SSC হিসাব বিজ্ঞান | | দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি MCQ | | তৃতীয় অধ্যায়

SSC হিসাব বিজ্ঞান

তৃতীয় অধ্যায়: দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি


১। দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি হিসাবরক্ষণের একটি ________ পদ্ধতি।

ক) একতরফা

খ) বিজ্ঞানসম্মত ও পূর্ণাঙ্গ

গ) অসম্পূর্ণ

ঘ) সনাতন

সঠিক উত্তর: খ) বিজ্ঞানসম্মত ও পূর্ণাঙ্গ

ব্যাখ্যা: দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি হলো হিসাবরক্ষণের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য, বিজ্ঞানসম্মত ও পূর্ণাঙ্গ পদ্ধতি ।

২। দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে প্রতিটি লেনদেনের কয়টি পক্ষ থাকে?

ক) একটি

খ) দুইটি

গ) তিনটি

ঘ) চারটি

সঠিক উত্তর: খ) দুইটি

ব্যাখ্যা: দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে প্রতিটি লেনদেনের দুটি পক্ষ থাকে: একটি ডেবিট পক্ষ এবং একটি ক্রেডিট পক্ষ ।

৩। দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে ডেবিট ও ক্রেডিট পক্ষের টাকার পরিমাণ কেমন হয়?

ক) অসমান

খ) সমান

গ) কমবেশি হতে পারে

ঘ) শূন্য

সঠিক উত্তর: খ) সমান

ব্যাখ্যা: দুতরফা দাখিলা পদ্ধতির মূলনীতি হলো প্রতিটি ডেবিটের সমপরিমাণ ক্রেডিট থাকতে হবে, অর্থাৎ ডেবিট ও ক্রেডিট পক্ষের টাকার পরিমাণ সর্বদা সমান হয়।

৪। দুতরফা দাখিলা পদ্ধতির উৎস কোথায়?

ক) ভারত

খ) ইতালি

গ) ইংল্যান্ড

ঘ) ফ্রান্স

সঠিক উত্তর: খ) ইতালি

ব্যাখ্যা: দুতরফা দাখিলা পদ্ধতির উৎপত্তি ইতালিতে ।

৫। দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি প্রথম ব্যাখ্যা করেন কে?

ক) অ্যাডাম স্মিথ

খ) লুকা প্যাসিওলি

গ) ডেভিড রিকার্ডো

ঘ) কার্ল মার্ক্স

সঠিক উত্তর: খ) লুকা প্যাসিওলি

ব্যাখ্যা: ইতালীয় গণিতবিদ লুকা প্যাসিওলি ১৪৯৪ সালে তাঁর গ্রন্থে দুতরফা দাখিলা পদ্ধতির মূলনীতি ব্যাখ্যা করেন ।

৬। দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে সুবিধা গ্রহণকারী হিসাবকে কী করা হয়?

ক) ক্রেডিট

খ) ডেবিট

গ) জমা

ঘ) উত্তোলন

সঠিক উত্তর: খ) ডেবিট

ব্যাখ্যা: দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে সুবিধা গ্রহণকারী হিসাবকে ডেবিট করা হয়।

৭। দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে সুবিধা প্রদানকারী হিসাবকে কী করা হয়?

ক) ডেবিট

খ) ক্রেডিট

গ) খরচ

ঘ) আয়

সঠিক উত্তর: খ) ক্রেডিট

ব্যাখ্যা: দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে সুবিধা প্রদানকারী হিসাবকে ক্রেডিট করা হয়।

৮। সম্পদ বৃদ্ধি পেলে দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে হিসাবকে কী করা হয়?

ক) ক্রেডিট

খ) ডেবিট

গ) আয়

ঘ) ব্যয়

সঠিক উত্তর: খ) ডেবিট

ব্যাখ্যা: দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে সম্পদ বৃদ্ধি পেলে সংশ্লিষ্ট হিসাবকে ডেবিট করা হয়।

৯। সম্পদ হ্রাস পেলে দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে হিসাবকে কী করা হয়?

ক) ডেবিট

খ) ক্রেডিট

গ) উত্তোলন

ঘ) জমা

সঠিক উত্তর: খ) ক্রেডিট

ব্যাখ্যা: দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে সম্পদ হ্রাস পেলে সংশ্লিষ্ট হিসাবকে ক্রেডিট করা হয়।

১০। ব্যয় বৃদ্ধি পেলে দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে হিসাবকে কী করা হয়?

ক) ক্রেডিট

খ) ডেবিট

গ) আয়

ঘ) দায়

সঠিক উত্তর: খ) ডেবিট

ব্যাখ্যা: দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে ব্যয় বৃদ্ধি পেলে সংশ্লিষ্ট হিসাবকে ডেবিট করা হয়।

১১। ব্যয় হ্রাস পেলে দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে হিসাবকে কী করা হয়?

ক) ডেবিট

খ) ক্রেডিট

গ) সম্পদ

ঘ) মালিকানা স্বত্ব

সঠিক উত্তর: খ) ক্রেডিট

ব্যাখ্যা: দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে ব্যয় হ্রাস পেলে সংশ্লিষ্ট হিসাবকে ক্রেডিট করা হয়।

১২। আয় বৃদ্ধি পেলে দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে হিসাবকে কী করা হয়?

ক) ডেবিট

খ) ক্রেডিট

গ) ব্যয়

ঘ) সম্পদ

সঠিক উত্তর: খ) ক্রেডিট

ব্যাখ্যা: দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে আয় বৃদ্ধি পেলে সংশ্লিষ্ট হিসাবকে ক্রেডিট করা হয়।

১৩। আয় হ্রাস পেলে দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে হিসাবকে কী করা হয়?

ক) ক্রেডিট

খ) ডেবিট

গ) উত্তোলন

ঘ) দায়

সঠিক উত্তর: খ) ডেবিট

ব্যাখ্যা: দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে আয় হ্রাস পেলে সংশ্লিষ্ট হিসাবকে ডেবিট করা হয়।

১৪। দায় বৃদ্ধি পেলে দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে হিসাবকে কী করা হয়?

ক) ডেবিট

খ) ক্রেডিট

গ) সম্পদ

ঘ) মালিকানা স্বত্ব

সঠিক উত্তর: খ) ক্রেডিট

ব্যাখ্যা: দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে দায় বৃদ্ধি পেলে সংশ্লিষ্ট হিসাবকে ক্রেডিট করা হয়।

১৫। দায় হ্রাস পেলে দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে হিসাবকে কী করা হয়?

ক) ক্রেডিট

খ) ডেবিট

গ) আয়

ঘ) ব্যয়

সঠিক উত্তর: খ) ডেবিট

ব্যাখ্যা: দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে দায় হ্রাস পেলে সংশ্লিষ্ট হিসাবকে ডেবিট করা হয়।

১৬। মালিকানা স্বত্ব বৃদ্ধি পেলে দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে হিসাবকে কী করা হয়?

ক) ডেবিট

খ) ক্রেডিট

গ) সম্পদ

ঘ) দায়

সঠিক উত্তর: খ) ক্রেডিট

ব্যাখ্যা: দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে মালিকানা স্বত্ব বৃদ্ধি পেলে সংশ্লিষ্ট হিসাবকে ক্রেডিট করা হয়।

১৭। মালিকানা স্বত্ব হ্রাস পেলে দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে হিসাবকে কী করা হয়?

ক) ক্রেডিট

খ) ডেবিট

গ) আয়

ঘ) ব্যয়

সঠিক উত্তর: খ) ডেবিট

ব্যাখ্যা: দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে মালিকানা স্বত্ব হ্রাস পেলে সংশ্লিষ্ট হিসাবকে ডেবিট করা হয়।

১৮। মূলধন আনয়ন করা হলে কোন হিসাব ডেবিট হবে?

