SSC বিজ্ঞান MCQ
অধ্যায় ১১: প্রাত্যহিক জীবনে তড়িৎ
১. পরিবাহীর যেকোনো প্রস্থচ্ছেদের মধ্য দিয়ে একক সময়ে যে পরিমাণ আধান বা চার্জ প্রবাহিত হয়, তাকে কী বলে?
ক) বিভব পার্থক্য
খ) রোধ
গ) তড়িৎ প্রবাহ
ঘ) তড়িৎ ক্ষমতা
সঠিক উত্তর: গ) তড়িৎ প্রবাহ
ব্যাখ্যা: তড়িৎ প্রবাহ (Electric Current, I) হলো আধান (Charge, Q) প্রবাহের হার। I=Q/t, যেখানে t হলো সময়।
২. তড়িৎ প্রবাহের SI একক কী?
ক) ভোল্ট (V)
খ) ওহম (Ω)
গ) অ্যাম্পিয়ার (A)
ঘ) ওয়াট (W)
সঠিক উত্তর: গ) অ্যাম্পিয়ার (A)
ব্যাখ্যা: তড়িৎ প্রবাহের আন্তর্জাতিক একক হলো অ্যাম্পিয়ার (Ampere, A)। প্রতি সেকেন্ডে ১ কুলম্ব আধান প্রবাহিত হলে তাকে ১ অ্যাম্পিয়ার বলে।
৩. পরিবাহীর দুই প্রান্তের মধ্যে বিভব পার্থক্য বজায় রাখে কোনটি?
ক) রোধ
খ) অ্যামিটার
গ) ভোল্টমিটার
ঘ) তড়িৎ উৎস (ব্যাটারি বা জেনারেটর)
সঠিক উত্তর: ঘ) তড়িৎ উৎস (ব্যাটারি বা জেনারেটর)
ব্যাখ্যা: তড়িৎ উৎস (যেমন ব্যাটারি) রাসায়নিক শক্তি বা অন্য শক্তিকে তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করে পরিবাহীর দুই প্রান্তে একটি বিভব পার্থক্য (Voltage) সৃষ্টি করে, যা তড়িৎ প্রবাহ বজায় রাখে।
৪. বিভব পার্থক্যের SI একক কী?
ক) অ্যাম্পিয়ার (A)
খ) ভোল্ট (V)
গ) ওহম (Ω)
ঘ) কুলম্ব (C)
সঠিক উত্তর: খ) ভোল্ট (V)
ব্যাখ্যা: বিভব পার্থক্য বা ভোল্টেজের আন্তর্জাতিক একক হলো ভোল্ট (Volt, V)।
৫. পরিবাহীর যে ধর্মের জন্য এর মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়, তাকে কী বলে?
ক) পরিবাহিতা
খ) রোধ
গ) বিভব
ঘ) আধান
সঠিক উত্তর: খ) রোধ
ব্যাখ্যা: রোধ (Resistance, R) হলো পরিবাহীর একটি ধর্ম যা এর মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহকে বাধা দেয়।
৬. রোধের SI একক কী?
ক) ভোল্ট (V)
খ) অ্যাম্পিয়ার (A)
গ) সিমেন্স (S)
ঘ) ওহম (Ω)
সঠিক উত্তর: ঘ) ওহম (Ω)
ব্যাখ্যা: রোধের আন্তর্জাতিক একক হলো ওহম (Ohm), যাকে গ্রিক অক্ষর ওমেগা (Ω) দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
৭. তাপমাত্রা স্থির থাকলে, কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে যে তড়িৎ প্রবাহ চলে তা পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্যের সমানুপাতিক – এটি কোন সূত্র?
