হ্যালো শিক্ষার্থী বন্ধু! তুমি কি জানো আমাদের আজকের আলোচ্য সারমর্মটি যে কবিতা অবলম্বনে তার নাম কি? উত্তরটি তোমার অজানা হয়ে থাকলে চলো যেনে নিই; একদা ছিল না জুতা চরন যুগলে লাইনটি কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার রচিত সদ্ভাব শতক কাব্য গ্রন্থের অন্তর্গত ‘অন্যের দুঃখ দেখিয়া তোমার দুঃখ দূর হইবে‘ নামক কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার অষ্টাদশ শতকের বাঙ্গালী কবি ছিলেন। তার জন্ম বাংলাদেশের খুলনা জেলার অন্তর্গত দিঘলীয়া উপজেলার সেনহাটি গ্রামে। তিনি একাধারে কবি ও সাংবাদিক ছিলেন।
সারমর্ম – একদা ছিল না জুতা চরণ যুগলে
একদা ছিল না জুতা চরণ যুগলে।
দহিল হৃদয়মন সেই ক্ষোভানলে।
ধীরে ধীরে চুপি চুপি দুঃখাকুল মনে
গেলাম ভজনালয়ে ভজন কারণে।
সেথা দেখি একজন পদ নাহি তার
অমনি জুতার খেদ ঘুচিল আমার।
পরের দুঃখ করিলে চিন্তন,
আপন মনের দুঃখ থাকে কতক্ষণ?
সারমর্ম:
সাধুর পায়ে জুতা ছিল না বলে তার মনে খুব দুঃখ। কিন্তু প্রার্থনালয়ের সামনে পা-হারা ব্যক্তিকে দেখে তার সে খেদ দূর হলাে। দুঃখ অন্তরে উপলদ্ধি করার অনুভূতি জাগ্রত হলাে তার। পরের দুঃখকে নিজের হৃদয়ে একবার উপলব্ধি করলে নিজের সামান্য দুঃখ কষ্টের কথা আমাদের আর মনে থাকে না।
কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের অমর কীর্তি :
কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের প্রথম ও সর্বশ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ সদ্ভাব শতক কাব্য। তিনিই বাংলা সাহিত্যের একমাত্র কবি যিনি কেবলমাত্র নীতি কবিতা লিখে সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে আহরন করেছিলেন। তার রচিত বেশ কিছু কবিতা ও কবিতাংশ আজও আমাদের পাঠ্যসূচীর অন্তর্গত। বেশ কয়েকটি কবিতা আমরা সারমর্ম ও ভাবসম্প্রসারন হিসাবে পড়ে থাকি। চলো দেখে নেওয়া যাক কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের এমন কিছু কবিতা যা আমাদের পাঠ্য সূচীর অন্তর্গত।
- যে জন দিবসে মনের হরষে জ্বালায় মোমের বাতি – সারমর্ম
- চির সুখী জন ভ্রমে কি কখন – ভাবসম্প্রসারন
- কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে, দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহীতে? – ভাবসম্প্রসারন
- একদা ছিল না জুতা চরণ যুগলে
সবশেষে, দেখে নিই- কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার সমপর্কে অসাধরন একটি ডকুমেন্ট্রি