SSC ভূগোল ও পরিবেশ
দশম অধ্যায়: বাংলাদেশের ভৌগোলিক বিবরণ
১. বাংলাদেশ এশিয়া মহাদেশের কোন অংশে অবস্থিত?
(ক) পূর্ব এশিয়া
(খ) দক্ষিণ এশিয়া
(গ) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া
(ঘ) মধ্য এশিয়া
সঠিক উত্তর: (খ) দক্ষিণ এশিয়া
ব্যাখ্যা: বাংলাদেশ এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণাংশে, অর্থাৎ দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত।
২. বাংলাদেশের উত্তরে ভারতের কোন কোন রাজ্য অবস্থিত?
(ক) পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয়
(খ) ত্রিপুরা ও মিজোরাম
(গ) নাগাল্যান্ড ও মণিপুর
(ঘ) বিহার ও ওড়িশা
সঠিক উত্তর: (ক) পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয়
ব্যাখ্যা: বাংলাদেশের উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয় রাজ্য অবস্থিত।
৩. বাংলাদেশের পূর্বে ভারতের কোন রাজ্য এবং কোন দেশ অবস্থিত?
(ক) পশ্চিমবঙ্গ ও নেপাল
(খ) আসাম, ত্রিপুরা, মিজোরাম রাজ্য ও মিয়ানমার
(গ) মেঘালয় ও ভুটান
(ঘ) বিহার ও চীন
সঠিক উত্তর: (খ) আসাম, ত্রিপুরা, মিজোরাম রাজ্য ও মিয়ানমার
ব্যাখ্যা: বাংলাদেশের পূর্বে ভারতের আসাম, ত্রিপুরা ও মিজোরাম রাজ্য এবং মিয়ানমার অবস্থিত।
৪. বাংলাদেশের পশ্চিমে ভারতের কোন রাজ্য অবস্থিত?
(ক) আসাম
(খ) মেঘালয়
(গ) পশ্চিমবঙ্গ
(ঘ) ত্রিপুরা
সঠিক উত্তর: (গ) পশ্চিমবঙ্গ
ব্যাখ্যা: বাংলাদেশের পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য অবস্থিত।
৫. বাংলাদেশের দক্ষিণে কী অবস্থিত?
(ক) ভারত মহাসাগর
(খ) আরব সাগর
(গ) বঙ্গোপসাগর
(ঘ) আন্দামান সাগর
সঠিক উত্তর: (গ) বঙ্গোপসাগর
ব্যাখ্যা: বাংলাদেশের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত।
৬. বাংলাদেশের মোট আয়তন কত?
(ক) ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটার
(খ) ১,৫০,০০০ বর্গ কিলোমিটার
(গ) ১,৫৫,৭৫০ বর্গ কিলোমিটার
(ঘ) ১,৪০,৫৭০ বর্গ কিলোমিটার
সঠিক উত্তর: (ক) ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটার
ব্যাখ্যা: বাংলাদেশের মোট আয়তন ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটার (বা ৫৬,৯৭৭ বর্গ মাইল)।
৭. বাংলাদেশের স্থলসীমার দৈর্ঘ্য কত?
(ক) প্রায় ৩,৭১৫ কি.মি.
(খ) প্রায় ৪,৪২৭ কি.মি.
(গ) প্রায় ৪,৭১১ কি.মি.
(ঘ) প্রায় ৫,১৩৮ কি.মি.
সঠিক উত্তর: (গ) প্রায় ৪,৭১১ কি.মি.
ব্যাখ্যা: বাংলাদেশের মোট স্থলসীমার দৈর্ঘ্য প্রায় ৪,৭১১ কিলোমিটার। (পাঠ্যবইয়ে ৪,৪০৩ বা ৪,৪২৭ কি.মি. ভারত ও মিয়ানমারের সাথে সম্মিলিতভাবে উল্লেখ থাকতে পারে, অপশনগুলোর মধ্যে নিকটতম ও সঠিকটি দেখতে হবে।) [পাঠ্যবই এর পৃষ্ঠা নম্বর ১৫২-১৫৩ তে প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী সঠিক উত্তর নির্বাচন করতে হবে]
৮. বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলের দৈর্ঘ্য কত?
(ক) ৬০১ কি.মি.
(খ) ৭১১ কি.মি.
(গ) ৮১১ কি.মি.
(ঘ) ৯১১ কি.মি.
সঠিক উত্তর: (খ) ৭১১ কি.মি.
ব্যাখ্যা: বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলের দৈর্ঘ্য ৭১১ কিলোমিটার।
৯. বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা কত নটিক্যাল মাইল?
(ক) ১২ নটিক্যাল মাইল
(খ) ২০০ নটিক্যাল মাইল
(গ) ৩০০ নটিক্যাল মাইল
(ঘ) ৪০০ নটিক্যাল মাইল
সঠিক উত্তর: (খ) ২০০ নটিক্যাল মাইল
ব্যাখ্যা: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা (Exclusive Economic Zone – EEZ) ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত।
১০. ভূপ্রকৃতি অনুসারে বাংলাদেশকে প্রধানত কয়টি ভাগে ভাগ করা যায়?
(ক) দুইটি
(খ) তিনটি
(গ) চারটি
(ঘ) পাঁচটি
সঠিক উত্তর: (খ) তিনটি
ব্যাখ্যা: ভূপ্রকৃতি অনুসারে বাংলাদেশকে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়: টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ, প্লাইস্টোসিন কালের সোপানসমূহ এবং সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি।
১১. টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ বাংলাদেশের কোন কোন অঞ্চলে অবস্থিত?
(ক) উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে
(খ) দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে
(গ) মধ্যাঞ্চলে
(ঘ) দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে
সঠিক উত্তর: (খ) দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে
ব্যাখ্যা: টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এবং উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত।
১২. বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কোনটি?
(ক) কেওক্রাডং
(খ) তাজিনডং (বিজয়)
(গ) মদক মুয়াল
(ঘ) সাকা হাফং (কিছু সূত্রমতে এটি সর্বোচ্চ)
সঠিক উত্তর: (খ) তাজিনডং (বিজয়) (পাঠ্যবইয়ে যা উল্লেখ আছে)
ব্যাখ্যা: পাঠ্যবইয়ে উল্লেখিত তথ্য অনুসারে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গের নাম লিখতে হবে। (সাধারণত তাজিনডং বা সাকা হাফং নিয়ে বিভিন্ন সূত্রে ভিন্নতা দেখা যায়।) [পাঠ্যবই এর পৃষ্ঠা নম্বর ১৫৪-১৫৫ তে প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী সঠিক উত্তর নির্বাচন করতে হবে]
১৩. প্লাইস্টোসিন কালের সোপানসমূহ বা চত্বরভূমি কত বছর পূর্বে গঠিত হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়?
(ক) প্রায় ১০ হাজার বছর
(খ) প্রায় ২৫ হাজার বছর
(গ) প্রায় ৫০ হাজার বছর
(ঘ) প্রায় ১ লক্ষ বছর
সঠিক উত্তর: (খ) প্রায় ২৫ হাজার বছর
ব্যাখ্যা: প্লাইস্টোসিন কালে (আনুমানিক ২৫,০০০ বছর পূর্বে) আন্তঃবরফগলা পানিতে প্লাবনের ফলে এসব সোপান গঠিত হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়।
১৪. বরেন্দ্রভূমি বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে অবস্থিত?
(ক) দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে
(খ) উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে (রাজশাহী, নওগাঁ, বগুড়া, জয়পুরহাট, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার অংশবিশেষ)
(গ) মধ্যাঞ্চলে
(ঘ) উত্তর-পূর্বাঞ্চলে
সঠিক উত্তর: (খ) উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে (রাজশাহী, নওগাঁ, বগুড়া, জয়পুরহাট, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার অংশবিশেষ)
ব্যাখ্যা: দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ৯,৩২০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বরেন্দ্রভূমি বিস্তৃত।
১৫. মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় কোন কোন জেলায় অবস্থিত?
(ক) টাঙ্গাইল ও গাজীপুর
(খ) ময়মনসিংহ ও জামালপুর
(গ) কুমিল্লা ও নোয়াখালী
(ঘ) সিলেট ও হবিগঞ্জ
সঠিক উত্তর: (ক) টাঙ্গাইল ও গাজীপুর
ব্যাখ্যা: মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ ও গাজীপুর জেলায় অবস্থিত।
১৬. বাংলাদেশের সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি কীভাবে গঠিত হয়েছে?
(ক) আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে
(খ) ভূমিকম্পের ফলে
(গ) নদী বাহিত পলি সঞ্চয়ের ফলে
(ঘ) বায়ুপ্রবাহের দ্বারা বালুকণা জমে
সঠিক উত্তর: (গ) নদী বাহিত পলি সঞ্চয়ের ফলে
ব্যাখ্যা: অসংখ্য নদী বাহিত পলিমাটি সঞ্চিত হয়ে বাংলাদেশের এই সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি গঠিত হয়েছে।
১৭. বাংলাদেশের প্রধান নদী কোনটি?
(ক) ব্রহ্মপুত্র
(খ) মেঘনা
(গ) পদ্মা
(ঘ) কর্ণফুলী
সঠিক উত্তর: (গ) পদ্মা
ব্যাখ্যা: পদ্মা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ও বৃহত্তম নদী।
১৮. ব্রহ্মপুত্র নদ কোথা থেকে উৎপন্ন হয়েছে?
(ক) হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ
(খ) তিব্বতের কৈলাস পর্বতশৃঙ্গের চেমায়ুং-দুং হিমবাহ
(গ) আসামের লুসাই পাহাড়
(ঘ) কুমায়ুন হিমবাহ
সঠিক উত্তর: (খ) তিব্বতের কৈলাস পর্বতশৃঙ্গের চেমায়ুং-দুং হিমবাহ
ব্যাখ্যা: ব্রহ্মপুত্র নদ তিব্বতের কৈলাস পর্বতশৃঙ্গের নিকটে চেমায়ুং-দুং হিমবাহ থেকে উৎপন্ন হয়েছে।
১৯. যমুনা নদী কোন নদীর প্রধান শাখা?
(ক) পদ্মা
(খ) মেঘনা
(গ) ব্রহ্মপুত্র
(ঘ) তিস্তা
সঠিক উত্তর: (গ) ব্রহ্মপুত্র
ব্যাখ্যা: ব্রহ্মপুত্র নদের প্রধান শাখা যমুনা নামে পরিচিত, যা গোয়ালন্দের নিকট পদ্মার সাথে মিলিত হয়েছে।
২০. মেঘনা নদী কোন দুটি নদীর মিলিত স্রোতধারার নাম?
(ক) পদ্মা ও যমুনা
(খ) সুরমা ও কুশিয়ারা
(গ) তিস্তা ও আত্রাই
(ঘ) কর্ণফুলী ও সাঙ্গু
সঠিক উত্তর: (খ) সুরমা ও কুশিয়ারা
ব্যাখ্যা: আসামের বরাক নদী সিলেট জেলার অমলসিধের নিকট সুরমা ও কুশিয়ারা নামে দুটি শাখায় বিভক্ত হয়ে পুনরায় মারকুলির কাছে মিলিত হয়ে মেঘনা নাম ধারণ করেছে।
২১. কর্ণফুলী নদী কোন জেলা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে?
(ক) সিলেট
(খ) কুমিল্লা
(গ) পার্বত্য চট্টগ্রাম (রাঙ্গামাটি)
(ঘ) কক্সবাজার
সঠিক উত্তর: (গ) পার্বত্য চট্টগ্রাম (রাঙ্গামাটি)
ব্যাখ্যা: কর্ণফুলী নদী ভারতের মিজোরাম রাজ্যের লুসাই পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি জেলা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
২২. বাংলাদেশের জলবায়ু কীরূপ?
(ক) ক্রান্তীয় শুষ্ক মরু জলবায়ু
(খ) ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু
(গ) নিরক্ষীয় জলবায়ু
(ঘ) ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু
সঠিক উত্তর: (খ) ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু
ব্যাখ্যা: বাংলাদেশ ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় এখানকার জলবায়ু উষ্ণ, আর্দ্র ও সমভাবাপন্ন।
২৩. বাংলাদেশে সাধারণত কোন মাসে বর্ষাকাল শুরু হয়?
(ক) মার্চ-এপ্রিল
(খ) জুন-জুলাই (দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে)
(গ) সেপ্টেম্বর-অক্টোবর
(ঘ) ডিসেম্বর-জানুয়ারি
সঠিক উত্তর: (খ) জুন-জুলাই (দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে)
ব্যাখ্যা: জুন মাসের শুরু থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশে বর্ষাকাল স্থায়ী হয়, যখন দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প নিয়ে আসে।
২৪. বাংলাদেশের গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত কত?
(ক) প্রায় ১৫০ সে.মি.
(খ) প্রায় ২০৩ সে.মি.
(গ) প্রায় ২৫০ সে.মি.
(ঘ) প্রায় ৩০০ সে.মি.
সঠিক উত্তর: (খ) প্রায় ২০৩ সে.মি.
ব্যাখ্যা: বাংলাদেশে গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রায় ২০৩ সেন্টিমিটার।
২৫. বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়?
(ক) উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে
(খ) দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে
(গ) মধ্যাঞ্চলে
(ঘ) উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকায় (বিশেষত সিলেটের লালখান ও চট্টগ্রামের পতেঙ্গা)
সঠিক উত্তর: (ঘ) উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকায় (বিশেষত সিলেটের লালখান ও চট্টগ্রামের পতেঙ্গা)
ব্যাখ্যা: বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল (সিলেট) এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।
২৬. কালবৈশাখী ঝড় সাধারণত কোন ঋতুতে হয়?
(ক) বর্ষাকালে
(খ) গ্রীষ্মকালে (প্রাক-মৌসুমী বায়ুপ্রবাহের সময়)
(গ) শরৎকালে
(ঘ) শীতকালে
সঠিক উত্তর: (খ) গ্রীষ্মকালে (প্রাক-মৌসুমী বায়ুপ্রবাহের সময়)
ব্যাখ্যা: গ্রীষ্মকালে (বিশেষত এপ্রিল-মে মাসে) স্থানীয়ভাবে উত্তপ্ত বায়ুর প্রভাবে যে বজ্রঝড় সৃষ্টি হয়, তাকে কালবৈশাখী বলে।
২৭. বাংলাদেশের শীতকালীন গড় তাপমাত্রা কত থাকে?
(ক) প্রায় ১০°C থেকে ১৫°C
(খ) প্রায় ১৮°C থেকে ২১°C
(গ) প্রায় ২৫°C থেকে ২৮°C
(ঘ) প্রায় ৩০°C এর উপরে
সঠিক উত্তর: (খ) প্রায় ১৮°C থেকে ২১°C (জানুয়ারি মাসের গড় তাপমাত্রা)
ব্যাখ্যা: বাংলাদেশে শীতকালে (বিশেষত জানুয়ারি মাসে) গড় তাপমাত্রা ১৮° সেলসিয়াস থেকে ২১° সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে।
২৮. বাংলাদেশের উত্তরে অবস্থিত পর্বতশ্রেণী কোনটি যা এদেশের জলবায়ুকে প্রভাবিত করে?
(ক) আরাকান পর্বত
(খ) হিমালয় পর্বতমালা
(গ) বিন্ধ্য পর্বত
(ঘ) সাতপুরা পর্বত
সঠিক উত্তর: (খ) হিমালয় পর্বতমালা
ব্যাখ্যা: বাংলাদেশের উত্তরে অবস্থিত সুবিশাল হিমালয় পর্বতমালা শীতকালে উত্তর দিক থেকে আগত শীতল বায়ুপ্রবাহকে বাধা দেয়, ফলে বাংলাদেশ তীব্র শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পায়।
২৯. ‘ডলড্রাম’ বা ‘শান্তবলয়’ কোন অক্ষাংশীয় অঞ্চলে সৃষ্টি হয়?
(ক) ৩০° – ৩৫° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশ
(খ) ০° – ৫° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশ (নিরক্ষীয় অঞ্চল)
(গ) ৬০° – ৬৫° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশ
(ঘ) ৯০° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশ
সঠিক উত্তর: (খ) ০° – ৫° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশ (নিরক্ষীয় অঞ্চল)
ব্যাখ্যা: নিরক্ষীয় অঞ্চলে (০° থেকে ৫° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশে) বছরের অধিকাংশ সময় সূর্য লম্বভাবে কিরণ দেওয়ায় বায়ু উত্তপ্ত ও হালকা হয়ে উপরে উঠে যায়, ফলে সেখানে একটি শান্ত বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থা বা ডলড্রাম সৃষ্টি হয়।
৩০. বাংলাদেশের প্রধান প্রাকৃতিক দুর্যোগ কোনটি?
(ক) ভূমিকম্প
(খ) বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়
(গ) খরা
(ঘ) ভূমিধস
সঠিক উত্তর: (খ) বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়
ব্যাখ্যা: ভৌগোলিক অবস্থান এবং জলবায়ুগত কারণে বাংলাদেশ বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, খরা, নদীভাঙন ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়। এর মধ্যে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় অন্যতম প্রধান।