পৃথিবীতে যখন কোনো সত্য আত্মপ্রতিষ্ঠা করিতে চাহিয়াছে
পৃথিবীতে যখন কোনো সত্য আত্মপ্রতিষ্ঠা করিতে চাহিয়াছে, তখনই তাহার বিরুদ্ধাচরণ হইয়াছে। এই বিরুদ্ধাচরণের ধারা ও নীতি মূলত সকল ক্ষেত্রেই অভিন্ন। প্রথম প্রথম যখন সেই সত্য আত্মপ্রকাশ করিতে চায়, তখন বিপক্ষীয়গণ তাহাকে উপেক্ষা করিয়া হাসিয়া উড়াইয়া দিতে চায়। ঠাট্টা-তামাসা ও ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ তখন তাহাদের প্রধান অবলম্বন হইয়া থাকে। সত্যের সেবক যখন এই প্রাথমিক বিঘ্নকে অতিক্রম করিয়া অগ্রসর হইতে থাকেন, তখন ঐ উপেক্ষা ক্রোধে পরিণত হয় এবং বিপক্ষীয়েরা নীচ গালাগালি ইত্যাদি দ্বারা সেই ক্রোধের অভিব্যক্তি করিতে থাকে।
গালাগালি দিয়াও যখন কোনো ফল হয় না, তখন তাহারা সত্যকে প্রতিহত করিবার জন্যে দল পাকাইতে এবং অপেক্ষাকৃত নির্বোধ এবং গোঁড়া লোকদিগকে ধর্মের নামে উত্তেজিত করিতে থাকে। ইহাও যখন নিষ্ফল হইয়া যায়, তখন নানা প্রকার শারীরিক শক্তি প্রয়োগ করা এবং সাধ্যে কুলাইলে অবশেষে শাণিত খড়গ ও বিষাক্ত কৃপাণ দ্বারা সত্যের মু-পাত করিবার জন্যে চেষ্টা করা হয়।
সারাংশ:
আমাদের তরুণ সমাজের দৃষ্টি আজ জ্ঞানার্জনের দিকে নয়, পরীক্ষা পাশের দিকে। জ্ঞানস্পৃহার সঙ্গে সম্পর্কহীন শিক্ষা কোনো জাতির জন্যই মঙ্গল বয়ে আনে না। তাই আমাদের তরুণ সমাজকে পরীক্ষা পাশের মোহ ত্যাগ করে প্রকৃত জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে জাতিকে আত্মমর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।