নবম-দশম শ্রেণি বিজ্ঞান MCQ | | দেখতে হলে আলো চাই MCQ || অধ্যায়ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর – ২০২৫

SSC বিজ্ঞান MCQ

অধ্যায় ৫: দেখতে হলে আলো চাই


১. আলোর প্রতিফলন কত প্রকার?

ক) ১ প্রকার

খ) ২ প্রকার

গ) ৩ প্রকার

ঘ) ৪ প্রকার

সঠিক উত্তর: খ) ২ প্রকার

ব্যাখ্যা: আলোর প্রতিফলন প্রধানত দুই প্রকার—নিয়মিত প্রতিফলন ও ব্যাপ্ত প্রতিফলন। যখন আলো মসৃণ তলে আপতিত হয়ে নির্দিষ্ট দিকে প্রতিফলিত হয়, তখন তাকে নিয়মিত প্রতিফলন বলে। আর যখন অমসৃণ তলে আপতিত হয়ে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে, তখন তাকে ব্যাপ্ত প্রতিফলন বলে।

২. দর্পণে আলোর কোন ঘটনা ঘটে?

ক) প্রতিসরণ

খ) প্রতিফলন

গ) ব্যতিচার

ঘ) অপবর্তন

সঠিক উত্তর: খ) প্রতিফলন

ব্যাখ্যা: দর্পণ হলো একটি মসৃণ তল যেখানে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে এবং প্রতিবিম্ব সৃষ্টি হয়।

৩. সমতল দর্পণে গঠিত প্রতিবিম্ব কীরূপ?

ক) বাস্তব ও সোজা

খ) অবাস্তব ও সোজা

গ) বাস্তব ও উল্টো

ঘ) অবাস্তব ও উল্টো

সঠিক উত্তর: খ) অবাস্তব ও সোজা

ব্যাখ্যা: সমতল দর্পণে গঠিত প্রতিবিম্ব সবসময় অবাস্তব (দর্পণের পেছনে গঠিত হয়), সোজা এবং বস্তুর আকারের সমান হয়।

৪. গোলীয় দর্পণ কত প্রকার?

ক) ১ প্রকার

খ) ২ প্রকার

গ) ৩ প্রকার

ঘ) ৪ প্রকার

সঠিক উত্তর: খ) ২ প্রকার

ব্যাখ্যা: গোলীয় দর্পণ দুই প্রকার—অবতল দর্পণ ও উত্তল দর্পণ। গোলীয় পৃষ্ঠের ভেতরের দিকে প্রতিফলন ঘটলে তা অবতল এবং বাইরের দিকে প্রতিফলন ঘটলে তা উত্তল দর্পণ।

৫. অবতল দর্পণের ফোকাস দূরত্ব (f) ও বক্রতার ব্যাসার্ধ (r) এর সম্পর্ক কী?

ক) f = 2r

খ) f = r/2

গ) f = r

ঘ) f = r^2

সঠিক উত্তর: খ) f = r/2

ব্যাখ্যা: গোলীয় দর্পণের ফোকাস দূরত্ব তার বক্রতার ব্যাসার্ধের অর্ধেক হয়।

৬. গাড়ির হেডলাইটে কোন ধরনের দর্পণ ব্যবহৃত হয়?

ক) সমতল দর্পণ

খ) উত্তল দর্পণ

গ) অবতল দর্পণ

ঘ) প্যারাবোলিক দর্পণ

সঠিক উত্তর: গ) অবতল দর্পণ

ব্যাখ্যা: অবতল দর্পণের ফোকাসে বাতি রেখে সমান্তরাল আলোকরশ্মিগুচ্ছ তৈরি করা হয়, যা গাড়ির হেডলাইটে ব্যবহৃত হয় আলো দূরে ফেলার জন্য।

৭. নিরাপদ ড্রাইভিংয়ের জন্য গাড়িতে চালকের পাশে কোন দর্পণ থাকে?

ক) সমতল দর্পণ

খ) উত্তল দর্পণ

গ) অবতল দর্পণ

ঘ) কোনোটিই নয়

সঠিক উত্তর: খ) উত্তল দর্পণ

ব্যাখ্যা: উত্তল দর্পণ সর্বদা সোজা ও ছোট প্রতিবিম্ব গঠন করে এবং বিস্তৃত এলাকা দেখতে সাহায্য করে, যা পেছনের যানবাহন দেখার জন্য সুবিধাজনক।

৮. আলোকরশ্মি এক স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে অন্য স্বচ্ছ মাধ্যমে তির্যকভাবে প্রবেশ করলে কী ঘটে?

ক) প্রতিফলন

খ) প্রতিসরণ

গ) বিচ্ছুরণ

ঘ) শোষণ

সঠিক উত্তর: খ) প্রতিসরণ

ব্যাখ্যা: আলোকরশ্মি যখন এক স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে অন্য স্বচ্ছ মাধ্যমে তির্যকভাবে আপতিত হয়, তখন মাধ্যমদ্বয়ের বিভেদতলে এর গতিপথের পরিবর্তন ঘটে। এই ঘটনাকে আলোর প্রতিসরণ বলে।

৯. প্রতিসরণের সূত্র কয়টি?

ক) ১টি

খ) ২টি

গ) ৩টি

ঘ) ৪টি

সঠিক উত্তর: খ) ২টি

ব্যাখ্যা: আলোর প্রতিসরণের দুটি সূত্র রয়েছে। প্রথম সূত্রটি আপতিত রশ্মি, প্রতিসৃত রশ্মি এবং আপতন বিন্দুতে বিভেদতলের উপর অঙ্কিত অভিলম্ব একই সমতলে থাকার বিষয়ে এবং দ্বিতীয় সূত্রটি (স্নেলের সূত্র) প্রতিসরণাঙ্কের সাথে আপতন ও প্রতিসরণ কোণের সাইনের অনুপাত সম্পর্কিত।

১০. স্নেলের সূত্র কোনটি?

ক) n1 sin θ1 = n2 sin θ2

খ) n1 cos θ1 = n2 cos θ2

গ) n1 tan θ1 = n2 tan θ2

ঘ) n1/sin θ1 = n2/sin θ2

সঠিক উত্তর: ক) n1 sin θ1 = n2 sin θ2

ব্যাখ্যা: স্নেলের সূত্রানুযায়ী, একজোড়া নির্দিষ্ট মাধ্যম এবং নির্দিষ্ট রঙের আলোর জন্য আপতন কোণের সাইন (sin θ1) ও প্রতিসরণ কোণের সাইনের (sin θ2) অনুপাত একটি ধ্রুব সংখ্যা (n2/n1), যা দ্বিতীয় মাধ্যমের প্রতিসরণাঙ্ক প্রথম মাধ্যমের সাপেক্ষে।

১১. পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের শর্ত কয়টি?

ক) ১টি

খ) ২টি

গ) ৩টি

ঘ) ৪টি

সঠিক উত্তর: খ) ২টি

ব্যাখ্যা: পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের দুটি শর্ত হলো: (১) আলোকরশ্মিকে অবশ্যই ঘন মাধ্যম থেকে হালকা মাধ্যমে যেতে হবে এবং (২) আপতন কোণকে সংকট কোণের চেয়ে বড় হতে হবে।

১২. মরুভূমিতে মরীচিকা সৃষ্টির কারণ কী?

ক) আলোর প্রতিফলন

খ) আলোর ব্যতিচার

গ) আলোর অপবর্তন

ঘ) আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন

সঠিক উত্তর: ঘ) আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন

ব্যাখ্যা: মরুভূমিতে উত্তপ্ত বালির উপরের স্তরের বাতাস হালকা এবং উপরের বাতাস তুলনামূলকভাবে ঘন থাকে। দূরের বস্তু থেকে আলোকরশ্মি ঘন মাধ্যম থেকে হালকা মাধ্যমে আসার সময় পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের কারণে মরীচিকার সৃষ্টি হয়।

১৩. অপটিক্যাল ফাইবারে আলোর কোন ঘটনা ব্যবহৃত হয়?

ক) প্রতিফলন

খ) প্রতিসরণ

গ) পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন

ঘ) বিচ্ছুরণ

সঠিক উত্তর: গ) পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন

ব্যাখ্যা: অপটিক্যাল ফাইবার খুব সরু কাচ বা প্লাস্টিকের তন্তু যার মধ্য দিয়ে পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের মাধ্যমে আলোক সংকেত বা ডেটা বহুদূর পাঠানো যায়।

১৪. লেন্স কীসের তৈরি?

ক) কাঠ

খ) ধাতু

গ) স্বচ্ছ প্রতিসারক মাধ্যম

ঘ) অস্বচ্ছ মাধ্যম

সঠিক উত্তর: গ) স্বচ্ছ প্রতিসারক মাধ্যম

ব্যাখ্যা: লেন্স হলো দুটি গোলীয় পৃষ্ঠ দ্বারা সীমাবদ্ধ স্বচ্ছ প্রতিসারক মাধ্যম, যা সাধারণত কাচ বা প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হয়।

১৫. লেন্স প্রধানত কত প্রকার?

ক) ১ প্রকার

খ) ২ প্রকার

গ) ৩ প্রকার

ঘ) ৪ প্রকার

সঠিক উত্তর: খ) ২ প্রকার

ব্যাখ্যা: লেন্স প্রধানত দুই প্রকার—উত্তল লেন্স (অভিসারী) ও অবতল লেন্স (অপসারী)।

১৬. কোন লেন্স আলোকরশ্মিকে অভিসারী করে?

ক) উত্তল লেন্স

খ) অবতল লেন্স

গ) সমতল লেন্স

ঘ) কোনোটিই নয়

সঠিক উত্তর: ক) উত্তল লেন্স

ব্যাখ্যা: উত্তল লেন্স তার উপর আপতিত সমান্তরাল আলোকরশ্মিগুচ্ছকে প্রতিসরণের পর একটি বিন্দুতে মিলিত করে, তাই একে অভিসারী লেন্স বলে।

১৭. কোন লেন্স আলোকরশ্মিকে অপসারী করে?

ক) উত্তল লেন্স

খ) অবতল লেন্স

গ) সমতল লেন্স

ঘ) কোনোটিই নয়

সঠিক উত্তর: খ) অবতল লেন্স

ব্যাখ্যা: অবতল লেন্স তার উপর আপতিত সমান্তরাল আলোকরশ্মিগুচ্ছকে প্রতিসরণের পর অপসারী করে, অর্থাৎ ছড়িয়ে দেয়, তাই একে অপসারী লেন্স বলে।

১৮. লেন্সের ক্ষমতার একক কী?

ক) ওয়াট

খ) মিটার

গ) ডায়োপ্টার

ঘ) কেলভিন

সঠিক উত্তর: গ) ডায়োপ্টার

ব্যাখ্যা: লেন্সের ক্ষমতা P = 1/f (f মিটারে), এর একক হলো ডায়োপ্টার (Dioptre, D)।

১৯. চোখের কোন অংশে প্রতিবিম্ব গঠিত হয়?

ক) কর্নিয়া

খ) আইরিস

গ) রেটিনা

ঘ) লেন্স

সঠিক উত্তর: গ) রেটিনা

ব্যাখ্যা: চোখের লেন্সের মাধ্যমে আলো প্রতিসৃত হয়ে রেটিনায় বস্তুর একটি বাস্তব ও উল্টো প্রতিবিম্ব গঠন করে। রেটিনার আলোক সংবেদী কোষগুলো সেই সংকেত মস্তিষ্কে পাঠায়।

২০. চোখের লেন্স কোন ধরনের?

ক) অবতল

খ) উত্তল

গ) সমতলাবতল

ঘ) সমতলোত্তল

সঠিক উত্তর: খ) উত্তল

ব্যাখ্যা: মানুষের চোখের লেন্স একটি উত্তল লেন্স, যা প্রয়োজন অনুযায়ী ফোকাস দূরত্ব পরিবর্তন করতে পারে।

২১. স্পষ্ট দৃষ্টির ন্যূনতম দূরত্ব কত?

ক) ১০ সেমি

খ) ১৫ সেমি

গ) ২০ সেমি

ঘ) ২৫ সেমি

সঠিক উত্তর: ঘ) ২৫ সেমি

ব্যাখ্যা: স্বাভাবিক চোখের জন্য স্পষ্ট দৃষ্টির ন্যূনতম দূরত্ব ধরা হয় ২৫ সেমি। এই দূরত্বে কোনো বস্তু রাখলে তা বিনা শ্রান্তিতে স্পষ্ট দেখা যায়।

২২. চোখের কোন ত্রুটির কারণে কাছের বস্তু স্পষ্ট দেখা গেলেও দূরের বস্তু ঝাপসা দেখা যায়?

ক) ক্ষীণদৃষ্টি বা মায়োপিয়া

খ) দূরদৃষ্টি বা হাইপারমেট্রোপিয়া

গ) বার্ধক্যদৃষ্টি বা প্রেসবায়োপিয়া

ঘ) বিষমদৃষ্টি বা অ্যাসটিগমেটিজম

সঠিক উত্তর: ক) ক্ষীণদৃষ্টি বা মায়োপিয়া

ব্যাখ্যা: ক্ষীণদৃষ্টি বা মায়োপিয়াতে চোখের লেন্সের অভিসারী ক্ষমতা বেড়ে যায় বা অক্ষিগোলকের ব্যাসার্ধ বেড়ে যায়, ফলে দূরের বস্তু থেকে আসা আলোকরশ্মি রেটিনার সামনে মিলিত হয়।

২৩. ক্ষীণদৃষ্টি (মায়োপিয়া) সংশোধনের জন্য কোন লেন্স ব্যবহার করা হয়?

ক) উত্তল লেন্স

খ) অবতল লেন্স

গ) বাইফোকাল লেন্স

ঘ) সিলিন্ড্রিক্যাল লেন্স

সঠিক উত্তর: খ) অবতল লেন্স

ব্যাখ্যা: অবতল লেন্স আলোকরশ্মিকে অপসারী করে, যা মায়োপিয়া আক্রান্ত চোখের অতিরিক্ত অভিসারী ক্ষমতাকে কমিয়ে দিয়ে প্রতিবিম্বকে রেটিনার উপর ফেলতে সাহায্য করে।

২৪. চোখের কোন ত্রুটির কারণে দূরের বস্তু স্পষ্ট দেখা গেলেও কাছের বস্তু ঝাপসা দেখা যায়?

ক) ক্ষীণদৃষ্টি বা মায়োপিয়া

খ) দূরদৃষ্টি বা হাইপারমেট্রোপিয়া

গ) বার্ধক্যদৃষ্টি বা প্রেসবায়োপিয়া

ঘ) বিষমদৃষ্টি বা অ্যাসটিগমেটিজম

সঠিক উত্তর: খ) দূরদৃষ্টি বা হাইপারমেট্রোপিয়া

ব্যাখ্যা: দূরদৃষ্টি বা হাইপারমেট্রোপিয়াতে চোখের লেন্সের অভিসারী ক্ষমতা কমে যায় বা অক্ষিগোলকের ব্যাসার্ধ কমে যায়, ফলে কাছের বস্তু থেকে আসা আলোকরশ্মি রেটিনার পেছনে মিলিত হয় (হওয়ার প্রবণতা দেখায়)।

২৫. দূরদৃষ্টি (হাইপারমেট্রোপিয়া) সংশোধনের জন্য কোন লেন্স ব্যবহার করা হয়?

ক) উত্তল লেন্স

খ) অবতল লেন্স

গ) বাইফোকাল লেন্স

ঘ) সিলিন্ড্রিক্যাল লেন্স

সঠিক উত্তর: ক) উত্তল লেন্স

ব্যাখ্যা: উত্তল লেন্স আলোকরশ্মিকে অভিসারী করে, যা হাইপারমেট্রোপিয়া আক্রান্ত চোখের কম অভিসারী ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দিয়ে প্রতিবিম্বকে রেটিনার উপর ফেলতে সাহায্য করে।

২৬. চোখের লেন্সের ফোকাস দূরত্ব পরিবর্তনের ক্ষমতাকে কী বলে?

ক) প্রতিসরণ

খ) উপযোজন

গ) প্রতিফলন

ঘ) বিচ্ছুরণ

সঠিক উত্তর: খ) উপযোজন

ব্যাখ্যা: চোখের সিলিয়ারি পেশি ও সাসপেনসরি লিগামেন্টের সাহায্যে লেন্সের বক্রতা তথা ফোকাস দূরত্ব পরিবর্তন করে বিভিন্ন দূরত্বের বস্তুকে স্পষ্ট দেখার প্রক্রিয়াকে উপযোজন (Accommodation) বলে।

২৭. দন্ত চিকিৎসকরা কোন ধরনের দর্পণ ব্যবহার করেন?

ক) সমতল দর্পণ

খ) উত্তল দর্পণ

গ) অবতল দর্পণ

ঘ) কোনোটিই নয়

সঠিক উত্তর: গ) অবতল দর্পণ

ব্যাখ্যা: অবতল দর্পণ বস্তুকে ফোকাস দূরত্বের মধ্যে রাখলে একটি বিবর্ধিত ও সোজা অবাস্তব প্রতিবিম্ব গঠন করে। দাঁতের ভেতরের অংশ বড় করে দেখার জন্য দন্ত চিকিৎসকরা এটি ব্যবহার করেন।

২৮. আয়নায় নিজের ডান হাতকে বাম হাত মনে হওয়ার কারণ কী?

ক) প্রতিফলন

খ) প্রতিসরণ

গ) পার্শ্বীয় পরিবর্তন

ঘ) পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন

সঠিক উত্তর: গ) পার্শ্বীয় পরিবর্তন

ব্যাখ্যা: সমতল দর্পণে প্রতিবিম্বের পার্শ্বীয় পরিবর্তন ঘটে, অর্থাৎ বস্তুর ডান দিক প্রতিবিম্বের বাম দিক এবং বস্তুর বাম দিক প্রতিবিম্বের ডান দিক দেখায়।

২৯. সংকট কোণ (Critical Angle) কী?

ক) যে আপতন কোণের জন্য প্রতিসরণ কোণ ০ ডিগ্রি হয়

খ) যে আপতন কোণের জন্য প্রতিসরণ কোণ ৯০ ডিগ্রি হয়

গ) যে আপতন কোণের জন্য প্রতিফলন কোণ ৯০ ডিগ্রি হয়

ঘ) যে প্রতিসরণ কোণের জন্য আপতন কোণ ৯০ ডিগ্রি হয়

সঠিক উত্তর: খ) যে আপতন কোণের জন্য প্রতিসরণ কোণ ৯০ ডিগ্রি হয়

ব্যাখ্যা: আলোকরশ্মি ঘন মাধ্যম থেকে হালকা মাধ্যমে যাওয়ার সময় যে নির্দিষ্ট আপতন কোণের জন্য প্রতিসরণ কোণের মান ৯০ ডিগ্রি হয়, সেই আপতন কোণকে সংকট কোণ বলে।

৩০. ক্যামেরায় গঠিত প্রতিবিম্ব কীরূপ?

ক) বাস্তব, সোজা, খর্বিত

খ) অবাস্তব, সোজা, বিবর্ধিত

গ) বাস্তব, উল্টো, খর্বিত

ঘ) অবাস্তব, উল্টো, খর্বিত

সঠিক উত্তর: গ) বাস্তব, উল্টো, খর্বিত

ব্যাখ্যা: ক্যামেরা একটি উত্তল লেন্স ব্যবহার করে যা ফিল্ম বা সেন্সরের উপর বস্তুর একটি বাস্তব, উল্টো এবং সাধারণত খর্বিত (ছোট) প্রতিবিম্ব গঠন করে।

৩১. প্রতিসরণাঙ্ক কীসের উপর নির্ভর করে না?

ক) মাধ্যমের প্রকৃতি

খ) আলোর বর্ণ

গ) আপতন কোণ

ঘ) তাপমাত্রা

সঠিক উত্তর: গ) আপতন কোণ

ব্যাখ্যা: কোনো নির্দিষ্ট মাধ্যমের প্রতিসরণাঙ্ক মাধ্যমের প্রকৃতি, আলোর বর্ণ এবং তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে, কিন্তু আপতন কোণের উপর নির্ভর করে না (স্নেলের সূত্র অনুযায়ী sin i / sin r ধ্রুবক)।

৩২. লেন্সের আলোক কেন্দ্র দিয়ে গেলে আলোকরশ্মির কী পরিবর্তন হয়?

ক) দিক পরিবর্তন হয়

খ) দিক পরিবর্তন হয় না

গ) প্রতিফলিত হয়

ঘ) শোষিত হয়

সঠিক উত্তর: খ) দিক পরিবর্তন হয় না

ব্যাখ্যা: লেন্সের আলোক কেন্দ্র হলো লেন্সের প্রধান অক্ষের উপর অবস্থিত এমন একটি বিন্দু যার মধ্য দিয়ে কোনো আলোকরশ্মি গেলে প্রতিসরণের পর কোনো দিক পরিবর্তন না করে সোজা চলে যায়।

৩৩. উত্তল লেন্সের ফোকাস দূরত্ব ধনাত্মক (+) হলে, অবতল লেন্সের ফোকাস দূরত্ব কী হবে?

ক) ধনাত্মক (+)

খ) ঋণাত্মক (-)

গ) শূন্য (0)

ঘ) অসীম

সঠিক উত্তর: খ) ঋণাত্মক (-)

ব্যাখ্যা: প্রচলিত চিহ্নরীতি অনুযায়ী, উত্তল (অভিসারী) লেন্সের ফোকাস দূরত্ব ধনাত্মক এবং অবতল (অপসারী) লেন্সের ফোকাস দূরত্ব ঋণাত্মক ধরা হয়।

৩৪. রেটিনার কোন কোষগুলো বর্ণ চিনতে সাহায্য করে?

ক) রড কোষ

খ) কোন কোষ

গ) গ্যাংলিওন কোষ

ঘ) অ্যামাক্রাইন কোষ

সঠিক উত্তর: খ) কোন কোষ

ব্যাখ্যা: রেটিনায় অবস্থিত কোন (Cone) কোষগুলো তীব্র আলোতে সংবেদনশীল এবং বিভিন্ন বর্ণ চিনতে সাহায্য করে। রড (Rod) কোষগুলো মৃদু আলোতে দেখতে সাহায্য করে কিন্তু বর্ণ চিনতে পারে না।

৩৫. আলোর বিচ্ছুরণ কী?

ক) আলোর প্রতিফলন

খ) আলোর প্রতিসরণ

গ) সাদা আলোর সাতটি বর্ণে বিভক্ত হওয়া

ঘ) আলোর সমবর্তন

সঠিক উত্তর: গ) সাদা আলোর সাতটি বর্ণে বিভক্ত হওয়া

ব্যাখ্যা: প্রিজম বা অন্য কোনো প্রতিসারক মাধ্যমের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় সাদা আলো বা যৌগিক আলো তার উপাদান বর্ণগুলোতে (সাতটি রঙ – বেগুনী, নীল, আকাশি, সবুজ, হলুদ, কমলা, লাল) বিভক্ত হয়ে যাওয়ার ঘটনাকে আলোর বিচ্ছুরণ বলে।

৩৬. রংধনু সৃষ্টির কারণ কী?

ক) আলোর প্রতিফলন

খ) আলোর প্রতিসরণ ও অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন

গ) আলোর ব্যতিচার

ঘ) আলোর অপবর্তন

সঠিক উত্তর: খ) আলোর প্রতিসরণ ও অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন

ব্যাখ্যা: বৃষ্টির কণা বা জলীয় বাষ্প মিশ্রিত বাতাস ভেদ করে যখন সূর্যের আলো যায়, তখন আলোর প্রতিসরণ ও পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের ফলে বিচ্ছুরণ ঘটে এবং আকাশে রংধনু সৃষ্টি হয়।

৩৭. বিবর্ধক কাচ হিসেবে কোন লেন্স ব্যবহৃত হয়?

ক) অবতল লেন্স

খ) উত্তল লেন্স

গ) সমতল কাচ

ঘ) কোনোটিই নয়

সঠিক উত্তর: খ) উত্তল লেন্স

ব্যাখ্যা: কম ফোকাস দূরত্বের উত্তল লেন্সকে বিবর্ধক কাচ বা সরল অণুবীক্ষণ যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বস্তুকে ফোকাস দূরত্বের মধ্যে রাখলে এটি একটি সোজা, অবাস্তব ও বিবর্ধিত প্রতিবিম্ব গঠন করে।

৩৮. চোখের লেন্স অস্বচ্ছ হয়ে গেলে কোন রোগ হয়?

ক) গ্লুকোমা

খ) ছানি পড়া (Cataract)

গ) মায়োপিয়া

ঘ) হাইপারমেট্রোপিয়া

সঠিক উত্তর: খ) ছানি পড়া (Cataract)

ব্যাখ্যা: বয়সজনিত কারণে বা অন্যান্য কারণে চোখের লেন্স যদি ধীরে ধীরে ঘোলাটে বা অস্বচ্ছ হয়ে যায়, তখন তাকে ছানি পড়া বলে। এতে দৃষ্টিশক্তি কমে যায়।

৩৯. দুটি সমতল দর্পণ সমান্তরালে রাখলে কয়টি প্রতিবিম্ব সৃষ্টি হয়?

ক) ১টি

খ) ২টি

গ) ৪টি

ঘ) অসংখ্য

সঠিক উত্তর: ঘ) অসংখ্য

ব্যাখ্যা: দুটি সমান্তরাল সমতল দর্পণের মধ্যে কোনো বস্তু রাখলে আলোর বারবার প্রতিফলনের কারণে অসংখ্য প্রতিবিম্ব সৃষ্টি হয়।

৪০. কোনো লেন্সের ক্ষমতা +2D হলে, তার ফোকাস দূরত্ব কত?

ক) +50 cm

খ) -50 cm

গ) +2 m

ঘ) -2 m

সঠিক উত্তর: ক) +50 cm

ব্যাখ্যা: লেন্সের ক্ষমতা P = 1/f (f মিটারে)। সুতরাং, f = 1/P = 1/(+2) মিটার = +0.5 মিটার = +50 সেমি। ধনাত্মক চিহ্ন указывает এটি একটি উত্তল লেন্স।

Leave a Reply

Scroll to Top