কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক কে বলে তা বহুদূর – সারমর্ম

স্বর্গ ও নরক

শেখ ফজলল করিম


কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক কে বলে তা বহু দূর? আলোচ্য এই বিখ্যাত কবিতাটির নাম ‘স্বর্গ ও নরক’। এর স্রষ্টা অষ্টাদশ শতকের কবি ও সাহিত্যিক শেখ ফজলল করিম। তিনি তার জিবদ্দশায় প্রকাশিত-অপ্রকাশিত মিলিয়ে মোট ৫৫ টি গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। তার রচিত ‘তরু’ কবিতার সারমর্ম – ‘তরুতলে বসি পান্থ শ্রান্তি করে দূর‘, ভাবসম্প্রসারন- ‘কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর?/মানুষেরই মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেতে সুরাসুর’, প্রতিটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য অবশ্য পাঠ্য। আজ আমরা পড়বো- স্বর্গ ও নরক কবিতার সারমর্ম।

একাডেমিক প্রশ্ন

কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক কে বলে তা বহুদূর?

কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক কে বলে তা বহুদূর?

মানুষেরই মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেতে সুরাসুর।

রিপুর তাড়নে যখনি মােদের বিবেক পায় গাে লয়,

আত্মগ্লানির নরক অনলে তখনি পুড়িতে হয়।

প্রীতি ও প্রেমের পুণ্য বাধনে যবে মিলি পরস্পরে,

স্বর্গ আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদেরই কুঁড়েঘরে।

সারমর্ম:

স্বর্গ ও নরকের অবস্থান দূরে নয় বরং খুব কাছেই। মানুষের মধ্যেই স্বর্গ-নরক রয়েছে। রিপুর তাড়নায় মানুষ বিবেকহীন আচরণে নরকের যন্ত্রণা ভােগ করে। অন্যদিকে প্রীতিমুগ্ধ এবং কল্যাণময় আচরণ দারিদ্র্যের কুঁড়েঘরে নিয়ে আসে স্বর্গীয় সুখ।


সারমর্ম-২

স্বর্গ ও নরক বেশি দূরে নয়। মানুষের মাঝেই তা বিরাজমান। পরস্পরের প্রতি বিভেদ ও স্বার্থের দ্বন্দে মানুষ পৃথিবীকে নরকে পরিনত করে। মানুষ যখন নিজের অপকর্মের ফল উপলব্ধি করতে পারে তখনি সে নরক যন্ত্রনা অনুভব করে। আবার যখন পরস্পর ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয় তখনি স্বর্গিয় আনন্দ অনুভব করে। 


কেবল মাত্র পরীক্ষায় পাশ করাই শিক্ষার উদ্দেশ্য নয়। মুখস্থ নির্ভর শিক্ষা কখনই শিক্ষার্থীর জ্ঞানের বিকাশ ঘটায় না। তাই আমরা সর্বদা চেষ্টা করি প্রতিটি পাঠ্যসূচীকে আরও বেশি তথ্য নির্ভর করতে, যাতে শিক্ষার্থী তার জ্ঞানের ভান্ডার আরও সমৃদ্ধ করতে পারে; সর্বপরি শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য সফল হয়। নিচে কবি শেখ ফজলল করিম সম্পর্কে একটি ভিডিও যুক্ত করা হল-

একাডেমিক প্রশ্ন
Graphics Animation
Views: 127 Views
❤️ 0
👎 0
😢 0
😡 0

Leave a Reply

Scroll to Top