নমি আমি প্রতিজনে, আদ্বিজ চন্ডাল
নমি আমি প্রতিজনে, আদ্বিজ চন্ডাল,
প্রভু, ক্রীতদাস।
সিন্ধুমূলে জলবিন্দু-বিশ্বমূলে অণু;
সমগ্রে প্রকাশ।
নমি কৃষি তন্তুজীবী স্থপতি, তক্ষক,
কর্ম, চর্মকার।
অদ্রিতলে শিলাখন্ড- দৃষ্টি অগোচরে
বহু অদ্রি-বার।
কত রাজ্য, কত রাজা গড়িছ নীরবে
হে পূজা, হে প্রিয়।
একত্বে বরেণ্য তুমি, শরণ্য এককে-
আত্মার আত্মীয়।
সারমর্ম: বিন্দু থেকেই সিন্ধুর সৃষ্টি। ঠিক তেমনিভাবে একটি সভ্যতা প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অবদানের সম্মিলনে গড়ে ওঠে। তাই কোনো মানুষকে ছোট ভাবা বা অস্বীকার করার উপায় নেই। এই মানবসমাজের প্রতিটি মানুষকে তাই সমানভাবে সম্মান, শ্রদ্ধা করতে হবে।
সারমর্ম ২:
এই কবিতায় সমগ্র বিশ্বে সবার সমান গুরুত্ব ও সম্মানের কথা বলা হয়েছে। কবি সকল শ্রেণির মানুষকে শ্রদ্ধা জানান, কারণ বিশ্বজগতে প্রতিটি ব্যক্তি ও বস্তু নিজস্বভাবে মূল্যবান। তিনি কৃষক, তাঁতি, স্থপতি, তক্ষক, চর্মকারসহ সব কর্মজীবীকে সম্মান জানান এবং মনে করেন, সৃষ্টির প্রতিটি কণা সমগ্রের অংশ। তাই বিভেদ ভুলে একত্বকেই শ্রেষ্ঠ বলে গ্রহণ করা উচিত।
সারমর্ম ৩:
এই কবিতায় মানবসমাজের সকল শ্রেণির মানুষ ও তাদের পরিশ্রমের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। কবি ধনী-গরিব, উচ্চ-নীচ ভেদাভেদ ভুলে সকলকে সমানভাবে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বিশ্বজগতের একত্ব ও পারস্পরিক নির্ভরশীলতার কথা তুলে ধরেছেন, যেখানে প্রতিটি মানুষ ও বস্তু সমগ্রেরই অংশ। তাই প্রকৃত শ্রেষ্ঠত্ব একতায়, যেখানে সবাই সমানভাবে মূল্যবান।