SSC রসায়ন প্রথম অধ্যায় MCQ | রসায়নের ধারণা বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

SSC রসায়ন

প্রথম অধ্যায়: রসায়নের ধারণা  MCQ


প্রশ্ন ১: বিজ্ঞান কী?

ক) প্রকৃতির রহস্য উন্মোচন

খ) মানবজাতির পদ্ধতিগত, নিয়মানুগ ধারাবাহিক প্রচেষ্টা যার দ্বারা প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করে নিজেদের কল্যাণে কাজে লাগানো হয়

গ) পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন

ঘ) কোনোটিই নয়

সঠিক উত্তর: খ) মানবজাতির পদ্ধতিগত, নিয়মানুগ ধারাবাহিক প্রচেষ্টা যার দ্বারা প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করে নিজেদের কল্যাণে কাজে লাগানো হয়

ব্যাখ্যা: বইয়ের সংজ্ঞা অনুযায়ী, বিজ্ঞান হলো মানবজাতির পদ্ধতিগত, নিয়মানুগ ধারাবাহিক প্রচেষ্টা যার দ্বারা প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করে নিজেদের কল্যাণে কাজে লাগানো হয় ।

প্রশ্ন ২: রসায়ন বিজ্ঞানের কোন শাখার অন্তর্ভুক্ত?

ক) পদার্থবিদ্যা

খ) জীববিজ্ঞান

গ) প্রধান শাখাগুলোর একটি

ঘ) গণিত

সঠিক উত্তর: গ) প্রধান শাখাগুলোর একটি

ব্যাখ্যা: বিজ্ঞানের অনেকগুলো শাখা আছে যার মধ্যে রসায়ন হলো অন্যতম প্রধান শাখা ।

প্রশ্ন ৩: রসায়নের মূল আলোচ্য বিষয় কী?

ক) শুধুমাত্র শক্তি নিয়ে আলোচনা

খ) শুধুমাত্র পদার্থের ব্যবহার নিয়ে আলোচনা

গ) মৌল বা মৌলিক পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত যৌগ বা যৌগিক পদার্থের সংযুক্তি, গঠন প্রকৃতি, ধর্ম, ব্যবহার ইত্যাদি এবং বস্তুসমূহের পারস্পরিক রূপান্তর ও রূপান্তরকালে শক্তি

ঘ) শুধুমাত্র রাসায়নিক বিক্রিয়া

স সঠিক উত্তর: গ) মৌল বা মৌলিক পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত যৌগ বা যৌগিক পদার্থের সংযুক্তি, গঠন প্রকৃতি, ধর্ম, ব্যবহার ইত্যাদি এবং বস্তুসমূহের পারস্পরিক রূপান্তর ও রূপান্তরকালে শক্তি

ব্যাখ্যা: বিজ্ঞানের যে শাখায় মৌল বা মৌলিক পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত যৌগ বা যৌগিক পদার্থের সংযুক্তি, গঠন প্রকৃতি, ধর্ম, ব্যবহার ইত্যাদি এবং বস্তুসমূহের পারস্পরিক রূপান্তর ও রূপান্তরকালে শক্তি মূলত তাপ শক্তির শোষণ ও নিঃসরণ আলোচনা করা হয় তাকে রসায়ন বলে ।

প্রশ্ন ৪: নিচের কোনটি রসায়নের একটি উদাহরণ?

ক) বিদ্যুৎ উৎপাদন

খ) ইন্টারনেট ব্যবহার

গ) কয়লা পোড়ালে তাপ উৎপাদিত হওয়া

ঘ) ঘরবাড়ি তৈরি

সঠিক উত্তর: গ) কয়লা পোড়ালে তাপ উৎপাদিত হওয়া

ব্যাখ্যা: কয়লা পোড়ালে তাপ উৎপাদিত হয় সেই সাথে কার্বন ডাইঅক্সাইড যৌগ গঠিত হয়, এটি রসায়নের একটি উদাহরণ ।

প্রশ্ন ৫: প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে মানুষ কোন ধাতু ব্যবহার করে আসছে?

ক) অ্যালুমিনিয়াম

খ) তামা

গ) দস্তা

ঘ) পারদ

সঠিক উত্তর: খ) তামা

ব্যাখ্যা: এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রথম ব্যবহৃত ধাতু হলো তামা । এছাড়া সেই প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ সোনা, রুপা, টিন, লোহা ইত্যাদি ধাতু ব্যবহার করছে ।

প্রশ্ন ৬: ব্রোঞ্জ কোন দুটি ধাতুর সংকর?

ক) তামা ও লোহা

খ) তামা ও টিন

গ) লোহা ও টিন

ঘ) সোনা ও রুপা

সঠিক উত্তর: খ) তামা ও টিন

ব্যাখ্যা: খ্রিষ্টপূর্ব ৩৫০০ অব্দের দিকে কপার ও টিন ধাতুকে গলিয়ে তরলে পরিণত করে এবং এ দুটি তরলকে একত্রে মিশিয়ে অতঃপর মিশ্রণকে ঠান্ডা করে কঠিন সংকর ধাতুতে পরিণত করা হয়, এ সংকর ধাতুর নাম ব্রোঞ্জ ।

প্রশ্ন ৭: ব্রোঞ্জ ব্যবহারের ফলে প্রাচীন মানবজাতির কী সুবিধা হয়েছিল?

ক) তারা দ্রুত গতিতে চলাচল করতে পারত

খ) তারা অস্ত্র তৈরি করে পশু শিকার, কৃষিকাজ ইত্যাদি করতে পারত

গ) তারা বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারত

ঘ) তারা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারত

সঠিক উত্তর: খ) তারা অস্ত্র তৈরি করে পশু শিকার, কৃষিকাজ ইত্যাদি করতে পারত

ব্যাখ্যা: ব্রোঞ্জ দিয়ে মানুষ অস্ত্র তৈরি করত এবং পশু শিকার, কৃষিকাজ, জ্বালানির জন্য কাঠ সংগ্রহ ইত্যাদি প্রয়োজনীয় অনেক কাজে এ অস্ত্র ব্যবহার করত ।

প্রশ্ন ৮: কে প্রথম পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণার নাম অ্যাটম দেন?

ক) অ্যারিস্টটল

খ) কোনাড

গ) ডেমোক্রিটাস

ঘ) জাবির-ইবনে-হাইয়ান

সঠিক উত্তর: গ) ডেমোক্রিটাস

ব্যাখ্যা: খ্রিষ্টপূর্ব ৩৮০ অব্দের দিকে গ্রিক দার্শনিক ডেমোক্রিটাস বলেন যে, প্রত্যেক পদার্থকে অনবরত ভাঙতে থাকলে শেষ পর্যায়ে এমন এক ক্ষুদ্র কণা পাওয়া যাবে যাকে আর ভাঙা যাবে না। তিনি এর নাম দেন অ্যাটম ।

প্রশ্ন ৯: কোন দার্শনিকের মতে সকল পদার্থ মাটি, আগুন, পানি ও বাতাস মিলে তৈরি হয়?

ক) ডেমোক্রিটাস

খ) কোনাড

গ) অ্যারিস্টটল

ঘ) জন ডালটন

সঠিক উত্তর: গ) অ্যারিস্টটল

ব্যাখ্যা: দার্শনিক অ্যারিস্টটলসহ অন্য দার্শনিকেরা মনে করতেন সকল পদার্থ মাটি, আগুন, পানি ও বাতাস মিলে তৈরি হয় ।

প্রশ্ন ১০: মধ্যযুগে আরবের মুসলিম দার্শনিকেরা কী তৈরি করার চেষ্টা করেছিলেন?

ক) বিদ্যুৎ

খ) সোনা ও মহৌষধ

গ) উড়োজাহাজ

ঘ) কম্পিউটার

সঠিক উত্তর: খ) সোনা ও মহৌষধ

ব্যাখ্যা: মধ্যযুগে আরবের মুসলিম দার্শনিকগণ কপার, টিন, সিসা ইত্যাদি স্বল্পমূল্যের ধাতু থেকে সোনা তৈরি করতে চেষ্টা করেছিলেন। তাদের আরেকটি চেষ্টা ছিল এমন একটি মহৌষধ তৈরি করা, যা খেলে মানুষের আয়ু অনেক বেড়ে যাবে ।

প্রশ্ন ১১: মধ্যযুগীয় আরবের রসায়ন চর্চাকে কী বলা হতো?

ক) কেমিস্ট্রি

খ) ফিজিক্স

গ) আলকেমি

ঘ) বায়োলজি

সঠিক উত্তর: গ) আলকেমি

ব্যাখ্যা: মধ্যযুগীয় আরবের রসায়ন চর্চাকে আলকেমি বলা হতো ।

প্রশ্ন ১২: Chemistry শব্দটি কোন শব্দ থেকে এসেছে?

ক) আলকেমিস্ট

খ) আল-কিমিয়া

গ) অ্যাটম

ঘ) ব্রোঞ্জ

সঠিক উত্তর: খ) আল-কিমিয়া

ব্যাখ্যা: আলকেমি শব্দটি এসেছে আরবি শব্দ আল-কিমিয়া থেকে । আল-কিমিয়া শব্দটি আবার এসেছে কিমি (Chemi বা Kimi) শব্দ থেকে। এই Chemi শব্দ থেকেই Chemistry শব্দের উৎপত্তি ।

প্রশ্ন ১৩: কাকে রসায়নের জনক বলা হয়?

ক) অ্যান্টনি ল্যাভয়সিয়ে

খ) রবার্ট বয়েল

গ) জাবির-ইবনে-হাইয়ান

ঘ) জন ডালটন

সঠিক উত্তর: গ) জাবির-ইবনে-হাইয়ান

ব্যাখ্যা: আলকেমিস্ট জাবির-ইবনে-হাইয়ান সর্বপ্রথম গবেষণাগারে রসায়নের চর্চা করেন। তাই তাঁকে অনেক সময় রসায়নের জনক বলা হয়ে থাকে ।

প্রশ্ন ১৪: আধুনিক রসায়নের জনক কে?

ক) জাবির-ইবনে-হাইয়ান

খ) রবার্ট বয়েল

গ) অ্যান্টনি ল্যাভয়সিয়ে

ঘ) স্যার ফ্রান্সিস বেকন

সঠিক উত্তর: গ) অ্যান্টনি ল্যাভয়সিয়ে

ব্যাখ্যা: অ্যান্টনি ল্যাভয়সিয়েকে আধুনিক রসায়নের জনক বলা হয় ।

প্রশ্ন ১৫: কাঁচা আম টক হওয়ার কারণ কী?

ক) এতে শর্করা থাকে

খ) এতে বিভিন্ন ধরনের জৈব এসিড থাকে

গ) এতে ভিটামিন সি থাকে

ঘ) এতে খনিজ লবণ থাকে

সঠিক উত্তর: খ) এতে বিভিন্ন ধরনের জৈব এসিড থাকে

ব্যাখ্যা: কাঁচা আমে বিভিন্ন ধরনের জৈব এসিড থাকে যেমন: সাক্সিনিক এসিড, ম্যালেয়িক এসিড প্রভৃতি থাকে, ফলে কাঁচা আম টক হয় ।

প্রশ্ন ১৬: পাকা আম মিষ্টি হওয়ার কারণ কী?

ক) এতে এসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়

খ) এসিডগুলোর রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজের সৃষ্টি হয়

গ) এতে লবণের পরিমাণ বেড়ে যায়

ঘ) এতে ভিটামিনের পরিমাণ বেড়ে যায়

সঠিক উত্তর: খ) এসিডগুলোর রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজের সৃষ্টি হয়

ব্যাখ্যা: আম যখন পাকে তখন এই এসিডগুলোর রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজের সৃষ্টি হয়। তাই পাকা আম মিষ্টি হয় ।

প্রশ্ন ১৭: কেরোসিন, প্রাকৃতিক গ্যাস, মোম ইত্যাদির মূল উপাদান কী?

ক) কার্বন ডাই-অক্সাইড

খ) জলীয় বাষ্প

গ) হাইড্রোকার্বন

ঘ) অক্সিজেন

সঠিক উত্তর: গ) হাইড্রোকার্বন

ব্যাখ্যা: কেরোসিন, প্রাকৃতিক গ্যাস, মোম এগুলোর মূল উপাদান হাইড্রোকার্বন ।

প্রশ্ন ১৮: হাইড্রোকার্বন কী দ্বারা গঠিত?

ক) কার্বন ও অক্সিজেন

খ) হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন

গ) কার্বন ও হাইড্রোজেন

ঘ) কার্বন ও নাইট্রোজেন

সঠিক উত্তর: গ) কার্বন ও হাইড্রোজেন

ব্যাখ্যা: হাইড্রোকার্বন হচ্ছে কার্বন আর হাইড্রোজেনের যৌগ ।

প্রশ্ন ১৯: হাইড্রোকার্বনের দহনের ফলে কী উৎপন্ন হয়?

ক) শুধুমাত্র কার্বন ডাই-অক্সাইড

খ) শুধুমাত্র জলীয় বাষ্প

গ) কার্বন ডাই-অক্সাইড, জলীয় বাষ্প, আলো আর তাপশক্তি

ঘ) শুধুমাত্র আলো ও তাপশক্তি

সঠিক উত্তর: গ) কার্বন ডাই-অক্সাইড, জলীয় বাষ্প, আলো আর তাপশক্তি

ব্যাখ্যা: যখন হাইড্রোকার্বনের দহন ঘটে তখন বাতাসের অক্সিজেনের সাথে এগুলোর বিক্রিয়া হয় এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড, জলীয় বাষ্প, আলো আর তাপশক্তির সৃষ্টি হয় ।

প্রশ্ন ২০: পেটের এসিডিটির জন্য অ্যান্টাসিড ওষুধ খাওয়া হয় কেন?

ক) অ্যান্টাসিড পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক এসিড তৈরি করে

খ) অ্যান্টাসিডে থাকা যৌগ এসিডকে প্রশমিত করে

গ) অ্যান্টাসিড হজমে সাহায্য করে

ঘ) অ্যান্টাসিড ব্যথা কমায়

সঠিক উত্তর: খ) অ্যান্টাসিডে থাকা যৌগ এসিডকে প্রশমিত করে

ব্যাখ্যা: পাকস্থলীতে অতিরিক্ত হাইড্রোক্লোরিক এসিড নিঃসরিত হলে পেটে এসিডিটির সমস্যা হয়। অ্যান্টাসিডে থাকে অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড ও ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড। এ দুটি যৌগ এসিডকে প্রশমিত করে ।

প্রশ্ন ২১: অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড ও ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড কোথায় থাকে?

ক) কাঁচা আমে

খ) পাকা আমে

গ) হাইড্রোকার্বনে

ঘ) অ্যান্টাসিড ওষুধে

সঠিক উত্তর: ঘ) অ্যান্টাসিড ওষুধে

ব্যাখ্যা: অ্যান্টাসিডে থাকে অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড ও ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড ।

প্রশ্ন ২২: রসায়নের পরিধি বা ক্ষেত্র কেমন?

ক) সীমিত, শুধুমাত্র পরীক্ষাগারে সীমাবদ্ধ

খ) ব্যাপক, যেখানে পদার্থ আছে সেখানেই রসায়ন আছে

গ) শুধুমাত্র শিল্প কারখানায় সীমাবদ্ধ

ঘ) শুধুমাত্র গবেষণাগারে সীমাবদ্ধ

সঠিক উত্তর: খ) ব্যাপক, যেখানে পদার্থ আছে সেখানেই রসায়ন আছে

ব্যাখ্যা: যেখানে পদার্থ আছে সেখানেই রসায়ন আছে ।

প্রশ্ন ২৩: বায়ুমণ্ডলে কী ধরনের পরিবর্তন অনবরত ঘটছে?

ক) শুধুমাত্র ভৌত পরিবর্তন

খ) শুধুমাত্র রাসায়নিক পরিবর্তন

গ) ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তন উভয়ই

ঘ) কোনো পরিবর্তনই ঘটছে না

সঠিক উত্তর: গ) ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তন উভয়ই

ব্যাখ্যা: বায়ুমণ্ডলে কিছু না কিছু রাসায়নিক পরিবর্তন অনবরত ঘটছে । (যদিও এখানে শুধু রাসায়নিক পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে, বায়ুমণ্ডলে ভৌত পরিবর্তনও ঘটে, তবে পাঠ্যের ভিত্তিতে রাসায়নিক পরিবর্তন সরাসরি উল্লিখিত।)

প্রশ্ন ২৪: পৃথিবীর প্রথম অবস্থায় কেমন ছিল?

ক) ঠান্ডা ও শান্ত

খ) খুবই উত্তপ্ত, বাতাস ও পানি ছিল না

গ) জীবজন্তুতে পরিপূর্ণ

ঘ) বরফে ঢাকা

সঠিক উত্তর: খ) খুবই উত্তপ্ত, বাতাস ও পানি ছিল না

ব্যাখ্যা: যখন এ পৃথিবীর প্রথম জন্ম হলো তখন পৃথিবী এমন ছিল না, পৃথিবী ছিল খুবই উত্তপ্ত। সেখানে কোনো বাতাস ছিল না, পানি ছিল না, ছিল না কোনো জীবের অস্তিত্ব ।

প্রশ্ন ২৫: কোটি কোটি বছর ধরে পৃথিবীতে অসংখ্য রাসায়নিক পরিবর্তনের ফলে কী সৃষ্টি হয়েছে?

ক) শুধুমাত্র জীবজন্তু

খ) শুধুমাত্র উদ্ভিদ

গ) বায়ুমণ্ডল, পানি ও হাজারো রকমের পদার্থ

ঘ) শুধুমাত্র শিলা ও মাটি

সঠিক উত্তর: গ) বায়ুমণ্ডল, পানি ও হাজারো রকমের পদার্থ

ব্যাখ্যা: কোটি কোটি বছর ধরে ঘটেছে অসংখ্য রাসায়নিক পরিবর্তন। সৃষ্টি হয়েছে বায়ুমণ্ডল, সৃষ্টি হয়েছে পানি, সৃষ্টি হয়েছে হাজারো রকমের ।

প্রশ্ন ২৬: পরীক্ষাগারে সর্বপ্রথম রসায়নের চর্চা করেন কে?

ক) অ্যান্টনি ল্যাভয়সিয়ে

খ) রবার্ট বয়েল

গ) স্যার ফ্রান্সিস বেকন

ঘ) জাবির-ইবনে-হাইয়ান

সঠিক উত্তর: ঘ) জাবির-ইবনে-হাইয়ান

ব্যাখ্যা: আলকেমিস্ট জাবির-ইবনে-হাইয়ান সর্বপ্রথম গবেষণাগারে রসায়নের চর্চা করেন।

প্রশ্ন ২৭: জাবির-ইবনে-হাইয়ান বিশ্বাস করতেন সকল পদার্থ কী দিয়ে তৈরি?

ক) শুধুমাত্র মাটি ও পানি

খ) মাটি, পানি, আগুন আর বাতাস

গ) শুধুমাত্র আগুন ও বাতাস

ঘ) কোনোটিই নয়

সঠিক উত্তর: খ) মাটি, পানি, আগুন আর বাতাস

ব্যাখ্যা: জাবির-ইবনে-হাইয়ান বিশ্বাস করতেন সকল পদার্থ মাটি, পানি, আগুন আর বাতাস দিয়ে তৈরি।

প্রশ্ন ২৮: কে আধুনিক রসায়নের জনক হিসেবে পরিচিত?

ক) জাবির-ইবনে-হাইয়ান

খ) রবার্ট বয়েল

গ) অ্যান্টনি ল্যাভয়সিয়ে

ঘ) জন ডালটন

সঠিক উত্তর: গ) অ্যান্টনি ল্যাভয়সিয়ে

ব্যাখ্যা: অ্যান্টনি ল্যাভয়সিয়েকে আধুনিক রসায়নের জনক বলা হয়।

প্রশ্ন ২৯: বিজ্ঞানের কোন শাখা পদার্থের গঠন, ধর্ম এবং পারস্পরিক রূপান্তর নিয়ে আলোচনা করে?

ক) পদার্থবিদ্যা

খ) জীববিজ্ঞান

গ) রসায়ন

ঘ) গণিত

সঠিক উত্তর: গ) রসায়ন

ব্যাখ্যা: বিজ্ঞানের যে শাখায় পদার্থের গঠন, পদার্থের ধর্ম এবং পদার্থের পারস্পরিক রূপান্তর ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে রসায়ন বলে।

প্রশ্ন ৩০: কাঁচা আমে কোন ধরনের এসিড থাকে?

ক) হাইড্রোক্লোরিক এসিড

খ) সালফিউরিক এসিড

গ) সাক্সিনিক এসিড, ম্যালয়িক এসিড প্রভৃতি জৈব এসিড

ঘ) নাইট্রিক এসিড

সঠিক উত্তর: গ) সাক্সিনিক এসিড, ম্যালয়িক এসিড প্রভৃতি জৈব এসিড

ব্যাখ্যা: কাঁচা আমে বিভিন্ন ধরনের জৈব এসিড থাকে যেমন: সাক্সিনিক এসিড, ম্যালেয়িক এসিড প্রভৃতি থাকে, ফলে কাঁচা আম টক।

প্রশ্ন ৩১: অ্যান্টাসিডে পাকস্থলীর অতিরিক্ত এসিডকে প্রশমিত করার জন্য কী থাকে?

ক) হাইড্রোক্লোরিক এসিড

খ) অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড ও ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড

গ) সাইট্রিক এসিড

ঘ) কার্বনিক এসিড

সঠিক উত্তর: খ) অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড ও ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড

ব্যাখ্যা: অ্যান্টাসিডে থাকে অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড ও ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড। এ দুটি যৌগ এসিডকে প্রশমিত করে।

Leave a Reply

Scroll to Top