ক) মূলধন হিসাব

খ) নগদান হিসাব (যদি নগদ আনা হয়)

গ) উত্তোলন হিসাব

ঘ) পাওনাদার হিসাব

সঠিক উত্তর: খ) নগদান হিসাব (যদি নগদ আনা হয়)

ব্যাখ্যা: মালিক নগদ মূলধন আনলে প্রতিষ্ঠানের নগদ সম্পদ বৃদ্ধি পায়, তাই নগদান হিসাব ডেবিট হবে। মালিকানা স্বত্ব বৃদ্ধি পাওয়ায় মূলধন হিসাব ক্রেডিট হবে।

১৯। পণ্য ক্রয় করা হলে কোন হিসাব ডেবিট হবে?

ক) নগদান হিসাব

খ) পাওনাদার হিসাব

গ) ক্রয় হিসাব

ঘ) দেনাদার হিসাব

সঠিক উত্তর: গ) ক্রয় হিসাব

ব্যাখ্যা: পণ্য ক্রয় ব্যবসায়ের একটি ব্যয়, যা বৃদ্ধি পেলে ক্রয় হিসাব ডেবিট হয়।

২০। পণ্য বিক্রয় করা হলে কোন হিসাব ক্রেডিট হবে?

ক) বিক্রয় হিসাব

খ) নগদান হিসাব

গ) দেনাদার হিসাব

ঘ) ক্রয় হিসাব

সঠিক উত্তর: ক) বিক্রয় হিসাব

ব্যাখ্যা: পণ্য বিক্রয় ব্যবসায়ের একটি আয়, যা বৃদ্ধি পেলে বিক্রয় হিসাব ক্রেডিট হয়।

২১। বেতন প্রদান করা হলে কোন হিসাব ডেবিট হবে?

ক) নগদান হিসাব

খ) বেতন হিসাব

গ) পাওনাদার হিসাব

ঘ) মূলধন হিসাব

সঠিক উত্তর: খ) বেতন হিসাব

ব্যাখ্যা: বেতন প্রদান একটি ব্যয়, যা বৃদ্ধি পেলে বেতন হিসাব ডেবিট হয়। নগদ টাকা চলে যাওয়ায় নগদান হিসাব ক্রেডিট হবে।

২২। ভাড়া পাওয়া গেলে কোন হিসাব ক্রেডিট হবে?

ক) ভাড়া হিসাব

খ) নগদান হিসাব

গ) দেনাদার হিসাব

ঘ) উত্তোলন হিসাব

সঠিক উত্তর: ক) ভাড়া হিসাব

ব্যাখ্যা: ভাড়া পাওয়া একটি আয়, যা বৃদ্ধি পেলে ভাড়া হিসাব ক্রেডিট হয়। নগদ টাকা আসায় নগদান হিসাব ডেবিট হবে।

২৩। ধারে পণ্য বিক্রয় করা হলে কোন হিসাব ডেবিট হবে?

ক) নগদান হিসাব

খ) পাওনাদার হিসাব

গ) দেনাদার হিসাব

ঘ) বিক্রয় হিসাব

সঠিক উত্তর: গ) দেনাদার হিসাব

ব্যাখ্যা: ধারে পণ্য বিক্রয় করলে দেনাদার সৃষ্টি হয়, যা একটি সম্পদ। সম্পদ বৃদ্ধি পেলে দেনাদার হিসাব ডেবিট হয়। বিক্রয় আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় বিক্রয় হিসাব ক্রেডিট হবে।

২৪। ধারে পণ্য ক্রয় করা হলে কোন হিসাব ক্রেডিট হবে?

ক) নগদান হিসাব

খ) পাওনাদার হিসাব

গ) দেনাদার হিসাব

ঘ) ক্রয় হিসাব

সঠিক উত্তর: খ) পাওনাদার হিসাব

ব্যাখ্যা: ধারে পণ্য ক্রয় করলে পাওনাদার সৃষ্টি হয়, যা একটি দায়। দায় বৃদ্ধি পেলে পাওনাদার হিসাব ক্রেডিট হয়। ক্রয় ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রয় হিসাব ডেবিট হবে।

২৫। মালিক কর্তৃক নগদ উত্তোলন করা হলে কোন হিসাব ডেবিট হবে?

