SSC রসায়ন
পঞ্চম অধ্যায়: রাসায়নিক বন্ধন
প্রশ্ন ১: পরমাণুসমূহ নিজেদের মধ্যে ইলেকট্রন আদান-প্রদান বা ভাগাভাগি করে কেন?
ক) নতুন পদার্থ তৈরির জন্য
খ) স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য
গ) শক্তি নির্গমনের জন্য
ঘ) আকার পরিবর্তনের জন্য
সঠিক উত্তর: খ) স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য
ব্যাখ্যা: প্রত্যেক মৌলের পরমাণুরই প্রবণতা থাকে তার নিকটতম নিষ্ক্রিয় গ্যাসের ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করে স্থিতিশীলতা অর্জন করার। এই স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য পরমাণুসমূহ নিজেদের মধ্যে ইলেকট্রন আদান-প্রদান বা শেয়ার করে রাসায়নিক বন্ধন গঠন করে।
প্রশ্ন ২: অণু বা যৌগে পরমাণুসমূহ যে শক্তি দ্বারা পরস্পর যুক্ত থাকে তাকে কী বলে?
ক) আন্তঃকণা আকর্ষণ শক্তি
খ) ভ্যান্ডার ওয়ালস আকর্ষণ শক্তি
গ) রাসায়নিক বন্ধন
ঘ) হাইড্রোজেন বন্ধন
সঠিক উত্তর: গ) রাসায়নিক বন্ধন
ব্যাখ্যা: অণু বা যৌগে পরমাণুসমূহ যে শক্তি দ্বারা পরস্পর যুক্ত থাকে তাকে রাসায়নিক বন্ধন বলে।
প্রশ্ন ৩: পরমাণু ইলেকট্রন দান বা গ্রহণ করে আয়নে পরিণত হয় কেন?
ক) পারমাণবিক সংখ্যা পরিবর্তনের জন্য
খ) ভর সংখ্যা পরিবর্তনের জন্য
গ) স্থিতিশীল ইলেকট্রন বিন্যাস লাভের জন্য
ঘ) নতুন মৌলে পরিণত হওয়ার জন্য
সঠিক উত্তর: গ) স্থিতিশীল ইলেকট্রন বিন্যাস লাভের জন্য
ব্যাখ্যা: পরমাণুসমূহ তাদের নিকটতম নিষ্ক্রিয় গ্যাসের স্থিতিশীল ইলেকট্রন বিন্যাস লাভের জন্য ইলেকট্রন দান বা গ্রহণ করে চার্জযুক্ত কণায় বা আয়নে পরিণত হয়।
প্রশ্ন ৪: ধনাত্মক চার্জযুক্ত আয়নকে কী বলে?
ক) অ্যানায়ন
খ) ক্যাটায়ন
গ) মূলক
ঘ) যোজ্যতা
সঠিক উত্তর: খ) ক্যাটায়ন
ব্যাখ্যা: ইলেকট্রন ত্যাগের মাধ্যমে সৃষ্ট ধনাত্মক চার্জযুক্ত আয়নকে ক্যাটায়ন বলে।
প্রশ্ন ৫: ঋণাত্মক চার্জযুক্ত আয়নকে কী বলে?
ক) অ্যানায়ন
খ) ক্যাটায়ন
গ) মূলক
ঘ) যোজ্যতা
সঠিক উত্তর: ক) অ্যানায়ন
ব্যাখ্যা: ইলেকট্রন গ্রহণের মাধ্যমে সৃষ্ট ঋণাত্মক চার্জযুক্ত আয়নকে অ্যানায়ন বলে।
প্রশ্ন ৬: আয়নিক বন্ধন গঠনের জন্য সাধারণত কোন ধরনের মৌল প্রয়োজন?
ক) দুটি অধাতব মৌল
খ) দুটি ধাতব মৌল
গ) একটি ধাতব ও একটি অধাতব মৌল
ঘ) দুটি নিষ্ক্রিয় গ্যাস
সঠিক উত্তর: গ) একটি ধাতব ও একটি অধাতব মৌল
ব্যাখ্যা: আয়নিক বন্ধন সাধারণত একটি ধাতব পরমাণু এবং একটি অধাতব পরমাণুর মধ্যে গঠিত হয়, যেখানে ধাতু ইলেকট্রন দান করে এবং অধাতু ইলেকট্রন গ্রহণ করে।
প্রশ্ন ৭: সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) এ কোন ধরনের বন্ধন বিদ্যমান?
ক) সমযোজী বন্ধন
খ) আয়নিক বন্ধন
গ) ধাতব বন্ধন
ঘ) হাইড্রোজেন বন্ধন
সঠিক উত্তর: খ) আয়নিক বন্ধন
ব্যাখ্যা: সোডিয়াম (ধাতু) এবং ক্লোরিন (অধাতু) এর মধ্যে ইলেকট্রন আদান-প্রদানের মাধ্যমে সোডিয়াম ক্লোরাইডে আয়নিক বন্ধন গঠিত হয়।
প্রশ্ন ৮: সমযোজী বন্ধন গঠনের জন্য সাধারণত কোন ধরনের মৌল প্রয়োজন?
ক) দুটি অধাতব মৌল
খ) দুটি ধাতব মৌল
গ) একটি ধাতব ও একটি অধাতব মৌল
ঘ) একটি নিষ্ক্রিয় গ্যাস ও একটি ধাতু
সঠিক উত্তর: ক) দুটি অধাতব মৌল
ব্যাখ্যা: সমযোজী বন্ধন সাধারণত দুটি অধাতব পরমাণুর মধ্যে ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে গঠিত হয়।
প্রশ্ন ৯: পানি (H$_2$O) অণুতে কোন ধরনের বন্ধন বিদ্যমান?
ক) আয়নিক বন্ধন
খ) সমযোজী বন্ধন
গ) ধাতব বন্ধন
ঘ) হাইড্রোজেন বন্ধন
সঠিক উত্তর: খ) সমযোজী বন্ধন
ব্যাখ্যা: পানি অণুতে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন (উভয়ই অধাতু) পরমাণু ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে সমযোজী বন্ধন গঠন করে।
প্রশ্ন ১০: দ্বি-বন্ধন কাকে বলে?
ক) দুটি পরমাণুর মধ্যে এক জোড়া ইলেকট্রন শেয়ার হলে
খ) দুটি পরমাণুর মধ্যে দুই জোড়া ইলেকট্রন শেয়ার হলে
গ) দুটি পরমাণুর মধ্যে তিন জোড়া ইলেকট্রন শেয়ার হলে
ঘ) দুটি পরমাণুর মধ্যে ইলেকট্রন আদান-প্রদান হলে
সঠিক উত্তর: খ) দুটি পরমাণুর মধ্যে দুই জোড়া ইলেকট্রন শেয়ার হলে
ব্যাখ্যা: যখন দুটি পরমাণু তাদের সর্বশেষ শক্তিস্তর থেকে দুইটি করে মোট চার বা দুই জোড়া ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে যে সমযোজী বন্ধন গঠন করে তাকে দ্বি-বন্ধন বলে। উদাহরণ: অক্সিজেন অণু (O$_2$)।
প্রশ্ন ১১: ত্রি-বন্ধন কাকে বলে?
ক) দুটি পরমাণুর মধ্যে এক জোড়া ইলেকট্রন শেয়ার হলে
খ) দুটি পরমাণুর মধ্যে দুই জোড়া ইলেকট্রন শেয়ার হলে
গ) দুটি পরমাণুর মধ্যে তিন জোড়া ইলেকট্রন শেয়ার হলে
ঘ) দুটি পরমাণুর মধ্যে ইলেকট্রন আদান-প্রদান হলে
সঠিক উত্তর: গ) দুটি পরমাণুর মধ্যে তিন জোড়া ইলেকট্রন শেয়ার হলে
ব্যাখ্যা: যখন দুটি পরমাণু তাদের সর্বশেষ শক্তিস্তর থেকে তিনটি করে মোট ছয় বা তিন জোড়া ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে যে সমযোজী বন্ধন গঠন করে তাকে ত্রি-বন্ধন বলে। উদাহরণ: নাইট্রোজেন অণু (N$_2$)।
প্রশ্ন ১২: যোজ্যতা কী?
ক) পরমাণুর ইলেকট্রন সংখ্যা
খ) পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা
গ) কোনো মৌলের একটি পরমাণু অন্য একটি মৌলের পরমাণুর সাথে যুক্ত হওয়ার ক্ষমতা
ঘ) পরমাণুর ভর সংখ্যা
সঠিক উত্তর: গ) কোনো মৌলের একটি পরমাণু অন্য একটি মৌলের পরমাণুর সাথে যুক্ত হওয়ার ক্ষমতা
ব্যাখ্যা: কোনো মৌলের একটি পরমাণু অন্য একটি মৌলের পরমাণুর সাথে যুক্ত হওয়ার যে ক্ষমতা রাখে তাকে ঐ মৌলের যোজ্যতা বলে।
প্রশ্ন ১৩: সোডিয়ামের (Na) যোজ্যতা কত?
ক) ১
খ) ২
গ) ৩
ঘ) ৪
সঠিক উত্তর: ক) ১
ব্যাখ্যা: সোডিয়াম পরমাণু স্থিতিশীলতা লাভের জন্য ১টি ইলেকট্রন ত্যাগ করে, তাই এর যোজ্যতা ১।
প্রশ্ন ১৪: অক্সিজেনের (O) যোজ্যতা কত?
ক) ১
খ) ২
গ) ৩
ঘ) ৪
সঠিক উত্তর: খ) ২
ব্যাখ্যা: অক্সিজেন পরমাণু স্থিতিশীলতা লাভের জন্য ২টি ইলেকট্রন গ্রহণ বা শেয়ার করে, তাই এর যোজ্যতা ২।
প্রশ্ন ১৫: কার্বনের (C) যোজ্যতা কত?
ক) ১
খ) ২
গ) ৩
ঘ) ৪
সঠিক উত্তর: ঘ) ৪
ব্যাখ্যা: কার্বন পরমাণু স্থিতিশীলতা লাভের জন্য ৪টি ইলেকট্রন শেয়ার করে, তাই এর যোজ্যতা ৪।
প্রশ্ন ১৬: পরিবর্তনশীল যোজ্যতা কাকে বলে?
ক) কোনো মৌলের একটি নির্দিষ্ট যোজ্যতা থাকা
খ) কোনো মৌলের একাধিক যোজ্যতা থাকা
গ) মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা পরিবর্তন হওয়া
ঘ) মৌলের ভর সংখ্যা পরিবর্তন হওয়া
সঠিক উত্তর: খ) কোনো মৌলের একাধিক যোজ্যতা থাকা
ব্যাখ্যা: কোনো কোনো মৌলের একাধিক যোজ্যতা থাকতে পারে, একে পরিবর্তনশীল যোজ্যতা বলে।
প্রশ্ন ১৭: সালফারের (S) পরিবর্তনশীল যোজ্যতাগুলো কী কী?
ক) ১ ও ২
খ) ২ ও ৩
গ) ২, ৪ ও ৬
ঘ) ১, ৩ ও ৫
সঠিক উত্তর: গ) ২, ৪ ও ৬
ব্যাখ্যা: সালফারের পরিবর্তনশীল যোজ্যতা হলো ২, ৪ এবং ৬।
প্রশ্ন ১৮: ফেরাস ক্লোরাইড (FeCl2) এ আয়রনের (Fe) যোজ্যতা কত?
ক) ১
খ) ২
গ) ৩
ঘ) ৪
সঠিক উত্তর: খ) ২
ব্যাখ্যা: FeCl2 যৌগে ক্লোরিনের যোজ্যতা ১। যেহেতু ক্লোরিন পরমাণু ২টি আছে, তাই আয়রনের যোজ্যতা হবে ২।
প্রশ্ন ১৯: ফেরিক ক্লোরাইড (FeCl3) এ আয়রনের (Fe) যোজ্যতা কত?
ক) ১
খ) ২
গ) ৩
ঘ) ৪
সঠিক উত্তর: গ) ৩
ব্যাখ্যা: FeCl3 যৌগে ক্লোরিনের যোজ্যতা ১। যেহেতু ক্লোরিন পরমাণু ৩টি আছে, তাই আয়রনের যোজ্যতা হবে ৩।
প্রশ্ন ২০: সুপ্ত যোজ্যতা কাকে বলে?
ক) কোনো মৌলের সর্বোচ্চ যোজ্যতা
খ) কোনো যৌগে কোনো মৌলের কার্যকরী যোজ্যতা
গ) কোনো মৌলের সর্বোচ্চ যোজ্যতা ও কার্যকরী যোজ্যতার পার্থক্য
ঘ) কোনো মৌলের সর্বনিম্ন যোজ্যতা
সঠিক উত্তর: গ) কোনো মৌলের সর্বোচ্চ যোজ্যতা ও কার্যকরী যোজ্যতার পার্থক্য
ব্যাখ্যা: কোনো মৌলের সর্বোচ্চ যোজ্যতা এবং ঐ যৌগে ঐ মৌলের কার্যকরী যোজ্যতার পার্থক্যকে সুপ্ত যোজ্যতা বলে।
প্রশ্ন ২১: FeCl3 যৌগে আয়রনের সুপ্ত যোজ্যতা কত? (আয়রনের সর্বোচ্চ যোজ্যতা ৩)
ক) ০
খ) ১
গ) ২
ঘ) ৩
সঠিক উত্তর: ক) ০
ব্যাখ্যা: FeCl3 যৌগে আয়রনের কার্যকরী যোজ্যতা ৩ এবং আয়রনের সর্বোচ্চ যোজ্যতাও ৩। তাই সুপ্ত যোজ্যতা = সর্বোচ্চ যোজ্যতা – কার্যকরী যোজ্যতা = ৩ – ৩ = ০।
প্রশ্ন ২২: FeCl2 যৌগে আয়রনের সুপ্ত যোজ্যতা কত? (আয়রনের সর্বোচ্চ যোজ্যতা ৩)
ক) ০
খ) ১
গ) ২
ঘ) ৩
সঠিক উত্তর: খ) ১
ব্যাখ্যা: FeCl2 যৌগে আয়রনের কার্যকরী যোজ্যতা ২ এবং আয়রনের সর্বোচ্চ যোজ্যতা ৩। তাই সুপ্ত যোজ্যতা = সর্বোচ্চ যোজ্যতা – কার্যকরী যোজ্যতা = ৩ – ২ = ১।
প্রশ্ন ২৩: মূলক কী?
ক) একাধিক পরমাণুর সমষ্টি যা একটি পরমাণু গুচ্ছ হিসেবে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে
খ) শুধুমাত্র একটি পরমাণু যা রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে
গ) একটি অণু যা রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে না
ঘ) একটি যৌগ যা রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে
সঠিক উত্তর: ক) একাধিক পরমাণুর সমষ্টি যা একটি পরমাণু গুচ্ছ হিসেবে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে
ব্যাখ্যা: একাধিক পরমাণু একত্রে মিলিত হয়ে একটি পরমাণু গুচ্ছ তৈরি করে এবং এটি একটি পরমাণুর ন্যায় আচরণ করে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। এই পরমাণু গুচ্ছকে মূলক বলে।
প্রশ্ন ২৪: কোনটি একটি ধনাত্মক মূলক?
ক) সালফেট (SO42−)
খ) নাইট্রেট (NO3−)
গ) অ্যামোনিয়াম (NH4+)
ঘ) কার্বনেট (CO32−)
সঠিক উত্তর: গ) অ্যামোনিয়াম (NH4+)
ব্যাখ্যা: অ্যামোনিয়াম (NH4+) একটি ধনাত্মক চার্জযুক্ত মূলক।
প্রশ্ন ২৫: কোনটি একটি ঋণাত্মক মূলক?
ক) অ্যামোনিয়াম (NH4+)
খ) ফসফোনিয়াম (PH4+)
গ) হাইড্রোক্সাইড (OH−)
ঘ) সবগুলো
সঠিক উত্তর: গ) হাইড্রোক্সাইড (OH−)
ব্যাখ্যা: হাইড্রোক্সাইড (OH−) একটি ঋণাত্মক চার্জযুক্ত মূলক।
প্রশ্ন ২৬: যৌগমূলকের যোজ্যতা কাকে বলে?
ক) মূলকের মোট পরমাণু সংখ্যা
খ) মূলকের মোট প্রোটন সংখ্যা
গ) মূলকের মোট ইলেকট্রন সংখ্যা
ঘ) মূলকের চার্জ সংখ্যা
সঠিক উত্তর: ঘ) মূলকের চার্জ সংখ্যা
ব্যাখ্যা: কোনো যৌগমূলকের চার্জ সংখ্যাই হলো ঐ যৌগমূলকের যোজ্যতা।
প্রশ্ন ২৭: সালফেট মূলকের (SO42−) যোজ্যতা কত?
ক) ১
খ) ২
গ) ৩
ঘ) ৪
সঠিক উত্তর: খ) ২
ব্যাখ্যা: সালফেট মূলকের চার্জ সংখ্যা ২, তাই এর যোজ্যতা ২।
প্রশ্ন ২৮: নাইট্রেট মূলকের (NO3−) যোজ্যতা কত?
ক) ১
খ) ২
গ) ৩
ঘ) ৪
সঠিক উত্তর: ক) ১
ব্যাখ্যা: নাইট্রেট মূলকের চার্জ সংখ্যা ১, তাই এর যোজ্যতা ১।
প্রশ্ন ২৯: অ্যামোনিয়াম মূলকের (NH4+) যোজ্যতা কত?
ক) ১
খ) ২
গ) ৩
ঘ) ৪
সঠিক উত্তর: ক) ১
ব্যাখ্যা: অ্যামোনিয়াম মূলকের চার্জ সংখ্যা ১, তাই এর যোজ্যতা ১।
প্রশ্ন ৩০: কার্বনেট মূলকের (CO32−) যোজ্যতা কত?
ক) ১
খ) ২
গ) ৩
ঘ) ৪
সঠিক উত্তর: খ) ২
ব্যাখ্যা: কার্বনেট মূলকের চার্জ সংখ্যা ২, তাই এর যোজ্যতা ২।
প্রশ্ন ৩১: ডুপ্লেট নিয়ম কী?
ক) পরমাণুর সর্বশেষ শক্তিস্তরে ১টি ইলেকট্রন থাকার প্রবণতা
খ) পরমাণুর সর্বশেষ শক্তিস্তরে ২টি ইলেকট্রন থাকার প্রবণতা
গ) পরমাণুর সর্বশেষ শক্তিস্তরে ৪টি ইলেকট্রন থাকার প্রবণতা
ঘ) পরমাণুর সর্বশেষ শক্তিস্তরে ৮টি ইলেকট্রন থাকার প্রবণতা
সঠিক উত্তর: খ) পরমাণুর সর্বশেষ শক্তিস্তরে ২টি ইলেকট্রন থাকার প্রবণতা
ব্যাখ্যা: হিলিয়ামের মতো ইলেকট্রন বিন্যাস অর্জনের জন্য কোনো কোনো পরমাণুর সর্বশেষ শক্তিস্তরে ২টি ইলেকট্রন রাখার যে প্রবণতা, তাকে ডুপ্লেট নিয়ম বলে।
প্রশ্ন ৩২: অষ্টক নিয়ম কী?
