অষ্টম শ্রেনী হিন্দুধর্ম শিক্ষা | | হিন্দুধর্মের স্বরূপ ও বিশ্বাস MCQ

অষ্টম শ্রেনী হিন্দুধর্ম শিক্ষা

তৃতীয় অধ্যায়: হিন্দুধর্মের স্বরূপ ও বিশ্বাস


১. ‘ধর্ম’ শব্দটি কোন সংস্কৃত ধাতু থেকে উৎপন্ন হয়েছে?

ক) গম্

খ) পঠ্

গ) ধূ

ঘ) কৃ

সঠিক উত্তর: গ) ধূ

ব্যাখ্যা: সংস্কৃত ধূ-ধাতুর সঙ্গে মন্ প্রত্যয় যোগে ধর্ম শব্দটি গঠিত হয়েছে। এর অর্থ যা ধারণশক্তি-সম্পন্ন তা-ই ধর্ম।

২. হিন্দুধর্মের সাধারণ লক্ষণ কয়টি?

ক) তিনটি

খ) চারটি

গ) পাঁচটি

ঘ) ছয়টি

সঠিক উত্তর: গ) পাঁচটি

ব্যাখ্যা: হিংসা না-করা, চুরি না-করা, সত্যনিষ্ঠ হওয়া, দেহ-মনে পবিত্র থাকা এবং সংযমী হওয়া-এ পাঁচটি গুণ হিন্দুধর্মের সাধারণ লক্ষণ।

৩. মহাভারতের কোন পর্বে ধর্মের লক্ষণের কথা বলা হয়েছে?

ক) আদিপর্বে

খ) সভাপর্বে

গ) বনপর্বে

ঘ) শান্তিপর্বে

সঠিক উত্তর: ঘ) শান্তিপর্বে

ব্যাখ্যা: মহাভারতের শান্তিপর্বে বর্ণিত ধর্মের লক্ষণটি স্মরণ করা যায়: “ধারণাদ ধর্মম্ ইত্যাহুধর্মেণ বিধৃতাঃ প্রজাঃ।”

৪. মনুসংহিতা অনুসারে মনুষ্যত্বের বা ধর্মের সাধারণ লক্ষণ কোনটি নয়?

ক) অহিংসা

খ) সত্যনিষ্ঠা

গ) জ্ঞানার্জন

ঘ) সংযম

সঠিক উত্তর: গ) জ্ঞানার্জন

ব্যাখ্যা: মনুসংহিতায় বলা হয়েছে: “অহিংসা সত্যমস্তেয়ং শৌচম্ ইন্দ্রিয়নিগ্রহঃ। এতং সামাসিকং ধর্মং চাতুর্বর্ণেহব্রবীনানুঃ”। এখানে জ্ঞানার্জনের কথা সরাসরি সাধারণ লক্ষণে উল্লেখ নেই।

৫. হিন্দুধর্মের বিশেষ লক্ষণ কয়টি?

ক) দুইটি

খ) তিনটি

গ) চারটি

ঘ) পাঁচটি

সঠিক উত্তর: গ) চারটি

ব্যাখ্যা: বেদ, স্মৃতিশাস্ত্র, সদ্ব্যক্তিদের আচার-আচরণ এবং বিবেকের নির্দেশ-এই চারটি হচ্ছে হিন্দুধর্মের বিশেষ লক্ষণ।

৬. কোনটি হিন্দুধর্মের বিশেষ লক্ষণ?

ক) দান করা

খ) উপবাস করা

গ) স্মৃতিশাস্ত্র

ঘ) তীর্থযাত্রা

সঠিক উত্তর: গ) স্মৃতিশাস্ত্র

ব্যাখ্যা: মনুসংহিতায় বলা হয়েছে: “বেদঃ স্মৃতিঃ সদাচারঃ স্বস্য চ প্রিয়মাত্মনঃ। এতচ্চতুর্বিধং প্রাহুঃ সাক্ষাৎ ধর্মস্য লক্ষণম্”। এখানে স্মৃতিশাস্ত্র একটি বিশেষ লক্ষণ।

৭. ‘সদাচার’ বলতে কী বোঝায়?

ক) শাস্ত্রীয় নিয়ম

খ) সৎ ব্যক্তিদের আচার-আচরণ

গ) পূজা-পার্বণ

ঘ) ধ্যান ও উপাসনা

সঠিক উত্তর: খ) সৎ ব্যক্তিদের আচার-আচরণ

ব্যাখ্যা: সৎ+আচার = সদাচার। সৎ ব্যক্তিদের আচার-আচরণে ধর্মের প্রকাশ ঘটে।

৮. কখন মানুষকে তার নিজস্ব বিবেকের আশ্রয় নিতে হয় ধর্ম-অধর্ম নির্ণয়ে?

ক) যখন শাস্ত্রীয় নির্দেশ স্পষ্ট থাকে

খ) যখন গুরু নির্দেশ দেন

গ) যখন বেদ, স্মৃতিশাস্ত্র ও সদাচার অনুসরণ করেও মীমাংসা সম্ভব হয় না

ঘ) যখন পূজা করার প্রয়োজন হয়

সঠিক উত্তর: গ) যখন বেদ, স্মৃতিশাস্ত্র ও সদাচার অনুসরণ করেও মীমাংসা সম্ভব হয় না

ব্যাখ্যা: পূর্বে আলোচিত বেদ, স্মৃতিশাস্ত্র ও সদাচার অনুসরণ করেও যদি বিশেষ কোনো পরিস্থিতিতে ধর্ম-অধর্ম নির্ণয় করা সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে মানুষকে তার নিজস্ব বিবেকের আশ্রয় নিতে হয়।

৯. বৈদিক যুগে ধর্ম-কর্ম কীভাবে পালিত হতো?

ক) মূর্তিপূজার মাধ্যমে

খ) যজ্ঞকর্মরূপে

গ) ভক্তিগীতের মাধ্যমে

ঘ) তীর্থযাত্রার মাধ্যমে

সঠিক উত্তর: খ) যজ্ঞকর্মরূপে

ব্যাখ্যা: বৈদিক যুগে ধর্ম-কর্ম পালিত হতো যজ্ঞকর্মরূপে। যজ্ঞক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তখন দেবতাদের আরাধনা করা হতো।

১০. কোন যুগে মুক্তির চিন্তা প্রাধান্য পায় এবং মানুষ এক ব্রহ্মের আরাধনা করতে থাকে?

ক) বৈদিক যুগে

খ) উপনিষদের যুগে

গ) পৌরাণিক যুগে

ঘ) দ্বাপর যুগে

সঠিক উত্তর: খ) উপনিষদের যুগে

ব্যাখ্যা: বেদের পরে উপনিষদের যুগে মুক্তির চিন্তা প্রাধান্য পায়। মানুষ মুক্তিলাভের জন্য এক ব্রহ্মের আরাধনা করতে থাকে।

১১. শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় কোন বিষয়টি বলিষ্ঠভাবে তুলে ধরা হয়েছে?

ক) সন্ন্যাস জীবন

খ) নিষ্কাম কর্মযোগ

গ) মূর্তিপূজা

ঘ) জাতিভেদ প্রথা

সঠিক উত্তর: খ) নিষ্কাম কর্মযোগ

ব্যাখ্যা: শ্রীমদ্‌ভগবদ্গীতায় এই নিষ্কাম কর্মযোগের বিষয়টি বলিষ্ঠভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

১২. শ্রীচৈতন্যদেব কোন ধর্ম প্রচার করেন?

ক) জ্ঞানযোগমূলক শৈবধর্ম

খ) কর্মযোগমূলক শাক্তধর্ম

গ) প্রেমভক্তিমূলক বৈষ্ণবধর্ম

ঘ) নিরীশ্বরবাদী বৌদ্ধধর্ম

সঠিক উত্তর: গ) প্রেমভক্তিমূলক বৈষ্ণবধর্ম

ব্যাখ্যা: শ্রীচৈতন্যদেবের আবির্ভাব ঘটে। তিনি প্রেমভক্তিমূলক বৈষ্ণবধর্ম প্রচার করেন।

১৩. ঊনবিংশ শতকে মূর্তিপূজার পরিবর্তে কোন চিন্তা প্রাধান্য পায় এবং ব্রাহ্মসমাজ স্থাপিত হয়?

ক) বহু দেব-দেবীর উপাসনা

খ) এক ব্রহ্মচিন্তা

গ) নিরীশ্বরবাদ

ঘ) তন্ত্র সাধনা

সঠিক উত্তর: খ) এক ব্রহ্মচিন্তা

ব্যাখ্যা: ঊনবিংশ শতকে হিন্দুধর্মের অনেক আচার-আচরণে সংস্কার সাধন করা হয়। মূর্তিপূজার পরিবর্তে আসে এক ব্রহ্মচিন্তা। স্থাপিত হয় ব্রাহ্মসমাজ।

১৪. কার সাধনায় মূর্তিপূজার মাধ্যমেও ঈশ্বরলাভ সম্ভব – এই ধারণাটি সুপ্রতিষ্ঠিত হয়?

ক) স্বামী বিবেকানন্দ

খ) রাজা রামমোহন রায়

গ) শ্রীরামকৃষ্ণ

ঘ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

সঠিক উত্তর: গ) শ্রীরামকৃষ্ণ

ব্যাখ্যা: অপরদিকে মূর্তিপূজার মাধ্যমেও যে মানুষ ঈশ্বরলাভ করতে পারে, এ ধারণাটি শ্রীরামকৃষ্ণের সাধনায় সুপ্রতিষ্ঠিত হয়।

১৫. ‘মানবসেবাই ঈশ্বরসেবা’ – এই ধর্মবোধ কোন বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেয়?

ক) ব্যক্তিগত মুক্তি

খ) শাস্ত্রীয় জ্ঞান

গ) মানব কল্যাণ

ঘ) মূর্তিপূজা

সঠিক উত্তর: গ) মানব কল্যাণ

ব্যাখ্যা: মানুষের মধ্যেই ঈশ্বর রয়েছেন, তাই মানবসেবাই ঈশ্বরসেবা। এই ধর্মবোধে বিশ্বাসী হয়ে আমরা জীবনে সেবাধর্মের অনুশীলন করব এবং মানবতাবোধ জাগ্রত করতে যত্নবান হব।

১৬. হিন্দুধর্মে বর্ণভেদ কিসের ভিত্তিতে সৃষ্টি হয়েছে?

ক) জন্মগত

খ) বংশগত

গ) কর্ম বা পেশাগত

ঘ) আর্থিক অবস্থা

সঠিক উত্তর: গ) কর্ম বা পেশাগত

ব্যাখ্যা: সমাজে সকল মানুষের জ্ঞান, বুদ্ধি ও কর্মদক্ষতা সমান নয়। কর্মের যোগ্যতা অনুসারে প্রাচীনকাল থেকেই এ-ধর্মে বর্ণবিভাগ রয়েছে। শ্রীমদ্‌ভগবদ্গীতায়ও ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, গুণ ও কর্মের ভিত্তিতে তিনি চার বর্ণের সৃষ্টি করেছেন।

১৭. ঋগ্বেদের একটি মন্ত্র অনুসারে, একজন ঋষির কন্যা কী কাজ করতেন?

