ভাব ও কাজ MCQ
কাজী নজরুল ইসলাম
১. কাজী নজরুল ইসলামের মতে, মানুষের জীবনে কিসের অভাব সবচেয়ে বেশি?
ক. ভাবের অভাব
খ. কাজের অভাব
গ. ইচ্ছাশক্তির অভাব
ঘ. চিন্তাশক্তির অভাব
উত্তর: খ. কাজের অভাব
- ব্যাখ্যা: কাজী নজরুল ইসলাম মনে করেন, আমাদের দেশে ভাবের অভাব নেই, অভাব শুধু কাজের।
২. কোনটি ব্যতীত কোনো জাতি বড় হতে পারে না?
ক. ভাবের গভীরতা
খ. কাজের স্পৃহা
গ. সমালোচনার ভয়
ঘ. নেতৃত্বের অভাব
উত্তর: খ. কাজের স্পৃহা
- ব্যাখ্যা: তিনি বলেছেন, কাজ করবার স্পৃহা না থাকলে কোনো জাতি বড় হতে পারে না।
৩. ভাবের উন্মাদনা কখন ক্ষতিকর হতে পারে?
ক. যখন তা সমালোচিত হয়
খ. যখন তা অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়
গ. যখন তা কাজের চেয়ে বড় হয়ে ওঠে
ঘ. যখন তা বাস্তবসম্মত না হয়
উত্তর: গ. যখন তা কাজের চেয়ে বড় হয়ে ওঠে
- ব্যাখ্যা: শুধু ভাবের উন্মাদনা থাকলে এবং কাজ না করলে তা ক্ষতিকর হতে পারে।
৪. কাজী নজরুল ইসলাম কাদের প্রশংসা করেছেন?
ক. যারা শুধু সমালোচনা করে
খ. যারা শুধু স্বপ্ন দেখে
গ. যারা ভাব ও কাজকে এক করে
ঘ. যারা শুধু কথা বলে
উত্তর: গ. যারা ভাব ও কাজকে এক করে
- ব্যাখ্যা: তিনি তাদের প্রশংসা করেছেন যারা তাদের ভাবকে কাজে পরিণত করতে পারেন।
৫. কোন ধরনের মানুষ সমাজের বোঝা স্বরূপ?
ক. যারা বেশি কথা বলে
খ. যারা শুধু ভাবে কিন্তু কাজ করে না
গ. যারা কাজ করে কিন্তু ভাবে না
ঘ. যারা স্বপ্ন দেখে কিন্তু ভয় পায়
উত্তর: খ. যারা শুধু ভাবে কিন্তু কাজ করে না
- ব্যাখ্যা: যারা শুধু ভাবেন কিন্তু কাজ করেন না, তারা সমাজের বোঝা।
৬. কাজের পথে প্রধান অন্তরায় কী?
ক. অতিরিক্ত চিন্তা
খ. সমালোচনার ভয় এবং দ্বিধা
গ. অর্থের অভাব
ঘ. শারীরিক দুর্বলতা
উত্তর: খ. সমালোচনার ভয় এবং দ্বিধা
- ব্যাখ্যা: আমরা সমালোচনা এবং দ্বিধার ভয়ে কাজ করতে ভয় পাই, যা আমাদের প্রধান অন্তরায়।
৭. কাজী নজরুল ইসলাম কাদের ‘ভীরু’ বলেছেন?
ক. যারা কাজ করতে ভয় পায়
খ. যারা বেশি কথা বলে
গ. যারা স্বপ্ন দেখতে ভয় পায়
ঘ. যারা ভাবে না
উত্তর: ক. যারা কাজ করতে ভয় পায়
- ব্যাখ্যা: যারা সমালোচনা ও দ্বিধার ভয়ে কাজ করতে ভয় পায়, নজরুল তাদের ভীরু বলেছেন।
৮. দেশ উদ্ধার করার জন্য কাদের এগিয়ে আসতে হবে?
ক. শুধু শাসকদের
খ. দেশের সাধারণ মানুষ এবং যুবসমাজকে
গ. শুধু কবি ও সাহিত্যিকদের
ঘ. শুধু ধনী ব্যক্তিদের
উত্তর: খ. দেশের সাধারণ মানুষ এবং যুবসমাজকে
- ব্যাখ্যা: দেশ উদ্ধার করতে হলে দেশের সাধারণ মানুষ ও যুবসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।
৯. তারুণ্যের প্রধান ধর্ম কী হওয়া উচিত?
ক. শুধু স্বপ্ন দেখা
খ. শুধু কথা বলা
গ. ভাব ও কাজকে মেলানো
ঘ. সমালোচনা করা
উত্তর: গ. ভাব ও কাজকে মেলানো
- ব্যাখ্যা: তারুণ্যের প্রধান ধর্ম হওয়া উচিত ভাব ও কাজকে মেলানো।
১০. কাজী নজরুল ইসলাম কাদের ‘পাগল’ বলেছেন?
ক. যারা বেশি কথা বলে
খ. যারা শুধু স্বপ্ন দেখে
গ. যারা কাজ ও ভাবের মধ্যে সমন্বয় করে এগিয়ে যায়
ঘ. যারা সমালোচনা করে
উত্তর: গ. যারা কাজ ও ভাবের মধ্যে সমন্বয় করে এগিয়ে যায়
- ব্যাখ্যা: যারা কাজ ও ভাবের মধ্যে সমন্বয় করে এগিয়ে যায়, নজরুল তাদের পাগল বলেছেন।
১১. দেশের মুক্তির জন্য কী করা প্রয়োজন?
ক. শুধু কবিতা লেখা
খ. শুধু গান করা
গ. কথা না বলে কাজ করা
ঘ. আলোচনা ও সমালোচনা করা
উত্তর: গ. কথা না বলে কাজ করা
- ব্যাখ্যা: দেশের মুক্তির জন্য কথা না বলে কাজ করে যেতে হবে।
১২. কাজী নজরুল ইসলামের মতে, তারুণ্যের অভাব কিসে?
ক. স্বপ্নে
খ. কথায়
গ. ভাবনায়
ঘ. কর্মে
উত্তর: ঘ. কর্মে
- ব্যাখ্যা: কাজী নজরুল ইসলামের মতে, তারুণ্যের অভাব কর্মে, অর্থাৎ কাজে।
১৩. ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধে কাজী নজরুল ইসলাম মূলত কী বলতে চেয়েছেন?
ক. ভাবের গুরুত্ব
খ. কাজের গুরুত্ব
গ. ভাব ও কাজের সমন্বয়
ঘ. সমালোচনার গুরুত্ব
উত্তর: গ. ভাব ও কাজের সমন্বয়
- ব্যাখ্যা: প্রবন্ধে কাজী নজরুল ইসলাম মূলত ভাব ও কাজের মধ্যে সমন্বয়ের ওপর জোর দিয়েছেন।
১৪. কাজী নজরুল ইসলাম কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
ক. ১৮৯৭
খ. ১৮৯৯
গ. ১৮৯৮
ঘ. ১৯০০
উত্তর: খ. ১৮৯৯
- ব্যাখ্যা: কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
১৫. কাজী নজরুল ইসলামের জন্মস্থান কোথায়?
ক. ঢাকা
খ. চুরুলিয়া, বর্ধমান
গ. কলকাতা
ঘ. বিহার
উত্তর: খ. চুরুলিয়া, বর্ধমান
- ব্যাখ্যা: তার জন্মস্থান পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে।
১৬. নজরুল ইসলামকে কেন ‘বিদ্রোহী কবি’ বলা হয়?
ক. তিনি প্রেমের কবিতা লিখেছেন বলে
খ. তিনি প্রকৃতির বন্দনা করেছেন বলে
গ. তিনি সমাজের অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে লিখেছেন বলে
ঘ. তিনি আধ্যাত্মিক কবিতা লিখেছেন বলে
উত্তর: গ. তিনি সমাজের অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে লিখেছেন বলে
- ব্যাখ্যা: নজরুল ইসলাম সমাজের অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে লিখেছেন, তাই তাকে ‘বিদ্রোহী কবি’ বলা হয়।
১৭. নজরুলের লেখা বিখ্যাত কবিতার মধ্যে কোনটি অন্যতম?
ক. সোনার তরী
খ. বিদ্রোহী
গ. পুনশ্চ
ঘ. বলাকা
উত্তর: খ. বিদ্রোহী
- ব্যাখ্যা: ‘বিদ্রোহী’ তার বিখ্যাত কবিতাগুলোর মধ্যে অন্যতম।
১৮. কাজী নজরুল ইসলাম কোন পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন?
ক. সবুজ পত্র
খ. লাঙল
গ. কল্লোল
ঘ. তত্ত্ববোধিনী
উত্তর: খ. লাঙল
- ব্যাখ্যা: তিনি ‘লাঙল’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
১৯. নজরুল ইসলামের উপন্যাস কোনটি?
ক. গোরা
খ. শেষের কবিতা
গ. চোখের বালি
ঘ. মৃত্যুক্ষুধা
উত্তর: ঘ. মৃত্যুক্ষুধা
- ব্যাখ্যা: ‘মৃত্যুক্ষুধা’ তার বিখ্যাত উপন্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম।
২০. কাজী নজরুল ইসলামের গানগুলো কী নামে পরিচিত?
ক. রবীন্দ্রসংগীত
খ. নজরুলগীতি
গ. লালনগীতি
ঘ. ভাটিয়ালি
উত্তর: খ. নজরুলগীতি
- ব্যাখ্যা: তার গানগুলো ‘নজরুলগীতি’ নামে পরিচিত।
২১. কাজী নজরুল ইসলাম কত সালে মারা যান?
ক. ১৯৭৪
খ. ১৯৭৫
গ. ১৯৭৬
ঘ. ১৯৭৭
উত্তর: গ. ১৯৭৬
- ব্যাখ্যা: কাজী নজরুল ইসলাম ১৯৭৬ সালে মারা যান।
২২. ‘তারুণ্যের ধর্ম’ বলতে নজরুল কী বুঝিয়েছেন?
ক. শুধু তারুণ্যের স্বপ্ন দেখা
খ. তারুণ্যের গান করা ও কবিতা লেখা
গ. তারুণ্যের ভাব ও কর্মের মধ্যে সমন্বয়
ঘ. তারুণ্যের সমালোচনা করা
উত্তর: গ. তারুণ্যের ভাব ও কর্মের মধ্যে সমন্বয়
- ব্যাখ্যা: নজরুল মনে করেন, তারুণ্যের ধর্ম হলো ভাব ও কর্মের মধ্যে সমন্বয় করা।
২৩. কাজী নজরুল ইসলাম কাদের ‘সাধু’ বলতে রাজি নন?
ক. যারা শুধু কাজ করে
খ. যারা শুধু কথা বলে
গ. যারা ভাবে কিন্তু কাজ করে না
ঘ. যারা কাজ ও কথা উভয়ই বলে
উত্তর: গ. যারা ভাবে কিন্তু কাজ করে না
- ব্যাখ্যা: নজরুল তাদের সাধু বলতে রাজি নন, যারা শুধু ভাবেন কিন্তু কাজ করেন না।
২৪. ‘আমরা বাঙালি, আমরা মানুষ’—এখানে ‘আমরা’ শব্দটি কী ইঙ্গিত করে?
ক. ব্যক্তিগত অহংকার
খ. জাতীয়তাবোধ ও ঐক্য
গ. শ্রেণি বিভেদ
ঘ. আন্তর্জাতিকতাবাদ
উত্তর: খ. জাতীয়তাবোধ ও ঐক্য
- ব্যাখ্যা: এখানে ‘আমরা’ শব্দটি বাঙালি হিসেবে আমাদের জাতীয়তাবোধ ও ঐক্যকে ইঙ্গিত করে।
২৫. কাজী নজরুল ইসলাম তার লেখায় কোনটির ওপর বেশি জোর দিয়েছেন?
ক. আধ্যাত্মিকতা
খ. মানবতা ও সাম্যবাদ
গ. প্রকৃতি বন্দনা
ঘ. প্রেম ও বিরহ
উত্তর: খ. মানবতা ও সাম্যবাদ
- ব্যাখ্যা: নজরুল তার লেখায় মানবতা ও সাম্যবাদের ওপর বেশি জোর দিয়েছেন।
২৬. ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধে কাজী নজরুল ইসলাম কোনটিকে সবচেয়ে বড় দুর্বলতা বলেছেন?
ক. অলসতা
খ. অতিরিক্ত কথা বলা
গ. কাজের অভাব
ঘ. সমালোচনার ভয় ও দ্বিধা
উত্তর: ঘ. সমালোচনার ভয় ও দ্বিধা
- ব্যাখ্যা: নজরুল মনে করেন, সমালোচনার ভয় ও দ্বিধা আমাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা।
২৭. কাজী নজরুল ইসলাম কোনটিকে ‘জীবনের ধর্ম’ বলেছেন?
ক. শুধু ভাবা
খ. শুধু কাজ করা
গ. ভাব ও কাজের সমন্বয়
ঘ. সমালোচনা করা
উত্তর: গ. ভাব ও কাজের সমন্বয়
- ব্যাখ্যা: নজরুল ভাব ও কাজের সমন্বয়কে জীবনের ধর্ম বলেছেন।
২৮. ‘শুধু কাজের জন্য কাজ’—এটিকে নজরুল কীভাবে দেখেছেন?
ক. সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
খ. অর্থহীন
গ. প্রয়োজনীয়
ঘ. ক্ষতিকর
উত্তর: খ. অর্থহীন
- ব্যাখ্যা: নজরুল মনে করেন, শুধু কাজের জন্য কাজ করা অর্থহীন, ভাবের সাথে কাজ যুক্ত হতে হবে।
২৯. কাজী নজরুল ইসলাম তার প্রবন্ধে কাদের প্রতি বেশি আহ্বান জানিয়েছেন?
ক. বৃদ্ধদের প্রতি
খ. নারীদের প্রতি
গ. তরুণদের প্রতি
ঘ. শিশুদের প্রতি
উত্তর: গ. তরুণদের প্রতি
- ব্যাখ্যা: নজরুল তার প্রবন্ধে তরুণদের প্রতি বেশি আহ্বান জানিয়েছেন।
৩০. ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধের মূল সুর কী?
ক. ভাবের বন্দনা
খ. কাজের বন্দনা
গ. ভাব ও কাজের মধ্যে ভারসাম্য স্থাপন
ঘ. সমালোচনার গুরুত্ব
উত্তর: গ. ভাব ও কাজের মধ্যে ভারসাম্য স্থাপন
- ব্যাখ্যা: প্রবন্ধের মূল সুর হলো ভাব ও কাজের মধ্যে ভারসাম্য স্থাপন করা এবং শুধু ভাবের পরিবর্তে কাজ ও ভাবের সমন্বিত রূপের ওপর জোর দেওয়া।