জীববিজ্ঞান ষষ্ঠ অধ্যায় MCQ
উদ্ভিদের প্রজনন
MCQ নং ১: প্রজনন কাকে বলে?
(ক) খাদ্য তৈরি করার প্রক্রিয়া
(খ) বংশবৃদ্ধি করার প্রক্রিয়া
(গ) রোগ প্রতিরোধ করার প্রক্রিয়া
(ঘ) পরিবেশের সাথে অভিযোজন করার প্রক্রিয়া
সঠিক উত্তর: (খ) বংশবৃদ্ধি করার প্রক্রিয়া
ব্যাখ্যা: প্রজনন হলো জীব কর্তৃক নিজের বংশধর সৃষ্টি বা উৎপত্তির প্রক্রিয়া, যা প্রজাতির ধারাবাহিকতা রক্ষা করে।
MCQ নং ২: উদ্ভিদের প্রজনন কত প্রকার?
(ক) এক প্রকার
(খ) দুই প্রকার
(গ) তিন প্রকার
(ঘ) চার প্রকার
সঠিক উত্তর: (খ) দুই প্রকার
ব্যাখ্যা: উদ্ভিদের প্রজনন প্রধানত দুই প্রকার – অযৌন প্রজনন (অসেক্সুয়াল রিপ্রোডাকশন) এবং যৌন প্রজনন (সেক্সুয়াল রিপ্রোডাকশন)।
MCQ নং ৩: নিচের কোনটি অযৌন প্রজননের পদ্ধতি নয়?
(ক) মুকুলোদ্গম
(খ) খণ্ডন
(গ) স্পোর উৎপাদন
(ঘ) নিষেক
সঠিক উত্তর: (ঘ) নিষেক
ব্যাখ্যা: মুকুলোদ্গম, খণ্ডন ও স্পোর উৎপাদন হলো অযৌন প্রজননের বিভিন্ন পদ্ধতি, যেখানে জননকোষের মিলন ছাড়াই নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টি হয়। নিষেক হলো যৌন প্রজননের একটি ধাপ, যেখানে পুং ও স্ত্রী জননকোষের মিলন ঘটে।
MCQ নং ৪: পাথরকুচি পাতার মাধ্যমে কোন প্রকার প্রজনন ঘটায়?
(ক) মুকুলোদ্গম
(খ) খণ্ডন
(গ) অঙ্গজ প্রজনন
(ঘ) স্পোর উৎপাদন
সঠিক উত্তর: (গ) অঙ্গজ প্রজনন
ব্যাখ্যা: পাথরকুচি পাতা থেকে নতুন চারা উৎপন্ন হয়। এটি অঙ্গজ প্রজননের একটি প্রকারভেদ, যেখানে উদ্ভিদের দেহখণ্ডের (যেমন: পাতা, কাণ্ড, মূল) মাধ্যমে নতুন উদ্ভিদ জন্মায়।
MCQ নং ৫: স্পোর বা রেণু কোন উদ্ভিদের অযৌন প্রজননের একক?
(ক) মস
(খ) ফার্ন
(গ) ছত্রাক
(ঘ) উপরের সবগুলো
সঠিক উত্তর: (ঘ) উপরের সবগুলো
ব্যাখ্যা: মস, ফার্ন এবং ছত্রাক – এই সকল উদ্ভিদের অযৌন প্রজনন স্পোর বা রেণুর মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। স্পোর হলো ছোট, হালকা কোষ যা অনুকূল পরিবেশে অঙ্কুরিত হয়ে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টি করে।
MCQ নং ৬: ফুলের কোন অংশ পুংজননতন্ত্রের প্রতিনিধিত্ব করে?
(ক) বৃতি
(খ) দলমণ্ডল
(গ) পুংকেশর
(ঘ) গর্ভাশয়
সঠিক উত্তর: (গ) পুংকেশর
ব্যাখ্যা: পুংকেশর হলো ফুলের পুংজনন অঙ্গ, যা পরাগধানী ও পুংদণ্ড নিয়ে গঠিত। পরাগধানীতে পরাগরেণু উৎপন্ন হয়, যা পুংজনন কোষ বহন করে।
MCQ নং ৭: ফুলের কোন অংশ স্ত্রীজননতন্ত্রের প্রতিনিধিত্ব করে?
