অষ্টম শ্রেনী সাহিত্য কণিকা | | পাছে লোকে কিছু বলে MCQ

পাছে লোকে কিছু বলে

কামীনি রায়


১. “পাছে লোকে কিছু বলে” কবিতাটি কে লিখেছেন?

ক. কাজী নজরুল ইসলাম

খ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গ. কামিনী রায়

ঘ. জীবনানন্দ দাশ

উত্তর: গ. কামিনী রায়। কামিনী রায় বাংলা সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য একজন কবি, এবং এই কবিতাটিতে তিনি সমাজের সমালোচনা ও ভয় নিয়ে আলোকপাত করেছেন।

২. কবিতায় কোন বিষয়টি প্রধানভাবে ফুটে উঠেছে?

ক. প্রকৃতির সৌন্দর্য

খ. মানুষের ভয় ও দ্বিধা

গ. দেশপ্রেম

ঘ. ধর্মীয় বিশ্বাস

উত্তর: খ. মানুষের ভয় ও দ্বিধা। এই কবিতাটিতে কবি দেখিয়েছেন কীভাবে લોકોনিন্দার ভয়ে মানুষ অনেক কাজ করতে দ্বিধা বোধ করে এবং সমাজের চাপে নিজের মতামত প্রকাশ করতে ভয় পায়।

৩. “করিতে পার না কাজ, সদা ভয়, সদা লাজ” – এখানে ‘লাজ’ শব্দের অর্থ কী?

ক. সম্মান

খ. লজ্জা

গ. হিংসা

ঘ. রাগ

উত্তর: খ. লজ্জা। এখানে ‘লাজ’ শব্দের অর্থ লজ্জা, যা মানুষের মনে ভয় সৃষ্টি করে এবং কাজ থেকে বিরত রাখে।

৪. কবিতায় কামিনী রায় মানুষের কোন দুর্বলতার কথা বলেছেন?

ক. অলসতা

খ. মিথ্যা বলা

গ. লোকনিন্দার ভয়

ঘ. অতিরিক্ত কথা বলা

উত্তর: গ. লোকনিন্দার ভয়। কবি দেখিয়েছেন যে લોકોনিন্দার ভয়ে মানুষ সঠিক কাজ করতেও পিছপা হয়।

৫. “পাছে লোকে কিছু বলে” কবিতায় কবি কিসের বিরুদ্ধে বলতে চেয়েছেন?

ক. প্রকৃতির বিরুদ্ধে

খ. সমাজের কুসংস্কার ও ভয়ের বিরুদ্ধে

গ. ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে

ঘ. রাজনৈতিক অস্থিরতার বিরুদ্ধে

উত্তর: খ. সমাজের কুসংস্কার ও ভয়ের বিরুদ্ধে। কবি সমাজের কুসংস্কার এবং લોકોনিন্দার ভয় কাটিয়ে উঠতে উৎসাহিত করেছেন।

৬. কবিতায় কবি মানুষকে কীভাবে চলতে উৎসাহ দিয়েছেন?

ক. নিজের ইচ্ছামতো

খ. সমাজের নিয়ম মেনে

গ. ভয় ও দ্বিধা ত্যাগ করে

ঘ. অল্প কথা বলে

উত্তর: গ. ভয় ও দ্বিধা ত্যাগ করে। কবি মানুষকে ভয় ও দ্বিধা ত্যাগ করে নিজের পথে এগিয়ে যেতে বলেছেন।

৭. “সংকল্প করেছ যাহা, সাধিতে পার না তাহা” – এর কারণ কী?

ক. অলসতা

খ. শারীরিক দুর্বলতা

গ. লোকনিন্দার ভয়

ঘ. অর্থের অভাব

উত্তর: গ. লোকনিন্দার ভয়। લોકોনিন্দার ভয়ের কারণে মানুষ নিজের সংকল্প পূরণ করতে পারে না।

৮. কামিনী রায় তাঁর কবিতায় কোন বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছেন?

ক. ব্যক্তিগত সুখ

খ. সামাজিক সম্পর্কের গুরুত্ব

গ. আত্মবিশ্বাস ও সাহসিকতা

ঘ. ধর্মীয় রীতিনীতি

উত্তর: গ. আত্মবিশ্বাস ও সাহসিকতা। কবি মানুষকে আত্মবিশ্বাসী হতে এবং সাহসী হতে উৎসাহিত করেছেন।

৯. “আড়ালে থাকিয়া কার্য, সাধিতে চাহে কে আজি?” – এখানে ‘আজি’ শব্দটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?

ক. আজকাল

খ. আগে

গ. পরে

ঘ. কখনো না

উত্তর: ক. আজকাল। এখানে ‘আজি’ শব্দটি আজকাল বা বর্তমানে অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

১০. “পাছে লোকে কিছু বলে” কবিতায় কবি কোন ধরনের মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন?

ক. হতাশাবাদী

খ. সমাজ সচেতন ও সংস্কারমুক্ত

গ. অতি-আধুনিক

ঘ. রক্ষণশীল

উত্তর: খ. সমাজ সচেতন ও সংস্কারমুক্ত। কবি সমাজ সচেতন এবং কুসংস্কার ও ভয় থেকে মুক্ত হওয়ার কথা বলেছেন।

১১. কামিনী রায় তাঁর কবিতায় মানুষের কোন দুর্বলতার কথা তুলে ধরেছেন?

ক. অতিরিক্ত লোভ

খ. মিথ্যা বলার প্রবণতা

গ. লোকনিন্দা ও সমালোচনা ভয়

ঘ. নিষ্ঠুরতা ও হিংসা

উত্তর: গ. লোকনিন্দা ও সমালোচনা ভয়। কামিনী রায় তাঁর কবিতায় মানুষের মধ্যে থাকা লোকনিন্দা ও সমালোচনার ভয়কে একটি বড় দুর্বলতা হিসেবে তুলে ধরেছেন।

১২. “করিতে পার না কাজ, সদা ভয়, সদা লাজ” – এই পঙক্তিতে ‘সদা ভয়, সদা লাজ’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

ক. সব সময় আনন্দ ও উল্লাস

খ. সব সময় ভয় ও লজ্জা

গ. সব সময় ঘৃণা ও ক্ষোভ

ঘ. সব সময় প্রেম ও ভক্তি

উত্তর: খ. সব সময় ভয় ও লজ্জা। এই পঙক্তিতে কবি মানুষের মনে থাকা ভয় ও লজ্জার কথা বলেছেন, যা তাদের কাজ করতে বাধা দেয়।

১৩. “পাছে লোকে কিছু বলে” কবিতায় কবি মানুষকে কীভাবে চলতে উৎসাহিত করেছেন?

ক. নিজের সুখের জন্য

খ. সমাজের কথা না শুনে নিজের মতো করে

গ. ভয় ও দ্বিধা ত্যাগ করে সাহসী হতে

ঘ. ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে

উত্তর: গ. ভয় ও দ্বিধা ত্যাগ করে সাহসী হতে। কবি মানুষকে ভয় ও দ্বিধা ত্যাগ করে সাহসী হতে এবং নিজের পথে এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করেছেন।

১৪. “সংকল্প করেছ যাহা, সাধিতে পার না তাহা” – এর মূল কারণ কী?

ক. শারীরিক দুর্বলতা

খ. আর্থিক অভাব

গ. লোকনিন্দা ও সমালোচনা ভয়

ঘ. সময়ের অভাব

উত্তর: গ. লোকনিন্দা ও সমালোচনা ভয়। মানুষ প্রায়শই লোকনিন্দা ও সমালোচনার ভয়ে নিজেদের সংকল্প পূরণ করতে পারে না।

১৫. কামিনী রায় তাঁর কবিতায় কোন বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন?

ক. ব্যক্তিগত আরাম ও স্বাচ্ছন্দ্য

খ. সামাজিক সম্পর্ক ও বন্ধন

গ. আত্মবিশ্বাস, সাহসিকতা ও মানসিক শক্তি

ঘ. ধর্মীয় রীতিনীতি ও আচার-অনুষ্ঠান

উত্তর: গ. আত্মবিশ্বাস, সাহসিকতা ও মানসিক শক্তি। কামিনী রায় তাঁর কবিতায় মানুষের আত্মবিশ্বাস, সাহসিকতা এবং মানসিক শক্তির ওপর জোর দিয়েছেন।

১৬. “আড়ালে থাকিয়া কার্য, সাধিতে চাহে কে আজি?” – এই চরণে ‘আজি’ শব্দটি কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?

ক. আগেকার দিনে

খ. এখন বা আজকাল

গ. ভবিষ্যৎ কালে

ঘ. সর্বদা

উত্তর: খ. এখন বা আজকাল। এখানে ‘আজি’ শব্দটি বর্তমান সময়ে বা আজকাল অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

১৭. “পাছে লোকে কিছু বলে” কবিতায় কবি কোন ধরনের মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন?

ক. অতি-আধুনিক ও পাশ্চাত্য প্রভাবিত

খ. হতাশাবাদী ও নেতিবাচক

গ. সমাজ সচেতন, সংস্কারমুক্ত ও প্রগতিশীল

ঘ. রক্ষণশীল ও ঐতিহ্যবাদী

উত্তর: গ. সমাজ সচেতন, সংস্কারমুক্ত ও প্রগতিশীল। কবি সমাজ সচেতন, কুসংস্কারমুক্ত এবং প্রগতিশীল মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন।

১৮. কামিনী রায় তাঁর কবিতায় মানুষের কোন বৈশিষ্ট্যকে দুর্বলতা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন?

ক. অতিরিক্ত আবেগপ্রবণতা

খ. নিজের মতামত প্রকাশে দ্বিধা ও ভয়

গ. অন্যের প্রতি উদাসীনতা

ঘ. অতিরিক্ত কথা বলার প্রবণতা

উত্তর: খ. নিজের মতামত প্রকাশে দ্বিধা ও ভয়। কামিনী রায় মানুষের মধ্যে থাকা নিজের মতামত প্রকাশে দ্বিধা এবং ভয়কে দুর্বলতা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

১৯. “করিতে পার না কাজ” – এর প্রধান কারণ কী?

ক. শারীরিক অক্ষমতা

খ. আর্থিক সংকট

গ. সমালোচনার ভয়

ঘ. সামাজিক বিচ্ছিন্নতা

উত্তর: গ. সমালোচনার ভয়। মানুষ প্রায়শই সমালোচনার ভয়ে কোনো কাজ করতে পারে না।

২০. “পাছে লোকে কিছু বলে” কবিতায় কবি কিসের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন?

ক. প্রকৃতির বিরূপ আচরণের বিরুদ্ধে

খ. ধর্মীয় গোঁড়ামি ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে

গ. সমাজের প্রচলিত কুসংস্কার ও ভয়ের বিরুদ্ধে

ঘ. রাজনৈতিক অস্থিরতার বিরুদ্ধে

উত্তর: গ. সমাজের প্রচলিত কুসংস্কার ও ভয়ের বিরুদ্ধে। কবি সমাজের প্রচলিত কুসংস্কার এবং લોકોনিন্দার ভয়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।

২১. কামিনী রায় তাঁর কবিতায় মানুষকে কিসের প্রতি আগ্রহী করেছেন?

ক. নিজের ভাগ্য মেনে নেওয়ার প্রতি

খ. সমাজের নিয়ম-কানুন অনুসরণ করার প্রতি

গ. ভয় ও দ্বিধা ত্যাগ করে কাজ করার প্রতি

ঘ. ধর্মীয় রীতিনীতি পালনের প্রতি

উত্তর: গ. ভয় ও দ্বিধা ত্যাগ করে কাজ করার প্রতি। কবি মানুষকে ভয় ও দ্বিধা ত্যাগ করে কাজ করার প্রতি আগ্রহী করেছেন।

২২. “সংকল্প করেছ যাহা, সাধিতে পার না তাহা” – এর প্রধান অন্তরায় কী?

ক. শারীরিক দুর্বলতা

খ. আর্থিক সমস্যা

গ. লোকনিন্দা ও সমালোচনা

ঘ. সময়ের অভাব

উত্তর: গ. লোকনিন্দা ও সমালোচনা। মানুষ প্রায়শই লোকনিন্দা ও সমালোচনার কারণে নিজেদের সংকল্প পূরণ করতে পারে না।

২৩. “পাছে লোকে কিছু বলে” কবিতায় কবি কোন বিষয়টিকে তুলে ধরেছেন?

ক. মানুষের কর্মস্পৃহা

খ. মানুষের মধ্যেকার ভয় ও দ্বিধা

গ. প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা

ঘ. ধর্মীয় বিশ্বাস

উত্তর: খ. মানুষের মধ্যেকার ভয় ও দ্বিধা। কবিতাটি মূলত মানুষের মনে থাকা ভয় ও দ্বিধা নিয়ে আলোচনা করে।

২৪. কামিনী রায় তাঁর কবিতায় মানুষকে কিসের ঊর্ধ্বে উঠতে বলেছেন?

ক. প্রকৃতির প্রভাবের ঊর্ধ্বে

খ. ধর্মীয় অনুশাসনের ঊর্ধ্বে

গ. সামাজিক ভয় ও কুসংস্কারের ঊর্ধ্বে

ঘ. রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে

উত্তর: গ. সামাজিক ভয় ও কুসংস্কারের ঊর্ধ্বে। কবি মানুষকে সামাজিক ভয় ও কুসংস্কারের ঊর্ধ্বে উঠতে বলেছেন।

২৫. “করিতে পার না কাজ, সদা ভয়, সদা লাজ” – এখানে ‘সদা’ শব্দটি কী অর্থ প্রকাশ করে?

ক. মাঝে মাঝে

খ. সব সময়

গ. কখনো কখনো

ঘ. প্রায়ই

উত্তর: খ. সব সময়। এখানে ‘সদা’ শব্দটি সব সময় বা সর্বদা অর্থ প্রকাশ করে।

২৬. “পাছে লোকে কিছু বলে” কবিতায় কবি মানুষের কোন মানসিক দুর্বলতার কথা বলেছেন?

ক. অতিরিক্ত লোভ

খ. অতিরিক্ত অহংকার

গ. লোকনিন্দা ও সমালোচনা ভয়

ঘ. অতিরিক্ত রাগ

উত্তর: গ. লোকনিন্দা ও সমালোচনা ভয়। কবি মানুষের মধ্যে থাকা লোকনিন্দা ও সমালোচনার ভয়কে মানসিক দুর্বলতা হিসেবে তুলে ধরেছেন।

২৭. কামিনী রায় তাঁর কবিতায় কোন ধরনের সমাজ গঠনের কথা বলেছেন?

ক. যেখানে মানুষ স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারে

খ. যেখানে মানুষ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলে

গ. যেখানে মানুষ ঐতিহ্য ও রীতিনীতি অনুসরণ করে

ঘ. যেখানে মানুষ শুধু নিজের সুখের জন্য বাঁচে

উত্তর: ক. যেখানে মানুষ স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারে। কামিনী রায় এমন একটি সমাজ গঠনের কথা বলেছেন যেখানে মানুষ স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারে।

২৮. “সংকল্প করেছ যাহা” – এখানে ‘যাহা’ শব্দটি কী বোঝায়?

ক. যা কিছু

খ. এখন

গ. পরে

ঘ. এখানে

উত্তর: ক. যা কিছু। এখানে ‘যাহা’ শব্দটি ‘যা কিছু’ বা ‘যা কিছু করা হয়েছে’ এমন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

২৯. “পাছে লোকে কিছু বলে” কবিতায় কবি মানুষের কোন বৈশিষ্ট্যকে জয় করতে বলেছেন?

ক. অলসতা

খ. ভয় ও দ্বিধা

গ. মিথ্যা বলা

ঘ. ঘৃণা করা

উত্তর: খ. ভয় ও দ্বিধা। কবি মানুষকে ভয় ও দ্বিধা জয় করতে বলেছেন।

৩০. কামিনী রায় তাঁর কবিতায় মানুষের মধ্যে কী জাগাতে চেয়েছেন?

ক. ধর্মীয় ভক্তি

খ. দেশপ্রেম

গ. আত্মবিশ্বাস ও সাহসিকতা

ঘ. প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা

উত্তর: গ. আত্মবিশ্বাস ও সাহসিকতা। কামিনী রায় তাঁর কবিতায় মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও সাহসিকতা জাগাতে চেয়েছেন।

Leave a Reply

Scroll to Top