ক) নগদান হিসাব

খ) মূলধন হিসাব

গ) উত্তোলন হিসাব

ঘ) পাওনাদার হিসাব

সঠিক উত্তর: গ) উত্তোলন হিসাব

ব্যাখ্যা: মালিক কর্তৃক উত্তোলন মালিকানা স্বত্বকে হ্রাস করে, তাই উত্তোলন হিসাব ডেবিট হবে। নগদ টাকা চলে যাওয়ায় নগদান হিসাব ক্রেডিট হবে।

২৬। পাওনাদারকে নগদ পরিশোধ করা হলে কোন হিসাব ক্রেডিট হবে?

ক) পাওনাদার হিসাব

খ) নগদান হিসাব

গ) ক্রয় হিসাব

ঘ) দেনাদার হিসাব

সঠিক উত্তর: খ) নগদান হিসাব

ব্যাখ্যা: পাওনাদারকে নগদ পরিশোধ করলে নগদ সম্পদ হ্রাস পায়, তাই নগদান হিসাব ক্রেডিট হবে। পাওনাদার দায় হ্রাস পাওয়ায় পাওনাদার হিসাব ডেবিট হবে।

২৭। দেনাদার হতে নগদ আদায় করা হলে কোন হিসাব ডেবিট হবে?

ক) দেনাদার হিসাব

খ) নগদান হিসাব

গ) বিক্রয় হিসাব

ঘ) পাওনাদার হিসাব

সঠিক উত্তর: খ) নগদান হিসাব

ব্যাখ্যা: দেনাদার হতে নগদ আদায় করলে নগদ সম্পদ বৃদ্ধি পায়, তাই নগদান হিসাব ডেবিট হবে। দেনাদার সম্পদ হ্রাস পাওয়ায় দেনাদার হিসাব ক্রেডিট হবে।

২৮। হিসাবের গাণিতিক নির্ভুলতা যাচাইয়ের জন্য দুতরফা দাখিলা পদ্ধতির সুবিধা কোনটি?

ক) খতিয়ান তৈরি

খ) জাবেদা তৈরি

গ) রেওয়ামিল তৈরি

ঘ) আর্থিক বিবরণী তৈরি

সঠিক উত্তর: গ) রেওয়ামিল তৈরি

ব্যাখ্যা: দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে হিসাব রাখার কারণে রেওয়ামিল প্রস্তুত করে হিসাবের গাণিতিক নির্ভুলতা যাচাই করা যায়।

২৯। দুতরফা দাখিলা পদ্ধতির প্রধান সুবিধা কী?

ক) হিসাব সহজে রাখা যায়

খ) আর্থিক ফলাফল ও আর্থিক অবস্থা সঠিকভাবে নির্ণয় করা যায়

গ) কম সময় লাগে

ঘ) কম খরচ হয়

সঠিক উত্তর: খ) আর্থিক ফলাফল ও আর্থিক অবস্থা সঠিকভাবে নির্ণয় করা যায়

ব্যাখ্যা: দুতরফা দাখিলা পদ্ধতির মাধ্যমে প্রতিটি লেনদেনের সঠিক ডেবিট ও ক্রেডিট বিশ্লেষণ করে লিপিবদ্ধ করার কারণে নির্দিষ্ট সময় শেষে ব্যবসায়ের আর্থিক ফলাফল (লাভ বা ক্ষতি) এবং আর্থিক অবস্থা (সম্পদ, দায় ও মালিকানা স্বত্ব) সঠিকভাবে নির্ণয় করা যায়।

৩০। দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে ডেবিট বা ক্রেডিট করার নীতি কিসের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত?

ক) লেনদেনের প্রকৃতি

খ) হিসাবের শ্রেণিবিভাগ

গ) অর্থের পরিমাণ

ঘ) সময়ের উপর

সঠিক উত্তর: খ) হিসাবের শ্রেণিবিভাগ

ব্যাখ্যা: দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে ডেবিট ও ক্রেডিট করার নীতি হিসাবের আধুনিক ও সনাতন শ্রেণিবিভাগের নিয়মের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত।

Leave a Reply

Scroll to Top