ক) চিকিৎসা

খ) যব ভেজে ছাতু বিক্রি

গ) অধ্যাপনা

ঘ) রাজকার্য

সঠিক উত্তর: খ) যব ভেজে ছাতু বিক্রি

ব্যাখ্যা: ঋগ্বেদের একটি মন্ত্রে একজন ঋষি বলছেন, ‘আমি বেদমন্ত্রদ্রষ্টা ঋষি। আমার কন্যা যব ভেজে ছাতু বানিয়ে বিক্রি করে।’

১৮. ক্ষত্রিয় রাজা বিশ্বামিত্র তপস্যার বলে কোন বর্ণত্ব অর্জন করেছিলেন?

ক) বৈশ্যত্ব

খ) শূদ্রত্ব

গ) ব্রাহ্মণত্ব

ঘ) কোনোটিই নয়

সঠিক উত্তর: গ) ব্রাহ্মণত্ব

ব্যাখ্যা: তাছাড়া ক্ষত্রিয় রাজা বিশ্বামিত্র তপস্যার বলে ব্রাহ্মণত্ব অর্জন করেছিলেন।

১৯. চতুরাশ্রমের প্রথম আশ্রম কোনটি?

ক) গার্হস্থ্য

খ) বানপ্রস্থ

গ) সন্ন্যাস

ঘ) ব্রহ্মচর্য

সঠিক উত্তর: ঘ) ব্রহ্মচর্য

ব্যাখ্যা: প্রাচীনকালে ঋষিগণ মানব জীবনকে চারটি পর্যায়ে বিভক্ত করে দেখেছেন, যেমন-ব্রহ্মচর্য, গার্হস্থ্য, বানপ্রস্থ ও সন্ন্যাস। প্রথম পঁচিশ বছরকে বলা হয় ব্রহ্মচর্য আশ্রম।

২০. মানব জীবনের কোন পর্যায়কে বানপ্রস্থ আশ্রম বলা হয়?

ক) প্রথম পঁচিশ বছর

খ) পঞ্চাশ থেকে পঁচাত্তর বছর

গ) পঁচিশ থেকে পঞ্চাশ বছর

ঘ) পঁচাত্তর বছরের ঊর্ধ্বে

সঠিক উত্তর: খ) পঞ্চাশ থেকে পঁচাত্তর বছর

ব্যাখ্যা: পঞ্চাশ বছর অতিক্রান্ত হলে সংসার ত্যাগ করে ধর্মানুশীলনের জন্য বনে যেতে হয়। এটি চলে পঁচাত্তর বছর পর্যন্ত। এ পর্যায়কে বলা হয় বানপ্রস্থ আশ্রম।

২১. হিন্দুধর্ম মতে যুগ কয়টি?

ক) দুইটি

খ) তিনটি

গ) চারটি

ঘ) পাঁচটি

সঠিক উত্তর: গ) চারটি

ব্যাখ্যা: হিন্দুধর্মের মতে যুগ হচ্ছে চারটি-সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলি।

২২. কোন যুগে ধর্ম পূর্ণ, ষোল আনা ছিল?

ক) ত্রেতাযুগ

খ) দ্বাপরযুগ

গ) কলিযুগ

ঘ) সত্যযুগ

সঠিক উত্তর: ঘ) সত্যযুগ

ব্যাখ্যা: মানবসভ্যতা বিকাশের প্রাথমিক পর্যায়কে ধরা হয় সত্যযুগ। এ-যুগে মানুষ ছিল ধর্মপ্রাণ। তাদের জীবন ছিল সৎকর্মময়। তখন ধর্ম ছিল পূর্ণ, ষোল আনা।

২৩. দ্বাপর যুগে ধর্ম ও অধর্মের অবস্থা কেমন ছিল?

ক) ধর্ম বেশি, অধর্ম কম

খ) অধর্ম বেশি, ধর্ম কম

গ) ধর্ম ও অধর্ম সমান-সমান

ঘ) শুধু ধর্ম ছিল

সঠিক উত্তর: গ) ধর্ম ও অধর্ম সমান-সমান

ব্যাখ্যা: এ-সময় ধর্ম ও অধর্ম সমান-সমান হয়ে যায়।

২৪. কলিযুগে কীসের বৃদ্ধি ঘটে বলে শাস্ত্রে উল্লেখ আছে?