ক) নিউটনের সূত্র
খ) ও’মের সূত্র
গ) ফ্যারাডের সূত্র
ঘ) কুলম্বের সূত্র
সঠিক উত্তর: খ) ও’মের সূত্র
ব্যাখ্যা: এটি জর্জ সাইমন ও’মের প্রদত্ত সূত্র, যা অনুযায়ী I∝V (যখন তাপমাত্রা স্থির)। অর্থাৎ, V=IR, যেখানে R হলো রোধ (সমানুপাতিক ধ্রুবক)।
৮. ও’মের সূত্র অনুযায়ী কোনটি সঠিক?
ক) V=I/R
খ) I=VR
গ) R=VI
ঘ) V=IR
সঠিক উত্তর: ঘ) V=IR
ব্যাখ্যা: ও’মের সূত্রকে গাণিতিকভাবে V=IR আকারে প্রকাশ করা হয়, যেখানে V হলো বিভব পার্থক্য, I হলো তড়িৎ প্রবাহ এবং R হলো রোধ।
৯. পরিবাহীর রোধ কীসের উপর নির্ভর করে?
ক) পরিবাহীর দৈর্ঘ্য
খ) প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল
গ) উপাদান ও তাপমাত্রা
ঘ) উপরের সবগুলো
সঠিক উত্তর: ঘ) উপরের সবগুলো
ব্যাখ্যা: কোনো পরিবাহীর রোধ তার দৈর্ঘ্য (L), প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল (A), উপাদান (আপেক্ষিক রোধ, ρ) এবং তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে। R=ρ(L/A)।
১০. পরিবাহীর দৈর্ঘ্য বাড়লে রোধের কী পরিবর্তন হয়?
ক) কমে
খ) বাড়ে
গ) অপরিবর্তিত থাকে
ঘ) শূন্য হয়
সঠিক উত্তর: খ) বাড়ে
ব্যাখ্যা: পরিবাহীর রোধ তার দৈর্ঘ্যের সমানুপাতিক (R∝L)। তাই দৈর্ঘ্য বাড়লে রোধ বাড়ে।
১১. পরিবাহীর প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল বাড়লে রোধের কী পরিবর্তন হয়?
ক) কমে
খ) বাড়ে
গ) অপরিবর্তিত থাকে
ঘ) শূন্য হয়
সঠিক উত্তর: ক) কমে
ব্যাখ্যা: পরিবাহীর রোধ তার প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফলের ব্যস্তানুপাতিক (R∝1/A)। তাই প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল বাড়লে (অর্থাৎ মোটা হলে) রোধ কমে।
১২. আপেক্ষিক রোধের একক কী?
ক) ওহম (Ω)
খ) ওহম-মিটার (Ω·m)
গ) ওহম/মিটার (Ω/m)
ঘ) সিমেন্স (S)
সঠিক উত্তর: খ) ওহম-মিটার (Ω·m)
ব্যাখ্যা: আপেক্ষিক রোধ (ρ) এর সংজ্ঞা থেকে (ρ=RA/L), এর একক হয় (ওহম × মিটার² / মিটার) = ওহম-মিটার।
১৩. বর্তনীতে অ্যামিটার কীভাবে সংযোগ করা হয়?
ক) সমান্তরালে
খ) শ্রেণি সমবায়ে
গ) আড়াআড়িভাবে
ঘ) সংযোগ করা হয় না
সঠিক উত্তর: খ) শ্রেণি সমবায়ে
ব্যাখ্যা: অ্যামিটার দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ মাপা হয়, তাই বর্তনীর যে অংশের প্রবাহ মাপতে হবে, তার সাথে অ্যামিটারকে শ্রেণি বা সিরিজ সংযোগে যুক্ত করতে হয় যাতে সম্পূর্ণ প্রবাহ এর মধ্য দিয়ে যায়।
১৪. বর্তনীতে ভোল্টমিটার কীভাবে সংযোগ করা হয়?
