SSC কৃষি শিক্ষা | | পঞ্চম অধ্যায়: বনায়ন MCQ

পঞ্চম অধ্যায়: বনায়ন

(Afforestation/Forestry) – MCQ প্রশ্ন (১-১৫)


১. প্রশ্ন: সাধারণত বিস্তৃত এলাকাজুড়ে অসংখ্য বৃক্ষলতা ও গুল্ম সমন্বিত বনভূমিকে কী বলে?

(ক) উদ্যান

(খ) বন বা জঙ্গল

(গ) তৃণভূমি

(ঘ) নার্সারি

সঠিক উত্তর: (খ) বন বা জঙ্গল

ব্যাখ্যা: পঞ্চম অধ্যায়ের প্রথম পরিচ্ছেদে বনের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, “সাধারণভাবে বিস্তৃত এলাকাজুড়ে অসংখ্য বৃক্ষলতা ও গুল্ম সমন্বিত বনভূমিকে বন বা জঙ্গল বলা হয়।” (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ১৭৭)

২. প্রশ্ন: পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য একটি দেশের মোট আয়তনের শতকরা কত ভাগ বনভূমি থাকা অপরিহার্য?

(ক) ১০-১৫ ভাগ

(খ) ২০-২৫ ভাগ

(গ) ৩০-৩৫ ভাগ

(ঘ) ৪০-৪৫ ভাগ

সঠিক উত্তর: (খ) ২০-২৫ ভাগ

ব্যাখ্যা: বনের গুরুত্ব অংশে উল্লেখ করা হয়েছে, “পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য একটি দেশের মোট আয়তনের শতকরা ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা অপরিহার্য।” (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ১৭৮)

৩. প্রশ্ন: বাংলাদেশের বন গবেষণা ইনস্টিটিউট (BFRI) কোথায় অবস্থিত?

(ক) ঢাকা

(খ) গাজীপুর

(গ) চট্টগ্রাম

(ঘ) খুলনা

সঠিক উত্তর: (গ) চট্টগ্রাম

ব্যাখ্যা: “দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ – বাংলাদেশের বনাঞ্চল” অংশে উল্লেখ আছে, “বন গবেষণা ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম (BFRI) এর হিসাব মতে…” (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ১৭৮)

৪. প্রশ্ন: অবস্থান ও বিস্তৃতি অনুসারে বাংলাদেশের বনাঞ্চলকে প্রধানত কয় ভাগে ভাগ করা যায়?

(ক) তিন ভাগে

(খ) চার ভাগে

(গ) পাঁচ ভাগে

(ঘ) ছয় ভাগে

সঠিক উত্তর: (গ) পাঁচ ভাগে

ব্যাখ্যা: বাংলাদেশের বনাঞ্চলের শ্রেণিবিভাগে উল্লেখ আছে, “অবস্থান ও বিস্তৃতি অনুসারে বাংলাদেশের বনাঞ্চলকে প্রধানত পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়।” এই ভাগগুলো হলো: পাহাড়ি বন, সমতলভূমির বন, ম্যানগ্রোভ বন, সামাজিক বন ও কৃষি বন। (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ১৭৯)

৫. প্রশ্ন: বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে পাহাড়ি বনের বিস্তৃতি সবচেয়ে বেশি?

(ক) উত্তরাঞ্চল

(খ) পশ্চিমাঞ্চল

(গ) পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল

(ঘ) উপকূলীয় অঞ্চল

সঠিক উত্তর: (গ) পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল

ব্যাখ্যা: পাহাড়ি বনের বিবরণে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে এই পাহাড়ি বনের বিস্তৃতি।” এর মধ্যে রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার বনভূমি অন্তর্ভুক্ত। (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ১৭৯)

৬. প্রশ্ন: গর্জন, চাপালিশ, তেলসুর, কড়ই কোন ধরনের বনের প্রধান বৃক্ষ?

(ক) সমতলভূমির বন

(খ) ম্যানগ্রোভ বন

(গ) পাহাড়ি বন

(ঘ) সামাজিক বন

সঠিক উত্তর: (গ) পাহাড়ি বন

ব্যাখ্যা: পাহাড়ি বনের প্রধান বৃক্ষের তালিকায় গর্জন, চাপালিশ, তেলসুর, কড়ই, সিভিট, গামার, সেগুন ইত্যাদি গাছের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ১৭৯)

৭. প্রশ্ন: বাংলাদেশের কোন কোন জেলায় সমতলভূমির বন অবস্থিত?

(ক) চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট

(খ) ঢাকা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, রংপুর, দিনাজপুর, কুমিল্লা ও রাজশাহী

(গ) খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা

(ঘ) রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি

সঠিক উত্তর: (খ) ঢাকা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, রংপুর, দিনাজপুর, কুমিল্লা ও রাজশাহী

ব্যাখ্যা: সমতলভূমির বনের অবস্থান সম্পর্কে বলা হয়েছে, “ঢাকা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, রংপুর, দিনাজপুর, কুমিল্লা ও রাজশাহী জেলায় একসময় এই বনের বিস্তৃতি ছিল।” (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ১৮০)

৮. প্রশ্ন: সমতলভূমির প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ বৃক্ষ কোনটি?

(ক) গর্জন

(খ) সুন্দরী

(গ) শাল বা গজারি

(ঘ) সেগুন

সঠিক উত্তর: (গ) শাল বা গজারি

ব্যাখ্যা: সমতলভূমির বনের প্রধান বৃক্ষ হিসেবে “শাল বা গজারি” কে উল্লেখ করা হয়েছে। (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ১৮০)

৯. প্রশ্ন: পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন কোনটি?

(ক) আমাজন বন

(খ) সুন্দরবন

(গ) কঙ্গো রেইনফরেস্ট

(ঘ) ইন্দোনেশিয়ার ম্যানগ্রোভ বন

সঠিক উত্তর: (খ) সুন্দরবন

ব্যাখ্যা: ম্যানগ্রোভ বন অংশে বলা হয়েছে, “সুন্দরবন পৃথিবীর একক বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন।” (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ১৮১)

১০. প্রশ্ন: সুন্দরবনের প্রধান বৃক্ষ কোনটি?

(ক) শাল

(খ) গর্জন

(গ) সেগুন

(ঘ) সুন্দরী

সঠিক উত্তর: (ঘ) সুন্দরী

ব্যাখ্যা: সুন্দরবনের প্রধান বৃক্ষ হিসেবে সুন্দরী গাছের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যার নামানুসারে এই বনের নামকরণ হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ১৮১)

১১. প্রশ্ন: সামাজিক বনায়ন কী?

(ক) সরকারি উদ্যোগে সংরক্ষিত বন তৈরি

(খ) জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে পরিচালিত বনায়ন কার্যক্রম

(গ) শুধুমাত্র পাহাড়ি এলাকায় গাছ লাগানো

(ঘ) বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে দ্রুত বর্ধনশীল গাছ লাগানো

সঠিক উত্তর: (খ) জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে পরিচালিত বনায়ন কার্যক্রম

ব্যাখ্যা: সামাজিক বনায়নের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, “জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে সরকারি বনভূমি ও কমিউনিটির অন্যান্য পতিত ও অব্যবহৃত জমিতে বৃক্ষরোপণ, পরিচর্যা ও ব্যবস্থাপনাকে সামাজিক বনায়ন বলে।” (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ১৮২)

১২. প্রশ্ন: কৃষি বনায়ন বলতে কী বোঝায়?

(ক) শুধু ফল গাছ চাষ করা

(খ) একই জমিতে কৃষি ফসল ও বৃক্ষ বা পশুপালনের সমন্বিত চাষাবাদ পদ্ধতি

(গ) বনভূমিতে কৃষিকাজ করা

(ঘ) বাণিজ্যিক নার্সারিতে চারা উৎপাদন

সঠিক উত্তর: (খ) একই জমিতে কৃষি ফসল ও বৃক্ষ বা পশুপালনের সমন্বিত চাষাবাদ পদ্ধতি

ব্যাখ্যা: কৃষি বনায়নের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, “কৃষি বনায়ন এমন একটি সমন্বিত ভূমি ব্যবহার পদ্ধতি যেখানে একই জমিতে কৃষি ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি বৃক্ষজাতীয় উদ্ভিদ এবং ক্ষেত্রবিশেষে পশুসম্পদ ও মৎস্য চাষ করা হয়।” (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ১৮৩)

১৩. প্রশ্ন: নার্সারিতে কী করা হয়?

(ক) পুরাতন গাছ কাটা হয়

(খ) বীজ সংরক্ষণ করা হয়

(গ) চারাগাছ উৎপাদন ও পরিচর্যা করে রোপণের পূর্ব পর্যন্ত যত্ন নেওয়া হয়

(ঘ) বনজ সম্পদ প্রক্রিয়াজাত করা হয়

সঠিক উত্তর: (গ) চারাগাছ উৎপাদন ও পরিচর্যা করে রোপণের পূর্ব পর্যন্ত যত্ন নেওয়া হয়

ব্যাখ্যা: “তৃতীয় পরিচ্ছেদ – নার্সারি” অংশে নার্সারির সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, “নার্সারি হলো এমন একটি স্থান যেখানে চারা স্থানান্তর করার পূর্ব পর্যন্ত বিশেষ যত্নসহকারে পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়।” (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ১৮৫)

১৪. প্রশ্ন: নার্সারির বেড সাধারণত কতটুকু চওড়া হওয়া ভালো?

(ক) ০.৫ মিটার

(খ) ১.০ মিটার

(গ) ১.৫ মিটার

(ঘ) ২.০ মিটার

সঠিক উত্তর: (খ) ১.০ মিটার

ব্যাখ্যা: নার্সারির বীজতলা বা বেড তৈরি অংশে উল্লেখ আছে, “বেড সাধারণত ১.০ মিটার চওড়া এবং সুবিধামতো লম্বা করে তৈরি করা হয়।” (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ১৮৭)

১৫. প্রশ্ন: বীজ বপনের পূর্বে বীজ শোধনের জন্য প্রতি কেজি বীজের সাথে কত গ্রাম ছত্রাকনাশক (যেমন ভিটাভেক্স-২০০) মেশানো হয়?

(ক) ১-১.৫ গ্রাম

(খ) ২-২.৫ গ্রাম

(গ) ৩-৩.৫ গ্রাম

(ঘ) ৪-৪.৫ গ্রাম

সঠিক উত্তর: (খ) ২-২.৫ গ্রাম

ব্যাখ্যা: বীজতলায় বীজ বপন ও পরিচর্যা অংশে বীজ শোধনের বিবরণে বলা হয়েছে, “সাধারণত প্রতি কেজি বীজের জন্য ২-২.৫ গ্রাম ভিটাভেক্স-২০০ বা সমগুণসম্পন্ন ছত্রাকনাশক ব্যবহার করা হয়।” (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ১৮৮)

পঞ্চম অধ্যায়: বনায়ন (Afforestation/Forestry) – MCQ প্রশ্ন (১৬-৩০)

 

১৬. প্রশ্ন: পলিব্যাগে চারা তৈরির জন্য পলিব্যাগের মাপ সাধারণত কেমন হয়?

(ক) ৫ সেমি × ৭ সেমি

(খ) ১০ সেমি × ১৫ সেমি

(গ) ১৫ সেমি × ২৫ সেমি

(ঘ) ২০ সেমি × ৩০ সেমি

সঠিক উত্তর: (গ) ১৫ সেমি × ২৫ সেমি

ব্যাখ্যা: “চতুর্থ পরিচ্ছেদ – চারা উৎপাদন কৌশল” এর অধীনে পলিব্যাগে চারা তৈরি অংশে উল্লেখ আছে, “সাধারণত ১৫ সেমি × ২৫ সেমি আকারের পলিব্যাগ ব্যবহার করা হয়।” (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ১৯০)

১৭. প্রশ্ন: পলিব্যাগে চারা তৈরির জন্য মাটির মিশ্রণে জৈব সারের পরিমাণ কত হওয়া উচিত?

(ক) ১ ভাগ

(খ) ২ ভাগ

(গ) ৩ ভাগ

(ঘ) ৪ ভাগ

সঠিক উত্তর: (ক) ১ ভাগ

ব্যাখ্যা: পলিব্যাগে চারা তৈরির জন্য মাটি প্রস্তুত অংশে মাটির মিশ্রণে “দো-আঁশ মাটি ২ ভাগ, জৈব সার ১ ভাগ এবং ১ ভাগ বালি” ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ১৯০)

১৮. প্রশ্ন: চারা রোপণের জন্য গর্তের আকার সাধারণত কত হওয়া উচিত (মাঝারি আকারের চারার জন্য)?

(ক) ৩০ সেমি × ৩০ সেমি × ৩০ সেমি

(খ) ৪৫ সেমি × ৪৫ সেমি × ৪৫ সেমি

(গ) ৬০ সেমি × ৬০ সেমি × ৬০ সেমি

(ঘ) ৭৫ সেমি × ৭৫ সেমি × ৭৫ সেমি

সঠিক উত্তর: (খ) ৪৫ সেমি × ৪৫ সেমি × ৪৫ সেমি

ব্যাখ্যা: “পঞ্চম পরিচ্ছেদ – বৃক্ষরোপণ পদ্ধতি ও পরিচর্যা” এর অধীনে চারা রোপণের জন্য গর্ত তৈরি অংশে “মাঝারি আকারের চারার জন্য ৪৫ সেমি × ৪৫ সেমি × ৪৫ সেমি আকারের গর্ত করতে হয়” উল্লেখ করা হয়েছে। (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ১৯২)

১৯. প্রশ্ন: চারা রোপণের কত দিন আগে গর্তে সার প্রয়োগ করে মাটি গর্তে ভরে রাখতে হয়?

(ক) ১-২ দিন

(খ) ৩-৫ দিন

(গ) ৭-১০ দিন

(ঘ) ১৫-২০ দিন

সঠিক উত্তর: (ঘ) ১৫-২০ দিন

ব্যাখ্যা: গর্তে সার প্রয়োগ অংশে বলা হয়েছে, “চারা রোপণের ১৫-২০ দিন আগে গর্তপ্রতি নির্দিষ্ট হারে সার মাটির সাথে মিশিয়ে গর্ত ভরে রাখতে হবে।” (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ১৯২)

২০. প্রশ্ন: দ্রুত বর্ধনশীল ও অধিক ফলনশীল কাঠের গাছ কোনটি?

(ক) সেগুন

(খ) গর্জন

(গ) ইউক্যালিপটাস

(ঘ) সুন্দরী

সঠিক উত্তর: (গ) ইউক্যালিপটাস

ব্যাখ্যা: “ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ – কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ বৃক্ষ পরিচিতি ও চাষ পদ্ধতি” এর অধীনে ইউক্যালিপটাসকে “একটি দ্রুত বর্ধনশীল ও অধিক ফলনশীল কাঠের গাছ” হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ১৯৬)

২১. প্রশ্ন: ইউক্যালিপটাস গাছ কোন ধরনের মাটি পছন্দ করে?

(ক) লবণাক্ত মাটি

(খ) জলাবদ্ধ মাটি

(গ) প্রায় সব ধরনের মাটি, তবে গভীর ও সুনিষ্কাশিত মাটি বেশি উপযোগী

(ঘ) পাথুরে মাটি

সঠিক উত্তর: (গ) প্রায় সব ধরনের মাটি, তবে গভীর ও সুনিষ্কাশিত মাটি বেশি উপযোগী

ব্যাখ্যা: ইউক্যালিপটাস চাষের জন্য মাটি নির্বাচন অংশে বলা হয়েছে, “ইউক্যালিপটাস প্রায় সব ধরনের মাটিতে জন্মে। তবে গভীর, উর্বর ও সুনিষ্কাশিত মাটিতে এর বৃদ্ধি ভালো হয়।” (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ১৯৬)

২২. প্রশ্ন: মেহগনি গাছের আদি নিবাস কোথায়?

(ক) বাংলাদেশ ও ভারত

(খ) উত্তর আমেরিকার উষ্ণমণ্ডল ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ

(গ) অস্ট্রেলিয়া

(ঘ) আফ্রিকা

সঠিক উত্তর: (খ) উত্তর আমেরিকার উষ্ণমণ্ডল ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ

ব্যাখ্যা: মেহগনি গাছের পরিচিতি অংশে উল্লেখ আছে, “মেহগনির আদি নিবাস উত্তর আমেরিকার উষ্ণমণ্ডল এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ।” (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ১৯৭)

২৩. প্রশ্ন: কোন গাছের কাঠ অত্যন্ত মূল্যবান, দৃঢ়, টেকসই এবং আসবাবপত্র তৈরির জন্য উৎকৃষ্ট?

(ক) আকাশমণি

(খ) কদম

(গ) সেগুন

(ঘ) শিমুল

সঠিক উত্তর: (গ) সেগুন

ব্যাখ্যা: সেগুন গাছের পরিচিতি ও ব্যবহার অংশে বলা হয়েছে, “সেগুন কাঠ অত্যন্ত মূল্যবান, দৃঢ়, টেকসই, সুন্দর ও সহজে ঘুণে ধরে না। তাই জাহাজ, ঘরের আসবাবপত্র, দরজা-জানালা ইত্যাদি তৈরিতে সেগুন কাঠের জুড়ি নেই।” (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ১৯৮)

২৪. প্রশ্ন: বনভূমি সংরক্ষণে জনসাধারণের ভূমিকা কী?

(ক) নির্বিচারে গাছ কাটা

(খ) বনভূমিতে আগুন লাগানো

(গ) বৃক্ষরোপণ অভিযানে অংশগ্রহণ ও বনজ সম্পদ রক্ষায় সচেতন হওয়া

(ঘ) বনের পশুপাখি শিকার করা

সঠিক উত্তর: (গ) বৃক্ষরোপণ অভিযানে অংশগ্রহণ ও বনজ সম্পদ রক্ষায় সচেতন হওয়া

ব্যাখ্যা: “সপ্তম পরিচ্ছেদ – বন সংরক্ষণ আইন ও ব্যবস্থাপনা” অংশে বনভূমি সংরক্ষণে জনসাধারণের ভূমিকার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে বৃক্ষরোপণ ও বন রক্ষায় সচেতনতা অন্যতম। (সাধারণ ধারণা, PDF পৃষ্ঠা ১৯৯-২০০)

২৫. প্রশ্ন: বন আইন অনুযায়ী সংরক্ষিত বনভূমি থেকে বিনা অনুমতিতে গাছ কাটা বা বনজ সম্পদ আহরণ কী ধরনের অপরাধ?

(ক) সামাজিক রীতি

(খ) প্রশংসনীয় কাজ

(গ) দণ্ডনীয় অপরাধ

(ঘ) সাধারণ ঘটনা

সঠিক উত্তর: (গ) দণ্ডনীয় অপরাধ

ব্যাখ্যা: বন সংরক্ষণ আইন অংশে উল্লেখ আছে যে, সংরক্ষিত বনভূমি থেকে অবৈধভাবে গাছ কাটা বা বনজ সম্পদ আহরণ আইনত দণ্ডনীয়। (সাধারণ ধারণা, PDF পৃষ্ঠা ১৯৯-২০০)

২৬. প্রশ্ন: বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণে কোনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে?

(ক) শিল্প কারখানা

(খ) যানবাহন

(গ) বনভূমি ও গাছপালা

(ঘ) ইটভাটা

সঠিক উত্তর: (গ) বনভূমি ও গাছপালা

ব্যাখ্যা: বনের পরিবেশগত গুরুত্ব অংশে উল্লেখ করা হয়েছে যে, গাছপালা সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে এবং অক্সিজেন ত্যাগ করে, যা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অপরিহার্য। (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ১৭৮, বনের গুরুত্ব)

২৭. প্রশ্ন: ম্যানগ্রোভ বনের উদ্ভিদের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য কী?

(ক) পাতা খুব ছোট হয়

(খ) কাণ্ড খুব নরম হয়

(গ) শ্বাসমূল (নিউম্যাটোফোর) থাকে

(ঘ) ফল খুব মিষ্টি হয়

সঠিক উত্তর: (গ) শ্বাসমূল (নিউম্যাটোফোর) থাকে

ব্যাখ্যা: ম্যানগ্রোভ বনের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে গিয়ে শ্বাসমূলের কথা উল্লেখ করা হয়, যা জোয়ার-ভাটার লবণাক্ত ও কর্দমাক্ত পরিবেশে গাছকে টিকে থাকতে সাহায্য করে। সুন্দরবনের সুন্দরী, গেওয়া ইত্যাদি গাছের শ্বাসমূল দেখা যায়। (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ১৮১)

২৮. প্রশ্ন: নার্সারিতে বীজ থেকে চারা গজানোর পর অতিরিক্ত ঘন চারা তুলে পাতলা করে দেওয়াকে কী বলে?

(ক) নিড়ানি

(খ) সেচ দেওয়া

(গ) চারা পাতলাকরণ (Thinning out)

(ঘ) আগাছা দমন

সঠিক উত্তর: (গ) চারা পাতলাকরণ (Thinning out)

ব্যাখ্যা: নার্সারিতে চারা পরিচর্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো চারা পাতলাকরণ। এতে সুস্থ-সবল چارার বৃদ্ধির জন্য দুর্বল ও অতিরিক্ত চারা তুলে ফেলা হয়। (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ১৮৯, “চারা পাতলাকরণ”)

২৯. প্রশ্ন: উপকূলীয় এলাকায় সবুজ বেষ্টনী তৈরির জন্য কোন ধরনের গাছ উপযোগী?

(ক) আম, কাঁঠাল

(খ) শাল, সেগুন

(গ) ঝাউ, নারকেল, তাল, খেজুর

(ঘ) বট, অশ্বত্থ

সঠিক উত্তর: (গ) ঝাউ, নারকেল, তাল, খেজুর

ব্যাখ্যা: উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সবুজ বেষ্টনী তৈরি করা হয়। এক্ষেত্রে লবণাক্ততা সহিষ্ণু এবং ঝড়-বাতাস প্রতিরোধ করতে পারে এমন গাছ যেমন ঝাউ, নারকেল, তাল, খেজুর ইত্যাদি রোপণ করা হয়। (বনায়নের সাধারণ ধারণা ও উদ্দেশ্য অনুযায়ী)

৩০. প্রশ্ন: জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বনের ভূমিকা কী?

(ক) জীববৈচিত্র্য হ্রাস করে

(খ) নির্দিষ্ট কিছু প্রাণী ও উদ্ভিদের আবাসস্থল ধ্বংস করে

(গ) অসংখ্য উদ্ভিদ ও প্রাণীর নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে কাজ করে জীববৈচিত্র্য রক্ষা করে

(ঘ) জীববৈচিত্র্যের উপর কোনো প্রভাব ফেলে না

সঠিক উত্তর: (গ) অসংখ্য উদ্ভিদ ও প্রাণীর নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে কাজ করে জীববৈচিত্র্য রক্ষা করে

ব্যাখ্যা: বনভূমি হলো বিভিন্ন প্রকার উদ্ভিদ, প্রাণী, পাখি, কীটপতঙ্গসহ অসংখ্য অনুজীবের প্রাকৃতিক আবাসস্থল। বন সংরক্ষণের মাধ্যমে এই জীববৈচিত্র্য রক্ষা পায়। (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ১৭৮, বনের গুরুত্ব)

Leave a Reply

Scroll to Top