SSC অর্থনীতি | | দশম অধ্যায়: বাংলাদেশ সরকারের অর্থব্যবস্থা MCQ

Table of Contents

SSC অর্থনীতি

দশম অধ্যায়: বাংলাদেশ সরকারের অর্থব্যবস্থা


১. সরকারের আয় ও ব্যয় সংক্রান্ত নীতি ও পদ্ধতিসমূহ যে শাস্ত্রের আলোচ্য বিষয়, তাকে কী বলে?

ক) ব্যক্তিগত অর্থব্যবস্থা
খ) সরকারি অর্থব্যবস্থা বা রাজস্ব নীতি
গ) বাণিজ্যিক অর্থব্যবস্থা
ঘ) আন্তর্জাতিক অর্থব্যবস্থা

সঠিক উত্তর: খ) সরকারি অর্থব্যবস্থা বা রাজস্ব নীতি

ব্যাখ্যা: সরকারি অর্থব্যবস্থা বা রাজস্ব নীতি হলো অর্থনীতির সেই শাখা যেখানে সরকারের আয়, ব্যয়, ঋণ এবং এসব সংক্রান্ত নীতিমালা ও তাদের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হয়।

২. বাংলাদেশ সরকারের আয়ের প্রধান উৎস কোনটি?

ক) কর রাজস্ব
খ) কর বহির্ভূত রাজস্ব
গ) বৈদেশিক অনুদান
ঘ) সরকারি প্রতিষ্ঠানের মুনাফা

সঠিক উত্তর: ক) কর রাজস্ব

ব্যাখ্যা: বাংলাদেশ সরকারের আয়ের প্রধান উৎস হলো কর রাজস্ব, যা বিভিন্ন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর থেকে সংগৃহীত হয়।

৩. যে করের ক্ষেত্রে করের আপাত ও চূড়ান্ত ভার একই ব্যক্তির উপর পড়ে, তাকে কী বলে?

ক) পরোক্ষ কর
খ) মূল্য সংযোজন কর
গ) প্রত্যক্ষ কর
ঘ) আবগারি শুল্ক

সঠিক উত্তর: গ) প্রত্যক্ষ কর

ব্যাখ্যা: প্রত্যক্ষ কর হলো সেই কর যার করঘাত ও করপাত একই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উপর বর্তায়। অর্থাৎ, যে ব্যক্তির উপর কর আরোপ করা হয়, তিনিই সেই কর পরিশোধ করেন এবং এর ভার অন্য কারো উপর চাপাতে পারেন না। যেমন – আয়কর, কর্পোরেট কর।

৪. আয়কর কোন ধরনের করের উদাহরণ?

ক) পরোক্ষ কর
খ) সম্পদ কর
গ) প্রত্যক্ষ কর
ঘ) ভোগ কর

সঠিক উত্তর: গ) প্রত্যক্ষ কর

ব্যাখ্যা: আয়কর একটি প্রত্যক্ষ কর, কারণ এটি ব্যক্তির আয়ের উপর সরাসরি আরোপ করা হয় এবং করদাতা নিজেই এর ভার বহন করেন।

৫. যে করের আপাত ভার একজনের উপর এবং চূড়ান্ত ভার অন্যজনের উপর চাপানো যায়, তাকে কী বলে?

ক) প্রত্যক্ষ কর
খ) পরোক্ষ কর
গ) প্রগতিশীল কর
ঘ) আনুপাতিক কর

সঠিক উত্তর: খ) পরোক্ষ কর

ব্যাখ্যা: পরোক্ষ করের ক্ষেত্রে করের আপাত ভার (Impact) একজনের উপর পড়লেও তা বিভিন্নভাবে দ্রব্য বা সেবার মূল্যের সাথে যুক্ত হয়ে চূড়ান্তভাবে অন্যজনের (সাধারণত ভোক্তা) উপর বর্তায় (Incidence)। যেমন – ভ্যাট, আমদানি শুল্ক, আবগারি শুল্ক।

৬. মূল্য সংযোজন কর (VAT) কোন ধরনের কর?

ক) প্রত্যক্ষ কর
খ) পরোক্ষ কর
গ) ভূমি রাজস্ব
ঘ) সম্পদ কর

সঠিক উত্তর: খ) পরোক্ষ কর

ব্যাখ্যা: মূল্য সংযোজন কর (VAT) একটি পরোক্ষ কর, যা বিভিন্ন দ্রব্য ও সেবার উৎপাদন ও বিপণনের প্রতিটি স্তরে সংযোজিত মূল্যের উপর আরোপ করা হয় এবং চূড়ান্তভাবে ভোক্তা এর ভার বহন করে।

৭. নিচের কোনটি বাংলাদেশ সরকারের কর বহির্ভূত রাজস্বের উদাহরণ?

ক) আয়কর
খ) ভ্যাট
গ) সরকারি প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ও বিভিন্ন ফি
ঘ) আমদানি শুল্ক

সঠিক উত্তর: গ) সরকারি প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ও বিভিন্ন ফি

ব্যাখ্যা: কর বহির্ভূত রাজস্বের মধ্যে রয়েছে সরকারি মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ, বিভিন্ন সরকারি সেবা প্রদানের জন্য আদায়কৃত ফি, জরিমানা, বাজেয়াপ্তকরণ, সরকারি সম্পত্তি ইজারা থেকে প্রাপ্ত আয় ইত্যাদি।

৮. বাংলাদেশ সরকারের ব্যয়ের প্রধান খাত কোনটি?

ক) শুধুমাত্র প্রতিরক্ষা ব্যয়
খ) শুধুমাত্র শিক্ষা ব্যয়
গ) রাজস্ব ব্যয় ও উন্নয়ন ব্যয়
ঘ) শুধুমাত্র বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ

সঠিক উত্তর: গ) রাজস্ব ব্যয় ও উন্নয়ন ব্যয়

ব্যাখ্যা: বাংলাদেশ সরকারের ব্যয়কে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়: রাজস্ব ব্যয় (যেমন – সরকারি প্রশাসন, প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সুদ পরিশোধ) এবং উন্নয়ন ব্যয় (বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন)।

৯. সরকারের যে ব্যয় সম্পদ সৃষ্টি করে না বা দায় হ্রাস করে না, বরং দৈনন্দিন প্রশাসনিক ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্বাহ করা হয়, তাকে কী বলে?

ক) উন্নয়ন ব্যয়
খ) রাজস্ব ব্যয়
গ) মূলধনী ব্যয়
ঘ) অপ্রত্যাশিত ব্যয়

সঠিক উত্তর: খ) রাজস্ব ব্যয়

ব্যাখ্যা: সরকারের দৈনন্দিন প্রশাসনিক কার্যাবলি পরিচালনা, ঋণ পরিশোধ, ভর্তুকি প্রদান এবং সামাজিক ও सामुदायिक সেবামূলক কাজের জন্য যে অর্থ ব্যয় হয় এবং যা কোনো স্থায়ী সম্পদ সৃষ্টি করে না, তাকে রাজস্ব ব্যয় বলে।

১০. বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (ADP) অধীনে যে ব্যয় করা হয়, তাকে কী ধরনের ব্যয় বলে?

ক) রাজস্ব ব্যয়
খ) অনুন্নয়ন ব্যয়
গ) উন্নয়ন ব্যয়
ঘ) অপ্রত্যাশিত ব্যয়

সঠিক উত্তর: গ) উন্নয়ন ব্যয়

ব্যাখ্যা: দেশের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার প্রতি বছর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (ADP) মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে। এসব প্রকল্পে যে অর্থ ব্যয় করা হয়, তাকে উন্নয়ন ব্যয় বলে।

১১. সরকারের একটি নির্দিষ্ট অর্থবছরের পরিকল্পিত আয় ও ব্যয়ের হিসাব বিবরণীকে কী বলে?

ক) অর্থনৈতিক সমীক্ষা
খ) বাজেট
গ) বাণিজ্য নীতি
ঘ) মুদ্রানীতি

সঠিক উত্তর: খ) বাজেট

ব্যাখ্যা: বাজেট হলো কোনো নির্দিষ্ট সময়ে (সাধারণত এক অর্থবছর) সরকারের যাবতীয় সম্ভাব্য আয় এবং বিভিন্ন খাতে ব্যয়ের একটি পূর্বানুমানভিত্তিক সুবিন্যস্ত হিসাব বিবরণী।

১২. যে বাজেটে সরকারের প্রত্যাশিত আয় ও ব্যয়ের পরিমাণ সমান ধরা হয়, তাকে কী বলে?

ক) উদ্বৃত্ত বাজেট
খ) ঘাটতি বাজেট
গ) সুষম বাজেট
ঘ) সম্পূরক বাজেট

সঠিক উত্তর: গ) সুষম বাজেট

ব্যাখ্যা: যখন কোনো বাজেটে সরকারের মোট প্রত্যাশিত আয় এবং মোট প্রস্তাবিত ব্যয়ের পরিমাণ পরস্পর সমান হয়, তখন তাকে সুষম বাজেট বলে।

১৩. যখন বাজেটে সরকারের প্রত্যাশিত আয়ের চেয়ে প্রস্তাবিত ব্যয়ের পরিমাণ বেশি ধরা হয়, তখন তাকে কী ধরনের বাজেট বলে?

ক) সুষম বাজেট
খ) উদ্বৃত্ত বাজেট
গ) ঘাটতি বাজেট
ঘ) মূলধনী বাজেট

সঠিক উত্তর: গ) ঘাটতি বাজেট

ব্যাখ্যা: যখন বাজেটে সরকারের মোট প্রত্যাশিত আয়ের তুলনায় মোট প্রস্তাবিত ব্যয়ের পরিমাণ বেশি হয়, তখন তাকে ঘাটতি বাজেট বলে।

১৪. উন্নয়নশীল দেশগুলো সাধারণত কোন ধরনের বাজেট প্রণয়ন করে?

ক) সর্বদা সুষম বাজেট
খ) সর্বদা উদ্বৃত্ত বাজেট
গ) ঘাটতি বাজেট
ঘ) কোনো বাজেট প্রণয়ন করে না

সঠিক উত্তর: গ) ঘাটতি বাজেট

ব্যাখ্যা: উন্নয়নশীল দেশগুলো সাধারণত অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে অধিক সরকারি ব্যয় সংবলিত ঘাটতি বাজেট প্রণয়ন করে থাকে।

১৫. বাজেট ঘাটতি পূরণের জন্য সরকার কোন উৎস ব্যবহার করে?

ক) অভ্যন্তরীণ ঋণ (যেমন – ব্যাংক ও জনসাধারণের নিকট থেকে ঋণ)
খ) বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান
গ) নতুন মুদ্রা ছাপানো (সীমিত ক্ষেত্রে)
ঘ) উপরের সবগুলো

সঠিক উত্তর: ঘ) উপরের সবগুলো

ব্যাখ্যা: বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য সরকার বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ উৎস (যেমন – ব্যাংক ব্যবস্থা, সঞ্চয়পত্র বিক্রয়) এবং বৈদেশিক উৎস (যেমন – বিদেশি সরকার বা আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে ঋণ ও অনুদান) থেকে অর্থ সংগ্রহ করে। ক্ষেত্রবিশেষে এবং নিয়ন্ত্রিতভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকেও ঋণ নিতে পারে।

১৬. সরকারের ঋণকে প্রধানত কয় ভাগে ভাগ করা যায়?

ক) এক ভাগে
খ) দুই ভাগে (অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণ)
গ) তিন ভাগে
ঘ) চার ভাগে

সঠিক উত্তর: খ) দুই ভাগে (অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণ)

ব্যাখ্যা: সরকারের ঋণকে প্রধানত দুটি উৎস অনুযায়ী ভাগ করা যায়: অভ্যন্তরীণ ঋণ (দেশের অভ্যন্তর থেকে সংগৃহীত) এবং বৈদেশিক ঋণ (বিদেশি উৎস থেকে সংগৃহীত)।

১৭. দেশের অভ্যন্তরে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা জনসাধারণের নিকট থেকে সরকার যে ঋণ গ্রহণ করে, তাকে কী বলে?

ক) বৈদেশিক ঋণ
খ) স্বল্পমেয়াদী ঋণ
গ) অভ্যন্তরীণ ঋণ
ঘ) দীর্ঘমেয়াদী ঋণ

সঠিক উত্তর: গ) অভ্যন্তরীণ ঋণ

ব্যাখ্যা: সরকার যখন দেশের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন উৎস যেমন – কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বাণিজ্যিক ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং জনসাধারণের নিকট থেকে বন্ড বা সঞ্চয়পত্র বিক্রির মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ করে, তখন তাকে অভ্যন্তরীণ ঋণ বলে।

১৮. বিদেশি সরকার বা আন্তর্জাতিক সংস্থা (যেমন – বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি) থেকে সরকার যে ঋণ গ্রহণ করে, তাকে কী বলে?

ক) অভ্যন্তরীণ ঋণ
খ) বৈদেশিক ঋণ
গ) বাণিজ্যিক ঋণ
ঘ) ব্যক্তিগত ঋণ

সঠিক উত্তর: খ) বৈদেশিক ঋণ

ব্যাখ্যা: সরকার যখন বিদেশি কোনো রাষ্ট্র, আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা বা বিদেশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ গ্রহণ করে, তখন তাকে বৈদেশিক ঋণ বলে।

১৯. সরকারি রাজস্ব ও সরকারি ব্যয় সংক্রান্ত নীতিমালাকে কী বলে?

ক) মুদ্রানীতি
খ) বাণিজ্য নীতি
গ) রাজস্ব নীতি (Fiscal Policy)
ঘ) শিল্প নীতি

সঠিক উত্তর: গ) রাজস্ব নীতি (Fiscal Policy)

ব্যাখ্যা: রাজস্ব নীতি হলো সরকারের আয় (কর ও করবহির্ভূত রাজস্ব), ব্যয় এবং ঋণ সংক্রান্ত নীতিমালা, যার মাধ্যমে সরকার অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন, প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিতকরণ এবং সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করার চেষ্টা করে।

২০. রাজস্ব নীতির প্রধান উদ্দেশ্য কী?

ক) অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন
খ) কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও দারিদ্র্য বিমোচন
গ) মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও সম্পদের সুষম বণ্টন
ঘ) উপরের সবগুলো

সঠিক উত্তর: ঘ) উপরের সবগুলো

ব্যাখ্যা: রাজস্ব নীতির মূল উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা, পূর্ণ কর্মসংস্থান অর্জন, মূল্যস্তরের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, আয় ও সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করা এবং দারিদ্র্য বিমোচন।

২১. রাজস্ব নীতির প্রধান হাতিয়ার কোনটি?

ক) ব্যাংক হার
খ) খোলাবাজার নীতি
গ) সরকারি ব্যয়, কর এবং সরকারি ঋণ
ঘ) জমার হার পরিবর্তন

সঠিক উত্তর: গ) সরকারি ব্যয়, কর এবং সরকারি ঋণ

ব্যাখ্যা: রাজস্ব নীতির প্রধান উপকরণ বা হাতিয়ারগুলো হলো সরকারি ব্যয় (পরিবর্তন), কর কাঠামো (পরিবর্তন) এবং সরকারি ঋণ (গ্রহণ বা পরিশোধ)।

২২. মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার কোন ধরনের রাজস্ব নীতি গ্রহণ করতে পারে?

ক) সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি ও কর হার হ্রাস
খ) সরকারি ব্যয় হ্রাস ও কর হার বৃদ্ধি
গ) সরকারি ব্যয় ও কর হার উভয়ই বৃদ্ধি
ঘ) সরকারি ব্যয় ও কর হার উভয়ই হ্রাস

স ट्रिक উত্তর: খ) সরকারি ব্যয় হ্রাস ও কর হার বৃদ্ধি

ব্যাখ্যা: মুদ্রাস্ফীতির সময় অর্থনীতিতে সামগ্রিক চাহিদা কমাতে এবং অর্থের যোগান সংকুচিত করতে সরকার সাধারণত সংকোচনমূলক রাজস্ব নীতি অনুসরণ করে, যার মধ্যে রয়েছে সরকারি ব্যয় হ্রাস এবং করের হার বৃদ্ধি।

২৩. অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবেলায় সরকার কোন ধরনের রাজস্ব নীতি গ্রহণ করতে পারে?

ক) সরকারি ব্যয় হ্রাস ও কর হার বৃদ্ধি
খ) সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি ও কর হার হ্রাস
গ) শুধুমাত্র সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি
ঘ) শুধুমাত্র কর হার হ্রাস

সトリック উত্তর: খ) সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি ও কর হার হ্রাস

ব্যাখ্যা: অর্থনৈতিক মন্দার সময় সামগ্রিক চাহিদা বাড়াতে এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা আনতে সরকার সাধারণত সম্প্রসারণমূলক রাজস্ব নীতি গ্রহণ করে, যার মধ্যে রয়েছে সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি এবং করের হার হ্রাস।

২৪. প্রগতিশীল কর ব্যবস্থা বলতে কী বোঝায়?

ক) সকলের জন্য সমান হারে কর আরোপ।
খ) আয়ের পরিমাণ নির্বিশেষে নির্দিষ্ট পরিমাণ কর আরোপ।
গ) আয় বৃদ্ধির সাথে সাথে করের হারও বৃদ্ধি পায়।
ঘ) আয় বৃদ্ধির সাথে সাথে করের হার হ্রাস পায়।

স ट्रिक উত্তর: গ) আয় বৃদ্ধির সাথে সাথে করের হারও বৃদ্ধি পায়।

ব্যাখ্যা: যে কর ব্যবস্থায় ব্যক্তির আয় বা সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধির সাথে সাথে করের হারও ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পায়, তাকে প্রগতিশীল কর ব্যবস্থা বলে। এর ফলে উচ্চ আয়ের ব্যক্তিরা আনুপাতিকভাবে বেশি কর প্রদান করে।

২৫. বাংলাদেশে বাজেট প্রণয়ন ও অনুমোদনের দায়িত্ব কোন বিভাগের উপর ন্যস্ত?

ক) বাংলাদেশ ব্যাংক
খ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড
গ) অর্থ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ
ঘ) পরিকল্পনা কমিশন

সঠিক উত্তর: গ) অর্থ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ

ব্যাখ্যা: বাংলাদেশে অর্থ মন্ত্রণালয় বাজেট প্রণয়নের কাজটি সম্পন্ন করে এবং পরবর্তীতে তা জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়। জাতীয় সংসদ আলোচনার মাধ্যমে বাজেট অনুমোদন করে।

২৬. “করঘাত” (Impact of Tax) বলতে কী বোঝায়?

ক) করের চূড়ান্ত ভার যে বহন করে।
খ) প্রাথমিকভাবে যার উপর কর আরোপ করা হয়।
গ) কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা।
ঘ) করের পরিমাণ।

সঠিক উত্তর: খ) প্রাথমিকভাবে যার উপর কর আরোপ করা হয়।

ব্যাখ্যা: করঘাত বলতে বোঝায় আইন অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উপর করের দায় বর্তায় এবং যিনি তা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বাধ্য থাকেন।

২৭. “করপাত” (Incidence of Tax) বলতে কী বোঝায়?

ক) কর আরোপের প্রাথমিক পর্যায়।
খ) করের চূড়ান্ত ভার বা বোঝা যে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বহন করে।
গ) করের হার নির্ধারণ।
ঘ) কর আদায়ের পদ্ধতি।

সঠিক উত্তর: খ) করের চূড়ান্ত ভার বা বোঝা যে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বহন করে।

ব্যাখ্যা: করপাত বলতে বোঝায় করের প্রকৃত বা চূড়ান্ত ভার যা কোনো দ্রব্য বা সেবার মূল্য পরিবর্তনের মাধ্যমে এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির উপর স্থানান্তরিত হয়ে সর্বশেষ যে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বহন করে।

২৮. বাংলাদেশ সরকারের আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরোক্ষ কর কোনটি যা প্রায় সকল দ্রব্য ও সেবার উপর প্রযোজ্য?

ক) আয়কর
খ) ভূমি রাজস্ব
গ) মূল্য সংযোজন কর (VAT)
ঘ) ভ্রমণ কর

সঠিক উত্তর: গ) মূল্য সংযোজন কর (VAT)

ব্যাখ্যা: মূল্য সংযোজন কর (VAT) বাংলাদেশ সরকারের রাজস্ব আয়ের একটি অন্যতম প্রধান উৎস। এটি বিভিন্ন স্তরে দ্রব্য ও সেবার উপর আরোপিত একটি পরোক্ষ কর।

২৯. সরকারি ব্যয়ের মাধ্যমে সরকার কোন ধরনের উদ্দেশ্য সাধন করতে চায়?

ক) সামাজিক কল্যাণ বৃদ্ধি
খ) অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন
গ) অবকাঠামোগত উন্নয়ন
ঘ) উপরের সবগুলো

সঠিক উত্তর: ঘ) উপরের সবগুলো

ব্যাখ্যা: সরকারি ব্যয়ের মাধ্যমে সরকার জনগণের সামাজিক কল্যাণ নিশ্চিতকরণ (শিক্ষা, স্বাস্থ্য), অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন (রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ) এবং আয় বণ্টনে সমতা আনার মতো বিভিন্ন উদ্দেশ্য পূরণের চেষ্টা করে।

৩০. বাংলাদেশের সরকারি অর্থব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য কোন প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে?

ক) শুধুমাত্র অর্থ মন্ত্রণালয়
খ) শুধুমাত্র বাংলাদেশ ব্যাংক
গ) মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় এবং জাতীয় সংসদীয় কমিটিসমূহ
ঘ) শুধুমাত্র পরিকল্পনা কমিশন

সトリック উত্তর: গ) মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় এবং জাতীয় সংসদীয় কমিটিসমূহ

ব্যাখ্যা: সরকারি আয়-ব্যয়ের হিসাব নিরীক্ষা এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় (CAG) এবং জাতীয় সংসদের বিভিন্ন স্থায়ী কমিটি (যেমন – সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি) গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক ও সংসদীয় ভূমিকা পালন করে।

Leave a Reply

Scroll to Top