ক) শ্রেণি সমবায়ে
খ) সমান্তরাল সমবায়ে
গ) আড়াআড়িভাবে
ঘ) যেভাবে ইচ্ছা
সঠিক উত্তর: খ) সমান্তরাল সমবায়ে
ব্যাখ্যা: ভোল্টমিটার দিয়ে বর্তনীর দুটি বিন্দুর বিভব পার্থক্য মাপা হয়, তাই যে দুই বিন্দুর বিভব পার্থক্য মাপতে হবে, ভোল্টমিটারকে সেই দুই বিন্দুর সাথে সমান্তরাল বা প্যারালাল সংযোগে যুক্ত করতে হয়।
১৫. অ্যামিটারে রোধ কেমন থাকা উচিত?
ক) খুব বেশি
খ) মাঝারি
গ) খুব কম
ঘ) অসীম
সঠিক উত্তর: গ) খুব কম
ব্যাখ্যা: অ্যামিটারকে বর্তনীতে শ্রেণি সমবায়ে যুক্ত করা হয়। এর রোধ খুব কম হওয়া প্রয়োজন যাতে এটি বর্তনীর মূল প্রবাহে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন না ঘটায়। আদর্শ অ্যামিটারে রোধ শূন্য ধরা হয়।
১৬. ভোল্টমিটারের রোধ কেমন থাকা উচিত?
ক) খুব কম
খ) মাঝারি
গ) খুব বেশি
ঘ) শূন্য
সঠিক উত্তর: গ) খুব বেশি
ব্যাখ্যা: ভোল্টমিটারকে বর্তনীর দুটি বিন্দুর সাথে সমান্তরালে যুক্ত করা হয়। এর রোধ খুব বেশি হওয়া প্রয়োজন যাতে এর মধ্য দিয়ে খুব সামান্য প্রবাহ যায় এবং বর্তনীর মূল প্রবাহ বা বিভব পার্থক্যে কোনো পরিবর্তন না ঘটে। আদর্শ ভোল্টমিটারের রোধ অসীম ধরা হয়।
১৭. রোধের শ্রেণি সমবায়ে (Series Combination) কোনটি স্থির থাকে?
ক) বিভব পার্থক্য
খ) তড়িৎ প্রবাহ
গ) রোধ
ঘ) ক্ষমতা
সঠিক উত্তর: খ) তড়িৎ প্রবাহ
ব্যাখ্যা: যখন একাধিক রোধক একের পর এক এমনভাবে যুক্ত থাকে যে প্রথমটির শেষ প্রান্ত দ্বিতীয়টির প্রথম প্রান্তের সাথে, দ্বিতীয়টির শেষ প্রান্ত তৃতীয়টির প্রথম প্রান্তের সাথে ইত্যাদি ক্রমে যুক্ত থাকে এবং প্রতিটি রোধকের মধ্য দিয়ে একই তড়িৎ প্রবাহ চলে, তখন সেই সমবায়কে শ্রেণি সমবায় বলে।
১৮. রোধের শ্রেণি সমবায়ে তুল্য রোধ (Rs) নির্ণয়ের সূত্র কোনটি?
ক) Rs=R1+R2+R3+…
খ) 1/Rs=1/R1+1/R2+1/R3+…
গ) Rs=R1×R2×R3×…
ঘ) Rs=(R1+R2+R3+…)/n
সঠিক উত্তর: ক) Rs=R1+R2+R3+…
ব্যাখ্যা: শ্রেণি সমবায়ে যুক্ত রোধকগুলোর তুল্য রোধ প্রতিটি রোধকের রোধের যোগফলের সমান।
১৯. রোধের সমান্তরাল সমবায়ে (Parallel Combination) কোনটি স্থির থাকে?
ক) তড়িৎ প্রবাহ
খ) বিভব পার্থক্য
গ) রোধ
ঘ) চার্জ
সঠিক উত্তর: খ) বিভব পার্থক্য
ব্যাখ্যা: যখন একাধিক রোধকের এক প্রান্তগুলো একটি সাধারণ বিন্দুতে এবং অন্য প্রান্তগুলো অন্য একটি সাধারণ বিন্দুতে যুক্ত থাকে, তখন সেই সমবায়কে সমান্তরাল সমবায় বলে। এই সমবায়ে প্রতিটি রোধকের দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য সমান থাকে।
২০. রোধের সমান্তরাল সমবায়ে তুল্য রোধ (Rp) নির্ণয়ের সূত্র কোনটি?
ক) Rp=R1+R2+R3+…
খ) 1/Rp=1/R1+1/R2+1/R3+…
গ) Rp=R1×R2×R3×…
ঘ) Rp=(R1R2)/(R1+R2) (শুধুমাত্র দুটি রোধের জন্য)
সঠিক উত্তর: খ) 1/Rp=1/R1+1/R2+1/R3+…
ব্যাখ্যা: সমান্তরাল সমবায়ে যুক্ত রোধকগুলোর তুল্য রোধের বিপরীত মান প্রতিটি রোধকের রোধের বিপরীত মানের যোগফলের সমান।
২১. বাসাবাড়িতে বৈদ্যুতিক সরঞ্জামগুলো কোন সমবায়ে যুক্ত থাকে?
ক) শ্রেণি সমবায়ে
খ) সমান্তরাল সমবায়ে
গ) মিশ্র সমবায়ে
ঘ) কোনো নিয়ম মানে না
সঠিক উত্তর: খ) সমান্তরাল সমবায়ে
ব্যাখ্যা: বাসাবাড়িতে ফ্যান, লাইট, টিভি ইত্যাদি সরঞ্জাম সমান্তরাল সমবায়ে যুক্ত থাকে যাতে প্রতিটি সরঞ্জাম নির্ধারিত ভোল্টেজ (যেমন ২২০ ভোল্ট) পায় এবং একটি নষ্ট হলে অন্যগুলো চলতে পারে।
২২. বৈদ্যুতিক ক্ষমতা (Electric Power) কাকে বলে?
ক) তড়িৎ প্রবাহ সৃষ্টির হার
খ) রোধ সৃষ্টির হার
গ) বৈদ্যুতিক শক্তি ব্যয়ের হার
ঘ) আধান সঞ্চয়ের হার
সঠিক উত্তর: গ) বৈদ্যুতিক শক্তি ব্যয়ের হার
ব্যাখ্যা: কোনো বৈদ্যুতিক যন্ত্র একক সময়ে যে পরিমাণ তড়িৎ শক্তি ব্যয় করে বা অন্য শক্তিতে রূপান্তরিত করে, তাকে তার বৈদ্যুতিক ক্ষমতা (P) বলে। P=W/t, যেখানে W হলো শক্তি এবং t হলো সময়।
২৩. বৈদ্যুতিক ক্ষমতার একক কী?
ক) জুল (J)
খ) ওয়াট (W)
গ) ভোল্ট (V)
ঘ) অ্যাম্পিয়ার (A)
সঠিক উত্তর: খ) ওয়াট (W)
ব্যাখ্যা: ক্ষমতার আন্তর্জাতিক একক হলো ওয়াট (Watt, W)। ১ ওয়াট = ১ জুল/সেকেন্ড।
২৪. বৈদ্যুতিক ক্ষমতার সমীকরণ কোনটি?
ক) P=V/I
খ) P=I/V
গ) P=VI
ঘ) P=R/V
সঠিক উত্তর: গ) P=VI
ব্যাখ্যা: বৈদ্যুতিক ক্ষমতা (P) হলো বিভব পার্থক্য (V) এবং তড়িৎ প্রবাহ (I) এর গুণফলের সমান। ও’মের সূত্র (V=IR) ব্যবহার করে আরও দুটি রূপ পাওয়া যায়: P=I2R এবং P=V2/R ।
২৫. বৈদ্যুতিক শক্তি (Electrical Energy) পরিমাপের বাণিজ্যিক একক কী?
ক) ওয়াট (W)
খ) জুল (J)
গ) কিলোওয়াট-ঘণ্টা (kWh) বা ইউনিট
ঘ) অ্যাম্পিয়ার-ঘণ্টা (Ah)
সঠিক উত্তর: গ) কিলোওয়াট-ঘণ্টা (kWh) বা ইউনিট
ব্যাখ্যা: বাসা-বাড়ি বা শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক শক্তি পরিমাপের জন্য কিলোওয়াট-ঘণ্টা (kWh) একক ব্যবহার করা হয়, যা ‘বোর্ড অফ ট্রেড ইউনিট’ (BOT Unit) বা সংক্ষেপে ‘ইউনিট’ নামে পরিচিত।
২৬. ১ কিলোওয়াট-ঘণ্টা (kWh) সমান কত জুল?
ক) 3.6×103 J
খ) 3.6×106 J
গ) 3600 J
ঘ) 1000 J
সঠিক উত্তর: খ) 3.6×106 J
ব্যাখ্যা: ১ কিলোওয়াট-ঘণ্টা = ১০০০ ওয়াট × ৩৬০০ সেকেন্ড = ৩৬,০০,০০০ ওয়াট-সেকেন্ড = 3.6×106 J (যেহেতু ১ ওয়াট-সেকেন্ড = ১ জুল)।
২৭. তড়িৎ প্রবাহের ফলে পরিবাহীতে তাপ উৎপন্ন হওয়াকে কী বলে?
ক) ও’মের সূত্র
খ) জুলের তাপীয় ক্রিয়া
গ) ফ্যারাডের সূত্র
ঘ) রোধের সূত্র
সঠিক উত্তর: খ) জুলের তাপীয় ক্রিয়া
ব্যাখ্যা: বিজ্ঞানী জেমസ് প্রেসকট জুল আবিষ্কার করেন যে, কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত হলে রোধের কারণে তাপ উৎপন্ন হয়। উৎপন্ন তাপ H=I2Rt ।
২৮. বৈদ্যুতিক ইস্ত্রিতে কোন নীতির প্রয়োগ ঘটে?
ক) তড়িৎ চুম্বকীয় আবেশ
খ) জুলের তাপীয় ক্রিয়া
গ) ও’মের সূত্র
ঘ) রাসায়নিক ক্রিয়া
সঠিক উত্তর: খ) জুলের তাপীয় ক্রিয়া
ব্যাখ্যা: বৈদ্যুতিক ইস্ত্রি, হিটার, ইলেকট্রিক কেটলি ইত্যাদি যন্ত্রে উচ্চ রোধের কুণ্ডলীর মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ পাঠিয়ে জুলের তাপীয় ক্রিয়ার মাধ্যমে তাপ উৎপন্ন করা হয়।
২৯. ফিউজ তার কোন সমবায়ে যুক্ত থাকে?
ক) লোডের সাথে সমান্তরালে
খ) লোডের সাথে শ্রেণি সমবায়ে (Live তারে)
গ) নিউট্রাল তারে
ঘ) আর্থ তারে
সঠিক উত্তর: খ) লোডের সাথে শ্রেণি সমবায়ে (Live তারে)
ব্যাখ্যা: ফিউজ একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা যা বর্তনীর সাথে শ্রেণি সমবায়ে, সাধারণত লাইভ বা ফেইজ তারে যুক্ত থাকে। অতিরিক্ত প্রবাহ গেলে এটি গলে গিয়ে বর্তনী বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
৩০. ফিউজ তারের বৈশিষ্ট্য কী?
ক) উচ্চ গলনাঙ্ক ও উচ্চ রোধ
খ) নিম্ন গলনাঙ্ক ও উচ্চ রোধ
গ) উচ্চ গলনাঙ্ক ও নিম্ন রোধ
ঘ) নিম্ন গলনাঙ্ক ও নিম্ন রোধ
সঠিক উত্তর: ঘ) নিম্ন গলনাঙ্ক ও নিম্ন রোধ
ব্যাখ্যা: ফিউজ তার সাধারণত টিন ও সিসার সংকর ধাতু দিয়ে তৈরি হয় যার গলনাঙ্ক কম এবং রোধও কম থাকে। স্বাভাবিক প্রবাহে এটি ঠিক থাকে, কিন্তু অতিরিক্ত প্রবাহ গেলে উৎপন্ন তাপে (I2Rt) তারটি গলে যায়।
৩১. বর্তমানে ফিউজের পরিবর্তে কী ব্যবহৃত হয়?
ক) অ্যামিটার
খ) ভোল্টমিটার
গ) সার্কিট ব্রেকার
ঘ) গ্যালভানোমিটার
সঠিক উত্তর: গ) সার্কিট ব্রেকার
ব্যাখ্যা: সার্কিট ব্রেকার (Miniature Circuit Breaker – MCB) হলো একটি স্বয়ংক্রিয় সুইচিং ব্যবস্থা যা অতিরিক্ত প্রবাহ বা শর্ট সার্কিটের কারণে সৃষ্ট ত্রুটিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বর্তনী বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এটি ফিউজের চেয়ে বেশি সুবিধাজনক ও নিরাপদ কারণ এটি পুনরায় ব্যবহার করা যায়।
৩২. বাসাবাড়ির ওয়্যারিং-এ সাধারণত কয়টি তার থাকে?
ক) ১টি
খ) ২টি
গ) ৩টি
ঘ) ৪টি
সঠিক উত্তর: গ) ৩টি
ব্যাখ্যা: আধুনিক নিরাপদ ওয়্যারিং ব্যবস্থায় তিনটি তার থাকে: জীবন্ত বা লাইভ বা ফেইজ তার (Live/Phase), নিরপেক্ষ বা নিউট্রাল তার (Neutral) এবং আর্থ বা ভূমি সংযোগ তার (Earth)।
৩৩. লাইভ (Live) তারের রং সাধারণত কী হয়?
ক) কালো বা হালকা নীল
খ) সবুজ বা হলুদ
গ) লাল বা বাদামী
ঘ) সাদা
সঠিক উত্তর: গ) লাল বা বাদামী
ব্যাখ্যা: আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, লাইভ বা ফেইজ তারের অন্তরক আবরণের রং সাধারণত লাল, বাদামী বা অন্য কোনো উজ্জ্বল রং (কালো, নীল, সবুজ/হলুদ বাদে) হয়। এটি উচ্চ বিভবে থাকে।
৩৪. নিউট্রাল (Neutral) তারের রং সাধারণত কী হয়?
ক) লাল বা বাদামী
খ) কালো বা হালকা নীল
গ) সবুজ বা হলুদ
ঘ) ধূসর
সঠিক উত্তর: খ) কালো বা হালকা নীল
ব্যাখ্যা: নিউট্রাল তারের অন্তরক আবরণের রং সাধারণত কালো বা হালকা নীল হয়। এটি প্রায় শূন্য বিভবে থাকে এবং বর্তনী পূর্ণ করে।
৩৫. আর্থ (Earth) তারের রং সাধারণত কী হয়?
ক) লাল বা বাদামী
খ) কালো বা নীল
গ) সবুজ বা হলুদ (বা সবুজ ও হলুদের ডোরাকাটা)
ঘ) সাদা
সঠিক উত্তর: গ) সবুজ বা হলুদ (বা সবুজ ও হলুদের ডোরাকাটা)
ব্যাখ্যা: আর্থ বা ভূমি সংযোগ তারের অন্তরক আবরণের রং সাধারণত সবুজ, হলুদ বা সবুজ ও হলুদের ডোরাকাটা হয়। এটি নিরাপত্তার জন্য ব্যবহৃত হয়।
৩৬. আর্থিং (Earthing) করার উদ্দেশ্য কী?
