SSC রসায়ন
সপ্তম অধ্যায়: রাসায়নিক বিক্রিয়া
প্রশ্ন ১: রাসায়নিক বিক্রিয়া কী?
ক) পদার্থের ভৌত অবস্থার পরিবর্তন
খ) এক বা একাধিক পদার্থ পরিবর্তিত হয়ে সম্পূর্ণ নতুন ধর্মবিশিষ্ট এক বা একাধিক পদার্থে রূপান্তরিত হওয়ার প্রক্রিয়া
গ) পদার্থের আকার বা আয়তনের পরিবর্তন
ঘ) পদার্থের শুধু ভরের পরিবর্তন
সঠিক উত্তর: খ) এক বা একাধিক পদার্থ পরিবর্তিত হয়ে সম্পূর্ণ নতুন ধর্মবিশিষ্ট এক বা একাধিক পদার্থে রূপান্তরিত হওয়ার প্রক্রিয়া
ব্যাখ্যা: যে প্রক্রিয়ায় এক বা একাধিক বস্তু বা পদার্থ পরিবর্তিত হয়ে সম্পূর্ণ নতুন ধর্মবিশিষ্ট এক বা একাধিক নতুন পদার্থে রূপান্তরিত হয় তাকে রাসায়নিক বিক্রিয়া বলে।
প্রশ্ন ২: রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী পদার্থগুলোকে কী বলা হয়?
ক) উৎপাদ
খ) বিক্রিয়ক
গ) অনুঘটক
ঘ) দ্রাবক
সঠিক উত্তর: খ) বিক্রিয়ক
ব্যাখ্যা: রাসায়নিক বিক্রিয়ায় যে সকল পদার্থ অংশগ্রহণ করে তাদেরকে বিক্রিয়ক বলে।
প্রশ্ন ৩: রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে সৃষ্ট নতুন পদার্থগুলোকে কী বলা হয়?
ক) বিক্রিয়ক
খ) উৎপাদ
গ) দ্রাব
ঘ) দ্রাবক
সঠিক উত্তর: খ) উৎপাদ
ব্যাখ্যা: রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে যে সকল নতুন পদার্থ উৎপন্ন হয় তাদেরকে উৎপাদ বলে।
প্রশ্ন ৪: যে বিক্রিয়ায় একাধিক পদার্থ যুক্ত হয়ে একটি নতুন পদার্থ তৈরি করে তাকে কী বলে?
ক) বিয়োজন বিক্রিয়া
খ) সংযোজন বিক্রিয়া
গ) প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া
ঘ) দহন বিক্রিয়া
সঠিক উত্তর: খ) সংযোজন বিক্রিয়া
ব্যাখ্যা: যে বিক্রিয়ায় একাধিক পদার্থ যুক্ত হয়ে একটি নতুন পদার্থ তৈরি করে তাকে সংযোজন বিক্রিয়া বলে।
প্রশ্ন ৫: যে বিক্রিয়ায় একটি যৌগ ভেঙে একাধিক সরল পদার্থে পরিণত হয় তাকে কী বলে?
ক) সংযোজন বিক্রিয়া
খ) বিয়োজন বিক্রিয়া
গ) প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া
ঘ) দহন বিক্রিয়া
সঠিক উত্তর: খ) বিয়োজন বিক্রিয়া
ব্যাখ্যা: যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় একটি যৌগ ভেঙে একাধিক সরল পদার্থে পরিণত হয় তাকে বিয়োজন বিক্রিয়া বলে।
প্রশ্ন ৬: যে বিক্রিয়ায় কোনো যৌগ থেকে একটি মৌল বা মূলককে অন্য কোনো মৌল বা মূলক দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয় তাকে কী বলে?
ক) সংযোজন বিক্রিয়া
খ) বিয়োজন বিক্রিয়া
গ) প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া
ঘ) দহন বিক্রিয়া
সঠিক উত্তর: গ) প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া
ব্যাখ্যা: যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোনো যৌগ থেকে একটি মৌল বা মূলককে অন্য কোনো মৌল বা মূলক দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয় তাকে প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া বলে।
প্রশ্ন ৭: দহন বিক্রিয়া কী?
ক) কোনো পদার্থের পানিতে দ্রবীভূত হওয়া
খ) কোনো পদার্থের অক্সিজেনের সাথে দ্রুত বিক্রিয়া করে তাপ ও আলো উৎপন্ন করা
গ) এসিড ও ক্ষারকের বিক্রিয়া
ঘ) দুটি যৌগের মধ্যে আয়নের বিনিময়
সঠিক উত্তর: খ) কোনো পদার্থের অক্সিজেনের সাথে দ্রুত বিক্রিয়া করে তাপ ও আলো উৎপন্ন করা
ব্যাখ্যা: কোনো পদার্থের অক্সিজেনের সাথে দ্রুত বিক্রিয়া করে তাপ ও আলো উৎপন্ন করার প্রক্রিয়াকে দহন বিক্রিয়া বলে।
প্রশ্ন ৮: এসিড ও ক্ষারকের বিক্রিয়ায় লবণ ও পানি উৎপন্ন হওয়াকে কী বলে?
ক) দহন বিক্রিয়া
খ) জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া
গ) প্রশমন বিক্রিয়া
ঘ) অধঃক্ষেপণ বিক্রিয়া
সঠিক উত্তর: গ) প্রশমন বিক্রিয়া
ব্যাখ্যা: এসিড ও ক্ষারকের বিক্রিয়ায় লবণ ও পানি উৎপন্ন হওয়াকে প্রশমন বিক্রিয়া বলে।
প্রশ্ন ৯: যে বিক্রিয়ায় দুটি যৌগ তাদের আয়নসমূহকে বিনিময় করে নতুন যৌগ গঠন করে তাকে কী বলে?
ক) সংযোজন বিক্রিয়া
খ) বিয়োজন বিক্রিয়া
গ) প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া
ঘ) দ্বৈত প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া বা বিনিময় বিক্রিয়া
সঠিক উত্তর: ঘ) দ্বৈত প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া বা বিনিময় বিক্রিয়া
ব্যাখ্যা: যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় দুটি যৌগ তাদের আয়নসমূহকে বিনিময় করে নতুন দুটি যৌগ গঠন করে তাকে দ্বৈত প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া বা বিনিময় বিক্রিয়া বলে।
প্রশ্ন ১০: অধঃক্ষেপণ বিক্রিয়া কী?
ক) যে বিক্রিয়ায় গ্যাস উৎপন্ন হয়
খ) যে বিক্রিয়ায় কঠিন পদার্থ দ্রবণ থেকে থিতিয়ে পড়ে
গ) যে বিক্রিয়ায় তাপ উৎপন্ন হয়
ঘ) যে বিক্রিয়ায় তাপ শোষিত হয়
সঠিক উত্তর: খ) যে বিক্রিয়ায় কঠিন পদার্থ দ্রবণ থেকে থিতিয়ে পড়ে
ব্যাখ্যা: যখন দুটি ভিন্ন রাসায়নিক পদার্থকে মিশ্রিত করা হয় তখন যদি কঠিন পদার্থ দ্রবণ থেকে থিতিয়ে পড়ে তবে তাকে অধঃক্ষেপণ বিক্রিয়া বলে।
প্রশ্ন ১১: জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া কাকে বলে?
ক) যে বিক্রিয়ায় শুধুমাত্র জারণ ঘটে
খ) যে বিক্রিয়ায় শুধুমাত্র বিজারণ ঘটে
গ) যে বিক্রিয়ায় একই সাথে জারণ ও বিজারণ ঘটে
ঘ) যে বিক্রিয়ায় তাপ উৎপন্ন হয়
সঠিক উত্তর: গ) যে বিক্রিয়ায় একই সাথে জারণ ও বিজারণ ঘটে
ব্যাখ্যা: যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় একই সাথে জারণ ও বিজারণ ঘটে তাকে জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া বলে।
প্রশ্ন ১২: জারণ সংখ্যার বৃদ্ধি কী নির্দেশ করে?
ক) বিজারণ
খ) জারণ
গ) প্রশমন
ঘ) অধঃক্ষেপণ
সঠিক উত্তর: খ) জারণ
ব্যাখ্যা: কোনো পরমাণু বা আয়নের জারণ সংখ্যার বৃদ্ধি ঘটলে বুঝতে হবে তার জারণ হয়েছে।
প্রশ্ন ১৩: জারণ সংখ্যার হ্রাস কী নির্দেশ করে?
ক) জারণ
খ) বিজারণ
গ) সংযোজন
ঘ) বিয়োজন
সঠিক উত্তর: খ) বিজারণ
ব্যাখ্যা: কোনো পরমাণু বা আয়নের জারণ সংখ্যার হ্রাস ঘটলে বুঝতে হবে তার বিজারণ হয়েছে।
প্রশ্ন ১৪: বিক্রিয়ার হার কাকে বলে?
ক) প্রতি সেকেন্ডে বিক্রিয়কের ভরের পরিবর্তন
খ) প্রতি একক সময়ে বিক্রিয়ক বা উৎপাদের ঘনমাত্রার পরিবর্তন
গ) বিক্রিয়ার শুরুতে বিক্রিয়কের ঘনমাত্রা
ঘ) বিক্রিয়ার শেষে উৎপাদের ঘনমাত্রা
সঠিক উত্তর: খ) প্রতি একক সময়ে বিক্রিয়ক বা উৎপাদের ঘনমাত্রার পরিবর্তন
ব্যাখ্যা: প্রতি একক সময়ে বিক্রিয়ক বা উৎপাদের ঘনমাত্রার পরিবর্তনকে বিক্রিয়ার হার বলে।
প্রশ্ন ১৫: বিক্রিয়ার হারের উপর প্রভাব বিস্তারকারী নিয়ামকগুলো কী কী?
ক) তাপমাত্রা ও চাপ
খ) ঘনমাত্রা ও পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল
গ) অনুঘটক
ঘ) সবগুলো
সঠিক উত্তর: ঘ) সবগুলো
ব্যাখ্যা: তাপমাত্রা, চাপ, ঘনমাত্রা, পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল এবং অনুঘটক বিক্রিয়ার হারের উপর প্রভাব বিস্তার করে।
প্রশ্ন ১৬: তাপমাত্রা বাড়ালে বিক্রিয়ার হার সাধারণত কেমন হয়?
ক) হ্রাস পায়
খ) বৃদ্ধি পায়
গ) অপরিবর্তিত থাকে
ঘ) প্রথমে হ্রাস পায় তারপর বৃদ্ধি পায়
সঠিক উত্তর: খ) বৃদ্ধি পায়
ব্যাখ্যা: তাপমাত্রা বাড়ালে বিক্রিয়ক কণাগুলোর গতিশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং সংঘর্ষের হার বাড়ে, ফলে বিক্রিয়ার হার বৃদ্ধি পায়।
প্রশ্ন ১৭: বিক্রিয়কের ঘনমাত্রা বাড়ালে বিক্রিয়ার হার সাধারণত কেমন হয়?
ক) হ্রাস পায়
খ) বৃদ্ধি পায়
গ) অপরিবর্তিত থাকে
ঘ) প্রথমে হ্রাস পায় তারপর বৃদ্ধি পায়
সঠিক উত্তর: খ) বৃদ্ধি পায়
ব্যাখ্যা: বিক্রিয়কের ঘনমাত্রা বাড়ালে প্রতি একক আয়তনে কণার সংখ্যা বাড়ে এবং সংঘর্ষের হার বৃদ্ধি পায়, ফলে বিক্রিয়ার হার বৃদ্ধি পায়।
প্রশ্ন ১৮: অনুঘটক কাকে বলে?
ক) যে পদার্থ বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে উৎপাদ তৈরি করে
খ) যে পদার্থ বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে কিন্তু বিক্রিয়া শেষে অপরিবর্তিত থাকে এবং বিক্রিয়ার হার পরিবর্তন করে
গ) যে পদার্থ বিক্রিয়ার হার হ্রাস করে
ঘ) যে পদার্থ বিক্রিয়ার হার বৃদ্ধি করে
সঠিক উত্তর: খ) যে পদার্থ বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে কিন্তু বিক্রিয়া শেষে অপরিবর্তিত থাকে এবং বিক্রিয়ার হার পরিবর্তন করে
ব্যাখ্যা: যে সকল পদার্থ কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ায় উপস্থিত থেকে বিক্রিয়ার বেগকে ত্বরান্বিত বা মন্থর করে কিন্তু বিক্রিয়া শেষে নিজেরা পরিমাণে ও রাসায়নিক সংযুক্তি ও ভরে অপরিবর্তিত থাকে তাদেরকে অনুঘটক বলে।
প্রশ্ন ১৯: ধনাত্মক অনুঘটক কী করে?
ক) বিক্রিয়ার হার হ্রাস করে
খ) বিক্রিয়ার হার বৃদ্ধি করে
গ) বিক্রিয়ার দিক পরিবর্তন করে
ঘ) বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে নতুন পদার্থ তৈরি করে
সঠিক উত্তর: খ) বিক্রিয়ার হার বৃদ্ধি করে
ব্যাখ্যা: যে অনুঘটক রাসায়নিক বিক্রিয়ার গতি বৃদ্ধি করে তাকে ধনাত্মক অনুঘটক বলে।
প্রশ্ন ২০: ঋণাত্মক অনুঘটক কী করে?
ক) বিক্রিয়ার হার বৃদ্ধি করে
খ) বিক্রিয়ার হার হ্রাস করে
গ) বিক্রিয়ার দিক পরিবর্তন করে
ঘ) বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে নতুন পদার্থ তৈরি করে
সঠিক উত্তর: খ) বিক্রিয়ার হার হ্রাস করে
ব্যাখ্যা: যে অনুঘটক রাসায়নিক বিক্রিয়ার গতি হ্রাস করে তাকে ঋণাত্মক অনুঘটক বলে।
প্রশ্ন ২১: বিক্রিয়ার উভয় দিকে সংঘটিত হওয়াকে কোন ধরনের বিক্রিয়া বলে?
ক) একমুখী বিক্রিয়া
খ) উভমুখী বিক্রিয়া
গ) সংযোজন বিক্রিয়া
ঘ) বিয়োজন বিক্রিয়া
সঠিক উত্তর: খ) উভমুখী বিক্রিয়া
ব্যাখ্যা: যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ক পদার্থগুলো বিক্রিয়া করে উৎপাদ পদার্থে পরিণত হয় এবং উৎপাদ পদার্থগুলো আবার বিক্রিয়া করে বিক্রিয়ক পদার্থে পরিণত হতে পারে, অর্থাৎ বিক্রিয়াটি সম্মুখ ও পশ্চাৎ উভয় দিকে সংঘটিত হয় তাকে উভমুখী বিক্রিয়া বলে।
প্রশ্ন ২২: বিক্রিয়ার শুধুমাত্র একদিকে সংঘটিত হওয়াকে কোন ধরনের বিক্রিয়া বলে?
ক) একমুখী বিক্রিয়া
খ) উভমুখী বিক্রিয়া
গ) প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া
ঘ) দহন বিক্রিয়া
সঠিক উত্তর: ক) একমুখী বিক্রিয়া
ব্যাখ্যা: যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ক পদার্থগুলো বিক্রিয়া করে উৎপাদ পদার্থে পরিণত হয় কিন্তু উৎপাদ পদার্থগুলো সহজে বিক্রিয়া করে বিক্রিয়কে পরিণত হয় না, অর্থাৎ বিক্রিয়াটি শুধুমাত্র একদিকে সংঘটিত হয় তাকে একমুখী বিক্রিয়া বলে।
প্রশ্ন ২৩: উভমুখী বিক্রিয়াকে কোন চিহ্ন দ্বারা প্রকাশ করা হয়?
ক) →
খ) ←
গ) ⇌
ঘ) =
সঠিক উত্তর: গ) ⇌
ব্যাখ্যা: উভমুখী বিক্রিয়াকে প্রকাশের জন্য ⇌ চিহ্ন ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন ২৪: একমুখী বিক্রিয়াকে কোন চিহ্ন দ্বারা প্রকাশ করা হয়?
ক) →
খ) ⇌
গ) =
ঘ) ←
সঠিক উত্তর: ক) →
ব্যাখ্যা: একমুখী বিক্রিয়াকে প্রকাশের জন্য → চিহ্ন ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন ২৫: সক্রিয়ণ শক্তি কী?
ক) বিক্রিয়া শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় সর্বনিম্ন শক্তি
খ) বিক্রিয়ার ফলে উৎপন্ন শক্তি
গ) বিক্রিয়ক পদার্থের মোট শক্তি
ঘ) উৎপাদ পদার্থের মোট শক্তি
সঠিক উত্তর: ক) বিক্রিয়া শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় সর্বনিম্ন শক্তি
ব্যাখ্যা: কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়া শুরু হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম বা সর্বনিম্ন শক্তিকে সক্রিয়ণ শক্তি বলে।
প্রশ্ন ২৬: অনুঘটক কিভাবে বিক্রিয়ার হার পরিবর্তন করে?
ক) বিক্রিয়কের ঘনমাত্রা পরিবর্তন করে
খ) উৎপাদের ঘনমাত্রা পরিবর্তন করে
গ) সক্রিয়ণ শক্তি পরিবর্তন করে
ঘ) তাপমাত্রা পরিবর্তন করে
সঠিক উত্তর: গ) সক্রিয়ণ শক্তি পরিবর্তন করে
ব্যাখ্যা: অনুঘটক বিক্রিয়ার সক্রিয়ণ শক্তি হ্রাস বা বৃদ্ধি করে বিক্রিয়ার হার পরিবর্তন করে। ধনাত্মক অনুঘটক সক্রিয়ণ শক্তি হ্রাস করে এবং ঋণাত্মক অনুঘটক সক্রিয়ণ শক্তি বৃদ্ধি করে।
প্রশ্ন ২৭: টুটপেস্টের রাসায়নিক নাম কী?
ক) সোডিয়াম ক্লোরাইড
খ) ক্যালসিয়াম কার্বোনেট
গ) সোডিয়াম বাইকার্বোনেট
ঘ) সবগুলোই ব্যবহৃত হতে পারে
সঠিক উত্তর: ঘ) সবগুলোই ব্যবহৃত হতে পারে
ব্যাখ্যা: টুটপেস্টে ক্যালসিয়াম কার্বনেট, ক্যালসিয়াম হাইড্রোজেন ফসফেট, অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড সহ বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়। (বইয়ের তথ্য অনুযায়ী)
প্রশ্ন ২৮: শুষ্ক কোষে অ্যানোড হিসেবে কী ব্যবহার করা হয়?
ক) কার্বন দণ্ড
খ) দস্তার কৌটা
গ) ম্যাঙ্গানিজ ডাইঅক্সাইড
ঘ) অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড
সঠিক উত্তর: খ) দস্তার কৌটা
ব্যাখ্যা: শুষ্ক কোষের দস্তার কৌটাটি অ্যানোড হিসেবে কাজ করে।
প্রশ্ন ২৯: শুষ্ক কোষে ক্যাথোড হিসেবে কী ব্যবহার করা হয়?
ক) দস্তার কৌটা
খ) কার্বন দণ্ড
গ) অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড
ঘ) ম্যাঙ্গানিজ ডাইঅক্সাইড
সঠিক উত্তর: খ) কার্বন দণ্ড
ব্যাখ্যা: শুষ্ক কোষের কেন্দ্রে অবস্থিত কার্বন দণ্ডটি ক্যাথোড হিসেবে কাজ করে।
প্রশ্ন ৩০: শুষ্ক কোষে তড়িৎ বিশ্লেষ্য হিসেবে কী ব্যবহার করা হয়?
ক) কার্বন
খ) দস্তা
গ) অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড ও ম্যাঙ্গানিজ ডাইঅক্সাইডের মিশ্রণ
ঘ) পানি
সঠিক উত্তর: গ) অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড ও ম্যাঙ্গানিজ ডাইঅক্সাইডের মিশ্রণ
ব্যাখ্যা: শুষ্ক কোষে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড ও ম্যাঙ্গানিজ ডাইঅক্সাইডের পেস্ট তড়িৎ বিশ্লেষ্য হিসেবে কাজ করে।
প্রশ্ন ৩১: মরিচা পড়ার জন্য কোনটি প্রয়োজন?
ক) শুধুমাত্র অক্সিজেন
খ) শুধুমাত্র পানি
গ) অক্সিজেন ও পানি উভয়ই
ঘ) কার্বন ডাইঅক্সাইড
সঠিক উত্তর: গ) অক্সিজেন ও পানি উভয়ই
ব্যাখ্যা: লোহায় মরিচা পড়ার জন্য অক্সিজেন ও পানি উভয়ই প্রয়োজন।
প্রশ্ন ৩২: লোহার মরিচার রাসায়নিক সংকেত কী?
ক) FeO
খ) Fe2O3⋅nH2O
গ) Fe(OH)2
ঘ) Fe3O4
সঠিক উত্তর: খ) Fe2O3⋅nH2O
ব্যাখ্যা: লোহার মরিচার রাসায়নিক সংকেত হলো hydrated iron(III) oxide বা Fe2O3⋅nH2O।
প্রশ্ন ৩৩: খাদ্য হজম হওয়া কোন ধরনের পরিবর্তন?
ক) ভৌত পরিবর্তন
খ) রাসায়নিক পরিবর্তন
গ) উভমুখী পরিবর্তন
ঘ) নিউক্লীয় পরিবর্তন
সঠিক উত্তর: খ) রাসায়নিক পরিবর্তন
ব্যাখ্যা: খাদ্য হজম হওয়ার প্রক্রিয়ায় জটিল খাদ্যবস্তু রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে সরল উপাদানে পরিণত হয়, যা একটি রাসায়নিক পরিবর্তন।
প্রশ্ন ৩৪: সালোকসংশ্লেষণ কোন ধরনের বিক্রিয়া?
