সারাংশ: সুখ দুঃখের অভাব মাত্র

সুখ দুঃখের অভাব মাত্র

সুখ দুঃখের অভাব মাত্র। আর সুখের নিরপেক্ষ অস্তিত্বই যদি স্বীকার করা যায়, তাহাতেই বা কী দেখা যায় ? ধরো, সুখও আছে, দুঃখও আছে। কিন্তু সুখের তীব্রতা নাই। দুঃখের তীব্রতা আছে। সুখ যত স্থায়ী হয়, তত কমে; দুঃখ যত থাকে, তত বাড়ে। এমনকী অতিরিক্ত সুখ দুঃখ হইয়া দাঁড়ায়, দুঃখকে সুখ হইতে কখনও দেখা যায় না। সংসারে চাহিয়া দেখো, শোক, হিংসা, ঈর্ষা আর পরিতাপ সবই দুখঃময়; যৌবনের স্বাধীনতা দুঃখের তৎকালীন অভাবমাত্র। ধনমান প্রায় সুখের আশা দেয়; কিন্তু আনে দুঃখ, স্নেহ, দয়া ও মমতা। ইহারা অধিকাংশ দুঃখেরই মূল। জ্ঞান-ধর্ম তাহারা তো অন্তদৃষ্টির প্রসার বাড়াইয়া অনুভূতির তীক্ষ্মতা জন্মাইয়া দুঃখভোগেরই সুবিধা করিয়া দেয়। যে জ্ঞানী, যে ধার্মিক তাহার দুঃখভোগ শক্তি অধিক। তাহার দুঃখও অধিক। মানুষেরই তো দুঃখ, কাঠ-পাথরের আবার দুঃখ কী ?

সারাংশ:

মানুষের জীবনে সুখ-দুঃখ উভয়ই আছে। সুখের তীব্রতা না থাকলেও দুঃখের অনুভূতি অত্যন্ত তীব্র। সংসারে সকল কিছুই দুঃখময়। অনেকে মনে করে বিত্তে অপরিসীম সুখ। কিন্তু বিত্তের সুখ মানুষের দুঃখকে আরো বাড়িয়ে দেয়। ধার্মিক এবং জ্ঞানী ব্যক্তির দুঃখানুভূতি সাধারণ মানুষ অপেক্ষা তীক্ষ্ম।

❤️ 0
👎 0
😢 0
😡 0

Leave a Reply

Scroll to Top