ক) তড়িৎ প্রবাহ বাড়ানো
খ) ভোল্টেজ কমানো
গ) বৈদ্যুতিক শক থেকে রক্ষা করা
ঘ) বিদ্যুৎ বিল কমানো
সঠিক উত্তর: গ) বৈদ্যুতিক শক থেকে রক্ষা করা
ব্যাখ্যা: বৈদ্যুতিক যন্ত্রের ধাতব কাঠামোকে আর্থ তারের মাধ্যমে মাটির সাথে যুক্ত করাকে আর্থিং বলে। কোনো কারণে যন্ত্রের কাঠামো বিদ্যুতায়িত হলে অতিরিক্ত প্রবাহ আর্থ তারের মাধ্যমে নিরাপদে মাটিতে চলে যায়, ফলে ব্যবহারকারী বৈদ্যুতিক শক থেকে রক্ষা পায়।
৩৭. কিলোওয়াট কিসের একক?
ক) শক্তি
খ) ক্ষমতা
গ) বিভব পার্থক্য
ঘ) তড়িৎ প্রবাহ
সঠিক উত্তর: খ) ক্ষমতা
ব্যাখ্যা: ওয়াট হলো ক্ষমতার একক। কিলোওয়াট (kW) হলো ক্ষমতার একটি বড় একক (১ কিলোওয়াট = ১০০০ ওয়াট)।
৩৮. কোনটি তড়িৎ অপরিবাহী পদার্থ?
ক) তামা
খ) লোহা
গ) রাবার
ঘ) অ্যালুমিনিয়াম
সঠিক উত্তর: গ) রাবার
ব্যাখ্যা: যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে তড়িৎ সহজে চলাচল করতে পারে না, তাদের অপরিবাহী বা অন্তরক (Insulator) বলে। রাবার, প্লাস্টিক, শুকনা কাঠ, কাচ ইত্যাদি অপরিবাহী। তামা, লোহা, অ্যালুমিনিয়াম পরিবাহী।
৩৯. শর্ট সার্কিট (Short Circuit) কখন ঘটে?
ক) ফিউজ গলে গেলে
খ) আর্থ তার ছিঁড়ে গেলে
গ) লাইভ ও নিউট্রাল তার কোনোভাবে সরাসরি সংস্পর্শে এলে
ঘ) সুইচ বন্ধ করলে
সঠিক উত্তর: গ) লাইভ ও নিউট্রাল তার কোনোভাবে সরাসরি সংস্পর্শে এলে
ব্যাখ্যা: কোনো কারণে বর্তনীর রোধ খুব কমে গেলে (যেমন লাইভ ও নিউট্রাল তার সরাসরি যুক্ত হলে) তড়িৎ প্রবাহ হঠাৎ খুব বেড়ে যায়, একে শর্ট সার্কিট বলে। এর ফলে अत्यधिक ताप উৎপন্ন হয়ে আগুন লাগতে পারে।
৪০. বিদ্যুৎ ব্যবহারের সময় কী ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত?
ক) ভেজা হাতে সুইচ ধরা
খ) একসাথে অনেক যন্ত্র চালানো
গ) ত্রুটিপূর্ণ ওয়্যারিং ও যন্ত্র ব্যবহার করা
ঘ) সঠিক মানের ফিউজ/সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার ও আর্থিং নিশ্চিত করা
সক্তিহক উত্তর: ঘ) সঠিক মানের ফিউজ/সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার ও আর্থিং নিশ্চিত করা
ব্যাখ্যা: বিদ্যুৎ ব্যবহারে নিরাপত্তা অত্যন্ত জরুরি। ভেজা হাতে সুইচ না ধরা, মাল্টিপ্লাগে অতিরিক্ত লোড না দেওয়া, ত্রুটিপূর্ণ সরঞ্জাম ব্যবহার না করা, সঠিক রেটিং এর ফিউজ বা সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার করা এবং আর্থিং ব্যবস্থা ঠিক রাখা ইত্যাদি সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক।