2 min read

নিরক্ষরতা দুর্ভাগ্যের প্রসূতি


শিক্ষা হচ্ছে সেই মহামূল্যবান রত্ন, যা মানুষের সাথে পশুর পার্থক্যকে তুলে ধরে। শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে একজন মানুষ, প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠে। শিক্ষা বা জ্ঞান ছাড়া যথার্থ মানুষ হওয়া যায় না। আত্মা ছাড়া যেমন দেহের কোনো মূল্য নেই, তেমন শিক্ষা ছাড়া মানুষের জীবনেরও কোনো মূল্য নেই।

শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত একজন চোখ থাকতেও অন্ধ হিসেবে বিবেচিত হয়। একজন অশিক্ষিত ব্যক্তি এই পৃথিবীর রূপ-রস-গন্ধ থেকে বঞ্চিত হয়। জীবনের প্রতিটি পদে পদে সে হয় প্রতারিত। তার জীবনটাই হয় ব্যর্থ ও অভিশপ্ত। উন্নত জীবনের সাথে তার কোনো পরিচয় থাকে না। দরিদ্রতা হয় তার নিত্য সঙ্গী। দারিদ্রতা এবং দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তির পথ সে জানে না। এই ধরণের মানুষ ধুকে ধুকে মৃত্যুবরণ করে।

জ্ঞান-বিজ্ঞানের আলোয় আলোকিত নয় বলে, জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে সে চোখে অন্ধকার দেখে। উন্নত তথ্য প্রযুক্তি থেকে সে হয় বঞ্চিত। আধুনিক বিশ্বে একজন অক্ষরজ্ঞানহীন ব্যক্তি অচল।

শুধু ব্যক্তি জীবনেই নয়, জাতীয় জীবনেও নিরক্ষরতা চরম দুর্ভাগ্য বয়ে আনে। অশিক্ষিত জনগোষ্ঠী নিয়ে একটি দেশ কখনো উন্নতি করতে পারে না। পদে পদে সেই দেশের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত হয়। উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায়, তাদের প্রায় ১০০% জনগোষ্ঠীই শিক্ষিত। ফলে তারা এতো উন্নত। তাই একটি উন্নত দেশের জন্য চাই শিক্ষিত জনগোষ্ঠী।

শিক্ষা: নিরক্ষরতা হচ্ছে অন্ধকার এবং শিক্ষা হচ্ছে আলো। নিরক্ষর ব্যক্তি যেমন একটি দেশের বোঝা এবং অভিশাপস্বরূপ। তেমন শিক্ষিত ব্যক্তি একটি দেশের সম্পদ। তাই নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে জাতিকে মুক্ত করতে হবে, শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে হবে সর্বত্র।

0
2
0
0
0

Download Post

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *