|

তােমার এলাকায় সন্ত্রাসী তৎপরতার দ্রুত প্রসারে জনজীবনের বেহাল অবস্থার উপর একটি প্রতিবেদন রচনা কর

safi image 67c592e0e43f8

4 min read

Advertisements

তােমার এলাকায় সন্ত্রাসী তৎপরতার দ্রুত প্রসারে জনজীবনের বেহাল অবস্থার উপর একটি প্রতিবেদন রচনা কর।


প্রতিবেদকের নাম: রবিন রায়হান

প্রতিবেদনের শিরােনাম : নারায়ণগঞ্জে চাদাবাজি ও সন্ত্রাস : জনজীবন অতিষ্ঠট
ঠিকানা: ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ
প্রস্তুতের সময় ও তারিখ : সকাল ১০টা, ১০ জুন, ২০২৪


নারায়ণগঞ্জে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস : জনজীবন অতিষ্ঠ

নারায়ণগঞ্জ প্রাচ্যের ড্যান্ডি বলে খ্যাত। নগর সভ্যতা এখানে বেশ প্রাচীন। ব্যবসায় কেন্দ্রিক জীবন ব্যবস্থার কারণে বাংলাদেশের ৬৪ জেলার লােক এখানে বাস করে। ফতুল্লা থানা নারায়ণগঞ্জের সদর থানার সুযােগসুবিধা ভােগ করছে। এখানে গড়ে উঠেছে বিসিক। তাছাড়া ফতুল্লা জুড়ে রয়েছে হাজার হাজার শিল্পকারখানা। অথচ এখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একদম ভেঙে পড়েছে। এলাকার পাঁচ লক্ষ লােক জিম্মি হয়ে পড়েছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একজন এলাকাবাসী জানান, ‘নদু বাহিনীর কাছে এলাকার লােক জিম্মি। নদু বাহিনীর অত্যাচারে এলাকার সাধারণ মানুষ সবসময় আতজ্কিত’।

অফিস-আদালত, ব্যবসায়-বাণিজ্য, এমনকি বাসাবাড়িতে পর্যন্ত চাঁদা ধরা হয়। যেকোনাে জায়গায় কিছু নির্মাণ করতে চাঁদা দিতে হয়, ছেলে বিয়ে করাতে, মেয়ে বিয়ে দিতে চাঁদা দিতে হয়, চাঁদা দিতে হয় কেউ বিদেশে থাকলেও। সবচেয়ে অবাক করা ঘটনা হচ্ছে গত সপ্তাহে এক কলেজ পড়ুয়া ছাত্র তার বান্ধবীকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিল; তাকেও চাঁদা দিতে হয়েছে। তাদের দুজনকে রিকসা থেকে নামায় নদু বাহিনীর পাগলা ছকু। পাঁচ হাজার টাকা দাবি করলে মেয়েটি তার গলার স্বর্নের চেন দিয়ে নিজেদের রক্ষা করে। এরকম ঘটনা অহরহ ঘটছে সর্বত্র। পান দোকানের মালিক থেকে পাঞ্জাবি উৎপাদনের গার্মেন্টস পর্যন্ত কেউ চাঁদা না দিয়ে পার পায় না। গার্মেন্টস, ডাইং, রুলিং মিল তথা সকল ধরনের শিল্পকারখানা নদু বাহিনীকে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা দিতে বাধ্য।

এর আগে এখানে রাজত্ব করেছে রকমত, তার আগে ইস্রাফিল। ইস্রাফিলকে মাইকে ঘােষণা দিয়ে ভােররাতে বিপক্ষ গ্রুপ মেরে ফেলে। উত্থান হয় রকমতের। রকমতের রাজত্বের অবসান ঘটে নারায়ণগঞ্জ পুলিশের ক্রসফায়ারে। এখন চলছে নদু বাহিনীর রাজত্ব। এখানে সন্ত্রাস ছিল, আছে ভাবখানা এ রকম যেন থাকবে চিরকাল।

নাম প্রকাশ না করে একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী জানান এ বছর প্রথম দিকে এম, এম ডাইং এর কাছে নদু বাহিনী দশ লাখ টাকা চাঁদা চাইলে মালিকপক্ষ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এম, এম ডাইং মালিকের কলেজে পড়ুয়া মেয়েকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায় নদু বাহিনী। শেষ পর্যন্ত এম এম ডাইং এর মালিক মেয়ে রক্ষার্থে উক্ত টাকা দিয়ে ৬ ঘণ্টা পর মেয়েকে উদ্ধার করে।

এরকম ঘটনা এলাকায় অহরহ ঘটছে। চাঁদার জন্য অনেক মায়ের বুক খালি হয়েছে। অনেক স্ত্রী হারিয়েছে স্বামীকে। অনেক মেয়ে হয়েছে ধর্ষিত। নদু বাহিনী এখন খুন-হত্যা, চাঁদাবাজি, ধর্ষণে এক জীবন্ত কিংবদন্তী। সরকার এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিলে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ নির্মূল কোনাে কঠিন কাজ নয়। এ অবস্থা থেকে এলাকাবাসী মুক্তি চায়।

রবিন রায়হান
প্রতিবেদক


আরও কয়েকটি প্রতিবেদন রচনাঃ

0
0
0
0
0

Download Post

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *