SSC রসায়ন দ্বিতীয় অধ্যায় MCQ | পদার্থের অবস্থা  বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

SSC রসায়ন

দ্বিতীয় অধ্যায়: পদার্থের অবস্থা


প্রশ্ন ১: পদার্থ কী?

ক) যার ওজন আছে কিন্তু জায়গা দখল করে না

খ) যা ওজন আছে এবং জায়গা দখল করে ও বল প্রয়োগে বাধা সৃষ্টি করে

গ) যা জায়গা দখল করে কিন্তু ওজন নেই

ঘ) কোনোটিই নয়

সঠিক উত্তর: খ) যা ওজন আছে এবং জায়গা দখল করে ও বল প্রয়োগে বাধা সৃষ্টি করে

ব্যাখ্যা: যা ওজন আছে এবং জায়গা দখল করে ও বল প্রয়োগে বাধা সৃষ্টি করে, তাকে পদার্থ বলে।

প্রশ্ন ২: পদার্থের কটি অবস্থা রয়েছে?

ক) দুটি

খ) তিনটি

গ) চারটি

ঘ) পাঁচটি

সঠিক উত্তর: খ) তিনটি

ব্যাখ্যা: পদার্থের মূলত তিনটি অবস্থা রয়েছে: কঠিন, তরল ও বায়বীয়।

প্রশ্ন ৩: কোনটি পদার্থের চতুর্থ অবস্থা হিসেবে বিবেচনা করা হয়?

ক) কঠিন

খ) তরল

গ) বায়বীয়

ঘ) প্লাজমা

সঠিক উত্তর: ঘ) প্লাজমা

ব্যাখ্যা: পদার্থের কঠিন, তরল, বায়বীয় অবস্থা ছাড়াও আরও একটি অবস্থা রয়েছে যা পদার্থের চতুর্থ অবস্থা হিসেবে পরিচিত, এটি হলো প্লাজমা।

প্রশ্ন ৪: সূর্য বা নক্ষত্রপুঞ্জে পদার্থের কোন অবস্থা দেখা যায়?

ক) কঠিন

খ) তরল

গ) বায়বীয়

ঘ) প্লাজমা

সঠিক উত্তর: ঘ) প্লাজমা

ব্যাখ্যা: সূর্য বা নক্ষত্রপুঞ্জে এই প্লাজমা অবস্থা দেখা যায়।

প্রশ্ন ৫: পদার্থের কণাগুলোর মধ্যে আকর্ষণ শক্তিকে কী বলা হয়?

ক) আণবিক গতিশক্তি

খ) আন্তঃকণা আকর্ষণ শক্তি

গ) বিভব শক্তি

ঘ) রাসায়নিক শক্তি

সঠিক উত্তর: খ) আন্তঃকণা আকর্ষণ শক্তি

ব্যাখ্যা: পদার্থের অণু পরমাণুগুলো অর্থাৎ কণাগুলো একে অপরের সাথে যে শক্তি দ্বারা আকৃষ্ট থাকে তাকে আন্তঃকণা আকর্ষণ শক্তি বলে।

প্রশ্ন ৬: পদার্থের কণাগুলোর মধ্যেকার দূরত্বকে কী বলা হয়?

ক) আন্তঃকণা আকর্ষণ শক্তি

খ) আন্তঃকণা দূরত্ব

গ) ব্যাপন

ঘ) নিঃসরণ

সঠিক উত্তর: খ) আন্তঃকণা দূরত্ব

ব্যাখ্যা: পদার্থের কণাগুলোর মধ্যেকার দূরত্বকে আন্তঃকণা দূরত্ব বলা হয়।

প্রশ্ন ৭: কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন থাকে কেন?

ক) আন্তঃকণা আকর্ষণ শক্তি অনেক কম থাকে

খ) আন্তঃকণা দূরত্ব অনেক বেশি থাকে

গ) আন্তঃকণা আকর্ষণ শক্তি অনেক বেশি থাকে এবং কণাগুলো খুব কাছাকাছি থাকে

ঘ) কণাগুলো স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারে

সঠিক উত্তর: গ) আন্তঃকণা আকর্ষণ শক্তি অনেক বেশি থাকে এবং কণাগুলো খুব কাছাকাছি থাকে

ব্যাখ্যা: কঠিন পদার্থের কণাগুলোর মধ্যে আন্তঃকণা আকর্ষণ শক্তি অনেক বেশি থাকায় এবং কণাগুলো খুব কাছাকাছি থাকার কারণে এরা নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন বিশিষ্ট হয়।

প্রশ্ন ৮: কোন পদার্থের কণাগুলো প্রায় স্থির অবস্থায় থাকে?

ক) তরল

খ) বায়বীয়

গ) কঠিন

ঘ) প্লাজমা

সঠিক উত্তর: গ) কঠিন

ব্যাখ্যা: কঠিন পদার্থের কণাগুলোর মধ্যে আন্তঃকণা আকর্ষণ শক্তি বেশি থাকায় কণাগুলো প্রায় স্থির অবস্থায় নিজ নিজ অবস্থানে কম্পন করতে থাকে।

প্রশ্ন ৯: তরল পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন থাকে কিন্তু নির্দিষ্ট আকার থাকে না কেন?

ক) আন্তঃকণা আকর্ষণ শক্তি কঠিন পদার্থের চেয়ে বেশি থাকে

খ) আন্তঃকণা দূরত্ব কঠিন পদার্থের চেয়ে বেশি থাকে

গ) আন্তঃকণা আকর্ষণ শক্তি কঠিন পদার্থের চেয়ে কম এবং বায়বীয় পদার্থের চেয়ে বেশি থাকে

ঘ) কণাগুলো স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারে না

সঠিক উত্তর: গ) আন্তঃকণা আকর্ষণ শক্তি কঠিন পদার্থের চেয়ে কম এবং বায়বীয় পদার্থের চেয়ে বেশি থাকে

ব্যাখ্যা: তরল পদার্থের অণুগুলোর মধ্যে আকর্ষণ শক্তি কঠিন পদার্থের চেয়ে কম এবং বায়বীয় পদার্থের চেয়ে বেশি। এই কারণে তরল পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন থাকলেও নির্দিষ্ট কোনো আকার নেই।

প্রশ্ন ১০: কোন পদার্থের কণাগুলো স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারে?

ক) কঠিন

খ) তরল

গ) বায়বীয়

ঘ) প্লাজমা

সঠিক উত্তর: গ) বায়বীয়

ব্যাখ্যা: গ্যাসীয় পদার্থের কণাগুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক আকর্ষণ শক্তি প্রায় নেই বললেই চলে। এ কারণে গ্যাসীয় পদার্থের অণুগুলো স্বাধীনভাবে অর্থাৎ এলোমেলোভাবে ছুটাছুটি করতে থাকে।

প্রশ্ন ১১: ব্যাপন কাকে বলে?

ক) কঠিন পদার্থের কণাগুলোর চলাচল

খ) তরল পদার্থের কণাগুলোর চলাচল

গ) কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় পদার্থের স্বতঃস্ফূর্তভাবে উচ্চ ঘনমাত্রার স্থান থেকে নিম্ন ঘনমাত্রার স্থানে ছড়িয়ে পড়া

ঘ) শুধুমাত্র গ্যাসীয় পদার্থের উচ্চ ঘনমাত্রার স্থান থেকে নিম্ন ঘনমাত্রার স্থানে ছড়িয়ে পড়া

সঠিক উত্তর: গ) কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় পদার্থের স্বতঃস্ফূর্তভাবে উচ্চ ঘনমাত্রার স্থান থেকে নিম্ন ঘনমাত্রার স্থানে ছড়িয়ে পড়া

ব্যাখ্যা: কোনো মাধ্যমে কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় বস্তুর স্বতঃস্ফূর্তভাবে বা আপনাআপনি সমভাবে ছড়িয়ে পড়ার প্রক্রিয়াকে ব্যাপন বলে।

প্রশ্ন ১২: কোন পদার্থের ব্যাপন হার সবচেয়ে বেশি?

ক) কঠিন

খ) তরল

গ) বায়বীয়

ঘ) প্লাজমা

সঠিক উত্তর: গ) বায়বীয়

ব্যাখ্যা: গ্যাসীয় পদার্থের অণুগুলোর ছোটাছুটি করার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি, তাই এদের ব্যাপন হার কঠিন ও তরল পদার্থের চেয়ে বেশি।

প্রশ্ন ১৩: নিঃসরণ কাকে বলে?

ক) উচ্চচাপের স্থান থেকে কোনো সরু ছিদ্রপথে গ্যাসের সজোরে বেরিয়ে আসা

খ) নিম্নচাপের স্থান থেকে গ্যাসের বেরিয়ে আসা

গ) কঠিন পদার্থের সরু ছিদ্রপথে বেরিয়ে আসা

ঘ) তরল পদার্থের সরু ছিদ্রপথে বেরিয়ে আসা

সঠিক উত্তর: ক) উচ্চচাপের স্থান থেকে কোনো সরু ছিদ্রপথে গ্যাসের সজোরে বেরিয়ে আসা

ব্যাখ্যা: উচ্চচাপের স্থান থেকে কোনো সরু ছিদ্রপথে গ্যাসের সজোরে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়াকে নিঃসরণ বলে।

প্রশ্ন ১৪: ব্যাপন ও নিঃসরণের মধ্যে প্রধান পার্থক্য কী?

ক) ব্যাপন শুধু গ্যাসের ক্ষেত্রে হয় কিন্তু নিঃসরণ কঠিন পদার্থের ক্ষেত্রে হয়

খ) ব্যাপনে উচ্চ ঘনমাত্রার স্থান থেকে নিম্ন ঘনমাত্রার স্থানে ছড়িয়ে পড়ে, নিঃসরণে সরু ছিদ্রপথের প্রয়োজন হয়

গ) ব্যাপনে সরু ছিদ্রপথের প্রয়োজন হয়, নিঃসরণে প্রয়োজন হয় না

ঘ) ব্যাপন শুধুমাত্র তরলের ক্ষেত্রে হয়

সঠিক উত্তর: খ) ব্যাপনে উচ্চ ঘনমাত্রার স্থান থেকে নিম্ন ঘনমাত্রার স্থানে ছড়িয়ে পড়ে, নিঃসরণে সরু ছিদ্রপথের প্রয়োজন হয়

ব্যাখ্যা: ব্যাপনের ক্ষেত্রে অণুগুলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং এর জন্য সরু ছিদ্রপথের প্রয়োজন হয় না, তবে নিঃসরণে উচ্চচাপের স্থান থেকে গ্যাস অণুগুলো সরু ছিদ্রপথ দিয়ে সজোরে বেরিয়ে আসে।

প্রশ্ন ১৫: পদার্থের গলনাঙ্ক বলতে কী বোঝায়?

ক) যে তাপমাত্রায় কঠিন পদার্থ বাষ্পে পরিণত হয়

খ) যে তাপমাত্রায় কঠিন পদার্থ তরলে পরিণত হয়

গ) যে তাপমাত্রায় তরল পদার্থ গ্যাসে পরিণত হয়

ঘ) যে তাপমাত্রায় তরল পদার্থ জমে কঠিন হয়

সঠিক উত্তর: খ) যে তাপমাত্রায় কঠিন পদার্থ তরলে পরিণত হয়

ব্যাখ্যা: স্বাভাবিক চাপে যে তাপমাত্রায় কোনো কঠিন পদার্থ তরলে পরিণত হয় তাকে ঐ পদার্থের গলনাঙ্ক বলে।

প্রশ্ন ১৬: পদার্থের স্ফুটনাঙ্ক বলতে কী বোঝায়?

ক) যে তাপমাত্রায় তরল পদার্থ জমে কঠিন হয়

খ) যে তাপমাত্রায় কঠিন পদার্থ তরলে পরিণত হয়

গ) যে তাপমাত্রায় তরল পদার্থ গ্যাসে পরিণত হয়

ঘ) যে তাপমাত্রায় কঠিন পদার্থ সরাসরি বাষ্পে পরিণত হয়

সঠিক উত্তর: গ) যে তাপমাত্রায় তরল পদার্থ গ্যাসে পরিণত হয়

ব্যাখ্যা: স্বাভাবিক চাপে যে তাপমাত্রায় কোনো তরল পদার্থ বাষ্পে পরিণত হয় অর্থাৎ ফুটতে থাকে তাকে ঐ পদার্থের স্ফুটনাঙ্ক বলে।

প্রশ্ন ১৭: ঊর্ধ্বপাতন কাকে বলে?

