হিসেবে এবং ভূগর্ভে। নদী, হ্রদ, জলাশয়, মাটিস্থ পানি এবং বায়ুমণ্ডলের জলীয় বাষ্পও মিঠা পানির উৎস।
৩। সুপেয় পানির কত শতাংশ আমাদের ব্যবহারের জন্য সহজলভ্য?
ক) প্রায় ১%
খ) প্রায় ২%
গ) প্রায় ৩%
ঘ) প্রায় ৪%
সঠিক উত্তর: ক) প্রায় ১%
ব্যাখ্যা: সুপেয় পানির বেশিরভাগই হিমবাহ এবং মাটির নিচে সঞ্চিত থাকে, যার কারণে আমাদের ব্যবহারের জন্য সহজলভ্য পানির পরিমাণ প্রায় ১%।
৪। পানির স্ফুটনাঙ্ক কত ডিগ্রি সেলসিয়াস?
ক) ০°C
খ) ৫০°C
গ) ১০০°C
ঘ) ২৫°C
সঠিক উত্তর: গ) ১০০°C
ব্যাখ্যা: প্রমাণ চাপে পানির স্ফুটনাঙ্ক হলো ১০০°C।
৫। পানির গলনাঙ্ক কত ডিগ্রি সেলসিয়াস?
ক) ১০০°C
খ) ৫০°C
গ) ২৫°C
ঘ) ০°C
সঠিক উত্তর: ঘ) ০°C
ব্যাখ্যা: প্রমাণ চাপে পানির গলনাঙ্ক হলো ০°C।
৬। পানির ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি কত ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়?
ক) ০°C
খ) ৪°C
গ) ৫০°C
ঘ) ১০০°C
সঠিক উত্তর: খ) ৪°C
ব্যাখ্যা: পানির ঘনত্ব ৪°C তাপমাত্রায় সবচেয়ে বেশি হয়।
৭। পানিকে সার্বজনীন দ্রাবক বলা হয় কেন?
ক) এটি সহজে বাষ্পীভূত হয়
খ) এটি অনেক পদার্থকে দ্রবীভূত করতে পারে
গ) এটি কঠিন, তরল ও বায়বীয় অবস্থায় থাকতে পারে
ঘ) এটি বিদ্যুৎ পরিবহন করে
সঠিক উত্তর: খ) এটি অনেক পদার্থকে দ্রবীভূত করতে পারে
ব্যাখ্যা: পানি প্রচুর সংখ্যক поляр ও আয়নীয় যৌগ এবং কিছু অপোলার যৌগকে দ্রবীভূত করতে পারে, তাই একে সার্বজনীন দ্রাবক বলা হয়।
৮। পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন জীবের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কেন?
ক) এটি পানির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
খ) এটি সালোকসংশ্লেষণে সাহায্য করে
গ) জলজ জীবের শ্বসন কাজের জন্য অপরিহার্য
ঘ) এটি পানিকে বিশুদ্ধ রাখে
সঠিক উত্তর: গ) জলজ জীবের শ্বসন কাজের জন্য অপরিহার্য
ব্যাখ্যা: পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন জলজ জীবের শ্বসন কাজের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
৯। BOD এর পূর্ণরূপ কী?
ক) Biological Oxygen Demand
খ) Biochemical Oxygen Demand
গ) Bacteria Oxygen Demand
ঘ) Biohazard Oxygen Demand
সঠিক উত্তর: খ) Biochemical Oxygen Demand
ব্যাখ্যা: BOD এর পূর্ণরূপ হলো Biochemical Oxygen Demand।
১০। পানিতে BOD এর মান বেশি হলে কী বোঝা যায়?
ক) পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ বেশি
খ) পানিতে জৈব দূষকের পরিমাণ বেশি
গ) পানি বিশুদ্ধ আছে
ঘ) পানিতে খনিজ লবণের পরিমাণ বেশি
সঠিক উত্তর: খ) পানিতে জৈব দূষকের পরিমাণ বেশি
ব্যাখ্যা: পানিতে BOD এর মান বেশি হওয়ার অর্থ হলো পানিতে জৈব দূষকের পরিমাণ বেশি এবং অণুজীবদের সেই জৈব পদার্থ ভাঙতে বেশি অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে।
১১। COD এর পূর্ণরূপ কী?
ক) Chemical Oxygen Demand
খ) Carbon Oxygen Demand
গ) Chlorine Oxygen Demand
ঘ) Compound Oxygen Demand
সঠিক উত্তর: ক) Chemical Oxygen Demand
ব্যাখ্যা: COD এর পূর্ণরূপ হলো Chemical Oxygen Demand।
১২। BOD ও COD এর মাধ্যমে কী পরিমাপ করা হয়?
ক) পানিতে ক্ষারের পরিমাণ
খ) পানিতে অ্যাসিডের পরিমাণ
গ) পানিতে দূষকের পরিমাণ
ঘ) পানিতে লবণের পরিমাণ
সঠিক উত্তর: গ) পানিতে দূষকের পরিমাণ
ব্যাখ্যা: BOD ও COD এর মাধ্যমে পানিতে বিদ্যমান দূষকের পরিমাণ পরোক্ষভাবে পরিমাপ করা হয়।
১৩। জলজ বাস্তুতন্ত্রের জন্য কোনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ?
ক) পানিতে ভাসমান কঠিন পদার্থ
খ) পানিতে দ্রবীভূত পুষ্টি উপাদান
গ) পানিতে অতিরিক্ত CO2
ঘ) পানিতে উচ্চ তাপমাত্রা
সঠিক উত্তর: খ) পানিতে দ্রবীভূত পুষ্টি উপাদান
ব্যাখ্যা: পানিতে দ্রবীভূত পুষ্টি উপাদান, যেমন – নাইট্রোজেন ও ফসফরাস যৌগ, জলজ উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য এবং জলজ বাস্তুতন্ত্রের সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
১৪। শৈবালের অত্যধিক বৃদ্ধির ফলে পানিতে কীসের পরিমাণ কমে যায়?
ক) কার্বন ডাই অক্সাইড
খ) অক্সিজেন
গ) নাইট্রোজেন
ঘ) হাইড্রোজেন
সঠিক উত্তর: খ) অক্সিজেন
ব্যাখ্যা: শৈবালের অত্যধিক বৃদ্ধির ফলে (যা অ্যালগাল ব্লুম নামে পরিচিত) রাতে শৈবালের শ্বসনের কারণে পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ মারাত্মকভাবে কমে যেতে পারে।
১৫। ইউট্রোফিকেশন কী?
ক) পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি
খ) পানিতে পুষ্টি উপাদানের আধিক্য
গ) পানিতে তাপমাত্রা হ্রাস
ঘ) পানিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি
সঠিক উত্তর: খ) পানিতে পুষ্টি উপাদানের আধিক্য
ব্যাখ্যা: শিল্প ও গৃহস্থালীর বর্জ্য থেকে আসা পুষ্টি উপাদানের (বিশেষ করে নাইট্রোজেন ও ফসফরাস) আধিক্যের কারণে জলাশয়ে শৈবালের অত্যধিক বৃদ্ধি ঘটে, এই প্রক্রিয়াকে ইউট্রোফিকেশন বলে।
১৬। আর্সেনিক দূষণের প্রধান কারণ কী?
ক) শিল্প বর্জ্য
খ) কৃষি বর্জ্য
গ) প্রাকৃতিক উৎস (ভূগর্ভস্থ শিলা)
ঘ) বায়ু দূষণ
সঠিক উত্তর: গ) প্রাকৃতিক উৎস (ভূগর্ভস্থ শিলা)
ব্যাখ্যা: ভূগর্ভস্থ শিলা থেকে আর্সেনিক নির্গত হয়ে পানিতে মিশে আর্সেনিক দূষণ ঘটায়, যা একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া।
১৭। আর্সেনিকোসিস রোগটি কীসের কারণে হয়?
ক) পানি বাহিত জীবাণু
খ) পানিতে অতিরিক্ত খনিজ লবণ
গ) আর্সেনিক যুক্ত পানি পান করা
ঘ) পানিতে শৈবালের বিষক্রিয়া
সঠিক উত্তর: গ) আর্সেনিক যুক্ত পানি পান করা
ব্যাখ্যা: আর্সেনিকোসিস রোগটি আর্সেনিক যুক্ত পানি দীর্ঘ দিন ধরে পান করার ফলে হয়।
১৮। পানি বিশুদ্ধকরণ পদ্ধতির মধ্যে কোনটি наиболее প্রচলিত?
ক) পরিস্রাবণ
খ) থিতানো
গ) স্ফুটন
ঘ) ক্লোরিনেশন
সঠিক উত্তর: গ) স্ফুটন
ব্যাখ্যা: পানি বিশুদ্ধকরণের সবচেয়ে সহজ ও প্রচলিত পদ্ধতি হলো পানিকে ২০ মিনিটের বেশি সময় ধরে ফোটানো।
১৯। পানিকে জীবাণুমুক্ত করার জন্য কোন রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়?
ক) সোডিয়াম ক্লোরাইড
খ) ক্যালসিয়াম কার্বনেট
গ) ব্লিচিং পাউডার বা ক্লোরিন ট্যাবলেট
ঘ) সালফিউরিক এসিড
সঠিক উত্তর: গ) ব্লিচিং পাউডার বা ক্লোরিন ট্যাবলেট
ব্যাখ্যা: পানিকে জীবাণুমুক্ত করার জন্য ব্লিচিং পাউডার বা ক্লোরিন ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়।
২০। নিরাপদ পানির জন্য আর্সেনিকের মাত্রা কত হওয়া উচিত (বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে)?
ক) ০.০১ mg/L এর নিচে
খ) ০.০৫ mg/L এর নিচে
গ) ০.১০ mg/L এর নিচে
ঘ) ০.০০৫ mg/L এর নিচে
সঠিক উত্তর: খ) ০.০৫ mg/L এর নিচে
ব্যাখ্যা: বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশে নিরাপদ পানির জন্য আর্সেনিকের সর্বোচ্চ সহনশীল মাত্রা ০.০৫ mg/L নির্ধারণ করা হয়েছে।
২১। জলীয় বাষ্প বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রাকে কীভাবে প্রভাবিত করে?
ক) তাপমাত্রা কমিয়ে দেয়
খ) তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়
গ) তাপমাত্রার উপর কোনো প্রভাব ফেলে না
ঘ) তাপমাত্রা স্থির রাখে
সঠিক উত্তর: খ) তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়
ব্যাখ্যা: জলীয় বাষ্প একটি গ্রিনহাউস গ্যাস হওয়ায় এটি বায়ুমণ্ডলের তাপ ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
২২। পৃথিবীর জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে পানির কোন রূপটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে?
ক) কঠিন অবস্থা (বরফ)
খ) তরল অবস্থা (পানি)
গ) বায়বীয় অবস্থা (জলীয় বাষ্প)
ঘ) সবগুলো রূপই গুরুত্বপূর্ণ
সঠিক উত্তর: ঘ) সবগুলো রূপই গুরুত্বপূর্ণ
ব্যাখ্যা: পৃথিবীর জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে পানির কঠিন (বরফ), তরল (পানি) ও বায়বীয় (জলীয় বাষ্প) – সবগুলো রূপই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২৩। মানবদেহে পানির প্রধান কাজ কী?
ক) শক্তি উৎপাদন
খ) রোগ প্রতিরোধ
গ) দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে সচল রাখা
ঘ) দেহ গঠন
সঠিক উত্তর: গ) দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে সচল রাখা
ব্যাখ্যা: পানি মানবদেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে সচল রাখে এবং বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।
২৪। একজন সুস্থ মানুষের দৈনিক কত লিটার পানি পান করা উচিত?
ক) ১-২ লিটার
খ) ২-৩ লিটার
গ) ৩-৪ লিটার
ঘ) ৪-৫ লিটার
সঠিক উত্তর: খ) ২-৩ লিটার
ব্যাখ্যা: একজন সুস্থ মানুষের দৈনিক ২-৩ লিটার পানি পান করা উচিত, তবে এটি পরিবেশ ও শারীরিক কার্যকলাপের উপর নির্ভর করে।
২৫। পানির মাধ্যমে ছড়ায় এমন কয়েকটি রোগের নাম কী?
ক) ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু
খ) কলেরা, ডায়রিয়া, আমাশয়
গ) টাইফয়েড, এইডস
ঘ) ক্যান্সার, হৃদরোগ
সঠিক উত্তর: খ) কলেরা, ডায়রিয়া, আমাশয়
ব্যাখ্যা: কলেরা, ডায়রিয়া, আমাশয়, টাইফয়েড সহ বিভিন্ন রোগ দূষিত পানি পানের মাধ্যমে ছড়ায়।
২৬। জলচক্রের মূল চালিকাশক্তি কোনটি?
ক) চাঁদ
খ) পৃথিবী
গ) সূর্য
ঘ) বাতাস
সঠিক উত্তর: গ) সূর্য
ব্যাখ্যা: জলচক্রের মূল চালিকাশক্তি হলো সূর্যের তাপ, যা পানিকে বাষ্পীভূত হতে সাহায্য করে।
২৭। বৃষ্টির পানি মাটির নিচে প্রবেশ করে যে পানি তৈরি করে তাকে কী বলে?
ক) ভূপৃষ্ঠস্থ পানি
খ) ভূগর্ভস্থ পানি
গ) লবণাক্ত পানি
ঘ) মিঠা পানি
সঠিক উত্তর: খ) ভূগর্ভস্থ পানি
ব্যাখ্যা: বৃষ্টির পানি মাটির অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ভূগর্ভস্থ পানি তৈরি করে।
২৮। কৃষিক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি পানি ব্যবহৃত হয় কোন কাজে?
ক) সেচ
খ) মৎস্য চাষ
গ) পশু পালন
ঘ) ফসল সংগ্রহ
সঠিক উত্তর: ক) সেচ
ব্যাখ্যা: কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত পানির সিংহভাগই সেচ কাজে ব্যবহৃত হয়।
২৯। শিল্প কারখানায় পানি প্রধানত কী কী কাজে ব্যবহৃত হয়?
ক) উৎপাদন প্রক্রিয়া ও শীতলীকরণ
খ) বিদ্যুৎ উৎপাদন
গ) বর্জ্য নিষ্কাশন
ঘ) সবগুলো
সঠিক উত্তর: ঘ) সবগুলো
ব্যাখ্যা: শিল্প কারখানায় পানি উৎপাদন প্রক্রিয়া, শীতলীকরণ এবং বর্জ্য নিষ্কাশন সহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়।
৩০। বাংলাদেশে মিঠা পানির অন্যতম বৃহৎ উৎস কোনটি?
ক) বঙ্গোপসাগর
খ) প্রশান্ত মহাসাগর
গ) পদ্মা, মেঘনা, যমুনা নদী
ঘ) কাপ্তাই হ্রদ
সঠিক উত্তর: গ) পদ্মা, মেঘনা, যমুনা নদী
ব্যাখ্যা: পদ্মা, মেঘনা, যমুনা নদী সহ অন্যান্য নদনদী বাংলাদেশের মিঠা পানির অন্যতম বৃহৎ উৎস।
৩১। লবণাক্ত পানিকে ব্যবহার উপযোগী করার পদ্ধতিকে কী বলে?
ক) পরিস্রাবণ
খ) ক্লোরিনেশন
গ) ডিস্যালাইনেশন (Desalination)
ঘ) স্ফুটন
সঠিক উত্তর: গ) ডিস্যালাইনেশন (Desalination)
ব্যাখ্যা: লবণাক্ত পানি থেকে লবণ অপসারণ করে তাকে ব্যবহার উপযোগী করার পদ্ধতিকে ডিস্যালাইনেশন বলে।
৩২। জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণী বেঁচে থাকার জন্য পানিতে কী ধরনের উপাদান প্রয়োজন?
ক) ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ
খ) অতিরিক্ত লবণ
গ) প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান ও অক্সিজেন
ঘ) উচ্চ তাপমাত্রা
সঠিক উত্তর: গ) প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান ও অক্সিজেন
ব্যাখ্যা: জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণী বেঁচে থাকার জন্য পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন।
৩৩। পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি কীভাবে শনাক্ত করা যায়?
ক) খালি চোখে দেখে
খ) গন্ধ শুঁকে
গ) রাসায়নিক পরীক্ষার মাধ্যমে
ঘ) স্পর্শ করে
সঠিক উত্তর: গ) রাসায়নিক পরীক্ষার মাধ্যমে
ব্যাখ্যা: পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি খালি চোখে দেখা বা গন্ধ শুঁকে বোঝা যায় না, এটি রাসায়নিক পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করতে হয়।
৩৪। কৃষি জমিতে অতিরিক্ত সার ব্যবহারের ফলে পানিতে কীসের পরিমাণ বেড়ে যায়?
ক) অক্সিজেন
খ) কার্বন ডাই অক্সাইড
গ) নাইট্রেট ও ফসফেট
ঘ) লবণ
সঠিক উত্তর: গ) নাইট্রেট ও ফসফেট
ব্যাখ্যা: কৃষি জমিতে অতিরিক্ত সার ব্যবহারের ফলে নাইট্রেট ও ফসফেট এর মতো পুষ্টি উপাদান পানিতে মিশে ইউট্রোফিকেশন ঘটাতে পারে।
৩৫। জলজ বাস্তুতন্ত্রে অক্সিজেনের প্রধান উৎস কী?
ক) বাতাস থেকে সরাসরি গ্রহণ
খ) জলজ উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণ
গ) পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধি
ঘ) পানিতে দ্রবীভূত লবণ
সঠিক উত্তর: খ) জলজ উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণ
ব্যাখ্যা: জলজ উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পানিতে অক্সিজেনের প্রধান সরবরাহ হয়।
৩৬। পানি দূষণের ফলে জলজ প্রাণীদের কী সমস্যা হতে পারে?
ক) দ্রুত বৃদ্ধি পায়
খ) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে
গ) শ্বাস নিতে কষ্ট হয় ও মারা যেতে পারে
ঘ) নতুন পরিবেশে অভিযোজিত হয়
সঠিক উত্তর: গ) শ্বাস নিতে কষ্ট হয় ও মারা যেতে পারে
ব্যাখ্যা: পানি দূষণের ফলে পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যেতে পারে এবং ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের প্রভাবে জলজ প্রাণীদের শ্বাস নিতে কষ্ট হয় ও তারা মারা যেতে পারে।
৩৭। বৃষ্টির অম্লতা বৃদ্ধির প্রধান কারণ কী?
ক) বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি
খ) বায়ুমণ্ডলে সালফার ডাই অক্সাইড ও নাইট্রোজেন অক্সাইড গ্যাস বৃদ্ধি
গ) ওজন স্তরের ক্ষয়
ঘ) গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাব
সঠিক উত্তর: খ) বায়ুমণ্ডলে সালফার ডাই অক্সাইড ও নাইট্রোজেন অক্সাইড গ্যাস বৃদ্ধি
ব্যাখ্যা: কলকারখানা ও যানবাহনের ধোঁয়া থেকে নির্গত সালফার ডাই অক্সাইড ও নাইট্রোজেন অক্সাইড গ্যাস বায়ুমণ্ডলের জলীয় বাষ্পের সাথে বিক্রিয়া করে অ্যাসিড তৈরি করে যা বৃষ্টির সাথে পতিত হয়, ফলে বৃষ্টির অম্লতা বৃদ্ধি পায়।
৩৮। অ্যাসিড বৃষ্টির ফলে পরিবেশের কী ক্ষতি হয়?
ক) মাটি ও পানির অম্লতা বৃদ্ধি পায়
খ) ভবন ও সেতুর ক্ষয় হয়
গ) বন ও জলজ জীবের ক্ষতি হয়
ঘ) সবগুলো
সঠিক উত্তর: ঘ) সবগুলো
ব্যাখ্যা: অ্যাসিড বৃষ্টির ফলে মাটি ও পানির অম্লতা বৃদ্ধি পায়, ভবন ও সেতুর ক্ষয় হয় এবং বন ও জলজ জীবের ক্ষতি সহ পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়।
৩৯। পানি সংরক্ষণ কেন গুরুত্বপূর্ণ?
ক) শুধুমাত্র শিল্প কারখানার ব্যবহারের জন্য
খ) ভবিষ্যতের জন্য নিরাপদ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য
গ) কৃষিক্ষেত্রে পানির ব্যবহার কমানোর জন্য
ঘ) বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য
সঠিক উত্তর: খ) ভবিষ্যতের জন্য নিরাপদ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য
ব্যাখ্যা: জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ভবিষ্যতের জন্য নিরাপদ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য পানি সংরক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৪০। কলকারখানার বর্জ্য সরাসরি পানিতে ফেললে কী ঘটবে?
ক) পানি বিশুদ্ধ থাকবে
খ) জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর জন্য উপকারী হবে
গ) পানি দূষিত হবে এবং জলজ বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি হবে
ঘ) পানির তাপমাত্রা কমে যাবে
সঠিক উত্তর: গ) পানি দূষিত হবে এবং জলজ বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি হবে
ব্যাখ্যা: কলকারখানার বর্জ্যে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ থাকতে পারে যা সরাসরি পানিতে ফেললে পানি দূষিত হবে এবং জলজ বাস্তুতন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতি হবে।