ক) দহন বিক্রিয়া
খ) তাপোৎপাদী বিক্রিয়া
গ) তাপহারী বিক্রিয়া
ঘ) প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া
সঠিক উত্তর: গ) তাপহারী বিক্রিয়া
ব্যাখ্যা: সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ সূর্যালোকের শক্তি শোষণ করে খাদ্য তৈরি করে, তাই এটি একটি তাপহারী বিক্রিয়া।
প্রশ্ন ৩৫: মিথেন গ্যাসের দহন কোন ধরনের বিক্রিয়া?
ক) তাপহারী বিক্রিয়া
খ) তাপোৎপাদী বিক্রিয়া
গ) বিয়োজন বিক্রিয়া
ঘ) প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া
সঠিক উত্তর: খ) তাপোৎপাদী বিক্রিয়া
ব্যাখ্যা: মিথেন গ্যাসের দহনের ফলে তাপ উৎপন্ন হয়, তাই এটি একটি তাপোৎপাদী বিক্রিয়া।
প্রশ্ন ৩৬: লাইম ওয়াটার ঘোলা হওয়ার কারণ কী?
ক) ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড তৈরি হওয়া
খ) ক্যালসিয়াম কার্বোনেট তৈরি হওয়া
গ) কার্বন ডাইঅক্সাইড তৈরি হওয়া
ঘ) পানি তৈরি হওয়া
সঠিক উত্তর: খ) ক্যালসিয়াম কার্বোনেট তৈরি হওয়া
ব্যাখ্যা: চুনের পানিতে (ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড দ্রবণ) কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস চালনা করলে অদ্রবণীয় ক্যালসিয়াম কার্বোনেট তৈরি হয়, যার ফলে চুনের পানি ঘোলা হয়।
প্রশ্ন ৩৭: রাসায়নিক শিল্পে বিক্রিয়ার হার নিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব কী?
ক) উৎপাদনের পরিমাণ কমানো
খ) উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি করা
গ) উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি ও খরচ কমানো
ঘ) শুধুমাত্র বিক্রিয়ার দিক পরিবর্তন করা
সঠিক উত্তর: গ) উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি ও খরচ কমানো
ব্যাখ্যা: রাসায়নিক শিল্পে বিক্রিয়ার হার নিয়ন্ত্রণ করে উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি করা যায় এবং উৎপাদন খরচ কমানো যায়।
প্রশ্ন ৩৮: পরীক্ষাগারে এসিড ও ক্ষারকের তীব্রতা যাচাই করার জন্য কী ব্যবহার করা হয়?
ক) থার্মোমিটার
খ) ব্যারোমিটার
গ) নির্দেশক
ঘ) ক্যালরিমিটার
সঠিক উত্তর: গ) নির্দেশক
ব্যাখ্যা: নির্দেশক ব্যবহার করে এসিড ও ক্ষারকের তীব্রতা যাচাই করা হয়। নির্দেশক এসিড বা ক্ষারকের সংস্পর্শে এসে বর্ণ পরিবর্তন করে।
প্রশ্ন ৩৯: জারণ ও বিজারণ একই সাথে ঘটে এমন একটি বিক্রিয়ার উদাহরণ কোনটি?
ক) পানি থেকে বরফ হওয়া
খ) লোহার মরিচা পড়া
গ) লবণ পানিতে মেশানো
ঘ) মোম গলে যাওয়া
সঠিক উত্তর: খ) লোহার মরিচা পড়া
ব্যাখ্যা: লোহার মরিচা পড়ার প্রক্রিয়ায় লোহা জারিত হয় এবং অক্সিজেন বিজারিত হয়, অর্থাৎ জারণ ও বিজারণ একই সাথে ঘটে।
প্রশ্ন ৪০: তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ শক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয় কেন?
ক) তাপ উৎপন্ন হওয়ার কারণে
খ) রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটিত হওয়ার কারণে
গ) পদার্থের ভৌত পরিবর্তন হওয়ার কারণে
ঘ) আলো উৎপন্ন হওয়ার কারণে
সঠিক উত্তর: খ) রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটিত হওয়ার কারণে
ব্যাখ্যা: তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ শক্তি ব্যবহার করে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটানো হয়, অর্থাৎ বিদ্যুৎ শক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।