বিষয় অনুসারেই রচনার ভাষায় সামান্যতা বা উচ্চতা নির্ধারিত হওয়া উচিত
বিষয় অনুসারেই রচনার ভাষায় সামান্যতা বা উচ্চতা নির্ধারিত হওয়া উচিত। রচনার প্রধান গুণ এবং প্রথম প্রয়োজন সরলতা এবং স্পষ্টতা। যে রচনা সকলেই বুঝিতে পারে এবং পড়িবামাত্র যাহার অর্থ বুঝা যায়, অর্থগৌরব থাকলে তাহাই সর্বোৎকৃষ্ট রচনা। তাহার পর ভাষার সৌন্দর্য। সরলতা এবং স্পষ্টতার সহিত সৌন্দর্য মিশাইতে হইবে। অনেক রচনার মুখ্য উদ্দেশ্য সৌন্দর্য, সে স্থলে সৌন্দর্যের অনুরোধে শব্দের একটু অসাধারণতা সহ্য করিতে হয়।
প্রথমে দেখিবে তুমি যাহা বলিতে চাও, কোন ভাষায় তাহা সর্বাপেক্ষা পরিষ্কাররূপে ব্যক্ত হয়। যদি সরল প্রচলিত কথাবার্তার ভাষায় তাহা সর্বাপেক্ষা সুস্পষ্ট ও সুন্দর হয় তবে কেন উচ্চ ভাষার আশ্রয় লইবে? যদি সে পক্ষে টেকচাঁদী বা হুতোমী ভাষায় সকলের অপেক্ষা কার্য-সুসিদ্ধ হয়, তবে তাহাই ব্যবহার করিবে। যদি তদপেক্ষা বিদ্যাসাগর বা ভুদেববাবু প্রদর্শিত সংস্কৃতবহুল ভাষায় ভাবের অধিক স্পষ্টতা ও সৌন্দর্য হয়, তবে সামান্য ভাষা ছাড়িয়া সেই ভাষার আশ্রয় লইবে। যতি তাহাতেও কার্যসিদ্ধ না হয়, আরও ওপরে উঠিবে, প্রয়োজন হইলে তাহাতেও আপত্তি নাই, নি®প্রয়োজনেই আপত্তি।
সারাংশ:
স্পষ্টতা, সরলতা এবং অর্থময়তা রচনার অন্যতম প্রধান গুণ। এগুলোর পরই গুরুত্ব দিতে হয় ভাষার সৌন্দর্যের ওপর। যে ভাষায় মনের ভাব সহজে ব্যক্ত হয় সে ভাষাই রচনায় ব্যবহার করা উচিত। ভাষার আড়ষ্ঠর নয়, বিষয় উপযোগী ভাষাই রচনাকে সার্থক করে তোলে।
আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সারাংশঃ
- কিসে হয় মর্যাদা?
- মানুষের একটা বড় পরিচয় সে ভাবতে পারে
- লােকলজ্জা মানুষের বহু মহৎ বাসনাকে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করে
- মানুষের জীবনে ভাষার স্থান যে কত বড়