SSC রসায়ন অষ্টম অধ্যায় MCQ | রসায়ন ও শক্তি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

SSC রসায়ন

অষ্টম অধ্যায়: রসায়ন ও শক্তি

প্রশ্ন ১: শক্তি কী?

ক) কাজ করার ক্ষমতা

খ) পদার্থের ভর

গ) পদার্থের আয়তন

ঘ) পদার্থের ঘনত্ব

সঠিক উত্তর: ক) কাজ করার ক্ষমতা

ব্যাখ্যা: কাজ করার সামর্থ্যকে শক্তি বলে।

প্রশ্ন ২: রাসায়নিক শক্তি কী?

ক) পদার্থের ভৌত অবস্থার পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি

খ) পদার্থের অণুতে পরমাণুসমূহ যে বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত থাকে সেই বন্ধনে নিহিত শক্তি

গ) পদার্থের গতিশক্তি

ঘ) পদার্থের বিভব শক্তি

সঠিক উত্তর: খ) পদার্থের অণুতে পরমাণুসমূহ যে বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত থাকে সেই বন্ধনে নিহিত শক্তি

ব্যাখ্যা: পদার্থের অণুতে পরমাণুসমূহ যে বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত থাকে, সেই বন্ধনে নিহিত শক্তিই হলো রাসায়নিক শক্তি।

প্রশ্ন ৩: তাপোৎপাদী বিক্রিয়ায় তাপ কেন উৎপন্ন হয়?

ক) বিক্রিয়ক সমূহের মোট শক্তি উৎপাদ সমূহের মোট শক্তি অপেক্ষা কম থাকে

খ) বিক্রিয়ক সমূহের মোট শক্তি উৎপাদ সমূহের মোট শক্তি অপেক্ষা বেশি থাকে

গ) বিক্রিয়ক সমূহের মোট শক্তি উৎপাদ সমূহের মোট শক্তির সমান থাকে

ঘ) অনুঘটকের উপস্থিতির কারণে

সঠিক উত্তর: খ) বিক্রিয়ক সমূহের মোট শক্তি উৎপাদ সমূহের মোট শক্তি অপেক্ষা বেশি থাকে

ব্যাখ্যা: তাপোৎপাদী বিক্রিয়ায় বিক্রিয়কসমূহের মোট রাসায়নিক শক্তি উৎপাদসমূহের মোট রাসায়নিক শক্তি অপেক্ষা বেশি থাকে। এই অতিরিক্ত শক্তি তাপ হিসেবে পরিবেশে নির্গত হয়।

প্রশ্ন ৪: তাপহারী বিক্রিয়ায় তাপ কেন শোষিত হয়?

ক) বিক্রিয়ক সমূহের মোট শক্তি উৎপাদ সমূহের মোট শক্তি অপেক্ষা বেশি থাকে

খ) বিক্রিয়ক সমূহের মোট শক্তি উৎপাদ সমূহের মোট শক্তি অপেক্ষা কম থাকে

গ) বিক্রিয়ক সমূহের মোট শক্তি উৎপাদ সমূহের মোট শক্তির সমান থাকে

ঘ) অনুঘটকের অনুপস্থিতির কারণে

সঠিক উত্তর: খ) বিক্রিয়ক সমূহের মোট শক্তি উৎপাদ সমূহের মোট শক্তি অপেক্ষা কম থাকে

ব্যাখ্যা: তাপহারী বিক্রিয়ায় বিক্রিয়কসমূহের মোট রাসায়নিক শক্তি উৎপাদসমূহের মোট রাসায়নিক শক্তি অপেক্ষা কম থাকে। বিক্রিয়াটি সম্পন্ন হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত শক্তি পরিবেশ থেকে তাপ হিসেবে শোষিত হয়।

প্রশ্ন ৫: এনথালপির পরিবর্তন (ΔH) কী?

ক) বিক্রিয়ক সমূহের মোট শক্তি

খ) উৎপাদ সমূহের মোট শক্তি

গ) উৎপাদ সমূহের মোট শক্তি এবং বিক্রিয়ক সমূহের মোট শক্তির পার্থক্য

ঘ) বিক্রিয়ার সক্রিয়ণ শক্তি

সঠিক উত্তর: গ) উৎপাদ সমূহের মোট শক্তি এবং বিক্রিয়ক সমূহের মোট শক্তির পার্থক্য

ব্যাখ্যা: কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ায় উৎপাদসমূহের মোট শক্তি এবং বিক্রিয়কসমূহের মোট শক্তির পার্থক্যকে এনথালপির পরিবর্তন (ΔH) বলে।

প্রশ্ন ৬: তাপোৎপাদী বিক্রিয়ার জন্য ΔH এর মান কেমন হয়?

ক) ধনাত্মক

খ) ঋণাত্মক

গ) শূন্য

ঘ) কখনো ধনাত্মক কখনো ঋণাত্মক

সঠিক উত্তর: খ) ঋণাত্মক

ব্যাখ্যা: তাপোৎপাদী বিক্রিয়ায় উৎপাদের শক্তি বিক্রিয়কের শক্তি অপেক্ষা কম হয়, তাই ΔH এর মান ঋণাত্মক হয়।

প্রশ্ন ৭: তাপহারী বিক্রিয়ার জন্য ΔH এর মান কেমন হয়?

ক) ধনাত্মক

খ) ঋণাত্মক

গ) শূন্য

ঘ) কখনো ধনাত্মক কখনো ঋণাত্মক

সঠিক উত্তর: ক) ধনাত্মক

ব্যাখ্যা: তাপহারী বিক্রিয়ায় উৎপাদের শক্তি বিক্রিয়কের শক্তি অপেক্ষা বেশি হয়, তাই ΔH এর মান ধনাত্মক হয়।

প্রশ্ন ৮: বন্ধন শক্তি কী?

ক) পরমাণুসমূহের মধ্যে আকর্ষণ শক্তি

খ) এক মোল গ্যাসীয় অণুর কোনো নির্দিষ্ট বন্ধন ছিঁড়ে দুটি পরমাণুকে আলাদা করতে প্রয়োজনীয় শক্তি

গ) ইলেকট্রন ত্যাগের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি

ঘ) ইলেকট্রন গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি

সঠিক উত্তর: খ) এক মোল গ্যাসীয় অণুর কোনো নির্দিষ্ট বন্ধন ছিঁড়ে দুটি পরমাণুকে আলাদা করতে প্রয়োজনীয় শক্তি

ব্যাখ্যা: এক মোল গ্যাসীয় অণুর কোনো নির্দিষ্ট বন্ধন ছিঁড়ে দুটি পরমাণুকে আলাদা করে গ্যাসে পরিণত করতে যে শক্তির প্রয়োজন হয় তাকে ঐ বন্ধনের বন্ধন শক্তি বলে।

প্রশ্ন ৯: বন্ধন ভাঙতে শক্তির কী হয়?

ক) উৎপন্ন হয়

খ) শোষিত হয়

গ) অপরিবর্তিত থাকে

ঘ) কখনো উৎপন্ন কখনো শোষিত হয়

সঠিক উত্তর: খ) শোষিত হয়

ব্যাখ্যা: রাসায়নিক বন্ধন ভাঙতে শক্তির প্রয়োজন হয়, অর্থাৎ শক্তি শোষিত হয়।

প্রশ্ন ১০: বন্ধন গঠিত হলে শক্তির কী হয়?

ক) উৎপন্ন হয়

খ) শোষিত হয়

গ) অপরিবর্তিত থাকে

ঘ) কখনো উৎপন্ন কখনো শোষিত হয়

সঠিক উত্তর: ক) উৎপন্ন হয়

ব্যাখ্যা: রাসায়নিক বন্ধন গঠিত হলে শক্তি উৎপন্ন হয়।

প্রশ্ন ১১: তড়িৎ রসায়ন কাকে বলে?

ক) রসায়নের যে শাখায় তাপশক্তির পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করা হয়

খ) রসায়নের যে শাখায় আলোক শক্তির পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করা হয়

গ) রসায়নের যে শাখায় বিদ্যুৎ শক্তি ও রাসায়নিক শক্তির পারস্পরিক রূপান্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়

ঘ) রসায়নের যে শাখায় যান্ত্রিক শক্তির পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করা হয়

সঠিক উত্তর: গ) রসায়নের যে শাখায় বিদ্যুৎ শক্তি ও রাসায়নিক শক্তির পারস্পরিক রূপান্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়

ব্যাখ্যা: রসায়নের যে শাখায় বিদ্যুৎ শক্তি ও রাসায়নিক শক্তির পারস্পরিক রূপান্তর এবং এ সংক্রান্ত নীতি ও তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে তড়িৎ রসায়ন বলে।

প্রশ্ন ১২: গ্যালভানিক কোষ বা ভোল্টার কোষ কী করে?

ক) বিদ্যুৎ শক্তিকে রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে

খ) রাসায়নিক শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করে

গ) তাপ শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করে

ঘ) আলোক শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করে

সঠিক উত্তর: খ) রাসায়নিক শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করে

ব্যাখ্যা: যে কোষে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে রাসায়নিক শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করা হয় তাকে গ্যালভানিক কোষ বা ভোল্টার কোষ বলে।

প্রশ্ন ১৩: তড়িৎ বিশ্লেষ্য কোষ কী করে?

ক) রাসায়নিক শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করে

খ) বিদ্যুৎ শক্তিকে রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে

গ) তাপ শক্তিকে রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে

ঘ) আলোক শক্তিকে রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে

সঠিক উত্তর: খ) বিদ্যুৎ শক্তিকে রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে

ব্যাখ্যা: যে কোষে বিদ্যুৎ শক্তি প্রয়োগ করে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটানো হয়, অর্থাৎ বিদ্যুৎ শক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয় তাকে তড়িৎ বিশ্লেষ্য কোষ বলে।

প্রশ্ন ১৪: জ্বালানি কোষ কাকে বলে?

ক) যে কোষে তাপ শক্তি উৎপন্ন হয়

খ) যে কোষে রাসায়নিক শক্তিকে সরাসরি বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করা হয়

গ) যে কোষে বিদ্যুৎ শক্তি ব্যবহার করে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটানো হয়

ঘ) যে কোষে আলোক শক্তি ব্যবহার করা হয়

সঠিক উত্তর: খ) যে কোষে রাসায়নিক শক্তিকে সরাসরি বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করা হয়

ব্যাখ্যা: যে তড়িৎ রাসায়নিক কোষে কোনো জ্বালানির রাসায়নিক শক্তিকে সরাসরি বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করা যায় তাকে জ্বালানি কোষ বলে।

প্রশ্ন ১৫: হাইড্রোজেন ফুয়েল সেলে জ্বালানি হিসেবে কী ব্যবহার করা হয়?

ক) মিথেন গ্যাস

খ) অক্সিজেন গ্যাস

গ) হাইড্রোজেন গ্যাস

ঘ) প্রোপেন গ্যাস

সঠিক উত্তর: গ) হাইড্রোজেন গ্যাস

ব্যাখ্যা: হাইড্রোজেন ফুয়েল সেলে জ্বালানি হিসেবে হাইড্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন ১৬: হাইড্রোজেন ফুয়েল সেলের প্রধান উৎপাদ কী?

ক) কার্বন ডাইঅক্সাইড

খ) পানি

গ) তাপ

ঘ) বিদ্যুৎ

সঠিক উত্তর: খ) পানি

ব্যাখ্যা: হাইড্রোজেন ফুয়েল সেলে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের বিক্রিয়ার ফলে পানি এবং বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। এখানে পানি প্রধান উৎপাদ।

প্রশ্ন ১৭: তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় অ্যানোড প্রান্তে কী ঘটে?

ক) বিজারণ

খ) জারণ

গ) প্রশমন

ঘ) অধঃক্ষেপণ

সঠিক উত্তর: খ) জারণ

ব্যাখ্যা: তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় অ্যানোড প্রান্তে জারণ ঘটে।

প্রশ্ন ১৮: তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় ক্যাথোড প্রান্তে কী ঘটে?

ক) জারণ

খ) বিজারণ

গ) সংযোজন

ঘ) বিয়োজন

সঠিক উত্তর: খ) বিজারণ

ব্যাখ্যা: তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় ক্যাথোড প্রান্তে বিজারণ ঘটে।

প্রশ্ন ১৯: বিদ্যুৎ লেপন কাকে বলে?

ক) ধাতুর উপর রঙের প্রলেপ দেওয়া

খ) একটি কম সক্রিয় ধাতুর উপর অন্য একটি অধিক সক্রিয় ধাতুর প্রলেপ দেওয়া

গ) একটি অধিক সক্রিয় ধাতুর উপর অন্য একটি কম সক্রিয় ধাতুর তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদ্ধতিতে প্রলেপ দেওয়া

ঘ) অধাতুর উপর ধাতুর প্রলেপ দেওয়া

সঠিক উত্তর: গ) একটি অধিক সক্রিয় ধাতুর উপর অন্য একটি কম সক্রিয় ধাতুর তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদ্ধতিতে প্রলেপ দেওয়া

ব্যাখ্যা: একটি অপেক্ষাকৃত অধিক সক্রিয় ধাতুর তৈরি বস্তুর উপর অন্য একটি অপেক্ষাকৃত কম সক্রিয় ধাতুর প্রলেপ তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে দেওয়ার প্রক্রিয়াকে বিদ্যুৎ লেপন বা ইলেক্ট্রোপ্লেটিং বলে।

প্রশ্ন ২০: বিদ্যুৎ লেপনের উদ্দেশ্য কী?

ক) বস্তুর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা

খ) বস্তুকে মরিচা পড়া থেকে রক্ষা করা

গ) বস্তুর স্থায়িত্ব বৃদ্ধি করা

ঘ) সবগুলো

সঠিক উত্তর: ঘ) সবগুলো

ব্যাখ্যা: বিদ্যুৎ লেপনের মাধ্যমে বস্তুর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা যায়, মরিচা পড়া থেকে রক্ষা করে স্থায়িত্ব বৃদ্ধি করা যায় এবং উন্নত গুণাগুণ সম্পন্ন করা যায়।

প্রশ্ন ২১: তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ কী?

ক) যে পদার্থ বিদ্যুৎ পরিবহন করে না

খ) যে পদার্থ গলিত বা দ্রবীভূত অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবহন করে এবং রাসায়নিকভাবে পরিবর্তিত হয়

গ) যে পদার্থ কঠিন অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবহন করে

ঘ) যে পদার্থ গ্যাসীয় অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবহন করে

সঠিক উত্তর: খ) যে পদার্থ গলিত বা দ্রবীভূত অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবহন করে এবং রাসায়নিকভাবে পরিবর্তিত হয়

ব্যাখ্যা: যে সকল পদার্থ গলিত বা উপযুক্ত দ্রাবকে দ্রবীভূত অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবহন করে এবং একই সাথে রাসায়নিকভাবে পরিবর্তিত হয়, তাদেরকে তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ বলে।

প্রশ্ন ২২: কোনটি তীব্র তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ?

ক) বিশুদ্ধ পানি

খ) সোডিয়াম ক্লোরাইড দ্রবণ

গ) চিনি দ্রবণ

ঘ) অ্যালকোহল

সঠিক উত্তর: খ) সোডিয়াম ক্লোরাইড দ্রবণ

ব্যাখ্যা: সোডিয়াম ক্লোরাইড (খাবার লবণ) একটি তীব্র তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ। এটি পানিতে সম্পূর্ণরূপে আয়নিত হয়।

প্রশ্ন ২৩: কোনটি মৃদু তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ?

ক) সালফিউরিক এসিড

খ) সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড

গ) অ্যাসিটিক এসিড (ভিনেগার)

ঘ) নাইট্রিক এসিড

সঠিক উত্তর: গ) অ্যাসিটিক এসিড (ভিনেগার)

ব্যাখ্যা: অ্যাসিটিক এসিড একটি মৃদু তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ। এটি পানিতে আংশিকভাবে আয়নিত হয়।

প্রশ্ন ২৪: কোনটি অতড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ?

ক) হাইড্রোক্লোরিক এসিড

খ) সোডিয়াম ক্লোরাইড

গ) গ্লুকোজ

ঘ) পটাসিয়াম নাইট্রেট

সঠিক উত্তর: গ) গ্লুকোজ

ব্যাখ্যা: গ্লুকোজ পানিতে দ্রবীভূত হলেও আয়নিত হয় না, তাই এটি একটি অতড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ।

প্রশ্ন ২৫: তড়িৎ বিশ্লেষণের সময় বিদ্যুৎ শক্তি কীসে রূপান্তরিত হয়?

ক) তাপ শক্তিতে

খ) আলোক শক্তিতে

গ) রাসায়নিক শক্তিতে

ঘ) যান্ত্রিক শক্তিতে

সঠিক উত্তর: গ) রাসায়নিক শক্তিতে

ব্যাখ্যা: তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ শক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।

প্রশ্ন ২৬: গ্যালভানিক কোষে রাসায়নিক শক্তি কীসে রূপান্তরিত হয়?

ক) তাপ শক্তিতে

খ) বিদ্যুৎ শক্তিতে

গ) আলোক শক্তিতে

ঘ) যান্ত্রিক শক্তিতে

সঠিক উত্তর: খ) বিদ্যুৎ শক্তিতে

ব্যাখ্যা: গ্যালভানিক কোষে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে রাসায়নিক শক্তি বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।

প্রশ্ন ২৭: শুষ্ক কোষ কোন ধরনের কোষ?

ক) গ্যালভানিক কোষ

খ) তড়িৎ বিশ্লেষ্য কোষ

গ) জ্বালানি কোষ

ঘ) লেড-এসিড ব্যাটারি

সঠিক উত্তর: ক) গ্যালভানিক কোষ

ব্যাখ্যা: শুষ্ক কোষ একটি প্রাইমারি গ্যালভানিক কোষ।

প্রশ্ন ২৮: লেড-এসিড ব্যাটারি কোন ধরনের কোষ?

ক) প্রাইমারি কোষ

খ) সেকেন্ডারি কোষ

গ) জ্বালানি কোষ

ঘ) শুষ্ক কোষ

সঠিক উত্তর: খ) সেকেন্ডারি কোষ

ব্যাখ্যা: লেড-এসিড ব্যাটারি একটি সেকেন্ডারি কোষ, যা রিচার্জ করা যায়।

প্রশ্ন ২৯: বিদ্যুৎ লেপনের জন্য যে বস্তুর উপর প্রলেপ দেওয়া হবে তাকে তড়িৎ বিশ্লেষ্য কোষের কোন প্রান্তে যুক্ত করতে হয়?

ক) অ্যানোড প্রান্তে

খ) ক্যাথোড প্রান্তে

গ) লবণ সেতুর সাথে

ঘ) উভয় প্রান্তে

সঠিক উত্তর: খ) ক্যাথোড প্রান্তে

ব্যাখ্যা: বিদ্যুৎ লেপনের জন্য যে বস্তুর উপর প্রলেপ দেওয়া হবে তাকে তড়িৎ বিশ্লেষ্য কোষের ক্যাথোড প্রান্তে যুক্ত করতে হয়। ক্যাথোড ঋণাত্মক হওয়ায় এটি ধনাত্মক আয়নকে আকর্ষণ করে এবং ধাতু জমা হয়।

প্রশ্ন ৩০: বিদ্যুৎ লেপনের জন্য যে ধাতুর প্রলেপ দেওয়া হবে তাকে তড়িৎ বিশ্লেষ্য কোষের কোন প্রান্তে যুক্ত করতে হয়?

ক) অ্যানোড প্রান্তে

খ) ক্যাথোড প্রান্তে

গ) লবণ সেতুর সাথে

ঘ) উভয় প্রান্তে

সঠিক উত্তর: ক) অ্যানোড প্রান্তে

ব্যাখ্যা: বিদ্যুৎ লেপনের জন্য যে ধাতুর প্রলেপ দেওয়া হবে তাকে তড়িৎ বিশ্লেষ্য কোষের অ্যানোড প্রান্তে যুক্ত করতে হয়। অ্যানোড থেকে ধাতু আয়ন হিসেবে দ্রবণে আসে।