ক) ধর্মের

খ) সৎকর্মের

গ) অধর্ম তথা পাপকর্মের

ঘ) জ্ঞানের

সঠিক উত্তর: গ) অধর্ম তথা পাপকর্মের

ব্যাখ্যা: এ-সময়ে ধর্মের অবস্থা আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। অপরদিকে অধর্ম তথা পাপকর্মের বৃদ্ধি ঘটে।

২৫. সত্যযুগের প্রধান ধর্ম কী ছিল?

ক) জ্ঞান

খ) যজ্ঞ

গ) দান

ঘ) তপস্যা

সঠিক উত্তর: ঘ) তপস্যা

ব্যাখ্যা: শাস্ত্রে বলা হয়েছে: “তপঃ পরং সত্যযুগে”। অর্থাৎ, সত্যযুগে তপস্যা ছিল প্রধান ধর্ম।

২৬. কলিযুগের প্রধান ধর্ম কী?

ক) তপস্যা

খ) জ্ঞান

গ) যজ্ঞ

ঘ) দান

সঠিক উত্তর: ঘ) দান

ব্যাখ্যা: শাস্ত্রে বলা হয়েছে: “দানমেকং কলৌ যুগে”। অর্থাৎ, কলিযুগে দানই প্রধান ধর্ম।

২৭. পুণ্য অর্জন ও পাপ থেকে মুক্তির ইচ্ছায় অনুষ্ঠিত ধর্মকর্মকে কী বলে?

ক) পূজা

খ) উপাসনা

গ) পার্বণ

ঘ) ব্রত

সঠিক উত্তর: ঘ) ব্রত

ব্যাখ্যা: পুণ্য অর্জন ও পাপ হতে মুক্তির ইচ্ছায় অনুষ্ঠিত ধর্মকর্মকেই ব্রত বলে।

২৮. শিবরাত্রি ব্রত কোন মাসে পালন করা হয়?

ক) মাঘ

খ) ফাল্গুন

গ) চৈত্র

ঘ) বৈশাখ

সঠিক উত্তর: খ) ফাল্গুন

ব্যাখ্যা: ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশী তিথির রাত্রিতে শিবের আরাধনা করা হয়।

২৯. শিব অল্পতেই তুষ্ট হন বলে তাঁর এক নাম কী?

ক) মহাদেব

খ) আশুতোষ

গ) ভোলানাথ

ঘ) নটরাজ

সঠিক উত্তর: খ) আশুতোষ

ব্যাখ্যা: শিব অল্পতেই তুষ্ট হন। এজন্য তাঁর এক নাম ‘আশুতোষ’।

৩০. শিবরাত্রি ব্রতকথায় বর্ণিত ব্যাধ অজ্ঞাতে কীভাবে শিবের পূজা করেছিলেন?

ক) মন্ত্র পাঠ করে

খ) ফুল ও ফল নিবেদন করে

গ) শিশিরভেজা বেলপাতা শিবলিঙ্গের ওপর ফেলে

ঘ) ধূপ ও প্রদীপ জ্বালিয়ে

সঠিক উত্তর: গ) শিশিরভেজা বেলপাতা শিবলিঙ্গের ওপর ফেলে

ব্যাখ্যা: ঘটনাচক্রে সেই বেলগাছের গোড়ায় প্রতিষ্ঠিত ছিলেন শিবের প্রতীক শিবলিঙ্গ। ব্যাধ শীতে কাঁপছিলেন এবং সজোরে গাছের ডাল চেপে ধরেছিলেন। তাতে শিশিরভেজা বেলপাতা আপনা থেকেই ছিন্ন হয়ে শিবলিঙ্গের ওপর পড়ল।

Leave a Reply

Scroll to Top