বিপুলা এ পৃথিবীর কতটুকু জানি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘জন্মদিনে‘ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত একটি কবিতা ‘বিপুলা এ পৃথিবীর কতটুকু জানি‘। ১৯৪১ সালে প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থটিতে মোট ২৯ টি কবিতা রয়েছে। সবকটি কবিতা পড়তে এখানে ভিজিট করতে পারেন। আজ আমরা বিপুলা এ পৃথিবীর কতটুকু জানি কবিতার অংশ বিশেষ থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সারমর্ম পড়বো। পড়া শেষে কবিতার আবৃতি শুনবো। কেননা, আমরা যে বিষয়টি পড়বো তা সম্পর্কে বিষদ জ্ঞান অর্জন আমাদের জ্ঞানের পূর্ণতা দান করে এবং পড়া মনে রাখতে সহায়ক হয়।
প্রশ্ন ডট কম
বিপুলা এ পৃথিবীর কতটুকু জানি
দেশে দেশে কত না নগর রাজধানী-
মানুষের কত কীর্তি, কত নদী গিরি সিন্ধু মরু,
কত না অজানা জীব, কত না অপরিচিত তবু
রয়ে গেল অগোচরে। বিশাল বিশ্বের আয়োজন;
মন মোর জুড়ে থাকে অতিক্ষুদ্র তারি এককোণ।
সে ক্ষোভে পড়ি গ্রন্থ ভ্রমণবৃত্তান্ত আছে যাহে
অক্ষয় উৎসাহে
যেথা পাই চিত্রময়ী বর্ণনার বাণী
কুড়াইয়া আনি।
জ্ঞানের দীনতা এই আপনার মনে
পূরণ করিয়া লই যত পারি ভিক্ষালব্ধ ধনে।
সারমর্ম: এ পৃথিবী যেমন আয়তনে বিশাল তেমনি এর রূপও বৈচিত্র্যময়। কিন্তু তার বেশিরভাগই মানুষের অজানা। অজানাকে জানার আকাঙ্ক্ষা মানুষের চিরকালের। তাই সে তার হৃদয়ের আকাঙ্ক্ষা মেটাতে ভ্রমণকাহিনী পাঠ করে। এর মাধ্যমেই সে তার সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করতে চায়, তার দীনতাকে ঘোচাতে চায়।