বিজয় দিবস অনুচ্ছেদ রচনা

বাংলা ২য় পত্র পরিক্ষায় অনুচ্ছেদ রচনা বা অনুচ্ছেদ লিখন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একটি নিদৃষ্ট বিষয়ের উপর সংক্ষেপে মূল বিষয় বস্তু তুলে ধরতে হয় অনুচ্ছেদ লেখার ক্ষেত্রে। সাধারণত ১০-১৫ বাক্য বা তার থেকে কিছু কম-বেশি বাক্য দিয়ে একটি অনুচ্ছেদ রচনা করা উচিত। প্রাসঙ্গিক নয় এমন কোন আলোচনা করা একেবারেই উচিত নয়। এই পোষ্টে আমরা বাংলাদেশের বিজয় দিবস অনুচ্ছেদ রচনা করবো। একই সাথে উক্ত অনুচ্ছেদটি বিভিন্ন শ্রেনির ছাত্র-ছাত্রীদের উপযোগী করে উপস্থাপনের চেষ্টা করবো।

একাডেমিক প্রশ্ন

বিজয় দিবস : অনুচ্ছেদ

১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের জাতীয় জীবনের এক গুরুত্বপূর্ন দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে আমাদের প্রিয় মাতৃভুমি পাকিস্তানি দখলদার মুক্ত হয়। আমরা অর্জন করি একটি স্বাধীন সার্বভৌম মানচিত্র আর হাজারো আবেগ জড়িত লাল-সবুজের পতাকা। আমরা সেদিন পেয়েছিলাম আপন পরিচয় আর বিশ্ব দরবারে মাথা তুলে দাড়াবার নতুন ঠিকানা। কিন্তু এতো বড় অর্জন এক দিনে আসেনি, খুব সহজে অর্জিত হয়নি। দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র সংগ্রাম, ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত, দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম আরও বহু ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে বাংলার আকাশে সেদিন উদিত হয়েছিল স্বাধীনতার নব সূর্য। বিজয়ের উল্লাস আর স্বজন হারানোর বেদনায় ভারি হয়েছিলো সেদিনের আকাশ বাতাস।

বিজয়ের সে স্মৃতিকে অম্লান করে রাখতে প্রতি বছর দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভির্যের সাথে পালিত হয়ে আসছে। এটি বাংলাদেশের একটি জাতীয় দিবস। ২২ জানুয়ারি, ১৯৭২ সালে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দিবসটিকে বাংলাদেশে জাতীয় দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় এবং সরকারিভাবে এ দিনটিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়। একটি শোষন ও বৈষম্য মুক্ত সমাজ গঠনের মাধমে মাধ্যমে লাখো শহীদের রক্তের দামে কেনা এ স্বাধীনতা স্বার্থক হতে পারে। বিজয়ে দিবসে এই হোক আমাদের অঙ্গিকার।

আমরা প্রতিটি পাঠ্য বিষয়কে শ্রেণি উপযোগী করে উপস্থাপনের লক্ষে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের কার্যক্রম তোমাদের কেমন লাগছে তা আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারো। এই অনুচ্ছেদটি পড়ার শেষে একই বিষয়ের উপর রচিত এই প্রতিবেদনটি পড়ে নিতে পারো। কেননা, সম্পর্কিত বিষয় গুলো একই সাথে অধ্যয়ন করলে পাড়া সহজে মুখস্ত হয়।

একাডেমিক প্রশ্ন

বিজয় দিবস – অনুচ্ছেদ রচনা class – 10

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘােষণা করেন। এক মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এদেশের মানুষ হানাদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করে। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে তাই এ দিনটি ‘ বিজয় দিবস’ হিসেবে পালিত হয়।

বর্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আমরা এই দিনটি পেয়েছিলাম। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আমাদের দেশের সাহসী ছেলেরা স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। তারা মুক্তিযুদ্ধের শহিদ। আমরা তাদের সাহসী যুদ্ধ এবং সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের জন্য গর্বিত। বিজয় দিবস একটি জাতীয় দিবস এবং প্রতিবছর আমরা এদিনটি সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে পালন করি।

সচরাচর আমি এই দিনটি ভাবগম্ভীর্যের সঙ্গে পালন করি। আমি শহিদদের বিদেয় আত্মার জন্য দোয়া করি। দেশের জন্য ভালাে কিছু করতে শহিদদের স্মৃতি আমাকে সবসময় উৎসাহিত করে। তাদের আত্মত্যাগ মাতৃভূমির মর্যাদা রক্ষার কথা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়। এই মহান বিজয় দিবস অন্যায় অত্যাচার ও শােষণের বিরুদ্ধে বিজয়ের প্রতীক।

বাংলাদেশের জাতীয় দিবস সম্পর্কিত আরও কয়েকটি পোষ্টঃ

বিজয়ের ৫০তম বার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী
Views: 3 Views
❤️ Love (0)
😂 Haha (0)
😢 Sad (0)
😡 Angry (0)

Leave a Reply