(ক) বৃতি
(খ) দলমণ্ডল
(গ) পুংকেশর
(ঘ) গর্ভকেশর
সঠিক উত্তর: (ঘ) গর্ভকেশর
ব্যাখ্যা: গর্ভকেশর হলো ফুলের স্ত্রীজনন অঙ্গ, যা গর্ভাশয়, গর্ভদণ্ড ও গর্ভমুণ্ড নিয়ে গঠিত। গর্ভাশয়ের মধ্যে ডিম্বক থাকে, যেখানে স্ত্রী জননকোষ (ডিম্বাণু) উৎপন্ন হয়।
MCQ নং ৮: পরাগায়ন কাকে বলে?
(ক) ফুলের পাপড়ি ঝরে যাওয়া
(খ) ফুলের গর্ভাশয় বড় হওয়া
(গ) পরাগধানী থেকে পরাগরেণু গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তরিত হওয়া
(ঘ) ডিম্বাণুর সাথে পুংজনন কোষের মিলন
সঠিক উত্তর: (গ) পরাগধানী থেকে পরাগরেণু গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তরিত হওয়া
ব্যাখ্যা: পরাগায়ন হলো সেই প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে পরাগধানী থেকে পরাগরেণু বাহকের (যেমন: বাতাস, জল, কীটপতঙ্গ) সাহায্যে একই ফুলের অথবা অন্য ফুলের গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তরিত হয়।
MCQ নং ৯: নিষেক কাকে বলে?
(ক) পরাগরেণু গর্ভমুণ্ডে পতিত হওয়া
(খ) গর্ভাশয়ের প্রাচীর মোটা হওয়া
(গ) পুংজনন কোষের সাথে স্ত্রী জননকোষের মিলন
(ঘ) বীজের অঙ্কুরোদগম হওয়া
সঠিক উত্তর: (গ) পুংজনন কোষের সাথে স্ত্রী জননকোষের মিলন
ব্যাখ্যা: নিষেক হলো যৌন প্রজননের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, যেখানে পরাগরেণুর মধ্যে থাকা পুংজনন কোষ ডিম্বকের মধ্যে অবস্থিত স্ত্রী জননকোষ (ডিম্বাণু)-এর সাথে মিলিত হয়ে জাইগোট গঠন করে।
MCQ নং ১০: ফল সৃষ্টি হয় ফুলের কোন অংশ থেকে?
(ক) বৃতি
(খ) দলমণ্ডল
(গ) পুংকেশর
(ঘ) গর্ভাশয়
সঠিক উত্তর: (ঘ) গর্ভাশয়
ব্যাখ্যা: নিষেক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর ফুলের গর্ভাশয় পরিবর্তিত ও পরিপুষ্ট হয়ে ফলে পরিণত হয়। ডিম্বক বীজে রূপান্তরিত হয়।
অধ্যায়: ৬ – উদ্ভিদের প্রজনন (অতিরিক্ত MCQ)
MCQ নং ১১: যে ফুলে পুংকেশর ও গর্ভকেশর উভয়ই উপস্থিত থাকে, তাকে কী বলে?
(ক) অপূর্ণাঙ্গ ফুল
(খ) একলিঙ্গী ফুল
(গ) উভলিঙ্গী ফুল
(ঘ) বন্ধ্যা ফুল
সঠিক উত্তর: (গ) উভলিঙ্গী ফুল
ব্যাখ্যা: যে ফুলে পুংজনন অঙ্গ (পুংকেশর) এবং স্ত্রীজনন অঙ্গ (গর্ভকেশর) একই সাথে বিদ্যমান থাকে, তাকে উভলিঙ্গী ফুল বলে (যেমন: জবা, সরিষা)।
MCQ নং ১২: যে ফুলে কেবল পুংকেশর অথবা কেবল গর্ভকেশর থাকে, তাকে কী বলে?
(ক) সম্পূর্ণ ফুল
(খ) উভলিঙ্গী ফুল
(গ) একলিঙ্গী ফুল
(ঘ) বন্ধ্যা ফুল
সঠিক উত্তর: (গ) একলিঙ্গী ফুল
ব্যাখ্যা: যে ফুলে কেবল একটি জনন অঙ্গ (পুংকেশর অথবা গর্ভকেশর) থাকে, তাকে একলিঙ্গী ফুল বলে (যেমন: কুমড়া, পেঁপে)।
MCQ নং ১৩: বায়ুর মাধ্যমে পরাগায়ন ঘটে কোন উদ্ভিদে?
(ক) আম
(খ) জাম
(গ) ধান
(ঘ) গোলাপ
সঠিক উত্তর: (গ) ধান
ব্যাখ্যা: বায়ুর মাধ্যমে পরাগরেণু এক ফুল থেকে অন্য ফুলে বাহিত হলে তাকে বায়ুপরাগী পরাগায়ন বলে। ধান, গম, ভুট্টা ইত্যাদি উদ্ভিদে এই প্রকার পরাগায়ন দেখা যায়। এদের পরাগরেণু হালকা ও প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হয়।
MCQ নং ১৪: কীটপতঙ্গের মাধ্যমে পরাগায়ন ঘটে কোন উদ্ভিদে?
(ক) পাতাঝাঁঝি
(খ) পদ্ম
(গ) শাপলা
(ঘ) কুমড়া
সঠিক উত্তর: (ঘ) কুমড়া
ব্যাখ্যা: কীটপতঙ্গের মাধ্যমে পরাগরেণু বাহিত হলে তাকে কীটপতঙ্গপরাগী পরাগায়ন বলে। কুমড়া, জবা, সরিষা ইত্যাদি উদ্ভিদের ফুল রঙিন ও মধুযুক্ত হয় যা কীটপতঙ্গকে আকর্ষণ করে।
MCQ নং ১৫: ফুলের ডিম্বক কিসে পরিণত হয়?
(ক) ফলে
(খ) বীজে
(গ) পাতায়
(ঘ) কাণ্ডে
সঠিক উত্তর: (খ) বীজে
ব্যাখ্যা: নিষেক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর ফুলের ডিম্বক পরিবর্তিত ও পরিপুষ্ট হয়ে বীজে পরিণত হয়। এই বীজের মধ্যেই ভ্রূণ লুকানো থাকে যা অনুকূল পরিবেশে নতুন উদ্ভিদের জন্ম দেয়।
MCQ নং ১৬: বীজের অঙ্কুরোদগমের জন্য অপরিহার্য উপাদান কোনটি?
(ক) কেবল আলো
(খ) কেবল মাটি
(গ) আলো, মাটি ও সার
(ঘ) আলো, বাতাস ও জল
সঠিক উত্তর: (ঘ) আলো, বাতাস ও জল
ব্যাখ্যা: বীজের অঙ্কুরোদগমের জন্য প্রধানত তিনটি জিনিস অপরিহার্য – পর্যাপ্ত আলো, বাতাস (অক্সিজেন) এবং জল। এছাড়াও উপযুক্ত তাপমাত্রাও প্রয়োজন।
MCQ নং ১৭: কৃত্রিম অঙ্গজ প্রজননের একটি পদ্ধতি হলো –
(ক) খণ্ডন
(খ) মুকুলোদ্গম
(গ) কলম করা
(ঘ) স্পোর উৎপাদন
সঠিক উত্তর: (গ) কলম করা
ব্যাখ্যা: কলম করা হলো কৃত্রিম অঙ্গজ প্রজননের একটি পদ্ধতি, যেখানে উন্নত বৈশিষ্ট্যযুক্ত গাছের ডাল বা মুকুল অন্য গাছের সাথে জুড়ে দেওয়া হয় এবং জোড়া লাগানো অংশ থেকে নতুন গাছ উৎপন্ন হয় (যেমন: গোলাপ, আম)।
MCQ নং ১৮: জোড় কলমের ক্ষেত্রে স্টক (Stock) কোনটি?
(ক) যে ডালটি লাগানো হয়
(খ) যে মুকুলটি লাগানো হয়
(গ) যে গাছের সাথে লাগানো হয়
(ঘ) জোড়া লাগানোর স্থান
সঠিক উত্তর: (গ) যে গাছের সাথে লাগানো হয়
ব্যাখ্যা: জোড় কলমের ক্ষেত্রে স্টক হলো সেই মূল গাছ যার সাথে উন্নত বৈশিষ্ট্যযুক্ত ডাল বা মুকুল (সিয়ন) জুড়ে দেওয়া হয়। স্টক সাধারণত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও পরিবেশ সহিষ্ণুতার জন্য নির্বাচন করা হয়।
MCQ নং ১৯: টিস্যু কালচার বা অনুচাষ কোন প্রকার প্রজননের উদাহরণ?
(ক) প্রাকৃতিক অযৌন প্রজনন
(খ) প্রাকৃতিক যৌন প্রজনন
(গ) কৃত্রিম অযৌন প্রজনন
(ঘ) কৃত্রিম যৌন প্রজনন
সঠিক উত্তর: (গ) কৃত্রিম অযৌন প্রজনন
ব্যাখ্যা: টিস্যু কালচার বা অনুচাষ হলো কৃত্রিম অযৌন প্রজননের একটি আধুনিক পদ্ধতি, যেখানে উদ্ভিদের ছোট অংশ (কোষ, টিস্যু বা অঙ্গ) জীবাণুমুক্ত পরিবেশে পুষ্টিকর মাধ্যমে নতুন চারা উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়।
MCQ নং ২০: নিষিক্ত ডিম্বক কী গঠন করে?
(ক) ফল
(খ) বীজ
(গ) শস্য
(ঘ) রেণু
সঠিক উত্তর: (খ) বীজ
ব্যাখ্যা: নিষেক প্রক্রিয়ার ফলে ডিম্বাণু ও পুংজনন কোষের মিলনে জাইগোট গঠিত হয় এবং এই জাইগোট ধীরে ধীরে ভ্রূণে বিকশিত হয়। ডিম্বক পরিবর্তিত হয়ে বীজ গঠন করে, যার মধ্যে ভ্রূণ সুরক্ষিত থাকে।
অধ্যায়: ৬ – উদ্ভিদের প্রজনন (আরও ১০টি MCQ)
MCQ নং ২১: পরাগরেণুর প্রাচীর কয়টি স্তর নিয়ে গঠিত?
(ক) একটি
(খ) দুইটি
(গ) তিনটি
(ঘ) চারটি
সঠিক উত্তর: (খ) দুইটি
ব্যাখ্যা: পরাগরেণুর প্রাচীর প্রধানত দুইটি স্তর নিয়ে গঠিত – বহিঃত্বক (exine) যা কঠিন ও অলঙ্কৃত এবং অন্তঃত্বক (intine) যা পাতলা ও মসৃণ।
MCQ নং ২২: ফুলের কোন অংশে পরাগরেণু উৎপন্ন হয়?
(ক) গর্ভমুণ্ড
(খ) গর্ভদণ্ড
(গ) গর্ভাশয়
(ঘ) পরাগধানী
সঠিক উত্তর: (ঘ) পরাগধানী
ব্যাখ্যা: পুংকেশরের শীর্ষে অবস্থিত থলির মতো অংশ হলো পরাগধানী, যেখানে অসংখ্য পরাগরেণু উৎপন্ন হয়।
MCQ নং ২৩: দ্বিনিষেক (Double fertilization) কোন উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য?
(ক) মস
(খ) ফার্ন
(গ) ব্যক্তবীজী উদ্ভিদ
(ঘ) গুপ্তবীজী উদ্ভিদ
সঠিক উত্তর: (ঘ) গুপ্তবীজী উদ্ভিদ
ব্যাখ্যা: দ্বিনিষেক হলো গুপ্তবীজী উদ্ভিদের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য, যেখানে একটি পরাগরেণু থেকে দুটি পুংজনন কোষ নির্গত হয়। একটি ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করে জাইগোট গঠন করে এবং অন্যটি কেন্দ্রীয় নিউক্লিয়াসের সাথে মিলিত হয়ে সস্য (endosperm) তৈরি করে।
MCQ নং ২৪: সস্য (Endosperm) বীজের কোন অংশে থাকে এবং এর প্রধান কাজ কী?
(ক) ভ্রূণের চারপাশে থাকে এবং সুরক্ষা দেয়
(খ) ভ্রূণের মধ্যে থাকে এবং বংশবৃদ্ধি করে
(গ) ভ্রূণের চারপাশে থাকে এবং খাদ্য সরবরাহ করে
(ঘ) বীজের বাইরে থাকে এবং অঙ্কুরোদগমে সাহায্য করে
সঠিক উত্তর: (গ) ভ্রূণের চারপাশে থাকে এবং খাদ্য সরবরাহ করে
ব্যাখ্যা: সস্য হলো ত্রিনিষেক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গঠিত একটি বিশেষ টিস্যু যা বীজের ভ্রূণের চারপাশে জমা থাকে এবং অঙ্কুরোদগমের সময় ভ্রূণকে প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহ করে।
MCQ নং ২৫: নিচের কোনটি অযৌন প্রজননের সুবিধা?
(ক) বংশধরের মধ্যে জিনগত প্রকরণ সৃষ্টি হয়
(খ) নতুন অভিযোজন ক্ষমতা তৈরি হয়
(গ) দ্রুত বংশবৃদ্ধি ঘটানো যায়
(ঘ) প্রজাতির ধারাবাহিকতা রক্ষা কঠিন হয়
সঠিক উত্তর: (গ) দ্রুত বংশবৃদ্ধি ঘটানো যায়
ব্যাখ্যা: অযৌন প্রজননে একটিমাত্র জনিতৃ উদ্ভিদ থেকে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টি হয় এবং এই প্রক্রিয়া যৌন প্রজননের তুলনায় অনেক দ্রুত সম্পন্ন হতে পারে।
MCQ নং ২৬: নিচের কোনটি যৌন প্রজননের অসুবিধা?
(ক) বংশধরেরা জনিতৃ উদ্ভিদের হুবহু প্রতিলিপি হয়
(খ) নতুন বৈশিষ্ট্য সৃষ্টির সম্ভাবনা কম থাকে
(গ) বংশবৃদ্ধি ধীর গতিতে হয়
(ঘ) পরিবেশের পরিবর্তনে অভিযোজন সহজ হয়
সঠিক উত্তর: (গ) বংশবৃদ্ধি ধীর গতিতে হয়
ব্যাখ্যা: যৌন প্রজননে দুটি ভিন্ন জননকোষের মিলন প্রয়োজন হয় এবং ভ্রূণ গঠন ও বিকাশের জন্য সময়ের প্রয়োজন হয়, তাই অযৌন প্রজননের তুলনায় এটি একটি ধীর প্রক্রিয়া।
MCQ নং ২৭: উদ্ভিদের কোন অংশে মুকুল সৃষ্টি হয়ে নতুন উদ্ভিদের জন্ম দেয়?
(ক) পাতা
(খ) কাণ্ড
(গ) মূল
(ঘ) উপরের সবগুলো
সঠিক উত্তর: (ঘ) উপরের সবগুলো
ব্যাখ্যা: কিছু উদ্ভিদের পাতা (যেমন: পাথরকুচি), কাণ্ড (যেমন: আদা, আলু) এবং মূল (যেমন: মিষ্টি আলু) এর বিশেষ অংশে মুকুল সৃষ্টি হতে পারে যা অনুকূল পরিবেশে নতুন উদ্ভিদের জন্ম দেয়।
MCQ নং ২৮: পরাগধানী থেকে পরাগরেণু ঝরে পড়া কোন প্রক্রিয়ার অংশ?
(ক) নিষেক
(খ) অঙ্কুরোদগম
(গ) পরাগ সংযোগ
(ঘ) পরাগ মুক্তি
সঠিক উত্তর: (ঘ) পরাগ মুক্তি
ব্যাখ্যা: পরাগধানী যখন পরিপক্ক হয়, তখন সেটি ফেটে যায় এবং পরাগরেণু বাতাসে বা বাহকের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এই প্রক্রিয়াকে পরাগ মুক্তি বলে, যা পরাগায়নের পূর্বশর্ত।
MCQ নং ২৯: বীজের সুপ্তাবস্থা ভাঙার জন্য কোনটি অপরিহার্য?
(ক) কেবল উচ্চ তাপমাত্রা
(খ) কেবল নিম্ন তাপমাত্রা
(গ) উপযুক্ত তাপমাত্রা, আর্দ্রতা ও অক্সিজেন
(ঘ) কেবল আলো
সঠিক উত্তর: (গ) উপযুক্ত তাপমাত্রা, আর্দ্রতা ও অক্সিজেন
ব্যাখ্যা: বীজের সুপ্তাবস্থা ভাঙার জন্য এবং অঙ্কুরোদগমের জন্য উপযুক্ত তাপমাত্রা, পর্যাপ্ত আর্দ্রতা (জল) এবং অক্সিজেন অপরিহার্য।
MCQ নং ৩০: উদ্ভিদের বংশবৃদ্ধিতে বীজের বিস্তারের গুরুত্ব কী?
(ক) নতুন উদ্ভিদের খাদ্য সরবরাহ করা
(খ) নতুন উদ্ভিদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা
(গ) নতুন নতুন স্থানে উদ্ভিদের বিস্তার ঘটানো
(ঘ) উদ্ভিদের আকার বৃদ্ধি করা
সঠিক উত্তর: (গ) নতুন নতুন স্থানে উদ্ভিদের বিস্তার ঘটানো
ব্যাখ্যা: বীজের বিস্তারের মাধ্যমে উদ্ভিদ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়তে পারে, যা তাদের নতুন পরিবেশে অভিযোজন এবং অধিক সংখ্যক বংশধর উৎপাদনে সাহায্য করে।