অষ্টম শ্রেনী সাহিত্য কণিকা | | বঙ্গভূমির প্রতি MCQ

বঙ্গভূমির প্রতি MCQ

মাইকেল মধুসুদন দত্ত


১. “বঙ্গভূমির প্রতি” কবিতাটি কে লিখেছেন?

ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

খ. কাজী নজরুল ইসলাম

গ. মাইকেল মধুসূদন দত্ত

ঘ. জসীমউদ্দীন

উত্তর: গ. মাইকেল মধুসূদন দত্ত। এই কবিতাটি মাইকেল মধুসূদন দত্তের দেশপ্রেমমূলক কবিতার একটি উদাহরণ।

২. কবি মধুসূদন দত্ত কেন জন্মভূমির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন?

ক. তিনি প্রবাসে ছিলেন বলে

খ. তিনি অসুস্থ ছিলেন বলে

গ. তিনি দরিদ্র ছিলেন বলে

ঘ. তিনি বিখ্যাত ছিলেন না বলে

উত্তর: ক. তিনি প্রবাসে ছিলেন বলে। কবি দীর্ঘকাল বিদেশে ছিলেন এবং মনে করতেন এর মাধ্যমে তিনি জন্মভূমির প্রতি কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হয়েছেন।

৩. “মাইকেল মধুসূদন দত্ত” কোন নদীর তীরে জন্মগ্রহণ করেন?

ক. পদ্মা

খ. মেঘনা

গ. কপোতাক্ষ

ঘ. যমুনা

উত্তর: গ. কপোতাক্ষ। এই নদীর সাথে তাঁর শৈশবের স্মৃতি জড়িত, যা কবিতায় বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন।

৪. “চিরস্থায়ী” শব্দটির সঠিক অর্থ কী?

ক. যা ক্ষণস্থায়ী

খ. যা পরিবর্তনশীল

গ. যা সর্বদা থাকে

ঘ. যা নতুন করে তৈরি

উত্তর: গ. যা সর্বদা থাকে। কবিতায়, কবি তাঁর স্মৃতি যেন বঙ্গভূমিতে সর্বদা থাকে, সেই কামনা করেছেন।

৫. কবি মধুসূদন দত্ত কিসের জন্য প্রার্থনা করেছেন?

ক. ধন-সম্পদ

খ. খ্যাতি ও যশ

গ. শারীরিক সুস্থতা

ঘ. স্মৃতিতে বেঁচে থাকার

উত্তর: খ. খ্যাতি ও যশ। কবি তাঁর কাজের মাধ্যমে দেশের মানুষের স্মৃতিতে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন।

৬. “সতত, হে নদ তুমি পড় মোর মনে” – এখানে কবির কোন ধরনের আবেগের প্রকাশ ঘটেছে?

ক. আনন্দ

খ. বিস্ময়

গ. দেশপ্রেম

ঘ. দুঃখ

উত্তর: গ. দেশপ্রেম। এই চরণের মাধ্যমে কবির গভীর দেশপ্রেম এবং স্মৃতির প্রতি আকুলতা প্রকাশ পেয়েছে।

৭. মাইকেল মধুসূদন দত্তের “বঙ্গভূমি” আসলে কী?

ক. একটি স্থান

খ. একটি নদী

গ. সমগ্র বাংলা

ঘ. একটি ঐতিহাসিক অঞ্চল

উত্তর: গ. সমগ্র বাংলা। এখানে “বঙ্গভূমি” বলতে কবি সমগ্র বাংলা এবং তার সংস্কৃতিকে বুঝিয়েছেন।

৮. কবি কেন নিজেকে “অধম” বলেছেন?

ক. তিনি দরিদ্র ছিলেন বলে

খ. তিনি অসুস্থ ছিলেন বলে

গ. তিনি মাতৃভূমির জন্য তেমন কিছু করতে পারেননি বলে

ঘ. তিনি বিখ্যাত ছিলেন না বলে

উত্তর: গ. তিনি মাতৃভূমির জন্য তেমন কিছু করতে পারেননি বলে। নিজের সীমাবদ্ধতা এবং দূরে থাকার কারণে তিনি নিজেকে “অধম” মনে করেছেন।

৯. “মাইকেল মধুসূদন দত্ত” তাঁর কবিতায় কোন বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছেন?

ক. প্রকৃতির সৌন্দর্য

খ. মানুষের দুঃখ-কষ্ট

গ. দেশ ও মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসা

ঘ. ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতা

উত্তর: গ. দেশ ও মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসা। তাঁর কবিতায় দেশপ্রেম এবং মাতৃভূমির প্রতি গভীর ভালোবাসা প্রধান সুর।

১০. “বঙ্গভূমির প্রতি” কবিতায় কবি কিসের জন্য আকুল?

ক. ধন-সম্পদের জন্য

খ. প্রকৃতির সৌন্দর্যের জন্য

গ. মাতৃভূমির স্মৃতিতে বেঁচে থাকার জন্য

ঘ. ব্যক্তিগত সুখের জন্য

উত্তর: গ. মাতৃভূমির স্মৃতিতে বেঁচে থাকার জন্য। কবি চান তার দেশ যেন তাকে মনে রাখে।

১১. মধুসূদন দত্তের কবিতায় কোনটি সবচেয়ে বেশি ফুটে উঠেছে?

ক. প্রকৃতির বন্দনা

খ. মানবপ্রেম ও প্রকৃতি

গ. দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগ

ঘ. ধর্মীয় চেতনা

উত্তর: গ. দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগ। মধুসূদন দত্তের কবিতায় দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের গভীর প্রকাশ ঘটেছে।

১২. “বঙ্গভূমির প্রতি” কবিতায় কবি নিজেকে কী হিসেবে উল্লেখ করেছেন?

ক. একজন মহানায়ক

খ. একজন সাধারণ মানুষ

গ. একজন সেবক ও পুত্র

ঘ. একজন বিদ্রোহী

উত্তর: গ. একজন সেবক ও পুত্র। কবি নিজেকে বঙ্গভূমির সেবক এবং পুত্র হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

১৩. মধুসূদন দত্ত কেন মনে করেন তিনি “হীন”?

ক. তিনি দরিদ্র ছিলেন বলে

খ. তিনি সমাজে পরিচিত ছিলেন না বলে

গ. তিনি মায়ের (জন্মভূমির) জন্য উপযুক্ত কাজ করতে পারেননি বলে

ঘ. তিনি শারীরিকভাবে দুর্বল ছিলেন বলে

উত্তর: গ. তিনি মায়ের (জন্মভূমির) জন্য উপযুক্ত কাজ করতে পারেননি বলে। কবি মনে করেন, তিনি জন্মভূমির জন্য যথেষ্ট করতে পারেননি।

১৪. “জন্ম জন্ম তব পুরী”- এই চরণে “তব পুরী” বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

ক. নিজের গ্রাম

খ. মায়ের মন্দির

গ. জন্মভূমি বাংলা

ঘ. শ্বশুরবাড়ি

উত্তর: গ. জন্মভূমি বাংলা। এখানে “তব পুরী” বলতে কবি জন্মভূমি বাংলাকে বুঝিয়েছেন।

১৫. মধুসূদন দত্তের কবিতায় কোন নদীর কথা বিশেষভাবে উল্লেখ্য?

ক. পদ্মা

খ. মেঘনা

গ. কপোতাক্ষ

ঘ. যমুনা

উত্তর: গ. কপোতাক্ষ। কপোতাক্ষ নদের প্রতি কবির বিশেষ আবেগ ও ভালোবাসা ছিল।

১৬. “বঙ্গভূমির প্রতি” কবিতায় কবি কী প্রার্থনা জানিয়েছেন?

ক. ধন-সম্পদ ও প্রাচুর্য

খ. খ্যাতি, যশ ও অমরতা

গ. শারীরিক সুস্থতা ও দীর্ঘ জীবন

ঘ. ধর্মীয় মুক্তি ও শান্তি

উত্তর: খ. খ্যাতি, যশ ও অমরতা। কবি চেয়েছেন তার দেশ যেন তাকে মনে রাখে।

১৭. মধুসূদন দত্তের কবিতায় কোনটি প্রধান বিষয়?

ক. আধ্যাত্মিকতা ও ভক্তি

খ. দেশপ্রেম ও মাতৃভূমির প্রতি শ্রদ্ধা

গ. প্রকৃতি ও পরিবেশের সৌন্দর্য

ঘ. মানবতাবাদ ও সাম্যবাদ

উত্তর: খ. দেশপ্রেম ও মাতৃভূমির প্রতি শ্রদ্ধা। তার কবিতায় দেশপ্রেম ও মাতৃভূমির প্রতি শ্রদ্ধার গভীর প্রকাশ ঘটেছে।

১৮. “বঙ্গভূমির প্রতি” কবিতায় কবি নিজেকে কীভাবে দেখতে চেয়েছেন?

ক. একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে

খ. একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে

গ. মায়ের সেবায় নিয়োজিত পুত্র হিসেবে

ঘ. একজন বিখ্যাত কবি হিসেবে

উত্তর: গ. মায়ের সেবায় নিয়োজিত পুত্র হিসেবে। কবি নিজেকে মায়ের সেবায় নিয়োজিত একজন পুত্র হিসেবে দেখতে চেয়েছেন।

১৯. মধুসূদন দত্ত কেন জন্মভূমির কাছে ঋণী?

ক. তিনি মায়ের কাছ থেকে অনেক ধন পেয়েছেন বলে

খ. তিনি মায়ের কাছে শিক্ষিত হয়েছেন বলে

গ. তিনি মায়ের আলো-বাতাসে বড় হয়েছেন বলে

ঘ. তিনি মায়ের জন্য অনেক কিছু করতে পেরেছেন বলে

উত্তর: গ. তিনি মায়ের আলো-বাতাসে বড় হয়েছেন বলে। কবি মনে করেন, জন্মভূমির কাছে তিনি ঋণী কারণ তিনি এই মাটিতেই বড় হয়েছেন।

২০. “দাও, জন্মভূমি, জন্ম দাও”- এই চরণে কবির কোন মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে?

ক. হতাশা ও ক্ষোভ

খ. আনন্দ ও উল্লাস

গ. কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা

ঘ. বিনয় ও আত্মত্যাগ

উত্তর: ঘ. বিনয় ও আত্মত্যাগ। এই চরণে কবির বিনয় এবং জন্মভূমির জন্য আত্মত্যাগের মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে.

২১. মধুসূদন দত্তের কবিতায় কোন বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য?

ক. প্রকৃতির সৌন্দর্য

খ. বিদ্রোহ ও আত্মত্যাগ

গ. প্রেম ও বিরহ

ঘ. ধর্ম ও দর্শন

উত্তর: খ. বিদ্রোহ ও আত্মত্যাগ। মধুসূদন দত্তের কবিতায় বিদ্রোহ ও আত্মত্যাগের একটি শক্তিশালী সুর বিদ্যমান।

২২. “বঙ্গভূমির প্রতি” কবিতায় কবি নিজেকে কী বলে পরিচয় দিয়েছেন?

ক. একজন রাজা

খ. একজন গায়ক

গ. একজন সন্তান

ঘ. একজন বন্ধু

উত্তর: গ. একজন সন্তান। কবি নিজেকে বঙ্গভূমির সন্তান হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।

২৩. মধুসূদন দত্ত কেন তার জন্মভূমির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন?

ক. তিনি বিদেশে গিয়েছিলেন বলে

খ. তিনি দরিদ্র ছিলেন বলে

গ. তিনি ভালো কবিতা লিখতে পারতেন না বলে

ঘ. তিনি মায়ের কথা শোনেননি বলে

উত্তর: ক. তিনি বিদেশে গিয়েছিলেন বলে। কবি মনে করেন, বিদেশে থাকার কারণে তিনি জন্মভূমির প্রতি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন।

২৪. “সতত, হে নদ, তুমি পড় মোর মনে”- এই চরণে কবির কোন অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে?

ক. আনন্দ

খ. বেদনা ও স্মৃতিচারণ

গ. ঘৃণা

ঘ. ভয়

উত্তর: খ. বেদনা ও স্মৃতিচারণ। এই চরণে কবির বেদনা এবং জন্মভূমির প্রতি স্মৃতির আকুলতা প্রকাশ পেয়েছে।

২৫. মধুসূদন দত্তের কবিতায় কোন সুর প্রধান?

ক. হাস্যরস

খ. বিষাদ ও হাহাকার

গ. দেশপ্রেম ও ভক্তি

ঘ. প্রেম ও রোমান্টিকতা

উত্তর: গ. দেশপ্রেম ও ভক্তি। তার কবিতায় দেশপ্রেম এবং জন্মভূমির প্রতি ভক্তির সুর প্রধান।

২৬. “বঙ্গভূমির প্রতি” কবিতায় কবি কীসের জন্য ব্যাকুল?

ক. ধন-সম্পদের জন্য

খ. প্রকৃতির সৌন্দর্যের জন্য

গ. মাতৃভূমির স্মৃতিতে বেঁচে থাকার জন্য

ঘ. ব্যক্তিগত সুখ ও শান্তির জন্য

উত্তর: গ. মাতৃভূমির স্মৃতিতে বেঁচে থাকার জন্য। কবি চান তার দেশ যেন তাকে মনে রাখে।

২৭. মধুসূদন দত্তের কাব্যচর্চার মূল উদ্দেশ্য কী ছিল?

ক. অর্থ উপার্জন করা

খ. খ্যাতি ও যশ লাভ করা

গ. দেশ ও জাতির সেবা করা

ঘ. ব্যক্তিগত আনন্দ ও বিনোদন

উত্তর: গ. দেশ ও জাতির সেবা করা। কবি দেশ ও জাতির প্রতি ভালোবাসা থেকে কাব্যচর্চা করেছেন।

২৮. “মাইকেল মধুসূদন দত্ত” তার কবিতায় কোন ঐতিহ্যের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন?

ক. পাশ্চাত্য সাহিত্য ও সংস্কৃতি

খ. ভারতীয় দর্শন ও ঐতিহ্য

গ. মধ্যপ্রাচ্যের সংস্কৃতি

ঘ. গ্রিক ও রোমান পুরাণ

উত্তর: ক. পাশ্চাত্য সাহিত্য ও সংস্কৃতি। তিনি পাশ্চাত্য সাহিত্য ও সংস্কৃতির দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন।

২৯. “বঙ্গভূমির প্রতি” কবিতায় কবি নিজেকে কীভাবে উপস্থাপন করেছেন?

ক. একজন বীর যোদ্ধা হিসেবে

খ. একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে

গ. মায়ের প্রতি অনুগত সন্তান হিসেবে

ঘ. একজন দার্শনিক হিসেবে

উত্তর: গ. মায়ের প্রতি অনুগত সন্তান হিসেবে। কবি নিজেকে মায়ের প্রতি অনুগত এবং সেবাপ্রবণ সন্তান হিসেবে তুলে ধরেছেন।

৩০. মধুসূদন দত্তের কবিতায় কোন বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ?

ক. প্রকৃতির বর্ণনা

খ. মানুষের প্রতি ভালোবাসা

গ. দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগ

ঘ. ধর্মীয় বিশ্বাস

উত্তর: গ. দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগ। তার কবিতায় দেশপ্রেম এবং দেশের জন্য আত্মত্যাগের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি।

Leave a Reply

Scroll to Top