ক) পরমাণুর সর্বশেষ শক্তিস্তরে ১টি ইলেকট্রন থাকার প্রবণতা
খ) পরমাণুর সর্বশেষ শক্তিস্তরে ২টি ইলেকট্রন থাকার প্রবণতা
গ) পরমাণুর সর্বশেষ শক্তিস্তরে ৪টি ইলেকট্রন থাকার প্রবণতা
ঘ) পরমাণুর সর্বশেষ শক্তিস্তরে ৮টি ইলেকট্রন থাকার প্রবণতা
সঠিক উত্তর: ঘ) পরমাণুর সর্বশেষ শক্তিস্তরে ৮টি ইলেকট্রন থাকার প্রবণতা
ব্যাখ্যা: নিষ্ক্রিয় গ্যাসসমূহের (হিলিয়াম ব্যতীত) মতো সর্বশেষ শক্তিস্তরে ৮টি ইলেকট্রন বিন্যাস অর্জনের জন্য পরমাণুসমূহের ইলেকট্রন গ্রহণ, বর্জন বা শেয়ার করার যে প্রবণতা, তাকে অষ্টক নিয়ম বলে।
প্রশ্ন ৩৩: কোন বন্ধনে ইলেকট্রন আদান-প্রদান ঘটে?
ক) সমযোজী বন্ধন
খ) আয়নিক বন্ধন
গ) ধাতব বন্ধন
ঘ) হাইড্রোজেন বন্ধন
সঠিক উত্তর: খ) আয়নিক বন্ধন
ব্যাখ্যা: আয়নিক বন্ধনে ধাতু পরমাণু ইলেকট্রন ত্যাগ করে এবং অধাতু পরমাণু সেই ইলেকট্রন গ্রহণ করে আয়ন গঠন করে, অর্থাৎ ইলেকট্রন আদান-প্রদান ঘটে।
প্রশ্ন ৩৪: কোন বন্ধনে ইলেকট্রন শেয়ার ঘটে?
ক) আয়নিক বন্ধন
খ) সমযোজী বন্ধন
গ) ধাতব বন্ধন
ঘ) হাইড্রোজেন বন্ধন
সঠিক উত্তর: খ) সমযোজী বন্ধন
ব্যাখ্যা: সমযোজী বন্ধনে দুটি অধাতব পরমাণু তাদের সর্বশেষ শক্তিস্তরের ইলেকট্রন শেয়ার করে বন্ধন গঠন করে।
প্রশ্ন ৩৫: ধাতব বন্ধন কী?
ক) দুটি অধাতব পরমাণুর মধ্যেকার বন্ধন
খ) দুটি ধাতব পরমাণুর মধ্যেকার বন্ধন
গ) একটি ধাতু ও একটি অধাতু পরমাণুর মধ্যেকার বন্ধন
ঘ) নিষ্ক্রিয় গ্যাসের মধ্যেকার বন্ধন
সঠিক উত্তর: খ) দুটি ধাতব পরমাণুর মধ্যেকার বন্ধন
ব্যাখ্যা: ধাতব কেলাসে ধাতব আয়নসমূহ এবং তাদের মুক্ত ইলেকট্রনসমূহের মধ্যে যে আকর্ষণ শক্তি বিদ্যমান, তাকে ধাতব বন্ধন বলে। এটি মূলত ধাতব পরমাণুগুলোর মধ্যেকার বন্ধন।
প্রশ্ন ৩৬: পোলার সমযোজী বন্ধন কাকে বলে?
