নদী কভু পান নাহি করে নিজ জল
নদী কভু পান নাহি করে নিজ জল,
তরুগণ নাহি খায় নিজ নিজ ফল।
গাভী কভু নাহি করে নিজ দুগ্ধ পান,
কাষ্ঠ দগ্ধ হয়ে করে পরে অন্ন দান।
স্বর্ণ করে নিজ রূপে অপরে শোভিত,
বংশী করে নিজ সুরে অপরে মোহিত।
শস্য জন্মাইয়া নাহি খায় জলধরে
সাধুর ঐশ্বর্য শুধু পরহিত তরে।
সারমর্ম: পৃথিবীর প্রকৃতি রূপে অপরূপ। প্রকৃতিতে আমরা অনেক কিছু দেখতে পাই। এসবের সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ করে আনন্দের সঙ্গে শিক্ষা লাভ করে প্রচুর জ্ঞান অর্জন করতে পারি। তাই প্রকৃতিই সবচেয়ে বড় শিক্ষালয়, আর আমরা সবাই তার ছাত্র।
সারমর্ম ২:
এই কবিতায় আত্মত্যাগ ও পরোপকারের মহত্ব বোঝানো হয়েছে। প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদান যেমন নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে অন্যের উপকার করে, তেমনি সত্যিকারের সাধুর জীবনও পরহিতের জন্য নিবেদিত।
সারমর্ম ৩:
এই কবিতায় নিঃস্বার্থতা ও পরোপকারের মহত্ব প্রকাশ করা হয়েছে। নদী, বৃক্ষ, গাভী, কাঠ, স্বর্ণ, বাঁশি ও শস্য—এরা সবাই নিজেদের জন্য কিছু রাখে না; বরং অন্যের উপকারে নিজেকে বিলিয়ে দেয়। তেমনই প্রকৃত সাধুর সম্পদ ও ঐশ্বর্যও শুধু পরহিতের জন্য। কবি এভাবে আত্মত্যাগ ও পরোপকারের মহান আদর্শ তুলে ধরেছেন।