ক) কঠিন পদার্থের তরলে রূপান্তর

খ) তরল পদার্থের গ্যাসে রূপান্তর

গ) কঠিন পদার্থের তরলে পরিণত না হয়ে সরাসরি বাষ্পে পরিণত হওয়া

ঘ) গ্যাসীয় পদার্থের তরলে রূপান্তর

সঠিক উত্তর: গ) কঠিন পদার্থের তরলে পরিণত না হয়ে সরাসরি বাষ্পে পরিণত হওয়া

ব্যাখ্যা: কিছু কিছু কঠিন পদার্থকে তাপ দিলে তরলে পরিণত না হয়ে সরাসরি বাষ্পে পরিণত হয়, আবার ঐ বাষ্পকে ঠান্ডা করলে তরলে পরিণত না হয়ে সরাসরি কঠিনে পরিণত হয়। এই প্রক্রিয়াকে ঊর্ধ্বপাতন বলে।

প্রশ্ন ১৮: নিচের কোনটি ঊর্ধ্বপাতিত হয়?

ক) লবণ

খ) চিনি

গ) আয়োডিন

ঘ) পানি

সঠিক উত্তর: গ) আয়োডিন

ব্যাখ্যা: অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড (নিশাদল), কর্পূর, ন্যাপথলিন, আয়োডিন ইত্যাদি পদার্থকে তাপ দিলে ঊর্ধ্বপাতিত হয়।

প্রশ্ন ১৯: পদার্থের কণাগুলো গতিশীল কেন?

ক) এদের মধ্যে আকর্ষণ শক্তি অনেক বেশি থাকে

খ) এদের মধ্যে বিকর্ষণ শক্তি থাকে

গ) তাপমাত্রার কারণে এদের গতিশক্তি থাকে

ঘ) এরা স্থির অবস্থায় থাকতে পারে না

সঠিক উত্তর: গ) তাপমাত্রার কারণে এদের গতিশক্তি থাকে

ব্যাখ্যা: পদার্থের কণাগুলো সর্বদা গতিশীল থাকে। এই গতিশক্তি তাপমাত্রার উপর নির্ভরশীল। তাপমাত্রা বাড়লে গতিশক্তি বাড়ে এবং তাপমাত্রা কমলে গতিশক্তি কমে।

প্রশ্ন ২০: বরফকে তাপ দিলে পানিতে পরিণত হওয়া কোন ধরনের পরিবর্তন?

ক) রাসায়নিক পরিবর্তন

খ) ভৌত পরিবর্তন

গ) পারমাণবিক পরিবর্তন

ঘ) নিউক্লীয় পরিবর্তন

সঠিক উত্তর: খ) ভৌত পরিবর্তন

ব্যাখ্যা: বরফকে তাপ দিলে পানিতে এবং পানিকে তাপ দিলে জলীয় বাষ্পে পরিণত হয়। এখানে পদার্থের অবস্থার পরিবর্তন হলেও পদার্থের অভ্যন্তরীণ গঠনের কোনো পরিবর্তন হয় না। তাই এটি একটি ভৌত পরিবর্তন।

প্রশ্ন ২১: জলীয় বাষ্পকে ঠান্ডা করলে পানিতে পরিণত হওয়া কোন ধরনের পরিবর্তন?

ক) রাসায়নিক পরিবর্তন

খ) ভৌত পরিবর্তন

গ) পারমাণবিক পরিবর্তন

ঘ) নিউক্লীয় পরিবর্তন

সঠিক উত্তর: খ) ভৌত পরিবর্তন

ব্যাখ্যা: জলীয় বাষ্পকে ঠান্ডা করলে পানিতে এবং পানিকে ঠান্ডা করলে বরফে পরিণত হয়। এটিও ভৌত পরিবর্তন।

প্রশ্ন ২২: পানিকে রাসায়নিকভাবে বিশ্লেষণ করলে কী পাওয়া যায়?

ক) শুধুমাত্র অক্সিজেন

খ) শুধুমাত্র হাইড্রোজেন

গ) হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন

ঘ) নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন

সঠিক উত্তর: গ) হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন

ব্যাখ্যা: পানিকে রাসায়নিকভাবে বিশ্লেষণ করলে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন পাওয়া যায়।

প্রশ্ন ২৩: রাসায়নিক পরিবর্তনের উদাহরণ কোনটি?

ক) বরফ গলে পানি হওয়া

খ) পানি ফুটে বাষ্প হওয়া

গ) লোহায় মরিচা পড়া

ঘ) লবণ পানিতে মেশানো

সঠিক উত্তর: গ) লোহায় মরিচা পড়া

ব্যাখ্যা: লোহায় মরিচা পড়লে লোহা ও অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে নতুন রাসায়নিক পদার্থ তৈরি হয়। তাই এটি একটি রাসায়নিক পরিবর্তন।

প্রশ্ন ২৪: পদার্থের গতিতত্ত্ব অনুযায়ী তাপমাত্রা বাড়ালে পদার্থের কণাগুলোর গতিশক্তি কেমন হয়?

ক) কমে যায়

খ) বেড়ে যায়

গ) অপরিবর্তিত থাকে

ঘ) প্রথমে বাড়ে তারপর কমে

সঠিক উত্তর: খ) বেড়ে যায়

ব্যাখ্যা: পদার্থের গতিতত্ত্ব অনুযায়ী তাপমাত্রা বাড়ালে পদার্থের কণাগুলোর গতিশক্তি বেড়ে যায়।

প্রশ্ন ২৫: একই তাপমাত্রায় কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় পদার্থের মধ্যে কার ব্যাপন হার সবচেয়ে বেশি হবে?

ক) কঠিন

খ) তরল

গ) গ্যাসীয়

ঘ) সকলের সমান হবে

সঠিক উত্তর: গ) গ্যাসীয়

ব্যাখ্যা: গ্যাসীয় পদার্থের কণাগুলোর গতিশক্তি কঠিন ও তরল পদার্থের চেয়ে বেশি থাকে এবং আন্তঃকণা আকর্ষণ শক্তি কম থাকে, তাই এদের ব্যাপন হার সবচেয়ে বেশি হবে।

প্রশ্ন ২৬: চাপ প্রয়োগ করলে কোন পদার্থের আয়তন সহজে কমানো যায়?

ক) কঠিন

খ) তরল

গ) গ্যাসীয়

ঘ) কঠিন ও তরল

সঠিক উত্তর: গ) গ্যাসীয়

ব্যাখ্যা: গ্যাসীয় পদার্থের কণাগুলোর মধ্যে আন্তঃকণা দূরত্ব অনেক বেশি থাকে, তাই চাপ প্রয়োগ করলে এদের আয়তন সহজে কমানো যায়।

প্রশ্ন ২৭: আন্তঃকণা আকর্ষণ শক্তির সঠিক ক্রম কোনটি (কম থেকে বেশি)?

ক) কঠিন < তরল < গ্যাসীয়

খ) গ্যাসীয় < তরল < কঠিন

গ) তরল < গ্যাসীয় < কঠিন

ঘ) গ্যাসীয় < কঠিন < তরল

সঠিক উত্তর: খ) গ্যাসীয় < তরল < কঠিন

ব্যাখ্যা: গ্যাসীয় পদার্থের কণাগুলোর মধ্যে আন্তঃকণা আকর্ষণ শক্তি সবচেয়ে কম, তরল পদার্থের মাঝারি এবং কঠিন পদার্থের সবচেয়ে বেশি।

প্রশ্ন ২৮: আন্তঃকণা দূরত্বের সঠিক ক্রম কোনটি (কম থেকে বেশি)?

