Skip to content

রােহিঙ্গা উদ্বাস্তু সমস্যা নিয়ে একটি প্রতিবেদন লেখ

  • by

রােহিঙ্গা উদ্বাস্তু সমস্যা নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশের জন্য একটি প্রতিবেদন লেখ।


প্রতিবেদকঃশাহাদত হাসান
প্রতিবেদনের বিষয়:রােহিঙ্গা উদ্বাস্তু সমস্যা

স্থান/এলাকার নামঃকক্সবাজার
সময় ও তারিখঃ ২০ ডিসেম্বর ২০১৯, সকাল ১ং

রােহিঙ্গা উদ্বাস্তু সমস্যা


রােহিঙ্গা উদ্বাস্তু সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হলে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার দুই প্রতিবেশী দেশকে খােলা মনে আলােচনায় বসতে হবে। রােহিঙ্গারা বারবার এদেশে চলে আসায় বাংলাদেশ বারবার আর্থিক ও সামাজিক ক্ষতির মুখে পড়ছে। তাচাড়া এই সমস্যা জিইয়ে রেখে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক আশা করা যায় না। উন্নয়নের স্বার্থে প্রতিবেশী দেশের মধ্যে শান্তি এবং পারস্পরিক সহযােগিতা অত্যন্ত জবুরি।

প্রাচীনকাল থেকেই মিয়ানমারের রাখাইন (আরাকান) রােহিঙ্গারা বসবাস করে আসছে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তারা যুগের পর যুগ অংশগ্রহণ করছে। বিগত শতকের আশির দশকেও তারা পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে কথা বলেছে। কিন্তু হঠাৎ করে সামরিক সরকার ও উগ্রপন্থি বৌদ্ধদের আক্রমণের শিকারে পরিণত হয় রােহিঙ্গা জনগােষ্ঠী। তাদের বসতবাড়ি পুড়িয়ে নারকীয় হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে দেশের স্বৈর-সরকার। ফলে লাখ লাখ রােহিঙ্গা উদ্বাস্তু হয়ে এক বস্ত্রে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়। এ সমস্যার শুরু ১৯৭৮ সাল থেকে। ১৯৯২ সালে কক্সবাজার ও বান্দরবনে আড়াই লাখ রােহিঙ্গা উদ্বাস্তু হয়ে আশ্রয় নেয়। ২০১৭ সালে আগত রােহিঙ্গা উদ্বাস্তুর সংখ্যা সাত লাখ ছড়িয়ে গেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশে সফরে এসে পােপ ফ্যান্সিস আতঙ্কিত উদ্বাস্তু রােহিঙ্গাদের শােকগাথা শুনে মর্মাহত হন এবং এর প্রতিকারে বিশ্বজনমত গড়ে তােলার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রয়ােজনে আমরা একবেলা খাবাে, আরেক বেলার খাবার রােহিঙ্গাদের দেবাে। তিনি উদ্বাস্তুদের মানবেতর অবস্থা দেখেই একথা বলেছেন। বিশ্ববাসী আজ হতবাক মিয়ানমারের জেনারেলদের অমানবিক কাণ্ড দেখে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও সােচ্চার। ভয়াবহ এই পরিস্থিতি বিশ্বমিডিয়ায় প্রচারের পর জাতিসংঘ, ওআইসি, ইউরােপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রায় সারাবিশ্ব মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং উগ্রপন্থি বৌদ্ধদের এ হেন জঙ্গি কার্যক্রমকে জাতিগত নিধন ‘মানবতা বিরােধী’ অপরাধ বলে আখ্যায়িত করে সেনা সরকারের নিন্দা ও সসম্মানে রােহিঙ্গাদের নাগরিত্বসহ ঘর-বাড়ি-বসতিভিটায় ক্ষতিপূরণসহ প্রত্যাবাসন এবং অপকর্মে জড়িত দোষী সেনা কর্মকর্তাদের অন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের জোর দাবি জানান। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সমস্যা সমাধানের চেস্টা অব্যাহত রেখেছে।


মূলত রােহিঙ্গা উদ্ধাস্তু সমস্যা ও এর সামধান মিয়ানমারের সেনা শাসকদের হাতে। অং সান সুচি কিংবা অন্য কোনাে পক্ষ এ সমস্যার সমাধান করতে পারবে বলে মনে হয় না। আশাবাদী শান্তিপ্রিয় মানুষ হিসেবে আমরা চাই, রােহিঙ্গা উদ্ধাস্তুদের এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হােক। তারা ফিরে পাক তাদের আত্মীয় স্বজন, ঘর-বাড়ি, জমি- জিরাতসহ মানবিক সকল অধিকার।


শাহাদত হাসান
প্রতিবেদক

আরও কয়েকটি প্রতিবেদনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *