Skip to content

বাংলা উচ্চারণ রীতি

  • by

বাংলা উচ্চারণ রীতি

অ-এর উচ্চারণ

বাঙলা লিখিত ভাষায় ‘অ’-এর উচ্চারিত রুপ দুটো। একটি ‘অ’ (অর্ধ-বিবৃত স্বরধ্বনি) অন্যটি ‘ও’ (বা ও-কারের মতো)।

যেমন, অত (অতো), শত (শতো), মত (মতো), শব্দ (শবদো), বর্তমান (বর্ তোমান্) ইত্যাদি।

এখানে প্রতিটি শব্দের আদ্য-’অ’-এর উচ্চারণ অবিকৃত ‘অ’ (অর্ধ-বিবৃত স্বরধ্বনি)। কিন্তু ধরুন (ধোরুন) অরুণ (ওরুন), বরুণ (বোরুন), তরুণ (তোরুন), কিংবা অতি (ওতি) যদি (জোদি), পতি (পোতি), সতী (শোতি), নদী (নোদী), অদ্য (ওদদো), গদ্য (গোদদো), পক্ষ (পোকখো), বক্ষ (বোকখো) ইত্যাদি শব্দে আদ্য-’অ’ এর উচ্চারণ ‘অ’ থাকে না, হয়ে যায় ‘ও’ (অর্ধ-সংবৃত স্বরধ্বনি)। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় এই ‘ও’-কে একটি স্বতন্ত্র ফোনিম বা মূলধ্বনি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

আ-এর উচ্চারণ

১. বাংলা উচ্চারণের ধারা অনুসারে একাক্ষর শব্দের ‘আ’ কিছুটা র্দীঘ উচ্চারিত হয়। যথা: আম (আ-ম্), জাম (জা-ম্), রাগ (রা-গ্) এখানে আ-কার কিছুটা দীর্ঘ, কিন্তু এ শব্দগুলোই যখন জামা, আমা, রাগা হয় তখন আ-কারটি আপেক্ষাকৃত হ্রস্ব হয়ে যায়।

২. শব্দের আদিতে ‘জ্ঞ’ এবং ‘য’ ফলাযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে আ (া)-কার সংযুক্ত হলে সেই (আ) া-কারের উচ্চারণ প্রায়শ অ্যা কারের মতো হয়ে থাকে। যথা: জ্ঞান (গ্যাঁন্), জ্ঞাতি (গ্যাঁতি), জ্ঞাপক (গ্যাঁপোক্), জ্ঞাত (গ্যাঁতো) ইত্যাদি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *