যুগে যুগে আদর্শবাদীরাই জগৎকে আনন্দে, শান্তিতে, সাম্যে প্রতিষ্ঠিত করেছেন

যুগে যুগে আদর্শবাদীরাই জগৎকে আনন্দে, শান্তিতে, সাম্যে প্রতিষ্ঠিত করেছেন

যুগে যুগে আদর্শবাদীরাই জগৎকে আনন্দে, শান্তিতে, সাম্যে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। যাহারা বৃহৎ-এর চিন্তা করেন, তাহারা পৃথিবীতে বৃহৎ কল্যাণ আনয়ন করেন। ক্ষুদ্রত্বের বন্ধনে বাঁধা থাকিলে জীবন, যৌবন ও কর্মের শক্তি ক্ষুদ্র হইয়া যায়। পুকুরের পানি গ্রামের কল্যাণ করে, কিন্তু সংক্রামক রোগের একটি জীবাণু পড়িলেই সে পানি দূষিত ও অপেয় হইয়া যায়। কেননা পুকুরের পানির চারিধারে বন্ধনতার বিস্তৃতি নাই, গতি নাই, প্রবাহ নাই। নদীর পানিরও চারিধারে বন্ধন, একধারে পাহাড়, একধারে সমুদ্র, দুইধারে কূল। কিন্তু তার বিস্তৃতি আছে, তাই গতি ও প্রবাহ নিত্য সাথী। এই প্রবাহের জন্যই নদীর পানিতে নিত্য শত রোগের জীবাণু পড়িলেও তাহা অশুদ্ধ হয় না, অব্যবহার্য হয় না। তাই নদী পুকুরের চেয়ে দেশের বৃহৎ কল্যাণ করে। নদীর নিত্য তৃষ্ণা সমুদ্রের দিকে, অসীমের দিকে। অসীম সমুদ্রকে পাইয়াও সে সীমাবদ্ধ দেশকে স্বীকার করে, তার বক্ষচ্যুত হয় না। আমাদের আদর্শ পরম পুণ্যের, পরম নিত্যের। কিছুতেই আমরা কর্মচ্যুত হইব না, বৃহৎ কর্ম করিব।

সারাংশ:

আদর্শ মানুষরাই পৃথিবীকে শান্তির সবুজ ছায়ায় ঢেকে দিয়েছেন। যারা বৃহৎ কল্যাণ সাধন করেন তারা কেউই ক্ষুদ্র মানসিকতার অধিকারী নন। পুকুর মানুষের ক্ষুদ্র প্রয়োজন মেটায় কিন্তু বৃহৎ প্রয়োজন মেটাতে দরকার নদীর মত প্রবাহমান, বিশুদ্ধ স্রোত। কেননা ক্ষুদ্র গন্ডির মধ্যে কখনোই বৃহৎ কর্ম সম্পাদন হয় না।

❤️ 0
😂 0
😢 0
😡 0

Leave a Reply

Scroll to Top