ক) দুটি সমধর্মী পরমাণুর মধ্যে সমযোজী বন্ধন
খ) দুটি ভিন্নধর্মী পরমাণুর মধ্যে সমযোজী বন্ধন যেখানে ইলেকট্রন শেয়ার অসমান হয়
গ) ইলেকট্রন আদান-প্রদানের মাধ্যমে গঠিত বন্ধন
ঘ) ধাতব পরমাণুর মধ্যে গঠিত বন্ধন
সঠিক উত্তর: খ) দুটি ভিন্নধর্মী পরমাণুর মধ্যে সমযোজী বন্ধন যেখানে ইলেকট্রন শেয়ার অসমান হয়
ব্যাখ্যা: দুটি ভিন্ন পরমাণুর মধ্যে সমযোজী বন্ধন গঠিত হলে যদি শেয়ারকৃত ইলেকট্রন যুগল কোনো একটি পরমাণুর দিকে বেশি আকৃষ্ট হয়, তবে সেই বন্ধনকে পোলার সমযোজী বন্ধন বলে।
প্রশ্ন ৩৭: অপোলার সমযোজী বন্ধন কাকে বলে?
ক) দুটি ভিন্নধর্মী পরমাণুর মধ্যে সমযোজী বন্ধন
খ) দুটি সমধর্মী পরমাণুর মধ্যে সমযোজী বন্ধন যেখানে ইলেকট্রন শেয়ার সমান হয়
গ) ইলেকট্রন আদান-প্রদানের মাধ্যমে গঠিত বন্ধন
ঘ) আয়নিক বন্ধনের একটি প্রকারভেদ
সঠিক উত্তর: খ) দুটি সমধর্মী পরমাণুর মধ্যে সমযোজী বন্ধন যেখানে ইলেকট্রন শেয়ার সমান হয়
ব্যাখ্যা: দুটি সমধর্মী পরমাণুর মধ্যে সমযোজী বন্ধন গঠিত হলে শেয়ারকৃত ইলেকট্রন যুগল পরমাণু দুইটির ঠিক মাঝে অবস্থান করে, অর্থাৎ ইলেকট্রন শেয়ার সমান হয়। এই বন্ধনকে অপোলার সমযোজী বন্ধন বলে।
প্রশ্ন ৩৮: পানির অণুতে কোন ধরনের সমযোজী বন্ধন বিদ্যমান?
ক) অপোলার সমযোজী বন্ধন
খ) পোলার সমযোজী বন্ধন
গ) বিশুদ্ধ সমযোজী বন্ধন
ঘ) দ্বি-বন্ধন
সঠিক উত্তর: খ) পোলার সমযোজী বন্ধন
ব্যাখ্যা: পানির অণুতে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন পরমাণুর মধ্যে সমযোজী বন্ধন বিদ্যমান। অক্সিজেনের তড়িৎ ঋণাত্মকতা হাইড্রোজেনের চেয়ে বেশি হওয়ায় শেয়ারকৃত ইলেকট্রন অক্সিজেনের দিকে কিছুটা ঝুঁকে থাকে, ফলে এটি একটি পোলার সমযোজী বন্ধন।
প্রশ্ন ৩৯: ইলেকট্রন বিন্যাস ২, ৮, ৮ কোন নিষ্ক্রিয় গ্যাসের?
ক) হিলিয়াম
খ) নিয়ন
গ) আর্গন
ঘ) ক্রিপ্টন
সঠিক উত্তর: গ) আর্গন
ব্যাখ্যা: যার পারমাণবিক সংখ্যা ২+৮+৮=১৮, সেই মৌলটি হলো আর্গন, যা একটি নিষ্ক্রিয় গ্যাস।
প্রশ্ন ৪০: ইলেকট্রন বিন্যাস ২, ২ কোন মৌলের?
ক) লিথিয়াম
খ) বেরিলিয়াম
গ) বোরন
ঘ) কার্বন
সঠিক উত্তর: খ) বেরিলিয়াম
ব্যাখ্যা: যার পারমাণবিক সংখ্যা ২+২=৪, সেই মৌলটি হলো বেরিলিয়াম।