ক) কঠিন < তরল < গ্যাসীয়

খ) গ্যাসীয় < তরল < কঠিন

গ) তরল < গ্যাসীয় < কঠিন

ঘ) কঠিন < গ্যাসীয় < তরল

সঠিক উত্তর: ক) কঠিন < তরল < গ্যাসীয়

ব্যাখ্যা: কঠিন পদার্থের কণাগুলো খুব কাছাকাছি থাকে (কম দূরত্ব), তরল পদার্থের কণাগুলোর দূরত্ব কঠিন পদার্থের চেয়ে বেশি এবং গ্যাসীয় পদার্থের কণাগুলোর দূরত্ব সবচেয়ে বেশি।

প্রশ্ন ২৯: ব্যাপন প্রক্রিয়ার উদাহরণ কোনটি?

ক) বেলুন ফুলালে বাতাস বেরিয়ে যাওয়া

খ) সেন্ট বা আগরবাতির গন্ধ ছড়িয়ে পড়া

গ) গ্যাসের চুলা থেকে গ্যাস বের হওয়া

ঘ) টিউবের ফেটে যাওয়া

সঠিক উত্তর: খ) সেন্ট বা আগরবাতির গন্ধ ছড়িয়ে পড়া

ব্যাখ্যা: সেন্ট বা আগরবাতির কণাগুলো বাতাসে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ছড়িয়ে পড়ে, যা ব্যাপন প্রক্রিয়ার উদাহরণ।

প্রশ্ন ৩০: নিঃসরণ প্রক্রিয়ার উদাহরণ কোনটি?

ক) পানিতে কালি মেশানো

খ) বেলুনের ছিদ্র দিয়ে বাতাস বেরিয়ে আসা

গ) স্পিরিট উড়ে যাওয়া

ঘ) শরবত তৈরি করা

সঠিক উত্তর: খ) বেলুনের ছিদ্র দিয়ে বাতাস বেরিয়ে আসা

ব্যাখ্যা: বেলুনের ভিতরে বাতাসের চাপ বেশি থাকে এবং ছিদ্র দিয়ে বাতাস সজোরে বেরিয়ে আসে, যা নিঃসরণ প্রক্রিয়ার উদাহরণ।

প্রশ্ন ৩১: মোমকে তাপ দিলে প্রথমে কী হয়?

ক) সরাসরি বাষ্পে পরিণত হয়

খ) তরলে পরিণত হয়

গ) কঠিনে পরিণত হয়

ঘ) বিশ্লিষ্ট হয়ে যায়

সঠিক উত্তর: খ) তরলে পরিণত হয়

ব্যাখ্যা: মোমকে তাপ দিলে প্রথমে কঠিন মোম গলে তরলে পরিণত হয়।

প্রশ্ন ৩২: মোমের দহন কোন ধরনের পরিবর্তন?

ক) ভৌত পরিবর্তন

খ) রাসায়নিক পরিবর্তন

গ) ঊর্ধ্বপাতন

ঘ) গলন

সঠিক উত্তর: খ) রাসায়নিক পরিবর্তন

ব্যাখ্যা: মোম যখন জ্বলে তখন এর রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে কার্বন ডাইঅক্সাইড ও জলীয় বাষ্প উৎপন্ন হয়।

প্রশ্ন ৩৩: কঠিন অবস্থা থেকে সরাসরি গ্যাসীয় অবস্থায় রূপান্তর প্রক্রিয়ার নাম কী?

ক) বাষ্পীভবন

খ) ঘনীভবন

গ) ঊর্ধ্বপাতন

ঘ) গলন

সঠিক উত্তর: গ) ঊর্ধ্বপাতন

ব্যাখ্যা: কিছু কিছু কঠিন পদার্থকে তাপ দিলে তরলে পরিণত না হয়ে সরাসরি বাষ্পে পরিণত হয়, আবার ঐ বাষ্পকে ঠান্ডা করলে তরলে পরিণত না হয়ে সরাসরি কঠিনে পরিণত হয়। এই প্রক্রিয়াকে ঊর্ধ্বপাতন বলে।

প্রশ্ন ৩৪: কোনটি মিশ্র পদার্থ?

ক) বিশুদ্ধ পানি

খ) অক্সিজেন

গ) শরবত

ঘ) সোডিয়াম ক্লোরাইড

সঠিক উত্তর: গ) শরবত

ব্যাখ্যা: শরবত হলো চিনি ও পানির মিশ্রণ, যেখানে উপাদানগুলো তাদের নিজস্ব ধর্ম বজায় রাখে।

প্রশ্ন ৩৫: কোনটি মৌলিক পদার্থ?

ক) পানি

খ) লবণ

গ) লোহা

ঘ) কার্বন ডাইঅক্সাইড

সঠিক উত্তর: গ) লোহা

ব্যাখ্যা: লোহা একটি মৌলিক পদার্থ কারণ এটিকে ভাঙলে লোহা ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায় না।

প্রশ্ন ৩৬: পরমাণু কাকে বলে?

ক) পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা যা স্বাধীনভাবে থাকতে পারে

খ) মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা যা স্বাধীনভাবে থাকতে পারে বা না পারে তবে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে

গ) যৌগিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা যা স্বাধীনভাবে থাকতে পারে

ঘ) অণুর ক্ষুদ্রতম অংশ

সঠিক উত্তর: খ) মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা যা স্বাধীনভাবে থাকতে পারে বা না পারে তবে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে

ব্যাখ্যা: মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা যা স্বাধীনভাবে থাকতে পারে বা না পারে তবে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে, তাকে পরমাণু বলে।

প্রশ্ন ৩৭: অণু কাকে বলে?

ক) মৌলিক বা যৌগিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা যা স্বাধীনভাবে থাকতে পারে

খ) মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা যা স্বাধীনভাবে থাকতে পারে না

গ) যৌগিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা যা স্বাধীনভাবে থাকতে পারে না

ঘ) পরমাণুর সমষ্টি যা স্বাধীনভাবে থাকতে পারে না

সঠিক উত্তর: ক) মৌলিক বা যৌগিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা যা স্বাধীনভাবে থাকতে পারে

ব্যাখ্যা: মৌলিক বা যৌগিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা যা স্বাধীনভাবে থাকতে পারে, তাকে অণু বলে।

প্রশ্ন ৩৮: কণা তত্ত্ব অনুযায়ী তাপমাত্রা বাড়লে পদার্থের কণাগুলোর মধ্যে আকর্ষণ শক্তি কেমন হয়?

ক) বেড়ে যায়

খ) কমে যায়

গ) অপরিবর্তিত থাকে

ঘ) প্রথমে কমে তারপর বাড়ে

সঠিক উত্তর: খ) কমে যায়

ব্যাখ্যা: কণা তত্ত্ব অনুযায়ী তাপমাত্রা বাড়লে কণাগুলোর গতিশক্তি বেড়ে যায় এবং তাদের মধ্যেকার দূরত্ব বেড়ে যাওয়ায় আকর্ষণ শক্তি কমে যায়।

প্রশ্ন ৩৯: কোন পদার্থের আন্তঃকণা আকর্ষণ শক্তি ও গতিশক্তি প্রায় সমান থাকে?

ক) কঠিন

খ) তরল

গ) গ্যাসীয়

ঘ) প্লাজমা

সঠিক উত্তর: খ) তরল

ব্যাখ্যা: তরল পদার্থের ক্ষেত্রে আন্তঃকণা আকর্ষণ শক্তি ও কণাগুলোর গতিশক্তি প্রায় সমান থাকে।

প্রশ্ন ৪০: ব্যাপন প্রক্রিয়ার হার নির্ভর করে কিসের উপর?

ক) শুধুমাত্র তাপমাত্রার উপর

খ) শুধুমাত্র চাপের উপর

গ) পদার্থের প্রকৃতি ও তাপমাত্রার উপর

ঘ) শুধুমাত্র ঘনমাত্রার উপর

সঠিক উত্তর: গ) পদার্থের প্রকৃতি ও তাপমাত্রার উপর

ব্যাখ্যা: ব্যাপন প্রক্রিয়ার হার পদার্থের প্রকৃতি (যেমন – আণবিক ভর) এবং তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে। তাপমাত্রা বাড়লে ব্যাপন হার বাড়ে।

Leave a Reply

Scroll to Top