SSC ভূগোল ও পরিবেশ
দ্বিতীয় অধ্যায়: মহাবিশ্ব ও আমাদের পৃথিবী
১. আদি-অন্তহীন আকাশকে কী বলে?
(ক) মহাবিশ্ব
(খ) সৌরজগৎ
(গ) মহাকাশ
(ঘ) নীহারিকা
সঠিক উত্তর: (গ) মহাকাশ
ব্যাখ্যা: এই আকাশের শুরু ও শেষ নেই। আদি-অন্তহীন এ আকাশকে মহাকাশ বলে।
২. নক্ষত্র কী দিয়ে তৈরি?
(ক) কঠিন শিলা ও খনিজ পদার্থ
(খ) হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাস
(গ) বরফ ও ধূলিকণা
(ঘ) কার্বন ডাইঅক্সাইড ও মিথেন
সঠিক উত্তর: (খ) হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাস
ব্যাখ্যা: নক্ষত্রগুলো হলো জ্বলন্ত গ্যাসপিন্ড, এরা হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাস দিয়ে তৈরি।
৩. আলো প্রতি সেকেন্ডে প্রায় কত কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে?
(ক) ১ লক্ষ কিলোমিটার
(খ) ২ লক্ষ কিলোমিটার
(গ) ৩ লক্ষ কিলোমিটার
(ঘ) ৪ লক্ষ কিলোমিটার
সঠিক উত্তর: (গ) ৩ লক্ষ কিলোমিটার
ব্যাখ্যা: আলো প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩ লক্ষ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে।
৪. সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে কত সময় লাগে?
(ক) ৫ মিনিট ১০ সেকেন্ড
(খ) ৮ মিনিট ১৯ সেকেন্ড
(গ) ১০ মিনিট ৩০ সেকেন্ড
(ঘ) ১২ মিনিট ১৫ সেকেন্ড
সঠিক উত্তর: (খ) ৮ মিনিট ১৯ সেকেন্ড
ব্যাখ্যা: সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে সময় লাগে ৮ মিনিট ১৯ সেকেন্ড।
৫. সূর্যের নিকটতম নক্ষত্রের নাম কী?
(ক) কালপুরুষ
(খ) প্রক্সিমা সেন্টারাই
(গ) সপ্তর্ষিমণ্ডল
(ঘ) লঘুসপ্তর্ষি
সঠিক উত্তর: (খ) প্রক্সিমা সেন্টারাই
ব্যাখ্যা: সূর্যের নিকটতম নক্ষত্র প্রক্সিমা সেন্টারাই (Proxima Centauri)।
৬. মহাকাশে গ্রহ, নক্ষত্র, ধূলিকণা, ধূমকেতু ও বাষ্পকুন্ডের এক বিশাল সমাবেশকে কী বলে?
(ক) ছায়াপথ
(খ) নীহারিকা
(গ) গ্যালাক্সি
(ঘ) উল্কা
সঠিক উত্তর: (গ) গ্যালাক্সি
ব্যাখ্যা: মহাকাশে গ্রহ, নক্ষত্র, ধূলিকণা, ধূমকেতু ও বাষ্পকুন্ডের এক বিশাল সমাবেশকে গ্যালাক্সি বা নক্ষত্রজগৎ বলে।
৭. গ্যাসীয় পদার্থে পূর্ণ স্বল্পালোকিত তারকার আস্তরণকে কী বলে?
(ক) ধূমকেতু
(খ) উল্কা
(গ) নীহারিকা
(ঘ) ছায়াপথ
সঠিক উত্তর: (গ) নীহারিকা
ব্যাখ্যা: নীহারিকা হলো মহাকাশে অসংখ্য স্বল্পালোকিত তারকার আস্তরণ। কিছু নীহারিকার দেহ গ্যাসীয় পদার্থে পূর্ণ। এদেরকে গ্যাসীয় নীহারিকা বলে।
৮. কোনো একটি গ্যালাক্সির ক্ষুদ্র অংশকে কী বলে?
(ক) নক্ষত্রমণ্ডলী
(খ) ছায়াপথ বা আকাশ গঙ্গা
(গ) কৃষ্ণগহ্বর
(ঘ) পালসার
সঠিক উত্তর: (খ) ছায়াপথ বা আকাশ গঙ্গা
ব্যাখ্যা: কোনো একটি গ্যালাক্সির ক্ষুদ্র অংশকে ছায়াপথ বা আকাশ গঙ্গা বলে।
৯. রাতের আকাশে নক্ষত্রপতন বা তারা খসা আসলে কী?
(ক) ধূমকেতু
(খ) উপগ্রহ
(গ) গ্রহাণু
(ঘ) উল্কা
সঠিক উত্তর: (ঘ) উল্কা
ব্যাখ্যা: রাতের মেঘমুক্ত আকাশে অনেক সময় মনে হয় যেন নক্ষত্র ছুটে যাচ্ছে বা কোনো নক্ষত্র যেন এই মাত্র খসে পড়ল। এই ঘটনাকে নক্ষত্রপতন বা তারা খসা বলে। এরা কিন্তু আসলে কোনো নক্ষত্র নয়, এদের নাম উল্কা।
১০. হ্যালির ধূমকেতু প্রতি কত বছর পর পর দেখা যায়?
(ক) ৫০ বছর
(খ) ৬৭ বছর
(গ) ৭৬ বছর
(ঘ) ৮৮ বছর
সঠিক উত্তর: (গ) ৭৬ বছর
ব্যাখ্যা: জ্যোতির্বিজ্ঞানী এডমন্ড হ্যালি যে ধূমকেতু আবিষ্কার করেন তা হ্যালির ধূমকেতু নামে পরিচিত। হ্যালির ধূমকেতু প্রতি ৭৬ বছরে একবার দেখা যায়।
১১. সর্বশেষ কত সালে হ্যালির ধূমকেতু দেখা গিয়েছিল?
(ক) ১৯৮০ সালে
(খ) ১৯৮৬ সালে
(গ) ১৯৯০ সালে
(ঘ) ১৯৯৬ সালে
সঠিক উত্তর: (খ) ১৯৮৬ সালে
ব্যাখ্যা: সর্বশেষ ১৯৮৬ সালে হ্যালির ধূমকেতু দেখা গেছে।
১২. সৌরজগতের কেন্দ্রে কোনটি অবস্থান করছে?
(ক) পৃথিবী
(খ) চাঁদ
(গ) সূর্য
(ঘ) বৃহস্পতি
সঠিক উত্তর: (গ) সূর্য
ব্যাখ্যা: সূর্য সৌরজগতের কেন্দ্রে অবস্থান করছে।
১৩. সৌরজগতের ক্ষুদ্রতম গ্রহ কোনটি?
(ক) শুক্র
(খ) পৃথিবী
(গ) মঙ্গল
(ঘ) বুধ
সঠিক উত্তর: (ঘ) বুধ
ব্যাখ্যা: বুধ সৌরজগতের ক্ষুদ্রতম এবং সূর্যের নিকটতম গ্রহ।
১৪. কোন গ্রহের উপরিভাগ চাঁদের মতো অসংখ্য গর্তে ভরা?
(ক) শুক্র
(খ) বুধ
(গ) মঙ্গল
(ঘ) পৃথিবী
সঠিক উত্তর: (খ) বুধ
ব্যাখ্যা: ১৯৭৪ সালে মার্কিন মহাশূন্যযান মেরিনার-১০ বুধের যে ছবি পাঠায় তা থেকে দেখা যায় যে, বুধের উপরিতল একদম চাঁদের মতো। ভূত্বক অসংখ্য গর্তে ভরা এবং এবড়ো-থেবড়ো।
১৫. সৌরজগতের সবচেয়ে উজ্জ্বল ও উত্তপ্ত গ্রহ কোনটি?
(ক) বুধ
(খ) মঙ্গল
(গ) শুক্র
(ঘ) বৃহস্পতি
সঠিক উত্তর: (গ) শুক্র
ব্যাখ্যা: এটি সৌরজগতের সবচেয়ে উজ্জ্বল ও সবচেয়ে উত্তপ্ত গ্রহ।
১৬. কোন গ্রহ পূর্ব থেকে পশ্চিমে পাক খায়?
(ক) পৃথিবী
(খ) মঙ্গল
(গ) শনি
(ঘ) শুক্র
সঠিক উত্তর: (ঘ) শুক্র
ব্যাখ্যা: সকল গ্রহ এদের নিজ অক্ষের উপর পশ্চিম থেকে পূর্বে পাক খেলেও একমাত্র শুক্র গ্রহ পূর্ব থেকে পশ্চিমে পাক খায়।
১৭. পৃথিবীর গড় ব্যাস কত? (গণনার সুবিধার জন্য)
(ক) ৬,৪০০ কিলোমিটার
(খ) ১২,৭৩৪.৫ কিলোমিটার
(গ) ১২,৮০০ কিলোমিটার
(ঘ) ৪০,০০০ কিলোমিটার
সঠিক উত্তর: (গ) ১২,৮০০ কিলোমিটার
ব্যাখ্যা: পৃথিবীর গড় ব্যাস হলো ১২,৭৩৪.৫ কিলোমিটার। গণনার সুবিধার জন্য একে ১২,৮০০ কিলোমিটার ধরা হয়।
১৮. চাঁদ কোন গ্রহের একমাত্র উপগ্রহ?
(ক) মঙ্গল
(খ) শুক্র
(গ) পৃথিবী
(ঘ) বুধ
সঠিক উত্তর: (গ) পৃথিবী
ব্যাখ্যা: চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ।
১৯. কোন গ্রহকে ‘গ্রহরাজ’ বলা হয়?
(ক) শনি
(খ) ইউরেনাস
(গ) নেপচুন
(ঘ) বৃহস্পতি
সঠিক উত্তর: (ঘ) বৃহস্পতি
ব্যাখ্যা: বৃহস্পতি সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ। একে গ্রহরাজ বলে।
২০. শনির বলয়গুলো কী দ্বারা বেষ্টিত?
(ক) গ্যাসীয় মেঘ
(খ) ধূলিকণা
(গ) বরফ কণা ও শিলাখণ্ড
(ঘ) উজ্জ্বল আলো
সঠিক উত্তর: (গ) বরফ কণা ও শিলাখণ্ড (শনির বলয় মূলত বরফ, পাথরের টুকরা ও ধূলিকণা দ্বারা গঠিত, পাঠ্যবইয়ে সরাসরি উপাদান উল্লেখ না থাকলেও “উজ্জ্বল বলয় দ্বারা বেষ্টিত” বলা হয়েছে এবং এর ভূত্বক বরফে ঢাকা । সাধারণ জ্ঞানে এর বলয় বরফ ও শিলা গঠিত।)
ব্যাখ্যা: শনি উজ্জ্বল বলয় দ্বারা বেষ্টিত। (সাধারণভাবে শনির বলয় বরফ কণা, শিলাখণ্ড ও ধূলিকণা দ্বারা গঠিত।)
২১. কোন গ্রহের আবহমণ্ডলে মিথেন গ্যাসের পরিমাণ অধিক?
(ক) মঙ্গল
(খ) পৃথিবী
(গ) ইউরেনাস
(ঘ) শুক্র
সঠিক উত্তর: (গ) ইউরেনাস
ব্যাখ্যা: এ গ্রহটি হালকা পদার্থ দিয়ে গঠিত, আবহমণ্ডলে মিথেন গ্যাসের পরিমাণ অধিক।
২২. নেপচুনের উপগ্রহ সংখ্যা কতটি?
(ক) ১৪টি
(খ) ২৭টি
(গ) ৭৯টি
(ঘ) ৮২টি
সঠিক উত্তর: (ক) ১৪টি
ব্যাখ্যা: এর উপগ্রহ সংখ্যা ১৪টি।
২৩. পৃথিবীর প্রকৃত আকৃতি কেমন?
(ক) সম্পূর্ণ গোলাকার
(খ) ডিম্বাকার
(গ) অভিগত গোলকের মতো
(ঘ) চ্যাপ্টা
সঠিক উত্তর: (গ) অভিগত গোলকের মতো
ব্যাখ্যা: পৃথিবীর প্রকৃত আকৃতি হলো অনেকটা অভিগত গোলকের (Oblate spheriod) মতো।
২৪. নিরক্ষরেখার অপর নাম কী?
(ক) মূল মধ্যরেখা
(খ) কর্কটক্রান্তি রেখা
(গ) মকরক্রান্তি রেখা
(ঘ) বিষুবরেখা
সঠিক উত্তর: (ঘ) বিষুবরেখা
ব্যাখ্যা: দুই মেরু থেকে সমান দূরত্বে পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে একটি রেখা কল্পনা করা হয়েছে। একে নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখা বলে।
২৫. ২৩.৫° উত্তর অক্ষাংশকে কী বলে?
(ক) মকরক্রান্তি
(খ) সুমেরুবৃত্ত
(গ) কুমেরুবৃত্ত
(ঘ) কর্কটক্রান্তি
সঠিক উত্তর: (ঘ) কর্কটক্রান্তি
ব্যাখ্যা: ২৩.৫° উত্তর অক্ষাংশ, একে কর্কটক্রান্তি বলে।
২৬. গ্রিনিচের দ্রাঘিমা কত ডিগ্রি ধরা হয়?
(ক) ৯০° পূর্ব
(খ) ১৮০°
(গ) ০°
(ঘ) ৯০° পশ্চিম
সঠিক উত্তর: (গ) ০°
ব্যাখ্যা: যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরের কাছে গ্রিনিচ (Greenwich) মান মন্দিরের উপর দিয়ে উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত বিস্তৃত যে মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে তাকে মূল মধ্যরেখা বলে। গ্রিনিচের দ্রাঘিমা O∘।
২৭. প্রতি ডিগ্রি দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য সময়ের পার্থক্য কত হয়?
(ক) ২ মিনিট
(খ) ৪ মিনিট
(গ) ৬ মিনিট
(ঘ) ৮ মিনিট
সঠিক উত্তর: (খ) ৪ মিনিট
ব্যাখ্যা: প্রতি ৪ মিনিট সময়ের পার্থক্যে দ্রাঘিমার পার্থক্য হয় ১°। (অথবা, ৩৬০° ঘুরে আসতে সময় লাগছে ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ ১৪৪০ মিনিট। এই ১৪৪০ মিনিটকে ৩৬০° দিয়ে ভাগ করলে ৪ মিনিট হয়। অর্থাৎ প্রতি ডিগ্রি দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য সময় লাগে ৪ মিনিট।)
২৮. আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা কোন মহাসাগরের উপর দিয়ে কল্পনা করা হয়েছে?
(ক) আটলান্টিক মহাসাগর
(খ) ভারত মহাসাগর
(গ) প্রশান্ত মহাসাগর
(ঘ) উত্তর মহাসাগর
সঠিক উত্তর: (গ) প্রশান্ত মহাসাগর
ব্যাখ্যা: এই অসুবিধা দূর করার জন্য পৃথিবীর মানচিত্রে প্রশান্ত মহাসাগরের উপর দিয়ে ১৮০° দ্রাঘিমা অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা প্রবর্তন করা হয়েছে।
২৯. আহ্নিক গতির ফলে পৃথিবীতে কী সংঘটিত হয়?
(ক) ঋতু পরিবর্তন
(খ) দিবারাত্রির হ্রাস-বৃদ্ধি
(গ) দিবারাত্রি সংঘটন
(ঘ) চন্দ্রকলা
সঠিক উত্তর: (গ) দিবারাত্রি সংঘটন
ব্যাখ্যা: পৃথিবীতে দিবারাত্রি সংঘটন পর্যায়ক্রমে দিনরাত্রি সংঘটিত হওয়া পৃথিবীর আহ্নিক গতির একটি ফল।
৩০. বার্ষিক গতির ফলে কী হয়?
(ক) জোয়ার-ভাটা
(খ) স্থানীয় সময়ের পার্থক্য
(গ) ঋতু পরিবর্তন ও দিবারাত্রির হ্রাস-বৃদ্ধি
(ঘ) বায়ুপ্রবাহ ও সমুদ্রস্রোত সৃষ্টি
সঠিক উত্তর: (গ) ঋতু পরিবর্তন ও দিবারাত্রির হ্রাস-বৃদ্ধি
ব্যাখ্যা: বার্ষিক গতির ফল হলো- (১) দিবারাত্রির হ্রাস-বৃদ্ধি, (২) ঋতু পরিবর্তন।